নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার যত অম্ল-মধুরতা!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

সে রাত দুটোর আগে ঘুমায় না,সন্ধ্যা নামলে বইয়ের পাতায় মুখ গুজে বসে।১টা ৪৫ মিনিটে ঘড়িতে সেট করা এলার্মটা বেজে উঠে রোজ নিজ দায়িত্বে,ততক্ষণে আমার চোখদুটো বারকয়েক বুজে আর খোলে।মোবাইল টেবিলের সামনেই রাখি সাথে সাথে না ধরলে আবার জবাবদিহি করতে হবে!ওর কথা বলার শুরু আর আমার ঘুমের শেষ,চলতে থাকে ব্যালেন্স যতক্ষণ না পুরোয়!
এতো গেল রাতের দফা,ভোর হতে না হতেই sms এর টুটু শব্দ শুনলেই এখন বুজতে পারি মর্নিংটা কি গুড না bad, যদি sms রিপ্লেই না হয় তবে বুঝতে হবে দিনের শুরুটা vry bad!তাই আধা-বোজা চোখ নিয়েই রিপ্লে দিই"good morning "বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে উঠতে দেহটা একটুও সায় না দিলেও আমায় উঠতে হয়,শার্ট আইরন করানো,জুতা পলিশ করানো,সেলুন দোকানে গিয়ে ইনস্ট্রাকশন মোতাবেক চুল আর সেভ করানো,আর সবচেয়ে বড় কথা সময় মতো নির্ধারিত স্থানে গিয়ে ওকে সাথে নিয়ে আসা!অবশ্য সে সময়ের ব্যাপারে খুবই সচেতন,১৫/ ২০ মিনিটের চেয়ে দেরি ঢের কমই হয়।
ও আসার পরই আমি গাড়ি ঠিক করি,কারণ বলা যায়না আজ সি এন জি না রিকশা।কখনো দুরের জায়গায় রিকশা কখনো কাছের জায়গায় সিএনজি!যখন ঠিক হয় না আজ রিকশাতেই চড়ব,আমি ভয়ে থাকি: ' এত্ত ফাঁক হয়ে কেন বসছো,জায়গা হচ্ছে না বুঝি!?,হাত দুইটা বুকে কেন,ঠান্ডা লাগতেছে,আজিব!!?আমি এদিক- ওদিক তাকায় আর আমতা- আমতা করি!ভাবিঃ রিকশাওলায়া কিংবা রাস্তার মানুষগুলো কি ভাবে,ভাবে- 'মেয়েটা কি জান্ডুরে বাবা!আর ছেলেটা,সে কী ভদ্র!!
রিকশা থেকে নামার পর,আমি শুধু আল্লাহ- আল্লাহ করি যেন সে টক- ঝালের দোকানে না ঢুকে,আমি ঝাল একদমই সহ্য করতে পারি না। আল্লাহ অবশ্য যথারীতি ওর পক্ষেই,তাই আমারও অগত্য যাত্রা।
পুচকা বিক্রেতা শালারাও মেয়েদের এমনভাবে কনভিন্স করে যেন ওরা মাগনা খাওয়াচ্ছে।বাধ্য হয়ে যেমন যাওয়া তেমনি বাধ্য হয়ে খাওয়া,জ্বলতে জ্বলতে নিচে নামে,চোখে পানি চলে আসে।ও সেটা দেখে অজোড়ে হাসে,একমাত্র ওর এই হাসিটার কাছেই আমি প্রতিদিন হেরে যাই!ওর এই হাসির জন্য আমি সব সয়ে যেতে পারিঃ হাইড্রোক্লোরিক ভরা পাকস্থলিতে যেমন করে কাঁচা লঙ্কার ঝাল চালান দিতে পারি তেমনি হেমলকও চোখ বুজে গিলে ফেলতে পারি।
ভাবতাম,মানুষ পাগলের মতো কেন এত ভালোবাসি- ভালোবাসি করে।ভালোবাসলে রাত জাগতে হয়,ভোরে ঊঠতে হয়,আউল- ফাউল খেতে হয়,কখনো ফ্রেন্সকাট দাঁড়ি কখনো ক্লীন সেভড হতে হয়,মিনিট বিশেকের রাস্তায় রিকশা নিয়ে তিন ঘন্টা কাটাতে হয় এতোসবের পরেও ভালোবাসা!?বুঝলামঃ সে একটু হাসলে আমার বুকের ভেতর যে আনন্দের ডেউ উঠে,সেটা পৃথিবীর কোন সমুদ্রতটে আমি পাব না।তাই এত্ত যাতনা স্বত্তেও মানুষ বলতে ভাবে না' ভালোবাসি,ভালোবাসি'!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভালবাসার অম্ল-মধুরতা একেক কাপলের কাছে একেক রকম।
আপনারটা বেশ ভালই লাগলো।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ধন্যবাদ,রক্তিম দিগন্ত!

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

টরপিড বলেছেন: ঐ অম্ল-মধুর ব্যাপারটাই তো ভালোবাসার আসল জিনিস!

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ধন্যবাদ,টরপিড

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.