নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টো পথিক

সয়ূজ

আমি কী তাই যা আমি হতে চেয়েছি? আমি কী তাই যা আমি হতে পেরেছি?

সয়ূজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প-স্বল্প স্বপ্নের গল্প

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৫

কান্না পাচ্ছে। যেখানে সেখানে কান্না পেলে সেটা আটকে রাখাই দায়। নগরীর রাস্তায় মেয়েদের হাতে মেহেদির ছোপ। ঈদফেরত বলেই হয়তো রংটা বড্ড চোখে লাগছে।
মেহেদির গন্ধ আমার সহ্য হয়না। ও জোর করে নিজের মেহেদি রাঙানো হাত আমার নাকের সামনে মেলে ধরতে চাইতো। শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির রঙেও আমি উৎকট ঘ্রাণ পেতাম।
কথা ছিল আমাদের বিয়েতে আমি গায়ে হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠান করবোনা। হাতে মেহেদি মেখে, জরিমার্কা কী যেন একটা হাতে পেঁচিয়ে সং সেজে বসে থাকবো আর সব্বাই গায়ে হলুদ ছোঁয়াবে ভাবতেই গা ঘিনঘিন করে।
ও বলতো - ‘দেখা যাবে। তুমি না খুব স্বার্থপর। শুধু নিজের ভাললাগাটাই দেখ।’
আমি হাসতাম। হাসতে হাসতে আমরা স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন দেখতাম একটা ছোট্ট দু কামরার সংসারের। হয়তো খাটের বদলে মেঝেতে পাতানো বিছানা। আসবাব বলতে দু তিনটে চেয়ার, প্লাস্টিকের একটা টেবিল। ও বলতো ছোট হলেও একটা সোফা নাকি লাগবেই। নাহলে ও টিভি দেখবে কি করে?
ঠিকই তো। অফিস ফেরত আমরা ডালে-চালে রান্নাবাটি সেরে সোফায় গা এলিয়ে একটু বসবোনা? আমার হাতে খোলা বই আর ওর আমার কাঁধে মাথা রেখে টিভির সিরিয়ালে চোখ।
বিয়ের দুবছরের মাথায় একটা বাবুর স্বপ্ন। মেয়েটার নামও আমি ঠিক করে রেখেছিলাম। ও হেসে বলতো- ‘যদি ছেলে হয়?’
আমার একটা গাড়ির খুব স্বপ্ন ছিল। রাতবিরেতে সেই গাড়িতে চড়ে লংড্রাইভের স্বপ্ন। আমার লাগাম ছাড়া স্বপ্নে ও শিউরে উঠতো। হাত শক্ত করে মুঠো ধরে বলতো- বেশি চাইতে নেই। আমাদের খুব অল্পেই চলে যাবে। আমি একটুতেই খুশি।
আমাদের আটপৌঢ়ে স্বপ্নের গাড়ি হঠাৎ যেন থেমে যাবার যোগাড়। অল্প-স্বল্প স্বপ্নের গল্পে আমাদের তাই এখন চোখে শুধু জল আসে। স্বার্থপর চোখের জলের যে কোন গণ্ধ নেই কিংবা রঙ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭

মো: মাহাদী হাসান বলেছেন: আমিও একটা গাড়ির স্বপ্ন দেখি। আমি ড্রাইভ করব আর ও আমার কাঁধে মাথা রাখবে আর বলবে, ধিরে তোমাকে হারাতে চাইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.