নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের কার্যক্রমে সহায়তার বদলে শুধু অভিযোগ করাও এক প্রকার অন্যায়

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২



অচেনা মানুষের প্রতি অচেনা মানুষের মায়া মমতা সিম্প্যাথি কমই কাজ করে যদি না সে নরম মনের মানুষ হয়, রুক্ষ এই সমাজে কে কার প্রতি মায়া দেখাবে, দীর্ঘদিন যে পরিবারের সাথে মানুষ বড় হয় সময়ে সেই পরিবারকেই অস্বীকার করে নতুন প্রজন্মরা, এতে কার কি করার থাকে, যার মুখ তার সাথে সেই মুখ দিয়ে দুই চারটা অতি অশালীন কথা বের হলেও কিছুই করার থাকেনা।কাজেই এই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না করাই ভালো যে প্রতিপক্ষের মুখ থেকে নোংরা মন্তব্য শুনতে হয়।


বনানী দিয়ে গুলশান ঢোকার রাস্তাটা অথবা নতুন বাজার দিয়ে অথবা মহাখালি দিয়ে অথবা নদ্দা দিয়ে গুলশান ঢোকার রাস্তা সারাক্ষন মানুষের ব্যাস্ত পদচারনা, কারো দিকে কারো ফিরে তাকাবার সময় নাই। এই রাস্তাগুলা এমন যে বেশিরভাগ শুধুমাত্র চাকরিজীবী আর ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা সকালে দৌড়ানোর মত করে হাঁটতে থাকেন। কে স্টুডেন্ট আর কে ইমপ্ল্রয়ী কীভাবে বুঝবেন? স্টুডেন্টদের হাতে বইখাতা না নিলেও মোবাইল আর কানের মধ্যে গুঁজে রাখার জন্য হেডফোন অবশ্যই থাকে। ইমপ্লয়ীদের সেটা থাকেনা তারা থাকেন মার্জিত পরিষ্কার ধবধবে পোশাকে।

আমি সব এরিয়া দিয়েই গুলশান ঢুকি যখন যে দিকের গাড়িতে চড়তে পারি সেই দিক দিয়েই যাই, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর গুলশানের নিরাপত্তা আরো জোরদার করায়, চেকপোস্টের কার্যক্রম জোরদার করায়, প্রায়ই সাধারণ জনগণের সাথে পুলিশের ক্যাঁচাল চোখে পড়ে।

পুলিশ যদি বলে ভাই দাঁড়ান ব্যাগের চেইন খুলেন একটু চেক করি কিংবা ম্যাডাম আপনার ব্যাগে খুলেন দেখি, ব্যাস একদল ঝগড়া পার্টি প্রচণ্ড তর্ক জুড়ে দেয় তখন, পুলিশদের ভেতরে যারা একটু বোকা ওরা তখন প্রফেশনাল ব্যাবহার ভুলে পাল্লা দিয়ে ঘরোয়া ঝগড়ায় মেতে ওঠেন এবং ফলাফল স্বরূপ যত দোষ নন্দ ঘোষের পড়ে, জনগণ তখন হয়ে যায় সাধু সন্ন্যাসী অশরীরী আর সব দোষ পুলিশ নামক খারাপদের।

হলি আর্টিজানে আক্রমণ করার জন্য যেই পরিমান অস্ত্র ওরা গুলশান সাপ্লাই করেছিলো তা সহজেই হয় নাই, কিংবা এক দুদিনেও হয় নাই, দীর্ঘ সময়ের প্লান এবং পার্সেল। তখনো নিরাপত্তা ছিল, গার্ড ছিল এবং এসবের ফাঁকফোকর দিয়েই তারা সেই অস্ত্র নিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কাজেই চোরের মার বড় গলা ধরণের মানুষকে পুলিশ চেকের নামে হয়রানী করছে কথাটা সব সময় সঠিক নয়।

কোন জ্বালাময়ী মন্তব্য চাচ্ছি না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

সামিয়া বলেছেন: ??

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

বিজন রয় বলেছেন: না, কোন জ্বালাময়ী কথা বলতে নিষেধ করেছেন তো, তাই শুধু !! দিয়েছিলাম।

আমার মনে হয় আমরা বাংলাদেশিরা এখনো অশিক্ষিত, তাই নোংরা ব্যবহার করি। ধৈর্য দেখাতে পারি না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সামিয়া বলেছেন: Very well said brother.....thank you.

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সাহসী লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনাকে স্যাল্যুট সা-ব-ধা-ন

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামিয়া বলেছেন: Thank you too brother....

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এদেশে পুলিশের সাথে ঝগড়াঝাটিতে জড়াবে সাধারন মানুষ, এটা হজম করতে একটু কষ্ট হচ্ছে !!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ সেটা তো একটা ব্যাপার।।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি কি চাচ্ছেন সেটা আগে শুনি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সামিয়া বলেছেন: আমি চাচ্ছি সাধারণ জনগণ এবং পুলিশ উভয়ই একে অপরকে সহযোগিতা করুক। আমাদের দেশের রাত আড়াইটায় 2 টায় কোন মেয়ে একা চলাফেরা করে না, সে ক্ষেত্রে পুলিশের সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু তারা প্রশ্ন করতে গিয়ে অধৈর্য হয়ে স্ল্যাং করেছে যেটা উচিত ছিল না, আমি বলব পুলিশের ক্রিমিনাল আইডেন্টিফাই করা, মাথা ঠান্ডা রেখে সবকিছু হ্যান্ডেল করা, ওয়েল বিহেভ করা অথচ তার ডিউটি ঠিকঠাক পালন করা এই সংক্রান্ত যথাযথ আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করা হোক এবং আমাদের সাধারণ জনগণ যেমন ওই মেয়েটি উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ না করে তাদেরকে ক্ষেপিয়ে না দিয়ে সে কোথা থেকে এসেছে কই যাচ্ছে কেন যাচ্ছে এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করার প্রয়োজন ছিল।দ‍্যাটস ইট।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বক্তব্য পরিস্কার নয়!
দোষ কাকে দিলেন
জনগণ নাকি পুলিশ !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সামিয়া বলেছেন: বক্তব্য তো পরিষ্কারই ভাইয়া, অনুগ্রহ করে আবার পড়ে দেখুন।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভিড়িওটি দেখলাম। এবং বুঝলাম, জৈনক পুলিশ ভাইয়া জাতিকে 'ব্যবহার' শেখানোর দায়িত্ব পেয়েছেন!! এবং তিনি তার দলবল নিয়ে একা সিএনজিতে থাকা একটা মেয়েকে 'খারাপ মেয়ে', 'রাস্তার মেয়ে' 'বেয়াদব' 'বিশ্বসুন্দরী' 'আমি আপনারে দেখতেসি' এইসব বলে ব্যবহার ও রাস্তায় চলাফেরার সময়জ্ঞান শিখাইতেসেন। মেয়েটির মুখে বারবার লাইট ফেলাটাও নিশ্চয়ই কোর্সের অংশ ছিলো। আর ভিড়িও করে সেই ভিড়িও ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়াটা ছিলো কোর্স সমাপনির প্রমাণ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

সামিয়া বলেছেন: আমি তো প্রথমেই বলেছি যে ওরা অধৈর্য হয়ে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হয়ে যায় ওদের ডিউটি ওরা পালন করতে পারেনা ঠিকঠাক।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কে ত ন বলেছেন: পুলিশ যদি তার কাজ করে, কে না তাকে সহযোগিতা করবে? সবাই জানে, পুলিশ কাজের কাজ কিছুই করেনা, খালি করে অকাজ। সাইন্স ল্যাব মোড়ে ২ মিনিট গাড়ি দাড় করিয়ে ৪০০ টাকার মামলা খেলাম, আর রাস্তার পাশে অনন্তকাল দাড় করিয়ে রাখা একটা পতাকাবাহী গাড়ির জন্য কলাবাগান মোড়ে ১০ মিনিট আটকে থাকলাম। পুলিশকে কি চুমা দেব?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ এসব তো হচ্ছে ভাই, আমি আলোচনা করেছি গতকালের মেয়েটির ঘটনা।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আর্জেন্ট কোন প্রয়োজন হলে একটা মেয়ে রাত দুইটা আড়াইটায় বের হতেই পারে। কিন্তু তার অবস্থার যুযোগ নিয়ে তাকে হয়রানি করা হল আর আপনি আবার সেই পুলিশদের পক্ষে পোস্ট দিচ্ছেন!!!!!!!!!!

কেন ও কোন উদ্দেশ্যে এমন এধরনের পোস্ট দিলেন, ঠিক বুঝতে পারছি না। আপনি কি পুলিশে চাকুরি করেন কিংবা হেনস্তাকারী ঐ পুলিশ কি আপনার আত্মীয়?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

সামিয়া বলেছেন: আমি পুলিশে চাকরী করিনা এবং তারা কেউ আমার আত্মীয় না, আমাদের দেশ তো এত নিরাপদ আর আধুনিক হয়ে যায়নি রাত আড়াইটায় বাইরে মেয়েদের চলাচলের জন্য, আর যদি পুলিশের স্লাং এর ব্যাপারে বলেন সে ক্রিমিনাল কি নয় সেটা ইনভেস্টিগেশন করার অধিকার তাদের আছে। অপরাধী আইডেন্টিফাই করার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্লাং ও তারা করতে পারেন যতদুর জানি।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: পুলিশ যতদিন না নিজেদেরকে হিউম্যান বিয়িং ভাবছে ততদিন এর কোন সমাধান হবে না। বেশীরভাগ পুলিশ নিজেদের দায়িত্বের ব্যপারে উদাসীন। পাবলিকের দোষ আছে তবে গুলশান এরিয়ার পাবলিক পুলিশের সাথে ক্যাচালে যাবার ক্ষমতা রাখে কিন্তু ৯৮% সাধারণ আম-জনতার সেই এখতিয়ার নাই। সাধারণ পাবলিক ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি এই অবস্থাতেই থাকে। তবে, ভালো বলেছেন সবার সাম্য ও মৈত্রির সম্পর্কেই আসতে হবে; এদেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

সামিয়া বলেছেন: আপনিও বেশ সমঝদার মন্তব্য দিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকেও।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাত আড়াইটা বাজে সিএনজি করে যাওয়া মেয়েটিকে প্রাথমিক জিগ্যাসাবাদের জন্য মহিলা পুলিশ ডেকে তাৎক্ষনিক থানায় নেওয়া জরুরী ছিলো ।

১। তার অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করা মেয়েটি কি কাজে বাইরে ছিলো এবং অভিভাবকের বক্তব্য আর মেয়েটির বক্তব্য ক্রস চেক করা ।
২। মেয়েটি মধ্যরাতে কোন জায়গা হতে এসেছে সেখানে যথাযথ খোঁজ নেওয়া ।
৩। মেয়েটির ফোন কল যাচাই করা সেদিন কার কার সাথে তার কথা হয়েছে এবং তাদের খোঁজ নেওয়া ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

সামিয়া বলেছেন: পয়েন্ট গুলো ১০০% কারেক্ট। ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই বাংলা ব্লগ যখন তৈরী হয়েছিলো তখন আমার হাতে নোকিয়া ২৭০০ মোবাইল ছিলো। তখন একটা টিভি চ্যানেলের এডমিন এক্সিকিউটিভ ছিলাম আর ম্যাইনট্যানেন্স হেড ছিলাম কিন্তু তবুও মোবাইল ইন্টারনেট ইউজ করার মতো সুযোগ ছিলো না। যখন ব্লগের সাথে পরিচিত হলাম তখন অবশ্য এজ কানেক্টিভিটিতে জিপির আনলিমিটেড ইন্টারনেট ছিলো আমার। সত্যি বলটে কি টখন কিছু ব্লগার যেমন আরিফ জেবতিক রাগইমন, কৌশিক আইরিন জেবিন চানাচুর আউলিয়া আরো কিছু ব্লগারদের সাথে পরিচিত হলাম তখন বুঝলাম দায়িত্বশীল ব্লগিং কাকে বলে একটা ব্লগ লেখার পেছনে তাদের কি ডেডিকেশন। সার্চ করলেই তাদের ব্লগ গুলো পাওয়া যাবে। তারা ছিলেন সুশিক্ষিত, সচেতন এবং অনেক বেশী বিবেকবোধের অধিকারী। আলোকিত মানুষের উদাহরন বলা যায়

এখন আসি আপনার পোস্টে।

অচেনা মানুষের প্রতি অচেনা মানুষের মায়া মমতা সিম্প্যাথি কমই কাজ করে যদি না সে নরম মনের মানুষ হয়, রুক্ষ এই সমাজে কে কার প্রতি মায়া দেখাবে, দীর্ঘদিন যে পরিবারের সাথে মানুষ বড় হয় সময়ে সেই পরিবারকেই অস্বীকার করে নতুন প্রজন্মরা, এতে কার কি করার থাকে

আমাদের দেশের বর্তমান প্রজন্ম সবচেয়ে বেশী হতাশাগ্রস্ত। হিসাবে ৮২ শতাংশ। যদি জার্নালের খোজ করে ভালোভাবে পড়ি তাহলে দেখা যাবে একটা শিশু যখন পরিপক্ক হয় তখন বইতে পড়ছে সদা সতয় কথা বলিবে, যত মানুষ হয়ে চলিবে কিন্তু বাস্তবে দেখছে তার বাবা মা অসৎ পথে জীবিকা অর্জন করছে, সরকারের কথার কোনো মূল্য নাই। কেন মূল্য নাই সেটা বোঝাতে হবে না। যে ধর্মের বুলি চরম এবং পরম সত্য বলে শেখানো হয় সেই ধর্মের পুরোহিত থেকে শুরু করে তার প্রতিটা বইয়ে মিথ্যে এবং কন্ট্রাডিক্টরী কথা ও নৃশংয উদাহরন পাওয়া যায় তখন স্বভাবতই সে শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। এটা টিনেজ বয়সের হরমোন ইগনিশন। যেটা আপনারও ছিলো আমারও ছিলো। তাকে যখন শিক্ষা দিতে যাবেন তখন সে আপনার অজান্তেই মনে মনে গালি দিবে "হিপোক্রেট"। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে একটা টিনেজ যে কিনা বেয়াড়া ও ভালো ছাত্র তাকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।


পুলিশদের ভেতরে যারা একটু বোকা ওরা তখন প্রফেশনাল ব্যাবহার ভুলে পাল্লা দিয়ে ঘরোয়া ঝগড়ায় মেতে ওঠেন এবং ফলাফল স্বরূপ যত দোষ নন্দ ঘোষের পড়ে,


আমি যতদূর জানি পুলিশী পরীক্ষায় পাশ করতে হলে তাকে বাংলা ইংরেজী স হ বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা দেবার পর যেটা আসল পরীক্ষা নেয়া হয় সেটা ফিটন্যাস টেস্ট। ফিটন্যাস টেস্টে যেটা করা হয় প্রথমে দল বেধে একটা মাঠে ভরা রোদে দৌড়ানো হয়। কয়েক চক্কর দিতে পারে যারা তাদেরকে রেখে বাকীদের বাদ দেয়া হয় (বিশেষ সুপারিশের কথা আলাদা), তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং তখন তাদেরকে জবাব দিতে হয়। এটা কয়েকবার করা হয় তবে সবসময় যে করা হয় সেটা না। কনস্ট্যাবল পদে এটা করা হয় না। যারা চক্কর দিতে পারে তারাই টিকে যায়। টিকে যাবার পর তখন তাদেরকে পাঠানো বিশেষ একাডেমিত। নামটা ভুলে গেছি তবে সে একাডেমীর থাকার ব্যাবস্থা খারাপ হলেও ট্রেনিং বেশ ভালোভাবেই দেয়া হয় এবং সেকানে একজন পুলিশের ফিল্ডে কি রকমের আচার আচরন করতে হবে এবং তাদের তাদের শারীরিক প্রশিক্ষন খুব ভালো ভাবেই দেয়া হয়। এবং যখন সে পুলিশের সেই নন গ্যাজেটেড পদে যতদিন চাকরী করে ঢাকায় থাকাকালীন তাকে রোস্টার ডিউটি দিয়েই পোষাতে হয়।

এতকিছুর পরও যদি বলেন বোকা তাহলে মানতে পারছি না। আপনার পুলিশী ট্রেনিং সম্বন্ধে ধারনা নেই এটা বলে খাটো করবো না তবে ঢাকাস্থ কনস্ট্যাবল ও ট্রাফিকে যারা আছেন তারা প্রচুর শ্রম দেন এবং তাদের প্রচুর জবাবদিহী আছে। বোকা হবার সুযোগ নেই। এখানে দ্বিমত পোষন করছি। যদি সন্দেহ পোষন করেন বাংলাদেশ ডিএমপির ওয়েবসাইট অথবা আপনার পরিচিত যেকোনো পুলিশকে বা কন্সট্যাবল পদে যারা আছেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

কাজেই চোরের মার বড় গলা ধরণের মানুষকে পুলিশ চেকের নামে হয়রানী করছে কথাটা সব সময় সঠিক নয়।


গুলশানে আমার কিছু পরিচিত এখনো কিছু পোলাপান পরিচিত। এবং খবরেই প্রকাশ গুলশানে যে পরিমান ইয়াবার ডিলিং হয় সেটা হয়তোপুরো ঢাকা শহরে হয় না। তবে আপনিশয়তো শুনে থাকবেন অনেক সময় গুলশানের পোলাপান টিএসসি বা মগবাজার রেলগেট যায় কিনতে শুধু এ কারনে যে সেখানে আপনি পাইকারী রেট পাবেন। বাংলাদেশের মাদক ব্যাবসা কত প্রকট এবং পুলিশ প্রশাসন কিভাবে এসবে জড়িত তার ওপেন সিক্রেট বা চাক্ষুষ প্রমান দেখতে চাইলে মগবাজার রেলগেট যাবেন। যদি কোনো পত্রিকার অপরাধ পাতার সাংবাদিক পরিচিত থাকে তাহলে জিজ্ঞেস করবেন মগবাজার রেলগেট স হ চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের বেশ কিছু মাদকের হট স্পট কারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রন করে সেটা কিঞ্চিত ধারনা পাবেন। দেশে থাকি না কিন্তু বয়স গুনে বা আচার গুনে এগুলোর খবর ইউরোপে বসেই পাই। তাই পুলিশ সাধারন আমজনতাকে চেক করে সেটা হলো লোক দেখানো। কালকে আপনার গাড়ী চেক করলে পরশু আপনি ফেসবুকে এসে বড় গলায় বলবেন দেশের পুলিশ অনেক এলার্ট যদু মদু আসলে এটাকে শুধু আপনাকেই বুঝ দিচ্ছে। অথচ রিজেন্ট বা ডিপ্লোম্যাট জোনে বড় বড় মানুষের বেশ্যা, ইয়াবা স হ পার্টি করতে দেখলে ভিমড়ি খাবেন। আমি নিজেও যদি গুলশানে আমার নিজস্ব জার্মান কোল্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াই কেউ চেক করবে না, এমনকি আমার গাড়িতে দুটো স্যালুটও দিবে, ট্রাস্ট মি।

পুলিশদের ভেতরে যারা একটু বোকা ওরা তখন প্রফেশনাল ব্যাবহার ভুলে পাল্লা দিয়ে ঘরোয়া ঝগড়ায় মেতে ওঠেন এবং ফলাফল স্বরূপ যত দোষ নন্দ ঘোষের পড়ে, জনগণ তখন হয়ে যায় সাধু সন্ন্যাসী অশরীরী আর সব দোষ পুলিশ নামক খারাপদের।


বাংলাদেশের কয়েকটা বাহিনী এখন ইনডেমনিটি নিয়ে চলে যার প্রথমে আছে ডিজিএফআই এবং দ্বিতীয়ত পুলিশ। প্রতিমাসে যখন পুলিশী রিপোর্ট হয় তখন গুমের যে ঘটনার পরিসংখ্যান দেয় সেটা বাংলাদেশ আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও মানবাধিকার সংস্থার সাথে উপাত্তে মেলে না। প্রতিদিন আইন ও সালিশ কেন্দ্রে যতরকম হোমিসাইডের অভিযোগ ঘটে তার বেশীর ভাগই পুলিশের বিরুদ্ধে। এগুলো নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখা লেখি হয়েছে। এখন আর লেখা হবে না কারন তথ্য প্রযুক্তি আইনে নতুন আইন হয়েছে যেখানে সাংবাদিকরাও রেহাই পাবে না।

এখন আসি ভিডিও এর ক্ষেত্রে। প্রথমত বলে নেই আমি উকিল নেই, শুধুমাত্র কোড লেখক প্রকৌশলী। তারপরও যতদূর জানি ৫৭ ধারা বিলুপ্ত সেক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে আপনাকে গ্রেফতার করা যাবে রাস্ট্রোদ্রোহ আইনে। আপনার তল্লাশী করা যাবে বিনা ওয়ারেন্টে বিশেষ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে যেখানে পুলিশের সন্দেহের ক্ষেত্র হবে জঙ্গিবাদ, সাইবার এবং নারী শিশু নির্যাতনের বিষয়ে।

পুলিশ এই ভিডিও তার তল্লাশী বিনা ওয়ারেন্টে নিতে পারে বিশেষ এলাকার প্রেক্ষিতে কিন্তু পুলিশ তার ব্যাগ চেক করছে না সেহেতু এটা পুলিশের কোড অব কন্ডাক্টের ব হির্ভূত এবং ঠিক এ কারনেই সেই তিন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এখন কেস করা যেতে পারে, মানহানী, হয়রানী ও সাইবার আইনে যেহেতু রাকিব রাজ নামের ছেলেটি নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে (আইডিটা এখন আর নেই, ডিএ্যাক্টিভেট)। সেক্ষেত্রে একটা মেয়ে যদি বেশ্যাও হয় তাহলে সে দোষ করছে না কারন বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী বেশ্যা বৈধ। ব্যাভিচারী বৈধ নয় কিন্তু সেক্ষেত্রে কাউকে বাদী হয়ে জিডি করতে হবে।

তাই এত রাতে একটা মেয়ে যাই করুক, যদি কোনো আইন ভঙ্গ বা সন্দেহজনক কিছু না করে তাকে আপনি শুধু চেক করতে পারেন অপমান করার অধিকার নাই, কারন পুলিশ জন গনের চাকর, তার টাকায় পুলিশের বেতন হয় এবং আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গিয়ে একটা নালিশ ঢুকে দিলেই পুরো ব্যাপারটা বিচার বিভাগীয় তদন্তের এখতিয়ারে পড়ে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতুক ক্রমবিকাশের কারনে চাকুরীর বাজার ব হু দিকে প্রসারিত হয়েছে। আমার এক্স একটা রেডিও জকির জব পেয়েছিলো (সে সামুর একজন প্রথিতযশা ব্লগারও ছিলেন), তার টাইম শিডিউল ছিলো সন্ধ্যা ৭ টা থাকে রাত দুটো। এরকম গার্মেন্টস থেকে শুরু করে ব হু সেক্টরে মেয়েরা রাতের বেলা চাকুরী করছে কারন তাদের পেট চালাতে হয়। তাই রাতের বেলা বের হলেই যে সে হোটেল থেকে বের হইছে এরকম বর্বর মিথ্যা ধর্মের হুজুর তেতুল ওরফে কুকুর শফির মতো কথা বলতে হবে বা চিন্তা করতে হবে এটা ২০১৮ সালে এসে দেখলেও মনে হয়

সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী
রেখেছো বাঙ্গাল করে মানুষ করোনি

এখন বলতে মানুষ হয়নি তাহলে তারা কি? সোজা উত্তর শিশুকামী (যেহেতু বাংলাদেশ শিশুকামে চ্যাম্পিয়ন), ধর্ষক (বাংলাদেশ আনডকুমেন্টেড ধর্ষনে ভারতের থেকে বেশ কিছু ধাপ এগিয়ে), চোর (দুর্নীতিতে এখনো দক্ষিন এশিয়ায় শীর্ষস্থানে), জঙ্গি (হোলি আর্টিজান, ৫০০ বোমা হামলা), স্রেফ নিকৃস্ট একটা জাতী

সুস্থতা কামনা করি আপনার

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

সামিয়া বলেছেন: আপনি তো আমার সমসাময়িক শর্ট আর্টিকেলের উত্তর দিতে গিয়ে যুক্তি ও যথাযথ ইনফরমেশন দিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে ফেলেছেন
ওয়েল ডান তবে আপনি যা বলতে চেয়েছেন আমি নিজেও সেই ট্র্যাক এর বাইরে যাইনি প্রকাশের একটু হেরফের এই যা।
মেয়েটি রেডিও জোকই না মেয়েটি গার্মেন্টস কর্মী ও না। পুলিশ বোকার মতন ঘরোয়া তর্কে লেগে যায় বলে তাদের অপমান করিনি শারীরিক ফিটনেস নিয়ে এখানে কথা ও হয়নি। বলেছি মানুষকে হ্যান্ডেল করার কথা।

আপনার এক্স কে সম্ভবত আমি চিনতে পেরেছি সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ও। অনুমান ভুল হতেই পারে। ধন্যবাদ।

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

আখেনাটেন বলেছেন: পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণের অাস্থা নানাকারণে নিম্নস্তরে। এর জন্য রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পুলিশও অনেকাংশে দায়ী। তাই পুলিশের ভালো কাজকেও জনগণ সন্দেহের চোখে দেখে। এটা একদিনে ঘটে নি।

এখন পুলিশেরই উচিত এর প্রতিকার করা। কীভাবে তারা সেই গালভরা বুলি 'পুলিশ জনগণের বন্ধু'কে বাস্তবে রূপ দিবে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

সামিয়া বলেছেন: সঠিক পয়েন্টটি আপনি ধরতে পেরেছেন।
ওয়েল সেইড ভাই।
ধন্যবাদ।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনি অনুগ্রহ করে আমার ব্লগে আমার লেখাটি পড়ুন, আশাকরি আপনার ভালো লাগবে । ধন্যবাদ।।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি তো প্রথমেই বলেছি যে ওরা অধৈর্য হয়ে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হয়ে যায় ওদের ডিউটি ওরা পালন করতে পারেনা ঠিকঠাক।

এই ছবিটা কিছুক্ষন আগে তুলেছি।
কাজ বাদ একজন মোবাইল টিপছে আর দুইজন গল্প করছে।





২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.