নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ই কল্কি অবতার- ২য় পর্ব

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

আগের পর্বেই উল্লেখ করেছি যে, হিন্দুদের সনাতন ধর্মের শাস্ত্রীয় পুস্তক 'সামবেদ'-এ নামের শুরুতে 'ম' ও শেষে 'দ' নামক যে দেবের উল্লেখ আছে তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছাড়া আর কেউ নন। এর আরেকটি স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে যরজুবেদের এই শ্লোক-

'আল্লো রসূল মহাম্মদ রকং বরস্য'
অর্থাৎ, 'মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং পরম বরণীয়।'

এছাড়াও, ভবিষ্যপূরাণের আরো দু'টি শ্লোক এখানে উল্লেখযোগ্য-

এতাস্মিন্নসিরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সমন্বিতঃ
মহাম্মদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিতঃ

এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, যথা সময়ে 'মোহাম্মদ' নামে একজন মহাপুরুষ আবির্ভূত হবেন যাঁর নিবাস হবে 'মরুস্থলে' (আরবদেশে) এবং উনার সাথে সহচরবৃন্দও থাকবেন। এই শ্লোকে 'ম্লেচ্ছ' ও 'আচার্য' শব্দগুলোর ব্যাখ্যা এই যে, বিভিন্ন দেশ হতে আগত আচার্যেরা তৎকালীন আরব পৌত্তলিকদের 'ম্লেচ্ছ' বলে ডাকতেন ঠিক যেমন আর্যরা ভারতের প্রাচীন পৌত্তলিক সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষদের 'শুদ্র' নাম দিয়েছিলেন।

ছান্দোগ্য উপনিষদে্র ১৬/৬ নং শ্লোকে নবী মুহাম্মদ(সাঃ)-এর দৈহিক বর্ণনাই শুধু দেওয়া নেই, সেখানে উনাকে 'উৎ' অর্থাৎ 'দশম অবতার' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত শ্লোকে আরো বলা হয়েছে যে, রাসূল(সাঃ)-এর পরে আর কোন অবতার এই ধরাধামে পাঠানো হবে না।

এভাবে উত্তরায়ণ বেদে বলা হয়েছে-

লা-ইলাহা হরতি পাপম
ইল্ল ইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুণ্ঠ অপ ইনুতি
জপি নাম মুহামদম।।

যার অর্থ দাঁড়ায় এরকম- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ-এর আশ্রয় ছাড়া পাপমুক্তির আর কোন উপায় নেই। ইলাহ অর্থাৎ আল্লাহ-এর আশ্রয়ই প্রকৃত আশ্রয়। বৈকুণ্ঠে জন্ম লাভের আশা করলে 'ইলাহ'-এর আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আর, এরজন্যে মোহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রদর্শন করা পথ অনুসারণ করা অপরিহার্য।

শেষ অবতার সম্পর্কে বেদের আর কয়েকটি শ্লোক বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে-

যো রধ্রস্য চোদিত্য যঃ কৃষস্য
মো ব্রণো নাম মানস্য কীরেঃ
(ঋগ্বেদ : ২ : ১২ : ৬)
এখানে 'কীরি' নামের তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, আরবী ভাষায় 'কীরি' শব্দটির প্রতিশব্দ হচ্ছে 'আহমদ'। কুন্তাপসুক্তে মহানবী(সাঃ) সম্পর্কে বলা হয়েছে-

ইদং জন্য উপশ্রুত নরাশংস স্তবিষ্যতে ষস্টি সহস্রা নবতিং চ কৌরম অরুষমেষু দদ্মহে।
এর অর্থ হচ্ছে- হে লোক সকল! মনোযোগ সহকারে শুনো, 'প্রশংসিত জন' লোকদের মধ্য থেকে উত্থিত হবেন। আমরা পলাতককে ৬০,০৯০ জনের মধ্যে পেলাম।

এই শ্লোকে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করে 'প্রশংসিত জন' বলে অভিহিত করা হয়েছে। এখানে বলা বাহুল্য যে, আরবী 'মুহাম্মদ' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে 'প্রশংসিত'। এছাড়াও, 'পলাতক' বলে মহানবী(সাঃ)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের কথা আভাস দেওয়া হয়েছে। আর, তিনি (সাঃ) যখন মক্কা বিজয় করেন, তখন মক্কার জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ষাট হাজার।

মহামুণী ব্যাসদেব রচিত ভবিষ্যপূরাণের এক স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে-

এত স্মিন্মন্তরে ম্লেচ্ছ আচার্যের সমন্বিত মহমদ ইতখ্যাত শিষ্য শাখা সমন্বিত।
এর অর্থ- ''সে সময় মহমদ নামক এক ধর্মগুরু শিষ্যদের সাথে নিয়ে আবির্ভূত হবেন।'' মহর্ষিদের মতে, এখানে 'মহমদ' বলতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কেই বুঝানো হয়েছে।
(চলবে)

প্রথম পর্বঃ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-ই কল্কি অবতার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.