নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মোস্তাফিজুর ভালো বাসী গদ্য পড়তে
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি তে এখন যেন আলীনগরের গোলক ধাঁধা বাসা বেঁধেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কখন যে কি হয় তা কেউ বলতে পারে না। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া জেলা প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন যে এত দিন যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজে যে সমস্ত গেস্ট,প্যারা টিচার ছিলেন তাদের কে স্থায়ী করে দেওয়া হবে। এর পরেই শুরু হয়েছে আন্দোলন যে এইভাবে নিয়োগ করলে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে নিয়োগ হয় সেই ভাবে আর নিয়োগ হবে না। আন্দোলনকারীরা আরো দাবি তুলেছে যে ওই সমস্ত শিক্ষক গুলির মধ্যে বেশির ভাগই বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হয়নি। আন্দোলন কারীদের প্রথম দাবীটি সমর্থন যোগ্য হলেও দ্বিতীয় দাবীটি সত্য হলেও গ্রহণ যোগ্য নয়। কারন, যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা নেট/সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তারা কিন্তু সহজে ওই সমস্ত পদে ফর্ম ফিলাপ করতেই যায় না কারন বেতন খুবই সামান্য 150/200 টাকা ক্লাস। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলেদের নিয়ে কলেজ কে কাজ চালাতে হয়। কারন, তা যদি না করে কলেজ কে তালা লাগিয়ে বসে থাকতে হবে তাই নাই মামার চেয়ে কানা মামা দিয়ে কাজ চালিয়ে এসেছে। যখন এই সমস্ত শিক্ষক দের নাম মাত্র বেতন দেওয়া হত আর কোন সুবিধা দেওয়া হতো না আজকের আন্দোলন কারীরা তখন তাদের হেয় করে কথা বলতো। আমি যখন কলেজ পড়তাম তখন ইংরেজি বিভাগে 2 গেস্ট লেকচারার পদ খালি হয় এবং নতুন করে আবেদন পত্র চাওয়া হয়। সেই বিভাগের জন্য টোটাল 9/10 আবেদন পত্র আসে আর তার থেকেও আশ্চর্য বিষয় হলো সেই আবেদন পত্র গুলির মধ্যে বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে এলইজিবিটি দিয়েছে সেইগুলা পূরণ করে না। তাহলে এক্ষেত্রে কলেজ কি করতো? নিশ্চয় সবার ফর্ম কে বাতিল করে পুরু নিয়োগ প্রক্রিয়া কে বাতিল করতে পারে না কারন, তাদের কে কলেজ চালাতেই হবে। আর একটি বিষয়, এই সমস্ত শিক্ষক দের বেতন মাসে 3000/4000 কৈ তখন তো আন্দোলন কারীরা প্রতিবাদ করে নি কারণ মঞ্জুরি কমিশন বেতনক্রম কে তারা ফলো করে নি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষকদের বেতন খুবই কম।