নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাল বাস থেকে মাত্রই নামলাম। এখন সোজা হাটা দিবো। গন্তব্য বাসা। রিক্সা, গাড়িতে গিজগিজ করছে রাস্তা। তবুও হাঁটছি। ভাল লাগছে। কোন কাজ করার ক্ষেত্রে ভালো লাগলেই হল। কিছুদূর এগুতেই দেখলাম এক ভদ্রলোক শসা কেটে বিক্রি করছে। আমাকে দেখেই হি হি মারকা হাসি দিয়ে বলল, কয় খান? আমি বললাম, বরাবর। আমার হাতে শসা এলো। লবণ মাখিয়ে খেতে বেশ ভাল জিনিস এটি। টাকা না দিয়ে সোজা হাটতে লাগলাম। বেচারাকে অগ্রিম টাকা দেওয়া ছিল। মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে শোধ করি আর কি। একটু দুরেই এক মুড়িওয়ালা। সামনে যাওয়া মাত্রই মুড়ি ধরিয়ে দিলো। একটু ভাব নিয়ে বলল, দূর থাইকা দেক্ষাই বুজ্জছি মুড়ি চাইবেন। আমি মুড়ি চিবুচ্ছি। পঞ্চাশ টাকার একটা নোট দিলাম। মাসাল্লাহ! ফেরত দেউয়ার নাম গন্ধ নাই। বেহায়ার মত আমিও চাই নাই ফেরত। এগেইন হাটা। সোজা ! পেয়ারা ওয়ালাটা নতুন। দাম দর করে একটা পেয়ারা নিলাম। কামড়ে খেতে শুরু করলাম। এখনও পর্যন্ত পেয়ারাতে কামর দিয়েই সবচেয়ে বেশি মজা পাই মনে হচ্ছে। পাশেই কে ক্র্যাফট এর একটা স্টল । কামড়া কামড়ি চলছে! কচ কচ আওয়াজ হচ্ছে। ঢুকলাম স্টল এ। সেলসম্যান এর কি হাঁসি ! আহা! বেশ কিছু দিন পর দেখে খুশি ই হয়েছে। চকচকা হাঁসি মুখে বলে উঠলো, স্যার, আপনার জন্য বেশ কিছু ভাল পাঞ্জাবি বেছে রেখেছি। একটু যদি দেখতেন ! আমি দুটা পাঞ্জাবি লোকটার হাতে দিলাম, ভিসা কার্ড টাও দিলাম সাথে। এই লোক আমার পাঞ্জাবির মাপ জানে। পেয়েরা চাবানো চলছে। কিছু মেয়েদের পোশাকও দেখছি। পাশেই একজন থম ধরে দাড়িয়ে। কিছুক্ষন পর আমাকে বলে উঠলেন, আরে আপনি সাজ্জাদ স্যার না ! আমি একটু তাকালাম। এতো সুন্দরি মেয়ে স্যার ডাকছে, ব্যাপারটা কি ! গরগর করে বলতে লাগলেন, স্যার আমি আপনার অমুক ব্রাঞ্চ এর ছাত্রী, ডি ইউ তে পড়ছি এখন। আপনার ইংরেজি ক্লাস এখনও মনে পড়ে। স্যার, আপনি কেমন আছেন? আমি শুধু বললাম, গুড, ভেরী গুড। ওদিকে ম্যানেজার ডাকছে, বিল করা হয়ে গেছে। আমি ধুম করে চলে এলাম ক্যাশ এর এখানে। সব হিসাব মিটিয়ে বের হচ্ছি। দরজা খুলছে, আমি বের হচ্ছি। একটু পেছনে তাকালাম। কি অদ্ভুদ ! দেবীর মত একজন রেগে আগুন হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে! আমি পেয়ারায় আর একটা কামড় দিয়ে প্রস্থান করলাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৯
সাজ্জাদ হৃদয় বলেছেন: ধারণা করতে পারছি, নিশ্চিত হতে পারছিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫
কালীদাস বলেছেন: কেন, আপনার দিকে কটমট করে তাকিয়ে ছিল কেন?