নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার আছে অনেক কিছু, শিক্ষা নিবে কতজন?

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition)

সবার জন্যে শিক্ষা। আমার জন্যে তো বটেই। নিজে আগে শিক্ষা নিয়ে আরেকজনের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়া...এটাই থাকবে আমার লেখাগুলোর উদ্দেশ্য।

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞানী\'র আলো যবে নেয় স্বপ্নিল কোন আকার, সবুজেরা জেগে উঠে দূর করে সব অন্ধকার!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯


যারা জ্ঞানী আর যারা জ্ঞানহীন, তারা কি সমান হতে পারে? জ্ঞানীদের মর্যাদা কতই না উচ্চে! জ্ঞানের মর্যাদা এতোই অসামান্য যে তা অমর্যাদাকর স্থানে অবস্থা্নকারীদেরও রাজা-বাদশাহদের স্থানে বসিয়ে দিতে পারে। প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সচেষ্ট থাকে বলে সমাজের মানুষও তাদের দ্বারস্থ হয়, তাঁদের দেওয়া উপদেশ শিরোধার্য করে। জ্ঞানী মানুষেরা এতোটা সম্মানের অধিকারী এবং তাঁদের জ্ঞান এতোটাই প্রয়োজনীয় যে, পুরো একটি গোষ্ঠীর মৃত্যু একজন জ্ঞানীর মৃত্যুর চেয়ে কম ক্ষতিকর। তাই তো জ্ঞানীদের কলমের কালির সাথে শহীদের রক্তের তুলনা করা হয়েছে। শেষ বিচারের দিন জ্ঞানীরা শহীদদের অগ্রে স্থান পাবেন।

যারা জ্ঞানী তাঁদেরকে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করেন। জ্ঞানী সেই দুই শ্রেণীর মানুষের মাঝে একজন যিনি বিপথে গেলে সাধারণ মানুষও বিপথে চলে যায়। তাই তো, জ্ঞানীদের জ্ঞান এতোটাই মূল্যবান। তাঁদের মূল্য এতোটাই বেশি যে এমনকি তাঁরা প্রার্থনাকারীদের চেয়েও উপরের স্তরের মানুষ। কারণ, জ্ঞান ছাড়া প্রার্থনা গ্রহণযোগ্যতা পায় না।

জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক রাখা সাধারণ মানুষের জন্যে খুবই জরুরী। তা শুধু তাঁদের জ্ঞানের আলো থেকে উপকৃত হবার জন্যে নয়। এর আসল কারণ, জ্ঞানী ব্যক্তিরা শেষ বিচারের দিন সৃষ্টিকর্তার কাছে সুপারিশ করার ক্ষমতা পাবেন। নিজের জ্ঞানের ক্ষমতা বলেই একজন জ্ঞানী সমগ্র মানবজাতির শত্রু শয়তানকে পরাভূত করার ব্যাপারে হাজার প্রার্থনাকারীর চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান। শুধু তা-ই নয়, ইতিহাস বলে নিজের জ্ঞানের চাদরে সওয়ার হয়ে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বাদশাহদেরও শাসক হয়ে যেতে সক্ষম হোন।

আগের কালে এমন একটা সময় গিয়েছে যখন জ্ঞানীর সংখ্যা বেশি ছিলো এবং বক্তার সংখ্যা কম ছিলো। অথচ, আজ আমাদের এমন একটা সময় যাচ্ছে যখন জ্ঞানীদের চেয়ে বক্তার সংখ্যা বেশি। তাই তো, প্রকৃত জ্ঞানীরা সব সময়ই কম কথায় আগ্রহী।

কি জ্ঞান সর্বাপেক্ষা উত্তমঃ
জ্ঞানীর প্রকৃত সম্মান পেতে এটা জানা খুব জরুরী যে কি ধরণের জ্ঞান মানুষকে সেই উচ্চ মর্যাদায় আসীন করে। কি সেই জ্ঞান যা আহরণ করলে আমরা শহীদদের চেয়েও উচ্চ আসনে আসীন হতে পারবো?

সে জ্ঞান হচ্ছে এমন জ্ঞান যা আমাদের সৃষ্টিকর্তার স্বরূপ সম্পর্কে জ্ঞাত করে।

এ জ্ঞান কি সবার জন্যে?
একমাত্র জ্ঞানী মাত্রই জানেন, সবার জন্যে সব জ্ঞান নয়। যারা যোগ্য নয়, তাদেরকে সেই জ্ঞানের কথা শোনানোর ব্যাপারে মানা আছে। যে ব্যক্তি অযোগ্যদের জ্ঞানের কথা বলে, সে মূর্খ। যার যে জ্ঞান শোনার বা বুঝার ক্ষমতা নেই, তাকে সে জ্ঞান দেওয়া সেই লোকের জন্যে বিপদ ডেকে আনারই নামান্তর। পক্ষান্তরে, যারা যোগ্য, তাঁদের কাছ থাকে জ্ঞান লুকিয়ে রাখা অন্যায়।

সেজন্যে, জ্ঞান বিতরণের আগে শ্রোতার যোগ্যতা নিরূপণ করা খুব জরুরী।

[ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)-এর এহইয়াউ উলুমিদ্দীন অবলম্বনে]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট টি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২২

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.