নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মোস্তাফিজুর ভালো বাসী গদ্য পড়তে
করোনার প্রাদুর্ভাব মোটামুটি সারা পৃথিবীকে ছুঁয়ে নিয়েছে। এই মারণ ভাইরাস থেকে বেঁচে উঠতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কেউ বলছে নামাজ পড়লে করোনা হবে না কেউ বলছে পুজো করলে করোনা হবে না কেউ বলছে ভাবীজির মুচমুচে পাঁপড় খেলেও করোনা হবেনা। এক কথায় সারা পৃথিবীর মানুষ এখনো নিশ্চিত নয় কিভাবে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করবে। করোনাআক্রান্ত বেশির ভাগ দেশই লকডাউন এর পথে ঝুঁকেছে। আমাদের দেশ অর্থাৎ ভারতবর্ষ ও সেই পথেই ঝুঁকেছিল। যখন করোনা খুব কম সংখ্যক মানুষ কে আক্রমন করেছিল তখন দীর্ঘ 2 মাস ব্যাপী গৃহবন্দী করে রাখে। কিন্তু সংখ্যাটা হাজার থেকে লাখে পৌঁছাতেই আনলকের পথে চলে যায় এবং স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সবকিছুই সাবলীল হয়ে যায়। সংখ্যাটা যখন হঠাৎ করেই মিলিয়ন ছুঁয়ে যায় তখন বিভিন্ন রাজ্য সরকারের টনক নড়ে এবং সারপ্রাইজ লকডাউন এর কথা ঘোষণা করে।
হয়তো সারপ্রাইজ লকডাউন কথাটা শুনে অনেকেই হাসবেন কিন্তু এটাই বাস্তবতা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে ওটা যেন করোনা ভাইরাস নয় ওটা কোন মানুষরূপী দৈত্য যার সাথে আমরা লুকছুপি খেলব। সপ্তাহে 2 দিন লকডাউন করে ততটাই সাফল্য পাওয়া যাবে যতটা বখাটে ছেলেকে উপদেশ কাহিনী শুনিয়ে লাভ হয়। এই লকডাউন অপরিপক্ক সরকারী নীতির কুফল। সরকার কোন উদ্যেশ্যে লক্ষ্য ধ্রুবক না হওয়ায় এই প্রাদুর্ভাব আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে সাধারন মানুষের কাছে।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশেও ভারতের মত অবস্থা। অনেক খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের খেটে খাওয়া মানুষ করোনাকে তাদের মন থেকে বিদায় করে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমি বরাবরই লক ডাউনের ঘোর বিরোধী! লক ডাউন আমাদের মত স্বল্পোন্নত দেশের জন্য বড় মাপের অর্থনৈতিক সর্বনাশ ডেকে আনবে। কয়েক কেজি চাল ছাড়া সরকারের ভান্ডার খালি! রোগে শোকে এমনিতেই মানুষ মরবে- না খেয়ে মরার থেকে, খেয়ে দেয়ে মরুক!
আমি সাস্থ্য বাতায়নে ফোন দিয়েছিলাম। আমার কথা শুনে তারা পথ্য বাতলে দিল। টেস্টের কথা বললাম; হেসে বলে; লাভ কি ভাইয়া। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। আপনার লক্ষন করোনার। এমনিতেই ৪০ ভাগ রেজাল্ট ভুল আসে। টেস্ট করে আবার অন্য বিপদে পড়বেন। তার থেকে ঘরে থাকেন, অষুধ খান, কিছু নিয়ম মেনে চলেন ঠিক হয়ে যাবেন। যদি শ্বাস কষ্টের সমস্যা হয় তাহলে না হয় ফোন দিয়েন। আল্লাহ ভরসা!
এই আল্লাহ ভরসা নিয়েই আমাদের বাচতে হবে!