নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি করে হয় বন্ধুত্ব এমন শত্রুর সাথে!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১



সেই স্বাধীনতার পর হতেই এ দেশের মানুষ,সহস্র কষ্ট সয়ে,জীবন বলি দিয়ে তিল- তিল করে গড়ে তুলেছে এই দেশটাকে,এ দেশের অর্থনীতিকে!কোন নির্বাচিত কিংবা অনির্বাচিত সরকার গলা উঁচু করে বলতে পারবে না,তারা নিজেদের দেশের তরে উজার করে দিয়েছে,বরং তারা দেশের সব উজার করে নিয়েছে!
এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ,কাছের মানুষের, ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে দুর দেশে গিয়ে,ঘাম ঝরানো অর্থে গড়ে তুলার চেষ্টায় আছে এই বাংলাদেশটাকে,কিন্তু দুঃখের বিষয়,এ দেশটার নেতৃত্ব বারং বার ভুল পথেই দেশকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়,নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য,দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থটা তাদের কাছে ফিকে মনে হয়!
বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেটা হল মেহনতি মানুষের রক্ত স্বরূপ ঘাম!গার্মেন্টস সেক্টর আর প্রবাসীদেরর অর্থেই আজ সরকার নিজের বাহাদুরী জাহির করে,অথচ তাদের নিজের এতে কোন অবদান নেই বল্লেই চলে। দেশের অর্থনীতির চাকা সামনের দিকে নিতে রাজনীতিবিদদের অবদান না থাকলেও,এ প্রগতির চাকা টেনে রাখতে তাদের চেষ্টার জুরি নাই।
আমরা হয়তো সোনালী ব্যাংকের হাজার- হাজার টাকা লুটের কথা ভুলিনি,ভুলিনি ব্যাসিক ব্যাংক কিংবা শেয়ার বাজার লুটের কথা,লুটেরাদের মুখে আবার" এগুলা কোন টাকা নাকি"! দম্বোক্তিও এ দেশের মানুষের শুনতে হয়েছে!চুরি অবশ্য আগেও হয়েছে,সেটার অংকটা বর্তমানের আট/দশ ভাগের একভাগ।সেটার কারণে আবার বিপক্ষ দলের নেতাদের সাজারও রায় হয়েছে এ দেশে,গর্ব করার মত!কিন্তু মজার বিষয়,এইযে কয়েকগুন বেশি অর্থ আত্নসাত হলো,সেটার কোন প্রতিকার বা এর বিরুদ্ধ কিছু বলতে কাউকে শুনা যায়নি,হয়তো সরকারি দলে থাকলে সেটা জায়েজ!
যাহোক,এতো গেল রাষ্টায়ত্ব ব্যাংকের টাকা লোপাট কিংবা শেয়ার বাজার লোপাটের কাহিনী কিন্তু আমাদের সবচে বেশি যেটা মর্মাহত করেছে,আমার স্বার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে সেটা হল: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি!সরকার আর তৎকালীন গভর্ণর কে দেখা যেত খুব করে রিজার্ভেরর বিষয়ে বুক ফুলিয়ে কথা বলতে,সে তারাই দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ পাচারে সাহায্য করেছে!
অবাক লাগলেও সত্যি,সাহায্য করেছে তারা নিজেরাই।বর্তমান তদন্তে বেরিয়ে এসেছে কিভাবে ভারতীয় দালালরা এ দেশ,এ দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত।সরকারী মদদে তারা দেশের সর্ব্বোচ্চ এই প্রতিষ্টানে নিয়োগ পায়,অথচ এ দেশেরই অনেক মেধাবী চাকুরী আর মেধার বিকাশ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়!
তদন্তে প্রমাণিত হয়েযে,রিজার্ভ চুরিতে ভারতীয় প্রতিষ্টান জড়িত রয়েছে,আর এ দেশের কিছু কুলাঙ্গারতো আছেই,যারা সনদধারী এ দেশের কিন্তু পতাকা উড়ায় ইন্ডিয়ার!তাদেরই সহযোগিতায় এ দেশের অর্থ চুরি হয়,অথচ তাদেরই আবার অর্থচুরির তদন্তে উপদেষ্টা নিয়োগ দেয় সরকার,বাহ!বাহ!!
আস্থানা সাহেব কে নিয়োগ দেয়া আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটির হেড হিসাবে অথচ তারই প্রতিষ্টান জরিয়ে গেছে আমাদের রিজার্ভ চুরিতে আর চুরি করবেই বা না কেন,তাদের সহযোগির তো আর অভাব নেই তা বাংলাদেশ ব্যাংক হোক আর রাষ্টায়াত্ব অন্য যে কোন ব্যাংক,প্রমাণটা একবার নিজেরাই দেখুন কিভাবে সাজানো হয়েছে এ দেশের ধ্বংসের পথ!ধ্বংসের পথ বলছি তার কারণটা পরে ব্যাখা করছি আগে তথ্যাগুলা দেখুনঃ
----বাংলাদেশ ব্যাংক ডিরেক্টর: সনাত কুমার সাহা ডেপুটি গর্ভনর: শিতাংশু কুমার সুর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর: ১) নির্মল চন্দ্র ভক্ত, ২) শুভঙ্কর সাহা, ৩) বিষ্ণু পদ সাহা, ৪) অশক কুমার দে, ৫) সুধীর চন্দ্র দাস, ৬) দাসগুপ্ত অসীম কুমার ৭) গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। এছাড়া ঋণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর মহাব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে- ১) অশোক কুমার দে ২) দেব প্রসাদ দেবনাথ ৩) বিশ্বনাথ সরকার ৪) খগেস চন্দ্র দেবনাথ ৫) দেবাশীষ চক্রবর্তী ৬) সুকমল সিংহ চৌধুরী ৭) মিহির কান্তি চক্রবর্তী ৮) শ্যামল কুমার দাস। ----সোনালি ব্যাংক : এমডি ও সিইও- প্রদীপ কুমার দত্ত বোর্ড অব ডিরেক্টর: ১) রঞ্জিত কুমার চক্রবর্তী, ২) প্রদীপ কুমার দত্ত জিএম : ১) নেপাল চন্দ্র সাহা ২) পরিতোশ কুমার তারুয়া ৩) সুবাস চন্দ্র দাস ----রুপালি ব্যাংক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান : অমলেন্দু মুখার্জী মহা ব্যবস্থাপক : বিষ্ণু চন্দ্র সাহা উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক : দেবাশীষ চক্রবর্তী অগ্রনী ব্যাংক পরিচালক : বলরাম পোদ্দার জিএম: ১) জিএম পঙ্কজ রায় চৌধুরী ২) বাবুল কুমার সাহা --জনতা ব্যাংক; পরিচালক- মানিক চন্দ্র দে --বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; মহা-ব্যবস্থাপক: রোহিনী কুমার পাল উপ মহা ব্যবস্থাপক : ঠাকুর দাশ কুন্ডু উপ মহা ব্যবস্থাপক : গান্ধী কুমার রায় --কর্মসংস্থান ব্যাংক- মহাব্যবস্থাপক- গকুল চন্দ্র রায়!
কেউ কেউ বলবেন,ওনার হিন্দু বলে আমি সাম্প্রদায়িক ভাবে তাদের আক্রমণ করছি,কিন্তু সত্যিটা আর আঁড়াল করা চলে না।এ দেশের হিন্দু নেতারা ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগে চিঠি পাঠায়,সাম্প্রদায়িক নেত্ মোদীকেও একই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে,যাতে বলা হয়েছে তারা নাকি এ দেশে কোন অধিকার পাচ্ছে না!অধিকার না পাবার ছোট্ট একটা নমুনা শুধু আর্থিক প্রতিষ্টানের হেডের পদটাই দেখালাম,বাকিগুলা দেখলে চোখ কপালে ওঠবে!
যাহোক,কথা হচ্ছিল,হিন্দুদের নিয়ে।ওনারাও এ দেশের নাগরিক,আমাদের মত সমান সুযোগের অধিকার তাদেরও আছে।কিন্তু কিছুদিন যাবত মৌলবাদীদের কারণে তারা নিজ দেশের বিরুদ্ধ অবস্থান নিয়েছে অথচ তাদের চেয়ে মুসলিমরা কোন অংশে কম আক্রমণের শিকার হয়নি এ দেশে।তাদের সাহায্যেই এ দেশের অর্থ দেশের বাইরে যাচ্ছে।আস্থানা সাহেব এবং তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দু'জন উধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে জানা গেছে,আস্থানা সাহেবের সাথে তাদের গনিষ্ঠতা শুধু ধর্মীয় দিকে সেটা ভাবলে ভুল হবে বরং তারাও ভারতেই নাগরিকের ভুমিকায় কাজ করেছেন।
এ দেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর পরিকল্পনার কথা আমরা শুনেছি,সেটা এখন দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের।যারা আমাদের দেশের ভোটের অধিকার কেড়ে নেবার পক্ষে থাকে,যারা আমাদের অর্থ কেড়ে নেবার দান্ধায় থাকে,যারা আমাদের দেশে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির চক্রান্তে থাকে,যারা সীমান্তে আমাদের জমিনে,আমাদের রক্ত নিয়ে হলি খেলে: তারা কখনই আমাদের বন্ধু হতে পারে না।আর যারা এ দেশে থেকে,এ দেশের খেয়ে-পরে, এ দেশেরই বিরুদ্ধে যুদ্ধ আহ্বানকারীদের পক্ষে কথা বলে তারাও আর যাই হোক এ দেশের শুভাকাঙ্খী হতে পারে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১০

ইকরাম উল হক বলেছেন: একদম চুপ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ইকরাম ভাই,আমি চুপই আছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.