নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সনেট।এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেছি। বলতে গেলে একজন ভবিষ্যত শিক্ষিত কৃষক। খাওয়া দাওয়া রান্না আর ঘুম। পুরুষ মানুষ হয়েও রান্না করতে ভাল লাগে।গল্পের বই পড়ি। এই তো...............

শাহরিয়ার সনেট

সাধারন বালক

শাহরিয়ার সনেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ মুবারক

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা..

ঈদুল আজহা মানে মনের পশুত্বকে
কোরবানি করা¤
“কস্মিনকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে
না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে
তোমরা ব্যয় না কর। আরতোমরা যা কিছু
ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা আলে
ইমরান, আয়াত : ৯২)
সুপ্রিয় বন্ধুরা
ঈদ মানে আনন্দ, উৎসব, উল্লাস ইত্যাদি। ঈদ
শব্দের অর্থ আনন্দ হলেও ঈদুল আজহা
বল্গাহীন আনন্দ উল্লাসের দিবস নয়। ঈদের
সাথে সংযোজিত রয়েছে আরো একটি শব্দ
আজহা। যার অর্থ হলো ত্যাগ বা
কোরবানি। ঈদুল আজহা আমাদের জীবনে
বয়ে নিয়ে আসে অনুপম, অনন্য সাধারণ
ত্যাগের মাধ্যমে অনাবিল আনন্দ।
স্বভাবতই ত্যাগাশ্রয়ী আনন্দের এই পুণ্যময়
দিবস বহু দেশে ঈদুল কোরবানিও ঈদুল আল
কবির নামেও আখ্যায়িত হয়ে থাকে। ঈদুল
আজহার মর্ম কথা হলো তাকওয়া।
তাকওয়ার পূর্ণ অর্থ হলো মুমিনের সেই
সঙ্কল্প যাতে প্রয়োজনবোধে সে তার সব
কিছু এমনকি তার নিজের জীবনটিও
আল্লাহর পবিত্র নামে কোরবানি করতে
সদা প্রস্তুত। কুরআন শরীফেও দ্ব্যর্থহীন
ভাষায় ঘোষিত হয়েছেÑ আল্লাহর নিকট
পৌঁছায় না (কোরবানির পশুর) রক্ত, পৌঁছায়
তোমাদের তাকওয়া।
কোরবানি হলো উৎসর্গের আনন্দ উৎসব। পশু
কোরবানি এখানে মুখ্য নয়। মুখ্য হলো মনের
পশুত্বকে কোরবানি করা। প্রকৃতপক্ষে
আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ কোরবানি করে
তাকওয়া অর্জনই মূল লক্ষ্য। আল্লাহর ইচ্ছায়
তার সন্তুষ্টির জন্য একজন মুসলিম যে
নিজের জীবন ও অর্থ সম্পদ কোরবানি
দিতে সদা প্রস্তুত, পশু কোরবানির মাধ্যমে
সে এ কথার প্রমাণ পেশ করে।
পশু কোরবানির মাধ্যমে সে যেমন তার
অর্থসম্পদ কোরবানি দিতে মোটেও কুণ্ঠিত
হয় না। তেমনি প্রয়োজন দেখাদিলে সে
নিজের জীবন কোরবানি দিতেও কুণ্ঠিত
হবে না। কোরবানির আত্মত্যাগ, অপরের
কষ্ট স্বীকার এবং নিজের জীবন ও
ধনসম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ
তায়ালাকে স্বীকার করে সেই মহান
মালিকের ইচ্ছানুযায়ী তাঁরই সন্তুষ্টি
লাভের উদ্দেশ্যে এগুলোকে তারই পথে
ত্যাগ করার নিদর্শনস্বরূপ ‘ঈদুল আজহা’।
শুধুমাত্র অধিক দামে পশু কোরবানির
প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে চলবে না। যদি
মনের পশুত্বকে কোরবানি না করে নিছক
লোক দেখানো উদ্দেশ্য হয়,তবে তা হবে
বৃথা প্রচেষ্টা মাত্র। উৎসর্গের এ আনন্দ
উৎসবের মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর নিকট
সোপর্দ করতে হবে। কুরআনের যে ভাষ্য
‘আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার
জীবন-মরণ সবই বিশ্ব প্রতিপালকের জন্য।’
কোরবানির মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে।
তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে এই
উৎসর্গের মাধ্যমে।
প্রিয় বন্ধুরা, এসো শুধু পশু কোরবানিনয়,
মনের পশুত্বকেও উৎসর্গের মাধ্যমে
নিজেকে পেশ করি আল্লাহর দরবারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

হামিদ আহসান বলেছেন: ঈদ মোবারক ......

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কাবিল বলেছেন: ঈদ মুবারক

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: ঈদ মোবারক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.