নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরীসৃপ প্রেম!

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২


ও'রে আমি ঘাড় বাকা বলে ডাকতাম!ওর ঘাড়ের দিকটা কিছুটা মাংসল বলে নয়,হঠাৎই রেগে যাবার স্বভাব ছিল ওর।আট দশটা মেয়ের মত ওর মনভাব বুঝাটা আামার জন্য কঠিনই ছিল,তবে ওর সাথে আমার দৈহিক কোন মিল না থাকলেও মনের দিক থেকে মিল ছিল অনার্স সেকেন্ড ইয়ার হতেই। প্রথম পরিচয়ে বিমর্ষ অথচ হাসি ধরের রাখার চেষ্টা করা একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে আমি নিজেই এগিয়ে গিয়েছিলাম।আর আমার মত গাঁয়ের একটা ছেলে কোন এক অলৌকিক সাহসে যেন ওর নাম-ধাম পরিচয় জানতে যাই,বিফলে যায়নি। প্রথম পরিচয়ে সাধারণত মেয়েরা খুব একটা ভিতরের কথা বলে না,অনেকেতো কথা বলেতও চায় না। সে বলেছে;হয়তো ওর ডিপার্টমেন্টের বলেই বলেছে।পারিবারিক একটা সমস্যায় পরে ও সার্টিফিকেট তুলতে এসেছে,আমি কারণ জানতে চাইলে নির্দ্ধিধায় বলেছে-
'বাসা থেকে বিয়ে দিতে চাইছে'
-তো সার্টিফিকেট তুলে কি করবে?"
-চাকুরি করবো,নিজে একটা বাসা নিয়ে থাকবো!'
ওর কণ্ঠে নীলকণ্ঠের সুর ছিল,কিন্তু বলার বেগ আর চাহনী বলছিল ,সে পারবে। একটা অদম্য শক্তি ওর মাঝে আছে।হঠাৎই আমি ফিল্মি স্টাইলে বলে উঠলাম।-" একটা কাজ করলে হয় না?"
-কি কাজ?
-'বাসায় যে কাজের জন্য চাপ দিচ্ছে সেটা করে ফেল্লেই তো হয়!"
সে আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল,কিছুক্ষণ। ও কিছু বলার আগেই বল্লাম-' না মানে,তুমি একটা কাজ করতে পারো,অভিনয় করতে পারো।এই ধরো বিয়ের বা প্রেমের অভিনয়!বাসায় বলবে তুমি একটা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছো,ওর চাকুরি হলে তুলে নিবে।হাহাহা....,তাহলে তােমাকে আর বিয়ের জন্য চাপ দিবে না।
-'তো পাত্র পাব কই?তুমি পাত্র হবা?"
-আমি?!
-কি ভয় লাগছে!?
-তোমার ভাই জানি কয়জন?
-কেন মার খাবার ভয়?! অনেক ক্ষণ হাসলাম সেদিন ওর সাথে,সে হাসিটা মনে হয় আমার অতীতে কখনো হাসিনি।সবচে অদ্ভূত যে বিষয়টা হল:সে আর সার্টিফিকেটই তুলেনি।এ পরিচয়েই শুরু ওর সাথে। কলেজে কয়েকটি জুটি ছিল:রোমিও জুলিয়েট জুটি!সবাই ভাবতো আমারাও সেরকম একটা জুটি,আমি শারীরিকভাবে কিছুটা হালকা ছিলাম । তাই কেউ-কেউ আমাদের নিয়ে হাসতো,অনেকে আমাকে আঁড়ালে ডেকে নিয়ে বলতো-"দোস্ত,সামলাতে পারবি?নিচে পরলে তো তোরে খুঁজে পাওয়া যাবে না!'
এ অপমানজনক কথাগুলা আমি ওরে কখনোই বলতাম না,ও'শারীরিকভাবে কিছু ফ্যাটি ছিল,ওর ঘাড়ের দিকটা ফ্যাটের কারণে কিছুটা ওঁচু ছিল,তাই ও যখন বক্ষবন্ধনী পরতো সেটার ফিতাটা বাইরে বেরিয়ে যেত,আর ওটা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করতো । আমার সাথে ঠাট্টা করে বলতো-'তোর গার্লফ্রেন্ডের তো ব্রা দেখা যায়!"আমি প্রথমবার ক্লাসের একটা মেয়ের সাহায্য নিয়ে ঠিক করেছি,ভাবতাম আমি বল্লে সে খারাপ ভাববে। পরে অবশ্য আমিই বলতাম।

নিজেকে শত কষ্টের মধ্যেই ভাল রাখতাম,কারণ আমার এ অপরিচিত শহরে খোঁজ নেবার মত একজন ভাল বন্ধু আছে,যাকে সবকিছু বলা যায়,যার হাতে আমি আমার যৌবনে পর্দাপণের পর প্রথম হাত রেখে চলার স্বাদ পেয়েছি।ওর সাথেই প্রথম সিনেমা হলে পাশা-পাশি বসে ছবি দেখার সুভাগ্য হয়েছে। প্রতিদিন ক্লাস শেষ করে আমরা পাশের রেল-লাইন ধরে হাটতাম,এটা সেটা নিয়ে গল্পে মজতাম। বিকেল গড়ালে যে যার গন্তব্যের দিকে পা বাড়াতাম,আমার কোন মোবাইল ছিল না,ওদের বাসায় মোবাইল ছিল,রাতে আমার রুমমেটের মোবাইল হতে ওদের নাম্বারে ফোন দিয়েও কথা হতো।এভাবে চলছিল,অনেকটা দিন,তারপর আমাদের সার্কেলে নতুন বন্ধু এড হল,ওর সাথেও আমার সাথেই ওদের ভাল বন্ধুত্ব হল। আমাদের সময়টা ভাগাভাগি হয়ে গেল,আবেগ অনুভুতিগুলা ঠিক আগের মতই রয়ে গেল,কোথাও গেলে ও' আমার পাশের সিটাটাতেই বসতো,আমিও ঠিক ওর সাথে না থাকলে কেমন যেন লাগতো। যদি ছবি তূলতাম,ওটাতে ও' আমার পাশে অন্য বন্ধুৃর চাইতে আমি ও'কে আর ও'আমাকে বেশি চাইতাম। বন্ধুত্বের বাইরেও আমাদের একটা সম্পর্ক যেন কোথাও ঘুরপাক খাচ্ছিল।
সবাই যেটাকে অন্যরকম নামে ডাকে,সেটা: ভালোবাসার সম্পর্ক!
কিন্তু ঐ যে কত্তগুলা কথা আছে না: ভালবাসায় তৃতীয় পক্ষের অস্থিত্ব রাখতে নেই,কিংবা অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্টের মত কথাগুলা আমাদের জীবেনও বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছিল । বন্ধুত্ব বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মধ্যে ঝগড়া মান অভিমান বেড়ে যেতে লাগল,একটা সময় ছিল যখন আমি বা সে কোন একটা বিষয়ে অভিমান করলে কাউকে বলার মত মানুষ ছিল না । আর আমরাও অভিমান বুকে পুশে আবারও একে অন্যের কাছে ফিরতাম। এখন বিষয়টা ভিন্ন,ওর জগতটা বেড়েছে,আমাকে ছাড়াও ওর সুখ-দুঃখের ভাগিদার এখন অনেকেই আছে। তাই কোন ভুল বুঝাবুঝিতে আর সে নমনীয় হয়না,অন্যের কাছ থেকে স্বান্তনা নেয়,হয়তো ওরা্ যা বুঝায় তাই মেনে নেয়।মোবাইল অফ রাখে,কথা হয় না অনেক দিন...এরপর আমিই অসহায় হয়ে ওরে ফোন দিই।
অপরাধ কার সে বিচার না করেই 'সরি' বলি।যদি সম্পর্ক এই সামান্য একটা শব্দে বাঁচে তবে মাথা হাজার বার নোয়ানো তো কোন লজ্জা নেই।
এরপর একটা সময় আসলো,যখন আমাদের সম্পর্কটা একটা পরিচিতি পেল,নতুন বন্ধুরা আমাদের মুখ থেকে কথা আদায় করে নিল,আমরাও বল্লাম। আমরা কমিটেড। ওদের কয়েকজন আবার আমাকে অবিশ্বাসের চোখে দেখতো তাই, ঠাট্টা কিংবা অন্য উছিলায় বুঝিয়ে দিল:ওকে যদি আমি কোন অজুহাতে ছেড়ে যাই,আমার রেহাই নাই!
ওর একটা সরকারি ব্যাংকে চাকুরী হলো,আমি তখন বিসিএস ভা্ইবা দিব...আমাদের কমিটমেন্ট ছিল: আমি বলেছি;সে যেন আমার ছোট খাটো অাবেগ অনুভুতিগুলার দাম দেয়,ওর রাগের মাত্রাটা যেন কমায়,আর ও যেন ওর ওয়েটটা কমায়!সবকিছুতেই সে রাজি হলো।ওর পক্ষ থেকে বলাহলো-আমাকে দেখতে নাকি ম্যাচুউট মনে হয়না,যাতে একটু ম্যাচুউট হওয়ার চেষ্টা করি,আমি হ্যাঁ বলেছি।আমাদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু তখন থেকেই..এরপর আমরা অনেক পথ পারি দিয়েছি,তৃতীয় পক্ষের আগ্রাসান সেখানেও ছিল,আমি ওটাকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছি।কিন্তু ভাগ্যের যে আগ্রাসন সেটাকে আমি পাশ কাটাতে পারিনি।আমি বিসিএসে দীর্ঘ যাত্রায় ব্যর্থ হলাম। অনেক কেঁদেছি সেদিন,ওকে সেদিন বলেছিলাম তুমি বিয়ে করে ফেল,আমি পারি নি,আর পারব কিনা তাও জানি না। কিন্তু সে আমাকে সাহস দিয়েছে,প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই বেকার ছেলেটাকে সে ছেড়ে যাবে না।অন্যবন্ধুৃরা যখন আমার রেজাল্ট শুনে মনে মনে পুলকিত,সেখানে সে আমার পাশেই ছিল। সবকিছুতেই আমার অগাধ বিশ্বাস ছিল,তার কথাতেও!তাই আবার শুরু হল আমার জীবনের সন্ধান।৩৫ বিসিএস রিটেন দিলাম,ওটাতেই একটা ঝুলন্ত স্বপ্ন ছিল,একটা নন-ক্যাডার জব পেলেও মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেলব..ওর পরিবারে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে,আমার কিছু একটা করা উচিত।
যখন আমার চারপাশ অগোর আঁধার তখন প্রাইভেট একটা ব্যাংকে ছোট একটা পোস্টে আমার চাকুরি হয়,মনে একটা স্থিরতা আসে,একটা পরিচয় তো পেলাম,তার পরিবারের কাছেতো আমাকে বেকার হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে না।ওর পরিবারে কেউই মনে হয় না আমাকে অতটা পছন্দ করে,ওদের ভাতে ছাই দিয়েছে বলে নয়,একটা বেসরকারি চাকুরে যার কোন বংশ পরিচয় নেই,ভাল বাড়ি নেই ,গাড়ি নেই তার ওপর মায়ের দিক থেকে আমার বংশের নোয়াখালির সাথে একটা কানেকশন আছে...সব মিলিয়ে আমার মতো একট ছেলে একটা উঠতি পরিবারের সরকারি চাকুরীজীবী একটা মেয়েকে এভাবে বাগিয়ে নেয়া ওদের কাছে অন্যায়ের মতই ঠেকেছে!ভালোবাসার মূল্যটা এখানে তুচ্ছ..নিতান্তই তুচ্ছ! তাছাড়া মেয়েটার চাল-চলনেও আমার রুচিবোধ নিয়ে আসাটাও ওর ভার্সিটি পড়ুয়া র্স্টাইলিশ ছোট বোনটাতো ওকে কার্টুন বলেই ডাকতো,কারণ আমার কথায় সে কলারওয়ালা জামা পরছে,আগে গলায় ওড়না প‌্যাঁচাতো এখন সেটা বুকেই দেয়,আগের সাইড কাটা থ্রিপিজ জামা ছেড়ে এখন কাটাবিহীন গোল জামা পরে...বাহিেরর কেউ এখন আর ওর বক্ষবন্ধনী নিয়ে কানাঘুষা করে না,থ্রিপিজের কাটা অংশের ওর শরীরের যে কিয়দাংশ দেখা যেত সেটা দেখে আঁড় চোখে তাকায় না,এখন ঘরের শত্রুই ভিবীষণ!


ভাইরাও মানেনি ওর ভবিষ্যত আমার মতো একজনের কাছে বন্দি হবে,যাতে তারা বড়মুখ করে বলতে পারবে না ,আমার বোন ওমুক,তার হাজবেন্ড তমুক!এই মানসিক নিচুতা কিংবা টানাপোড়ন ওর মনে তত দিন প্রভাব ফেলেনি যতটা দিন,আমার সরকারি চাকুরির বয়স আর আমার ওপর ওর ভালোবাসার বিশ্বাসটা ছিল।আমার যখন মৌলভিবাজার পোস্টিং সে সুবাদে তার আশে পাশে আগের মতই চিল ঘুরাঘুরি করতো,আমি ওর রুচির পরিবর্তন হয়তো করতে পেরেছি কিন্তু ওর চারপাশে যে পংকিলতার জাল,যে গুলাকে সে কঠিনভাবে বিশ্বাস করে আমার অগোচরে যাদের সাথে সে মিশে বেড়ায় তাদের সম্পর্কে খারাপ কিছু আমার মুখ থেকে শুনলে বিশ্বাসের ভিতটা ভেংগে পরবে বলেই ওকে বলা হয় না।বলা হয়নি,এরাতো ওরাই যারা তোমার ফিগার নিয়া কথা তুলতো,তোমার শরীর নিয়ে ট্রল করে আমাকে ইনবক্সে মেসেজ দিত..এরাই তারা যারা আমার সাথে কাটানো সময় নিয়ে তোমার আমার হরমোন নিঃসরণের গন্ধ শুঁকতো।ওদের তো তুমি বেস্ট ফ্রেন্ড বলো।আর ওদের নিয়েই আমাদের অহেতুক ঝগড়া হতো।তুমি আমায় ছেড়ে ওদের পাশে চলে যেতে আর আমি তুমিহীন একা হয়ে যেতাম।তুমি শুধু তুমি ছিলে না,আমার আমিতে মিশে গেছো,তাই নিজের সাথে রাগ করে মানুষ কি থাকতে পারে?!আমি ও পারতাম না,দু'একটা দিন পরই কোন অজুহাতে ফোন দিতাম।আবার কথা হতো,তোমার অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হতাম,অভিমান ভাংগাতে ঘাম ঝরতো তবুও আবেগে ভাসতাম,স্বপ্ন দেখতাম,ভালোবাসতাম।

ভালোবাসা কখনোই সমান্তরাল ভাবে চলে না,আমার দুঃসময় আমায় ছাড়েনি,ছেড়েছো তুমি ।কোন অজুহাতই ভালবাসা টলাতে পারে না,যতক্ষন না আমরা ভালবাসাটা জলাঞ্জলি দিই,প্রতিটা পরিবারই এ সমাজের মেয়েদের ভবিষ্যতের একটা স্বপ্ন দেখাায়,রাজপুত্রের স্বপ্ন দেখায় সাথে ভয় দেখায়,যাতে কোন সম্পর্কে না জড়ায়। ভালোবাসতে শিখলে,পরিবার একটা সময় মেনেই নেয়,কিন্তু কেই যদি ভালবাসাটা কে ছুড়ে ফেলতে পারে তবে সেখানো নানা অজুহাত দাঁড় করানো কোন ব্যাপারই না।কারণ ভালবাসায় ভুলত্রুটি থাকতেই পারে,মান-অভিমানও অজাচিত কিছু না।অজাচিত হলো-তৃতীয় কারোর পর্দাপণ!
তুমি অনেকগুলাই অজুহাত দাঁড় করালে,আমাকে ছেড়ে যাবার জন্য,তোমার পাশে দুধের মাছিগুলাকেও স্বাক্ষী করলে।তুমি ডায়েট করতে,সবাইকে বল্লে আমি তোমায় খেতে দিতাম না। অথচ শেষদিনও পার্থক্য দেখাতে গিয়ে ওজন মেফে আমায় দেখিয়েছো:তুমি ৭৬ কেজি ওজনের আর আমি ৫৬ !
তোমাকে আমি কলারওয়ালা জামা পরিয়েছি,বুকে ওর্না দেয়া শিখিয়েছি সেটাও আমার দোষ ছিল,,আমার দোষ ছিল যাকে তুমি বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে তার সাথে আমি তোমায় থিয়েটারে যেতে বারণ করেছি।রাতের `১১টা নাগাদ আড্ডা দিতে বারণ করেছি,সবই আমার দোষ।যেহেতু তোমায় আমি কিছু মানুষের মনের কালো দিকটা দেখাতে পারি নি,আমি ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে গেলাম! তাই, ভালোবাসা বাঁচাতে হাজারো বার সরি' বলেছি,তোমার বন্ধুদের সামনে কড়জোর করে মিনতী করেছি,তুমি ফিরনি,শেষ পর্যন্ত নিউমার্কেটের মত জনবহুল সেই রাউন্ডে তোমার পায়ের সামনে নতজানু হয়েছি...তুমি বলেছো-
'সিন ক্রিয়েট করো না!"
তুমি ফির নি,তোমার মন আমার দিকে আর ফিরেনি,তোমার ছোট ভাইয়ের অকথ্য গালি আমি কান পেতে শুনেছি,পুলিশের ফোন পেয়েও গাবড়ে যাইনি,তারপরও একটি বারও তোমার ফোন আসেনি, আমি আজো বুঝিনি তোমার ভালোবাসাটা মোহ ছিল,যে মোহে তুমি আমার কাছে আসতে,আমায় ভালবাসি,ভালবাসি বলে আবেগের উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে ফেলতে!
আমি এখেনা সেই উষ্ণ নিঃশ্বাস ঘাড়ে বয়ে বেড়ায়,এখনো তোমার চলে যাবার পথের দিকে তাকিয়ে থাকি,তুমি ফিরবে এই অসম্ভব রকমের একটা মিথ্যা আশা বুকের বামে জড়ো করে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: গল্প পাঠে মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৪

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা হলে, মোটামুটি ওকে; যদি গল্প হিসেবে লিখে থাকেন, সুবিধে হয়নি

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৬

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,গল্পতো কারো না কারো জীবন থেকেই আসে।তবে হ্যাঁ,যেহেতু গল্প খুব একটা লেখা হয় না,তাই লেখার হাতটা কাঁচা। তাছাড়া ভাই আমি গল্প লিখতে গেলে সেটা উপন্যাস হয়ে যেতে চায়...হাহাহা।
অনেক ধন্যবাদ,চেষ্টা থাকবে ভাল করার।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

তিক্তভাষী বলেছেন: বানান সঠিক করা দরকার। প্রথম লাইনে ঘাড়ের জায়গায় গাঁড় লিখেছেন। গাঁড় অর্থ জানেন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।হুমম,বানানে ভুল হইছে। আমি কনফিউশনে ছিলাম।শেষে কিন্তু ঠিক বানানটাই লিখছি। না ভাই গাঁড় অর্থ আমার জানা নাই ,চেষ্টা থাকবে সঠিক ভাবে লিখার।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
প্রথমত অভিনন্দন। আপনার গল্পের নামকরনটি চমৎকার হয়েছে। আপনার বানান ভুলগুলো খুব সম্ভবত উচ্চারন জনিত ভুলের কারনেই হচ্ছে এবং আমি জানি না, আপনি চট্রগ্রাম, ফেনী বা নোয়াখালী অঞ্চলের কিনা।

নতুন লেখক হিসেবে আপনার লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, আপনার গল্পের কাহিনী বিন্যাসে কিছুটা গড়পড়তা থাকলেও একজন নতুন লেখক হিসেবে গল্পের দৃশ্যায়ন অর্থাৎ পাঠক কিভাবে গল্পটি উপলব্ধি করবে তা আপনি বেশ সুন্দর করেই উপস্থাপন করেছেন। আপনার গল্পের শুরুটা বেশ আগ্রহদীপ্ত ছিলো, কিন্তু শেষের অংশটা নিয়ে আরো কিছুটা কাজ করা প্রয়োজন ছিলো, কিছুটা তাড়াহুড়ার ছাপ রয়ে গেছে।

আশা করি সামনের গল্পগুলোতে নতুনত্ব খুঁজে পাবো, আগের চাইতে আরো ভালো লেখা আমরা পাবো।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৮

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: হাহাহা,প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিছ মন্তব্যের জন্য। ভাই,আমি মিশেল;অর্থাৎ,নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সংমিশ্রণ আছে আমার পয়দায়।সেটা হয়তো ভাষার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। তবে চেষ্টা আছে যথা সম্ভব বানান ভুল এড়িয়ে চলার। আর হ্যাঁ ভাই,গল্প খুব একটা লেখা হয় না,লিখতে গেলে মনে হয় আরো লিখি। তাই শেষের দিকটায় কিছুটা অগোছালো হয়েছে। আশা রাখি অাপনাদের মত অগ্রজরা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর অনুপ্রেরণা দিবেন। অাবারো ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.