নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টো পথিক

সয়ূজ

আমি কী তাই যা আমি হতে চেয়েছি? আমি কী তাই যা আমি হতে পেরেছি?

সয়ূজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ বলে কিছু নেই

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

ক্লাশ এইটে পড়ার সময় প্রথম বড় ধরণের প্রেমে পড়ি। এর আগে ভালবাসাবাসিগুলো ছিল স্বল্পমেয়াদী প্রকল্প। এবারে হাবুডুবু প্রেম।
মেয়েটি আমাদের ব্যাচের শ্রেষ্ঠ রূপসীদের একজন(আমার চোখে শ্রেষ্ঠতম)। আর আমি ছিলাম এমন একজন যার অস্তিত্বই ছিল সংকটে। যে রিকশায় চেপে গেলেও লোকজন রিকশাওয়ালাকে ‘এই খালি যাবে’ বলে চেঁচিয়ে উঠতো।
এমন বিশেষত্বহীন চেহারার এক ছেলের ভালোবাসায় কেউ সাড়া দেবে সে বয়সে এটা আশা করাও অন্যায়।
তারওপর সেই কিশোরীকে ঘিরে রচিত হয়েছিল ভালোবাসার বৃত্ত। আমাদের ব্যাচেরই অন্তত আট-দশজন কিশোর ছিল তার ভালোবাসার কেন্দ্রে পৌছাতে উতলা। যাদের মাঝে ক্লাসের সেরা কতক ছাত্র, সেরা দুষ্টু ছাত্র এমনকি আমারই বন্ধুদের কয়েকজন।
প্রেম যেহেতু যুদ্ধ আর যুদ্ধে যখন সকল কৌশলই সই তখন আমি কেন বিনা যুদ্ধে ছেড়ে দেব সূচাগ্র মেদিনী?
প্রথমেই ছলেবলে কৌশলে বন্ধুদের সরালাম পথ থেকে। বাকিদের গ্ল্যামার আর অন্যদের হাত-পা ভেঙ্গে দেবার হুমকি উপেক্ষা করে সেঁটেই রইলাম প্রেমের পথে।
ফলাফলস্বরূপ, দীর্ঘ ১ বছর পর প্রেম নিবেদন করার সাহস যোগালাম। লিখে ফেললাম ৪ পৃষ্ঠা দীর্ঘ প্রেমপত্র।
সুগন্ধী সেই প্রেমপত্র অবশেষে জায়গামত গিয়ে পৌছালো। এক্কেবারে আসল জায়গামত। আমার বাবা-মা’র হাতে।
নিদারুণ কষ্টের অংশটুকু ছেঁটে মূলকথায় আসি। এ ঘটনার পর আমার মাথায় আকাশ তার তারা-নক্ষত্র সবসহ ভেঙ্গে পড়লো। সারাদিন ভাবছি এ মুখ আমি কী করে দেখাই?
আমার চরম সেই দুঃসময়ে আমাকে উদ্ধার করলেন ক্লিনটন সাহেব। ইয়েস স্যার, মার্কিন মুলুকের বিল ক্লিনটন।
উনিও তখন মনিকা লিউনিস্কি কেসে হাসফাঁস করছেন। এতবড় কুকীর্তির পরও উনি বুক ডাঁটিয়ে সিনেটের সামনে হাজির হয়েছেন, ওভাল অফিসের গদি গরম করছেন। আর আমি সামান্য একটা প্রেমপত্রের জন্য লজ্জায় মরবো তা কি করে হয়।
সব লজ্জা-সংকোচ ঝেড়ে আমি আবার ময়দানে। কিশোরীটি কখন যেন তরুণী, তরুণী থেকে যুবতী হয়ে গেছে। তার প্রেম আর কোনদিনই পাওয়া হয়নি আমার। অনেক চেষ্টা করেছি। হয়নি। প্রথম প্রথম বুক ফেটে কান্না আসতো। তারপর... তারপর প্রথম প্রেমের স্মৃতি হয়ে এইবুকেই বেঁচে আছে সেই কিশোরী।
কিশোরীর প্রেম পাওয়া হয়নি। তবে এক তরুণীর প্রেম ঠিকই পেয়েছি। রূপসী শ্রেষ্ঠ হয়তো সে নয়। তাতে কি? আমার মত বিশেষত্বহীন মানুষটার মাঝেও সে খুঁজে বার করে বিশেষ বিশেষ বিশেষত্ব।
দুজনে দুজনার ভালোবাসা সম্বল করে বুক ডাঁটিয়ে দাঁড়িয়েছি সিনেটের থুড়ি বাবা-মা’র সামনে।
Every dog has its day. কুকুরের যেখানে দিন আসে সেখানে আমাদের আসবেনা কেন?
জীবনের গল্পগুলোতে সত্যি সত্যিই Happy ending হবেই হবে। শুধু শেষটা থেকেই শুরুর পথ খুঁজতে হয়। শেষ বলে সত্যিই কিছুই নেই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমি ছিলাম এমন একজন যার অস্তিত্বই ছিল সংকটে। যে রিকশায় চেপে গেলেও লোকজন রিকশাওয়ালাকে ‘এই খালি যাবে’ বলে চেঁচিয়ে উঠতো।
hahahah!
shuvokamona.

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০২

সয়ূজ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: একটা সুখের নিঃশ্বাস ছাড়া সম্ভবপর হওয়াতে ধইন্যা!! :)

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

Safin বলেছেন: ধরা খাওয়ার ব্যাপারটা কল্পনা করতে জোস লাগতেসে . . . . . .

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০২

সয়ূজ বলেছেন: আমার এখনও ভয় লাগে, সাথে লজ্জা

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

পুলহ বলেছেন: আপনার রসবোধ খুব ভালো, মজা পেলাম লেখাটা পড়ে...
আর মজার থেকেও বেশি যেটা পেলাম-সেটা হচ্ছে আনন্দ আর অনুপ্রেরণা...
আমাদের সবার জীবনে এমন হ্যাপি এন্ডিং আসুক। আপনি ঠিকই বলেছেনঃ " কুকুরের যেখানে দিন আসে সেখানে আমাদের আসবেনা কেন? "
ভালো থাকবেন ভাই। আপনার এবং আপনার ভালোবাসার মানুষটির জীবন আনন্দপূর্ণ, মঙ্গলময় হোক- এই শুভকামনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০০

সয়ূজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: =p~
ভালো লাগছে।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: লেখা পড়ে বিনোদিত হইলাম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.