নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিতান্তই সাধারন একজন। হয়তো একটু বেশি ইমোশনাল। প্রশংসা কুড়ানোর জন্য আমি লিখি না। লেখালেখিতে সেইরকম সিদ্ধহস্তও নই বটে। চেপে থাকা ভাষাগুলোকে ভেতর থেকে বের করে এনে এক অন্যরকম মানষিক প্রশান্তি পাই। স্বপ্নডানায় ভর করে কল্পনার আকাশে উড়ে বেড়াতে খুব পছন্দ

শাহেদ চৌধুরী

আপনার পরিচয় সম্পর্কে কিছ লিখুন

শাহেদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতি কখনো হয় মধুময়, যা কখনো ভোলার নয়

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০২

স্মৃতি মানুষকে নিরবে কাঁদায়, কখনো বা এক চিলতে হাসি ফোটায় ঠোঁটের কোণে।
কত স্মৃতিই দৈনন্দিন আমাদের জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকে।
এমন কিছু স্মৃতি আছে যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত মনে করি কিন্তু যিনি বা যারা এগুলোর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের স্মৃতিতে থাকে না।
কিছু স্মৃতি কখনোই ভোলা যায় না।
এমন একটা স্মৃতির কথাই বলব ভাবছি........
আমি তখন class six-এ পড়ি।
একটা ইনস্টিটিউট থেকে বিদায় নিয়ে পদার্পন করলাম নতুন একটাতে। স্বভাব অনুযায়ী ছোটবেলায় খুব nervous থাকতাম senior দের সামনে দাঁড়াতে কিংবা চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে। একটা কথা বলতে গিয়ে ঢোক গিলতাম একশোবার। :-)
যাইহোক, একদিন দু'জন বড়ভাই (সম্ভবত ssc complete করা) বসে ছিলেন আমাদের স্কুল মাঠের ঠিক মাঝে। আমি পাশ দিয়েই আসছিলাম।
একজন হাত ইশারায় আমাকে ডাকলেন। ঢোক গিলতে গিলতে
এগিয়ে গেলাম। :-)
হাসিমুখে বললেন- তুমি স্যারের ছেলে না? কেমন আছ?
ভয়ে ভয়ে বললাম- হু, ভালো।
ভাবছি, কত তাড়াতাড়ি কেটে পড়া যায়।
হঠাৎ আমার প্যান্ট এর বেল্টটা খুলে নিলেন। তারপর আবার পরিয়ে দিলেন একটু লুজ করে। সাদা শার্টটা গুঁজে দিলেন কালো প্যান্ট এর ভিতর। চুলগুলো স্ট্রেইট করে দিলেন হাত দিয়ে।
তারপর বললেন- দেখ, কতোটা স্মার্ট লাগছে এবার। স্কুলের যতগুলা মেয়ে আছে সবাগুলাই নিশ্চিত পাগল হবে তোমায় দেখে। :-)
অতপর লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে কেটে পড়লাম।
School life এ মনে রাখার মতো আমার অন্যতম একটা স্মৃতি এটা। এখন প্রতিনিয়তই দেখা হচ্ছে ওনার সাথে।
উনি হলেন আমার শ্রদ্ধেয় এক বড়ভাই।
সেদিনকার কথা আজ হয়তো উনি ভুলে গেছেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.