নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টো পথিক

সয়ূজ

আমি কী তাই যা আমি হতে চেয়েছি? আমি কী তাই যা আমি হতে পেরেছি?

সয়ূজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটি বড্ড অভিমানী

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৭

আজ দুটি গল্প সমান্তরালে চলুক। গল্প নয় সত্যি ঘটনা। প্রথম গল্পটি ছবির ছেলেটির। ছেলেটিকে আমি চিনিনা, জানিওনা। ভাসা ভাসা ভাবে তার গল্প জেনেছি পত্রিকার পাতায়। ছেলেটি খুব বোকা এবং অভিমানি। বুকের মধ্যে এত্তগুলো অভিমান নিয়ে সে টুপ করে ডুবে গেছে ধানমন্ডি লেকের জলে।
আর একমাস বাদেই বোকা ছেলেটার এইচএসসি পরীক্ষা। ক্রিকেট পাগল ছেলে। পড়া বাদ দিয়ে দেখছিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার খেলা। ফলস্বরূপ মা’র বকুনি।
ক’দিন আগেই চলে গেছে তার জন্মদিন। বাবা-মা কি করে যেন ভুলে গিয়েছিলেন সে কথা।
আর বন্ধুরা! তাদের ওপরেও ছেলেটির একরাশ অভিমান। শারীরিক গড়ন গড়পড়তা দশজনের চেয়ে একটু ভিন্ন হওয়ায় বন্ধুরাও যে টিটকিরি করতে ছাড়তোনা তাকে।
এতগুলো অভিমান জমিয়ে রাখতে পারেনি বোকাটা। কষ্টগুলো সঙ্গে নিয়ে ডুবে গেছে লেকের জলে।
ছেলেটা দেখে যেতেও পারলোনা শুধু শ্রীলঙ্কার সাথে নয়, পাকিস্তানকেও হারিয়ে দিয়েছে তার বাংলাদেশ।
এবার দ্বিতীয় গল্পে আসি। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আনন্দে রাস্তায় রাস্তায় উল্লাস। পেটের দায়ে আনন্দ-উল্লাস বুকে চেপে অফিসের পথে।
অফিসের গাড়ি না আসায় রাত ১১টায় হেঁটে হেঁটে অফিসে আসছি। সব উল্লাস মাড়িয়ে ভাবলেশহীন মুখে আমি হাঁটছি। বুকে আনন্দের দামামা আর মাথায় ঘুরছে বাংলাদেশের জয়ের খবর পাঠককে জানাতে বাহারি শিরোনামের পরিকল্পনা।
- ‘শালায় রাজাকার। মুখে হাসিও নাই। কষ্টে মনে হয় বুক ফাইটা যাইতাছে।’
পাশ থেকে ভেসে আসা বাক্যে চমকে উঠি। আঁতকে উঠি যখন বুঝি বাক্যের তীর আমার দিকে।
আবেগের কদর করি। তাই জন আবেগ পেছনে ফেলে এগিয়ে যাই।
সমান্তরাল গল্পগুলো মেলার কথা নয়। তবুও আবেগ দিয়েই আমি মিলিয়ে ফেলি।
নিজের ভয়ংকর শৈশবে এবং কৈশোরে আমিও বোকা ছেলেটার মত বুকে একগাদা অভিমান পুষে রেখেছি।
কিছুটা চালাক বলে আমি অভিনয় শিখে গেছি। বেঁচে থাকতেও শিখে গেছি।
তবুও হাসিখুশি আবেগি সমাজে ওকে, আমাকে কিংবা আমাদের মত হাজারো অভিমানীকে প্রতিবন্ধী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে নয়তো ডুবে যেতে হবে টুপ করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.