নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলশানের জঙ্গী সমস্যা সমাধানে আলেমদের পাঠালে কি হতো?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

সাদা আলখেল্লায় ঢাকা কিছু মানুষের ছোট্ট একটি দল অসীম সাহসিকতায় হোটেল আরটিসানের দিকে এগিয়ে আসছেন। হঠাৎ-ই এক পসলা গুলি ধেয়ে এসে সামনের মাটিতে আছড়ে পড়লো। জঙ্গীদের পক্ষ থেকে সতর্ক সংকেত। এগিয়ে আসতে মানা করছে তাঁরা। ভেতর থেকে একজন চিৎকার করে আগুন্তুকদের পরিচয় জানতে চাইলো।

নিরস্ত্র ছোট্ট দলটির সেই মানুষেরা একজন একজন করে নিজেদের পরিচয় দিতে লাগলেন। র‍্যাবের মহাপরিচালকের পাশেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম সাহেব ফরিদউদ্দিন মাসউদ। তাঁর সাথেই আরো অন্যান্য আলেম উলামার পাশে দাঁড়িয়ে ইসলামী আন্দোলনের চরমোনাই-এর পীর সাহেব ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব। প্রত্যেকের হাতেই হেন্ড মাইক। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে তাঁরা গুলশানে এসেছেন। উদ্দেশ্য জঙ্গীদের কোরআন ও সুন্নাহ-এর আলোকে বোঝানো যে তাঁরা যা করছেন তা ইসলামের দৃষ্টিতে মোটেই সমর্থনীয় নয়।

''বাবারা, তোমরা যা করছো, তা কি জেনে-বুঝে করছো? ইসলামের আলোকে বলতো দেখি, বাংলাদেশ দারুল হারব না দারুল ইসলাম? এই মাটিতে যারা বাস করে, তারা কি মুমিন না অবিশ্বাসী?''

হোটেল আরটিসানের ভিতর থেকে কোন উত্তর ভেসে আসে না।

''কারবালার প্রান্তরে ইমাম হুসেন (রাঃ) ও তাঁর বাহিনীর সবাই একে একে শহীদ হোন, তাঁর আগে কি ইরাকের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে তাদের নেতারা ইমাম হুসেন (রাঃ)-কে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার জন্যে আমন্ত্রন জানায়নি? সেই আমন্ত্রন পেয়েই না উনি ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তোমাদের এই বাংলার মানুষ আমন্ত্রন জানিয়েছেন কি? যে ইসলাম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তোমরা লড়ছো, যাদের জন্যে লড়ছো, তাদের মতামত যাচাই করা প্রয়োজন নয় কি? তোমাদের এটা জানা নেই যে, ইসলামে নিজেকে নিজে নেতা দাবী করা জায়েয নয়? ''

আরো একঝাক প্রশ্নের তীর এবারে ধেয়ে গেলো জঙ্গীদের আস্তানার দিকে। কোন প্রতিউত্তর নেই এবারেও।

আলেমদের দলটি আরো কয়েক পা এগিয়ে গেলেন রেস্তোরার দিকে। তাঁরা ঘোষনা দিলেন, ''আমরা ভিতরে আসছি বন্দিদের ছুটিয়ে নিতে।''

আলেমরা এগিয়ে চললেন। এক পর্যায়ে ঢুকে পড়লেন রেস্তোরাঁয়। উদ্যোত রাইফেলের নলের সামনে থেকে একে একে বের করে নিয়ে আসলেন জিম্মিদের।
============================================================================

এরপর কি হলো? সেই জঙ্গীরা কি আত্মসমর্পণ করলো? নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আলেমদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সঠিক ইসলামের দিকনির্দেশনা চাইলো কি?

জানি না, সত্যিই জানি না। জানার সু্যোগ দেওয়া হলো না যে!

জানালা দিয়ে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শুধু একটি প্রশ্নের উত্তরই খুজতে থাকলাম- ''কেন, মাননীয় সরকার প্রধান, কেন আপনি আলেমদের জঙ্গী সমস্যা সমাধানে একটি বারের জন্যেও আহবান জানালেন না? কেন আপনাকে এই পরামর্শ দেওয়ার জন্যে কোন মানুষ আপনার পাশে ছিলো না? কেন?''

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা নেই। আপনাদের কাছে আছে কি?



মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: তাহলে দৈনিক সাত বিলিয়ন ডলার খরচ করে দুনিয়াতে মিলিটারী পুষতে হতনা!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: গণমানুষকেও মিলিটারীর অংশ হিসেবে ধরতে হবে। তাহলেই দেশকে সর্বত ভাবে রক্ষা করে সম্ভব।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: yes i know. few days ago prothom-alo published nation's top terror Joseph's file sent to prime ministers office.

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

আহলান বলেছেন: ভাই তো ইবনে মিজানকেও ছাড়িয়ে গেলেন দেখি ... ;)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: উনার কোন লেখা আমি এখনো পড়িনি যে!

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

রাজীব বলেছেন: খুবই ভালো বুদ্ধি!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: বুদ্ধিগুলো কেউ শুনলে হতো।

সরকারের এখনই প্রয়োজন এমন কোন পরিস্থিতির জন্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। সাহসী আলেমদের নিয়ে একটি 'নেগোসিয়েশন টিম' গঠন করা যাতে ভবিষ্যতের এমনই কোন ঘটনায় তাঁরা এগিয়ে যেতে পারেন।

'ভুয়া ইসলাম'-কে 'আসল ইসলাম' দিয়েই মোকাবেলা করা প্রয়োজন। অস্ত্র দিয়ে করলে তাঁর ডাল-পালা আরো বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

শোভন১ বলেছেন: তাইলে আলেম গুলাও মরতো, আলেম ওরা জীবনে কম দেখেনি। আর যে থিওরীর কথা বললেন তাদেরকে বোঝানোর, ঐসব ওরা বহু আগে শুনেই বাতিল করে দিয়েছে। ওরা জেনে বুঝেই এই এতোদূর এসেছে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
আপনার সাথে উনাদের কোন যোগাযোগ ছিলো কি? নাহলে তাদের মনের কথা আপনি জানলেন কিভাবে!

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আর তাঁরা যদি আলেমদের মেরেই ফেলতো, তাহলে তো প্রমাণই হয়ে যেতো ওরা ইসলামের নামে অরাজকতা কায়েম করতে চাচ্ছে এদেশে।

বিশেষ করে যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বংশধর চরমোনাই-এর পীরের গায়ে একটি আচড় লাগলে দেশের পুরো আলেম সমাজ কি বসে থাকতেন? তখন শুধু পায়ে ডলেই সবাইকে শেষ করা হতো, কমান্ডো লাগতো না।

@শোভন১

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

শোভন১ বলেছেন: "শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition) বলেছেন: আর তাঁরা যদি আলেমদের মেরেই ফেলতো, তাহলে তো প্রমাণই হয়ে যেতো ওরা ইসলামের নামে অরাজকতা কায়েম করতে চাচ্ছে এদেশে। "

- তার মানে কি? এখনো প্রমান হয়নাই?

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

শোভন১ বলেছেন: "লেখক বলেছেন:
আপনার সাথে উনাদের কোন যোগাযোগ ছিলো কি? নাহলে তাদের মনের কথা আপনি জানলেন কিভাবে!"

না, আমার সাথে যোগাযোগ ছিলোনা, আলেমদের সাথেও নাই। যে বেহেস্তে আলেমরা থাকবে সেই বেহেস্তের চেয়ে দোযখে যাওয়া অনেক ভালো বলে মনে করি, বেহেস্তে আপনারাই যান। আর "মনের কথা" বলতে গিয়ে "কমন সেন্স" বলে যে একটা ব্যাপার থাকে সেটাই ইউজ করেছি, আপনিও মাঝে-মধ্যে ইউজ করে দেখতে পারেন।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: এটা কি সেই সব জঙ্গীদের কাছে প্রমাণিত? আমাদের আলেমদের ভয়েস কি তাদের কাছে পোঁছাচ্ছে? আপনি যেহেতু বলেছেন, তাঁরা অনেক আলেমদের দেখে এসেছেন। আমার উত্তর, তাঁরা আমাদের সঠিক আলেমদের দেখেননি, তাঁদের কাছে যাননি।

ইসলাম দিয়ে যদি 'মগজধোলাই' করা হয়েই থাকে, সেই মগজ ঠিক করতে পারেন একমাত্র আলেমরাই।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওরা বর্তমান ইসলামকেই তো মানে না। তার উপর আপনা চয়েজ তো অনেক খারাপ। নাস্তিক রাজিবের জানাজা পড়ানো ফরিদউদ্দিন মাসউদকে আপনি সামনে আনলেন! উনাকেই তারা প্রথম শুট করবে নাস্তিকের জানাজা পড়ানোর অপরাধে। চরমোনাইর পীরের তরিকা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। আর বায়তুল মোকাররমের খতিবকে নিয়ে তো আন্দোলনই চলেছিল অনেকদিন। এদের নিবৃত্ত করতে পারতো হয়তো তাদের 'মা'। কিন্তু তাদের পরিচয় তো জানা যায়নি তখন।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:




জী, আমি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদকেই সামনে আনলাম। আসলে আমি সামনে আনিনি, উনি উনার যোগ্যতাবলেই সামনে এসেছেন। রাজিব যদি নাস্তিক হতো, তাহলে মাওলানা সাহেব কক্ষনই তার জানাজা পড়াতেন না। এ সম্পর্কে উনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন জানাজা পড়ানোর পূর্বে, সেইটা কি কেউ খন্ডাতে পেরেছিলো? এর মানে কি এই দাড়ায়না যে তার বক্তব্যই বিরোধী পক্ষ মেনে নিয়েছিলো? যদি না নিয়ে থাকে, তাহলে তার সামনা-সামনি হয়ে 'বাহাস' করলো না কেন? তাহলেই তো উত্তর পেয়ে যেতো!

চরমোনাইর পীর সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই। থাকলে এমন বলতে পারতেন না। বলুন তো দেখি উনার কোন কোন মতামত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক? পারবেন বলতে? রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বংশধর যদি ভুল তরিকা অনুসরণ করে থাকেন, তাহলে সঠিক তরিকা অনুসরণ করছেন কে? একমাত্র ইয়াজীদের অনুসারীরাই এমন বলতে পারে। তাই, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরী। আমরা যেন ভুল মানুষের কথায় ভুল পথে অনুসারিত না হই।

বায়তুল মোকাররমের খতিব সাহেবকে নিয়ে আন্দোলন হঠাত থেমে পড়লো কেন? তার মানে এই নয় কি যে, তাকে মেনে নিয়েছেন বাকিরা? আর, নেতা নির্বাচনের সময় মতবিরোধ ইসলামী সংস্কৃতিরই অংশ। ইতিহাস পড়ুন, জানতে পারবেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অফাতের পর খলিফা নির্বাচনের সময়ও বাকবিতণ্ডা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সবাই একমত হয়েছিলেন। আপনারাই বরং পুরোনো ক্ষতগুলোকে জাগিয়ে তুলে আবার ভেজাল লাগাতে চাচ্ছেন। এটা মুসলিমদের কাজ হওয়া উচিৎ নয়।

মা-রা হয়তো পারতেন। তবে তা সাময়িক ভাবে। কিন্তু, জঙ্গীদের আদর্শ মোকাবেলায় মা-রা তেমন কিছুই করতে পারতেন বলে মনে হয় না। কারণ, এইসব জঙ্গীদের সামনে উদাহরণ হিসেবে পেশ করা হয় হযরত মুসায়েব ইবনে উমায়ের (রাঃ)-এর মা-দের যারা ছেলেদের ইসলামে দীক্ষা নেবার কারণে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এইসব ছেলেদের এইটা বুঝানো হয় না যে, আমাদের মা এবং হযরত মুসায়েবের মা এক নয়। আমাদের মা মুসলিম, পক্ষান্তরে মুসায়েবের মা ছিলেন ইসলামের শত্রু।

তাই, উপরোক্ত আলেম সমাজই সরবাধিক অনুসরণযোগ্য হতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করলে আরো কিছু নাম উল্লেখ করতে পারেন।

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

চন্দ্রভুক বলেছেন: আপনার পরিকল্পনাটি কাল্পনিক। স্পটে পৌঁছার পর যদি ওদেরকে জঙ্গিবাদের খারাপ দিক বা ইসলামের সঠিক নির্দেশনা শেখানোর চেষ্টার কথা বলেন তবে কি ওরা শুনবে সে কথা । কোন স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মানুষ যে নৃশংসভাবে ২০ জন বা তার অধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় ।ওরা পথভ্রষ্ট যুবক ধর্মীয় অপব্যাখ্যার দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ খুন করতে গেছে , নিশ্চিত ধর্ম শিখতে নয় ।
তবে আলেম ওলামাদের দিয়ে শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি জঙ্গিবাদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়া উচিত ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: উপরের ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও, পরিকল্পনার মাঝে কোন গলদ আছে বলে মনে হয় না। আপনি বলেছেন তাঁরা শুনবে কিনা, আমি বলছি, তাঁরা যদি মুসলমান হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই শুনতো।

আর, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দ্বারা তাড়িত হয়ে থাকলে, কে তাদের ধর্মের আসল বাণী শুনিয়ে সুপথে ফেরাতে পারতেন? আলেমরা নয় কি?

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি লেখকের সাথে একমত।
যদি এমন হত- ২০/৩০ জন আলেম হাতে কোরান শরীফ ঊঁচু করে ধরে উচ্চ স্বরে আল্লাহুআকবার আল্লাহুআকবার আল্লাহুআকবার ধ্বনির তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেত আমি ৯০% শিওর জঙ্গিরা ট্রিগারে চাপ দেয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলত। ওদের কাছাকাছি গিয়ে, সুরা ইয়াছিন, সূরা আররহমান. আয়াতুল কুরসী এই সূরাগুলো জোড়ে জোড়ে পড়া হত ওরা বশীভূত হতে বাধ্য।
পুরো ব্যাপারটই হচ্ছে সইকোলজীক্যাল। ঠিক যেমন পাগলা হাতি,পাগলা ঘোড়াকে কেবল তার মুনিবই বশ করতে পারে। ধর্মের নেশায় ওরা যখন মাতাল হয়ে থাকে এই ধর্মীয় বাণীই কেবল পারত ওদের বশ করতে। ঠিক যেমন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মত আরকি। আপনার আইডিয়াটা আমার মনে ধরেছে। পরবর্তীতে এই ব্যাপারটা প্রসাশনের মাথায় রাখতে হবে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: এখানে মনে রাখা জরুরী যে, কোরআন যেমন সরল পথ দেখায়, তেমনি বক্র পথও দেখাতে পারে। এটা নির্ভর করছে আয়াতের ব্যাখ্যার উপর।

তাই সঠিক মতাদরশী আলেমরাই পারতেন তাদের নবীজী(সাঃ)-এর সরল পথে ফেরাতে।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ওরা যা বোঝার টা আগেই বুঝে মারতে এসেছিলো।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: ইসলামের জ্ঞানের তো শেষ নেই। হবে হয়তো তাঁদের মাঝে কোন এক বা দু'জন আলেমে দ্বীন-দের কথা শুনে ফিরে আসতেন মায়ের কোলে।

১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭

মো সাদিকুর রহমান বলেছেন: আপনার আইডিয়া ভাল কিন্তু আপনার পছন্দকৃত আলেমগন সম্পর্কে সমস্যা আছে। আপনি যতই যুক্তি দেখান লাভ নাই। অন্য হক্কানী আল্রমদের কথা বললে সবাই খুশি হত। তবে এই আইডিয়া এই দুচোখে দেখা হবে না আর আলেমদের জীবন ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়ে পরে কিছু হলে আপনারাই কিবোর্ডে আংগুল চাপিয়ে ব্লগ,ফেসবুক আর পত্র পত্রিকায় লেখবেন নাস্তিক সরকার আলেমদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারেনা।ইসলামের শত্রু। তবুও বলব আপনার আইডিয়া খুব ভাল লেগেছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
উপরে উল্লিখিত আলেমদের চেয়ে উপরের স্তরের আলেম দেশে থেকে থাকলে নাম প্রস্তাব করুন না। আমার মনে হয় না সেরকম আলেম আপনি পাবেন। আহলে বায়াতের চেয়ে বেশি মর্যাদাধারী তো মুসলিম সমাজে আর কেঊ হতে পারে না। সে রকম দাবী কোন আলেম করেনও না। আপনি ভুল জেনেছেন।

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আমাদের তথাকথিত আলেমদের কথা না বলাই ঠিক।।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:

তথাকথিত আলেম আর আলেমে দ্বীনের মাঝে পার্থক্য আছে।

১৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি লেখকের সাথে একমত।
যদি এমন হত- ২০/৩০ জন আলেম হাতে কোরান শরীফ ঊঁচু করে ধরে উচ্চ স্বরে আল্লাহুআকবার আল্লাহুআকবার আল্লাহুআকবার ধ্বনির তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেত আমি ৯০% শিওর জঙ্গিরা ট্রিগারে চাপ দেয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলত। ওদের কাছাকাছি গিয়ে, সুরা ইয়াছিন, সূরা আররহমান. আয়াতুল কুরসী এই সূরাগুলো জোড়ে জোড়ে পড়া হত ওরা বশীভূত হতে বাধ্য।
পুরো ব্যাপারটই হচ্ছে সইকোলজীক্যাল। ঠিক যেমন পাগলা হাতি,পাগলা ঘোড়াকে কেবল তার মুনিবই বশ করতে পারে। ধর্মের নেশায় ওরা যখন মাতাল হয়ে থাকে এই ধর্মীয় বাণীই কেবল পারত ওদের বশ করতে। ঠিক যেমন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মত আরকি। আপনার আইডিয়াটা আমার মনে ধরেছে। পরবর্তীতে এই ব্যাপারটা প্রসাশনের মাথায় রাখতে হবে।


বাহহ,,,অভিনব এবং চমৎকার আইডিয়া।আসলেইতো!!!এমনি ভেবে দেখা যেতে পারে।
পোষ্ট ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

সবুজ আমস্ট্রং বলেছেন:


-


ধার্মিক, বকধার্মিক, ব্রেইনওয়াশড, ফ্যানাটিক, ...প্রত্যেকটার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। ব্রেইনওয়াশড লোকজন হিপনোটিক সাজেশন ছাড়া নিজের বস ছাড়া কাউরেই মানে না। খালি বাংলাদেশের আলেমরা না, আরও অনেক জায়গাতেই আলেমরা অনেক স্টেটমেন্ট দিসে, হেরা এগুলার অনেক উপরে চলে গেসে। মাওলানা মাসউদ গত চাইর বছর ধৈড়া সোচ্চার এই ব্যাপারে, কাজে দিলে এদের মগজ ধোলাই কর্তে পারত না কেউ। সেইটা হয় নাই।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আলেমদের স্টেটমেন্ট হয়তো তাঁদের চোখে পড়েনি। শত খবরের ভিড়ে হারিয়ে গেছে। আর আমাদের মিডিয়া তো ভালো ভাবে সেগুলো প্রচার করে না।

তাই, প্রয়োজন ফেস টু ফেস কথোপকথন।

১৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

সাদিকনাফ বলেছেন: ফরিদ উদ্দিন মাসউদ একজন দুনিয়াবী আলেম। সরকারের পা চাটা আলেম। যুগে যুগে এসব দরবারী আলেমগণ প্রতিনিয়ত সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলো। আকবরের সময়ে তার দরবারী আলেমরা আকবর কে সিজদা করার ফতোয়া জায়েজ করেছিল। আর সেসময় মুজাদ্দেদ আলফেসানী (রা:) ছিলেন সত্যান্বেষী আলেম। দুনিয়ার মানুষ আলফেসানী রা: কেই চেনে। আর সেই দরবারী আলেমদের কেও মানুষ চেনে তবে তা ঘৃনা দ্বারা। যে আলেমদের কথা বললেন উনারা যদি সত্যিকার অর্থেই আলেম হতেন তবে অবশ্যই সরকারের অনেক পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানাতেন। কিন্তুু তারা তা করেন নি। আর তিনি কিভাবে শোলাকিয়া ময়দানের ঈমাম হয়েছেন তা সবাই জানে। এই পদ সরকার থেকে পাওয়া উপহার মাত্র। আসল ইমামকে সরিয়ে মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে যোগ্যতা ছাড়াই সরকারের আদেশে তিনি ইমামতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আর এখন তার ঋন শোধরচ্ছেন মাত্র। নিজে ইসলামী ব্যাঙ্কে একাউন্ট করে মানুষকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখতে নিষেধ করেন। কতটুকু ভন্ড উনি তা আর বলে দেয়া লাগে না। বর্তমান হাক্কানী আলেমগন এইসব নিম্নমানের আলেম আর সরকারের গোলামদের সাথে যথাসম্ভব দুরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন বলেই সব বিষয়ে নাক গলান না. আর জানেন যে এই সরকার তাদের মতামতের বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিবেনা। সুতরাং আপনি যাদের আলেম বলছেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ ই তাদেরকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। এরা নিজের বিভ্রান্ত, মানুষকে ও বিভ্রান্ত করতে চায়।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আমার মনে হয় না আপনি সত্যের পক্ষে কথা বলছেন। এক লক্ষ আলেমের নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি এসব কি কথা বলছেন! এখানে মনে রাখতে হবে- 'এক লক্ষ আলেম'.... 'এক লক্ষ সাধারণ মুসলিম' নয়।

এক লক্ষ সাধারণ মুসলিমের নেতৃত্ব দানকারী বিপথগামী হতে পারে। এমন অনেক রাজাই মুসলিমদের ইতিহাসে আছে। কিন্তু, এক লক্ষ আলেমের নেতৃত্ব দানকারীর বিপথগামী হওয়ার ইতিহাস ইসলামে নেই।

আর, মুসলমানদের সরকারদের সাথে ছিলেন, তাঁদের সেবা নিয়েছেন, এমন অনেক বড় বড় আলেমই ইসলামের ইতিহাসে ছিলেন। ইমাম কাজী আবু ইউসুফ (রহঃ)-এর নাম শুনেছেন? হযরত আবু হানিফা (রহঃ)-এর সবচেয়ে জ্ঞানবান এই ছাত্রটির ইতিহাস পড়ে দেখুন। উনার জীবনী বাংলাদেশের বইয়ের বাজারেই পাবেন। ইন্টারনেটেও পেতে পারেন। উনার জীবনী পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে উনি মুসলিম খলিফাদের সাথে থেকে থেকে কিভাবে উনাদের বিপথগামীতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

মুসলমানদের ইতিহাস পড়ার আহবান থাকলো আপনার প্রতি।

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:১৬

সাদিকনাফ বলেছেন: সেইসকল যুগশ্রেষ্ঠ খলিফা আর আমিরুল মুমিনুন গনের সাথে বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের তুলনা! আমার আসলেই বলার কিছু নেই..

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
মুসলমানদের অতীত সরকারের সাথে বর্তমান সরকারের তুলনা হতেই পারে, অবাক হওয়ার কি আছে!

সেই শাসকরাও মুসলিম ছিলেন, এখনকার শাসকরাও মুসলিম। তখনকার জনগণ মুসলিম ছিলেন, এখনকার জনগণও মুসলিম। তখনকার শাসক-রা বংশীয় শাসনে বিশ্বাসী ছিলেন (যেমন- আব্বাসী বা উসমানী খেলাফত), এখনকার শাসকরাও তা-ই করছেন (যেমন বঙ্গবন্ধু বা প্রেসিডেন্ট জিয়ার পর উনাদের মেয়ে বা স্ত্রী)।

বরং, একদিক দিয়ে তখনার শাসকরা এখনকার চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন। সেইটা হলো সরকার নির্বাচন পদ্ধতি। উনারা জনগণের মতামত ছাড়াই খলিফা হয়ে যেতেন। আর, এখনকার সরকার জনগণের মতামত নিয়ে ক্ষমতায় যান। এদিক দিয়ে বর্তমান সরকার-রা কি ইসলামের নীতি বেশি মানছেন না ঐ খলিফাদের চেয়ে?

আর, খোলাফায়ে রাশেদার পর যেসব খলিফা এসেছিলেন, তাঁরা তো অনেক পাপাচারে লিপ্ত ছিলেন।

আসলে আমার কথার উদ্দেশ্য কিন্তু এটা না।

আমার কথা ছিলো, একজন আলেম মুসলমানদের সরকার (যারা মুসলিম) তাঁদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারেন কিনা। হযরত আবু হানিফা (রহঃ) নেননি বলে অন্য কেঊ নিবেনা, তা তো নয়! ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) তো নিয়েছিলেন। উনাকে অনুসরণ করে যদি এখনকার কোন আলে্ম যদি সরকারের নিকটবর্তী হোন, তাতে আপত্তিটা কোথায়?! এমন নয় যে, এখনকার সরকার অমুসলিম।

এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন উম্মে হাবিবাহ-কে বিয়ে করেন, তখন আবিসিনিয়ার রাজা নেগাস রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর হয়ে ৪০০ দিনার মোহরানা উম্মে হাবিবাহ-কে দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.