নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বৃষ্টি

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫২


ছবিঃ গুগল

'ভেবে দেখেছি আমার জন্য দুনিয়ার সকল সম্ভাবনার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে তাই তোমাদের এই পাষাণ পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিচ্ছি, আজকের পর আর কোথাও দেখতে পাবেনা আমায়। আমি এক মগ কফির মধ্যে ১৫ এম জি ডরমিকাম বেশ অনেকগুলো পাতা(আম্মুর প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ফার্মেসী থেকে সংগ্রহ করেছি)এক মগ কফির মধ্যে মিশিয়ে খেয়ে ফেললাম। অনেক ভেবে চিনতে দেখেশুনে এটাই মনে হচ্ছে মৃত্যুই আমার মুক্তি আর আমার মুক্তিতে তোমাদের মুক্তি।তোমাদের মুক্তি দিতেই আমাকে এই পথে যেতেই হল! ক্ষমা চাইছি না! আমি জানি আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দেবেই বলি কিংবা নাই বলি।''


চিঠি লেখা শেষ করে ডরমিকাম মেশানো আধ ঠাণ্ডা কফি হাতে নিলো বৃষ্টি।
বৃষ্টির নাম রেখেছে ওর মা, নিশ্চয়ই খুব ভালোবেসে নামটি রেখেছিলো! এখন কেন তোমার ভালোবাসা পুরোটা বড় আপা আর ভাইয়ার জন্য হল মা! আমার ভালোবাসা কই বলো মা বলো! খারাপ মনটা আরও খারাপ হয় ওর! ঝড় বয়ে যায় ভেতরে, বাইরে, জানালায়, জানালার পর্দায়! পর্দার ফাঁক গলে আসা রাস্তার ল্যাম্প পোষ্টের আলোয়! ঘরে, ঘরের মেঝেতে, বিছানার চাদরে, আলগোছে পড়ে থাকা এলোমেলো কাপড়ে, বই এ, ল্যাপটপে।

মগ হাতে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। ইচ্ছে হয় জানালার গ্লাস খুলে দিতে, কিন্তু এক মৃত পথযাত্রীর এসবের প্রয়োজন আছে কি! নেই। কোন প্রয়োজন নেই।
কেউ নেই কিছু নেই বৃথা অন্ধকার!!এটা কি কারো লেখা কবিতা! কিছুই মনে পড়ে না। একটা ঘোর ওকে নিরন্তর সরলরৈখিক পথ দেখায় শুধু। সেখানেই শান্তি এই মুহূর্তে।
ভালো, মরে যাওয়াটাই আমার জন্য সব থেকে ভালো, ভাবে বৃষ্টি, ভাবে আর কাঁদে।।

তারপর ঘড়ির দিকে তাকায়, রাত ১২টা। কখন এতোটা সময় চলে গেলো কিছুতেই আর মনে পড়ে না, দূর থেকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ আসে, একটা পাখি ডেকে ওঠে কিছুক্ষনের জন্য।বাড়িটি নিরব, সবাই ঘুমিয়ে গেছে, জীবনানন্দ দাশের লাশ কাঁটা ঘরের কবিতার মত ঘুম, অনন্ত ঘুম, ঐচ্ছিক চিরস্থায়ী ঘুম, শান্তির ঘুম। ক্লান্তির ঘুম, অবমাননা অবহেলায় হেলায় হারানো ঘুম, মা এর ভালোবাসা না পাওয়ার ঘুম, বাবাকে কষ্ট দেয়ার অপরাধে ঘুম, অশান্তির নিরন্তর ঘুম।


নাহ আর কোন অপশন নেই, হঠাৎ করেই জিদ চেপে বসে। আর ঠিক তখনি ঢক ঢক করে গিলে ফেলে পুরো কফিটা।
প্রথম কয়েক মুহূর্ত সব স্বাভাবিক! অবাক লাগছে! খটকা লাগছে! এত ওষুধ একবারে খাওয়ার পর ও এই প্রতিক্রিয়া! আশ্চর্য! তারপর--

ঝিম ঝিম ঝিম। পৃথিবীটা কাঁপছে, নিরব আর শক্তিহীন আর নির্ভার ভার নিয়ে কয়েক সেকেন্ডে অথবা অনন্তকাল অতীত ভাবনায় বিভোর হয় ও, অতীত ভর্তি অবহেলা, অসহ্য! নিজেই নিজের উপর বিতৃষ্ণায় বিরক্তিতে মুখ ফিরিয়ে নেয়! অভিমান করে অভিমান করতে করতে, নির্ভার হতে হতে; বাবা মা ভাই বোনের কথা ভাবে বৃষ্টি, তারা সবাই বৃষ্টির অতি প্রিয়জন।
বাবা মা ঘুমাচ্ছে! ভাইয়া বাসায় ফেরেনি আজ!
কাল জিওগ্রাফী ক্লাস! স্যার বলেছে ক্লাস টেস্ট নেবে!পড়াই হয়নি! পড়ার দরকার ছিল কি!নাহ দরকার নেই, এখন ওর আর কিছুর দরকার নেই, কোন মায়া মমতা, ভালোবাসা কিছুরই দরকার নেই আর। কাল সন্ধ্যায় বোনের আক্দ হবে, আপার খুব পছন্দের ছেলে, বাবা মা খুশি। সবাই কাল অনেক আনন্দ করবে, বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আমিও আনন্দ করতাম, ভাবে বৃষ্টি ভাবতে ভাবতে লক্ষ্য করে অনেক সময় তো হয়ে গেলো এখনো; ও মরে গেলো না যে? অন্তত অজ্ঞান তো হবে!

দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে, তবে কি মৃত্যু হচ্ছেনা ওর!!এবারের মত আবার বেঁচে গেলো!
তারপর এত কিছুর ভেতর হাস্যকর ভাবেই গান শোনার জন্য; সিডি প্লেয়ার অন করার জন্য; রিমোট হাতে নিতে চাইতে চাইতে! হাতের কাছেই ছিল ওটা! হাতের কাছেই রইলো।।
ওই পর্যন্তই!
তারপর,
শুন্য’
বাকীটুকু শুন্য, বাকীটুকু খালি, বাকীটুকু অন্ধকার! গভীর অন্ধকার! আর একজীবন একাকীত্ব!!


ঘুম ভাঙলো সকাল সকালই, কয়েক মুহূর্ত পর ধীরে ধীরে মনে পড়লো! গতকালের কথা! ঘুমের ওষুধের কথা! হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হতে হতে বৃষ্টি ভাবতে থাকলো ভেজাল ওষুধ!

ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালো! চারপাশে ঝরঝরে রোদের মেলা, একটা কালো কাক বসে আছে বিদ্যুতের তারের উপর! কাছাকাছি, খুব কাছাকাছি! হাত বাড়ালেই ধরা যাবে! কাকটা চেয়ে আছে চুপচাপ! মানুষ মানুষ চোখ ওটার!

ভাবতে ভাবতে একসময় দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো ও, খানিকক্ষন হাঁটে! হেঁটে হেঁটে দিশেহারা!পথ ভুল, সব ভুল! গতকালের অঘটন অপমানে সবকিছু উল্টাপাল্টা।

একটু দূরে এক ছেলে দাঁড়িয়ে, সে ও তাকিয়ে আছে!আজ কি তাকিয়ে থাকার দিন!!
সামনেই একটা পার্ক, একদম খালি আর ফাঁকা, কিন্তু অনেক গাছ সেখানে; গাছ ভর্তি পাতা, পাতার রঙ ধুসর সবুজ! নিঃশব্দ ধোঁয়াটে পরিবেশ

পার্কের বেঞ্চগুলো সব খালি, পার্ক এরকম হয় নাকি! কতদিন কত ভীড় সব সময় চোখে পড়েছে ওর।
অদূরেই এক বুড়ী! তাকে অতিক্রম করার সময় বুড়ীর শরীরে হাত লেগে গেলো বৃষ্টির, উফ কি ঠাণ্ডা তার শরীর আর ছায়া ছায়া! কেমন একটা উউউউউউউউ শব্দ করছে সে! অদ্ভুত! ভীষণ অদ্ভুত!ভয় ভয় লাগছে!কেন ভয় লাগছে তাও ঠিক কিছুতেই বুঝতে পারেনা ও!
এটা কি দিন না রাত! এরকম আলো আগে তো দেখিনি!! বৃষ্টি খানিকটা দিশেহারা!! এসময় দশ এগারো বছর বয়সের এক বাচ্চা ছেলে আসে! হাত ভর্তি আইস্ক্রিম! ও কি আইস্ক্রিমওয়ালা? আইস্ক্রিম খেতে ইচ্ছে করলো! তবে এটাও মনে পড়লো ওর কাছে টাকা নেই!শুধু টাকা না কিছুই নেই। এমন কি ও বুঝতে পারছেনা এখন ওর পড়নে কি! আসলে যেন ও অন্ধ! যেন কিছুই বুঝতে পারছেনা, দেখতে পাচ্ছে না! যেন ওর শ্বাস প্রশ্বাস চলছেনা, তবু দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে, কিছু দেখতে পাচ্ছেনা অথচ সবই দেখছে!
আইস্ক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটি!
যেন কিছুর প্রতীক্ষায়! বৃষ্টি অনুভব করে ছোট ছেলেটির মত ও নিজেও যেন অপেক্ষা করে আছে কোন কিছুর জন্য!অজানা কিছুর! একদম অজানা! যা আগে কখনো দেখেনি! ভাবেনি, অনুভব করেনি! সব চিন্তা চেতনার বাইরের কিছুর জন্য অপেক্ষা।

একটু অদূরে একটা দেয়াল, দেয়ালের সাথে দরজা! বৃষ্টি এগিয়ে যায়, ওই দরজাটা ওকে টানছে যেন! দরজার কাছে গিয়ে নব ঘুরায় ওটার, খুলে যায় দরজা!পা বাড়াতেই স্ব’শব্দে পেছন থেকে বন্ধ হয়ে যায় দরজাটা।

ভেতরে একটা টেবিল! চারটা চেয়ার, সেগুলোতে আগে থেকেই বসে আছে পথে দেখা সেই ছেলে, আইস্ক্রিমওয়ালা বাচ্চা ছেলেটি, এখন ওর হাত খালি! আর একটু অন্ধকারে বসে আছে সেই বৃদ্ধা মুখে সেই অদ্ভুত শব্দ, চতুর্থ চেয়ারটায় বসে পড়ে বৃষ্টি, বড্ড ক্লান্ত লাগছে।
ওরা চুপ, ঘরটা যেন আরও অন্ধকার, আরও অপার্থিব আরও জীবন শূন্য হয়ে গেছে! ওরা কথা বলেনা, ওরা যেন আবারো অপেক্ষায়, হিম হয়ে আসা অন্ধকারে অপেক্ষায়, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া সময়হীন আবদ্ধ সময়ের অপেক্ষায়!।

চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় বৃষ্টি! ছুটতে শুরু করে!! ওরা বাঁধা দেয়না! কিচ্ছু বলে না, ওরা বাকরুদ্ধ নিস্পলক অনুভুতিহীন চোখে দেখে, পরস্পরকে দেখে, অনুভূতিহীন দৃষ্টিতে দেখে!
বৃষ্টি অনেক ছুটছে, ছুটতে ছুটতে ধপাস করে কিছু একটার সাথে বারি খেয়ে আবিষ্কার করে সামনে আরেকটি দরজা!
এক মুহূর্ত দেরি না করে একটু ও পেছনে না তাকিয়ে ঢুকে পড়ে তাতে!
ঢুকেই এক ঝলক রোদ চোখে মুখে লাগে ওর, অনেক রোদ! আহা রোদ! মিষ্টি রোদ! সোনালী রোদ!গাছের নীচে একটি বাচ্চা পুতুল নিয়ে খেলছে!! সঙ্গে বাচ্চাটির মা বাবা! তারা কেউ বৃষ্টিকে দেখছে না! তাকিয়ে আছে বাচ্চাটির দিকে, মা বাচ্চাটিকে জড়িয়ে কি যে আদর করছে কিছুক্ষণ পর পর! একটু পড়ে গেলেই মন খারাপ করে মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে মায়ের, চকলেট দিচ্ছে, বেলুন দিচ্ছে, খেলনা সাইকেল, আরও কত কি নিয়ে মেয়েটির জন্য ব্যস্ত, বৃষ্টি চিনতে পারে ধীরে ধীরে!
আরেহ! এরাই তো ওর বাবা মা! এরাই! এত ভালোবাসা! বৃষ্টির প্রতি! ওর প্রতি! অবাক কণ্ঠে বৃষ্টি বলে ওঠে; মা!
কিন্তু কিচ্ছু শুনতে পায়না তারা! বৃষ্টির যেন কোন অস্তিত্বই নেই! বৃষ্টি আবার ডাকে! বাবা! মা! দেখো আমাকে দেখো! এই আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে! ওই বাচ্চাটা আমি!
মা! চিৎকার করে বৃষ্টি! কিছুতেই কিছু হয় না! বৃষ্টি কাঁদে! কাঁদতে কাঁদতে শুয়ে পড়ে মাটিতে, ঘুমিয়ে যায়!

কতক্ষন ঘুমিয়ে ছিল বলতে পারে না! তবে অনেকক্ষণ সেটা বুঝতে পারে! শরীর কেমন ভারী হয়ে গেছে! মাথা ঝিম ঝিম, কই! মা বাবা! কই, তাদের কোথাও দেখতে পায় না আর! একটি ছায়া শুধু অদুরে! সে একটা দরজা ধরে দাঁড়িয়ে! এসো! কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ডাকে ছায়াটি, এসো, বার বার আবার বলে এসো! এইদিকে এসো! অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়ায় বৃষ্টি! পা বাড়ায় সামনে! দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়াটা ওকে টানছে ভীষণ শক্তিতে টানছে!

ভেতরে ঢোকে ও, সাথে সাথে পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।
ঘরে ঢুকে হতবিহবল চেয়ে থাকে; একী দেখছে ও! কে! কে ওটা!বৃষ্টি! আমি নিজেই! অবাক হয়!এটা কি হসপিটাল! বেডে শুয়ে রেখেছে ওকেই! দেখে ও, সব দেখে, দেখে ডাক্তার নার্স এর ছোটাছুটি! আল্লাহ! কি হচ্ছে এসব! কি ভীষণ মোটা পাইপটা গলার ভেতর ঢুকিয়ে কি করছে এরা! কত তার পেঁচিয়ে আছে সারা শরীরে। ওই তো বাবা মা কাঁদছে! আপা কাঁদছে! ভাইয়া! ভাইয়া ওই তো! মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে! আজ না আপার বিয়ে! সবাই এইখানে!! আমার জন্য! সবাই আমায় ভালবাসে এতটা!

আলো আলো ঘরের উল্টো পাশে আরেকটি দরজা ওটা টানছে! ওকে চুম্বকের মত টানছে! অপরপ্রান্ত থেকে আলো এসে চোখ ঝলসে দিচ্ছে বৃষ্টির, টানছে আলোটা টানছে! প্রচণ্ড শক্তিতে টানছে। দরজার ওপাশে কি!!
ভয় করে! ভীষণ ভয় করে! না! ও কিছুতেই দরজার ওপাশে যেতে চায় না!! এখানে ওর পরিবার! এখানেই ওর সুখ! তারা কাঁদছে! তারা বৃষ্টির জন্য কাঁদছে!
আলোতে ভরে যায় পৃথিবী, চারদিকে আলোয় আলোয় সাদা কিচ্ছু দেখা যায় না কিচ্ছু বোঝা যায় না সব সাদা সব ভয়ংকর কিংবা জঘন্য রকম সাদা।
যখন চোখ সয়ে এলো চোখ মেলে চাইলো বৃষ্টি! তখন হসপিটালের জানালা দিয়ে রোদ ঝলমল করছে ঘরময়।।




বিঃ দ্রঃ গল্পের মুল চরিত্র বৃষ্টি বেঁচে গেলেও বাস্তবে যার কথা ভেবে গল্প লিখেছি সে বেঁচে যায়নি, সে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়েছিলো বলেই হয়তো বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আমি মেয়েটিকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনিনা, মেয়েটির নাম আফরা আনিকা মৈত্রী। আত্মহত্যা যে একটি নির্বুদ্ধিতা এবং অসুস্থতা এবং এই অসুস্থ মানুষ গুলোকে সাহায্য করতে কি পরিবার সমাজ কাছের মানুষ বন্ধু বান্ধব এগিয়ে আসতে পারেনা!।
ঘটনাটা কয়েক মাস আগের, নিউজ পেপারে পড়ে, এফ বি তে ওর প্রোফাইলটা সার্চ করে পেয়ে যাই। ইতিমধ্যে ওর প্রোফাইল রিমেম্বারিং করা হয়েছে। এই ভাবে চলে যাওয়া রিমেম্বারিং করা প্রোফাইলগুলো আমায় কষ্ট দেয়।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কমেন্ট লাইকে ফাস্র্ট হলাম ইতি-বাকিটা পরে পড়তেছি :) সুন্দর কাটুক দিনটি

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

সামিয়া বলেছেন: আহাহাহা থাঙ্কুশ :) :)

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেঁচে থাকতে আমরা হয়তো অনেকের ভালবাসাটাকে অনুধাবন করতে পারিনা।
ভালবাস বোঝা বেশ কঠিনই মনে হয় আমার কাছে।
গল্পটি কিছুটা এলোমেলো মনে হল।তবে সাবলীল ছিল।
মেয়েটি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সেটি অস্পষ্ট। তার মা তাকে অবহেলা করে শুধু এতটুকুই কারন।
খুব বেশি বড় আঘাত না পেলে কেউ মরে যাওয়ার মত সিদ্ধন্ত নেয়না।
ভাল থাকুন আপু।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

সামিয়া বলেছেন: গল্পটি কিছুটা এলোমেলো লাগতে পারে, কারন যা বর্ণনা করেছি তার সাথে আমিও পরিচিত নই। মেয়েটির আত্মহত্যা করার কর্মকাণ্ড এবং পরবর্তীতে অতিরিক্তি ঘুমের ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় তার পরবর্তী জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার বর্ণনা করেছি।
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল ।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ডিপ্রেশন যে কতটা সাংঘাতিক একটা রোগ, তা কেবলমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। একাকীত্ববোধ, হীনমন্যতা, বন্ধুহীনতা, এসব থেকে এ রোগের শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে, পরিবার থেকে এবং নিকটজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গল্পের গাঁথুনি তেমন শক্ত না হলেও, আবেদন রেখে গেছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বিশ্লেষণী কমেন্টের জন্য।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়তে পড়তে ভয় লেগে যায় আপি

এমন যেনো কেউ না করে :(

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

সামিয়া বলেছেন: সেটাই, এমন যেন কেউ না করে। আল্লাহ্‌ সবাইকে ভালো রাখুক।
সুস্থ ও সুন্দর থাকো আপু , সে কামনায়-----

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: এমন ঘটনা আর না ঘটুক ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

সামিয়া বলেছেন: সেটাই, এসব ঘটনা যেন কারো জীবনে না ঘটে। ধন্যবাদ আপু।।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

মিঃ পাতলু বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপু +++++
প্রিয়তে থাকেন

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

সামিয়া বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, সম্ভবত আমার ব্লগে মিঃ পাতলুর আজ প্রথম আগমন।
শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিরে আসার দারুন গল্প!

মৃত্যু পরবর্তী ভাবনাগুলো দারুন ...গভির ভাবনা শক্তির শক্তিশঅলী প্রকাশ :)

+++++

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

সামিয়া বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে শান্তি পেলাম, সত্যি অনেক গভীর ভাবে ভেবেই গল্পটা লিখেছি কিন্তু তেমন কোন ফিডব্যাক পাইনি। এম্নিতে আমি লক্ষ্য করেছি একটু অশ্লীল গল্পগুলোই পাঠক প্রিয়তা পায়। সেক্ষেত্রে আমি কখনোই পাঠক প্রিয় হতে পারবোনা।।
যাই হোক আপনাকে পেয়ে একটু সুখ দুঃখের কথা বললাম B-)
ভালো থাকুন ধন্যবাদ। :D

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাঠকপ্রিয়তা আর সৃজনশীলতা ভিন্ন জিনিষ!
আপনি সৃজনশীল! ভাবনার অলিন্দে কি অবলিলায় বিচরণ করে তুলে এনেছেন মনি মানিক্য!
তা আপাত কম জনপ্রিয় হলেও সৃষ্টির মহাকালে দীর্ঘকালীন আসন পাবে ইনশাল্লাহ!

হাত খুলে, মন খুলে লিখে যান! আর কিছূ না পারি নাদান পাঠক হয়ে সূখ:দুখের ভাগী হতে পারাও কম কিসে;) হা হা হা

ভাল থাকুন।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

সামিয়া বলেছেন: একটু বেশিই হয়ে গেলো!!!
তবে অনুপ্রেরণা পেলাম অনেক।।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, সুন্দর সুন্দর কথা বলে সাহস দেয়ার জন্য।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.