নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইডা আমার প্রেমের গন্প হইতে পারতো

২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৯



কর্ম জীবনের শুরুতে আমি প্রথম যে অফিসে জব নিছিলাম
সেই অফিসের মালিকের ভাগ্নি আমার প্রেমে পরছিলো ।
সেও আমার সাথে কাজ করতো ।
মাইয়াডা স্বভাবে আচার আচরণে ভালই ছিল ।
আমরা একসাথে মার্কেটিং এর কামে যাইতাম ;
রিকশা পাইতা ঢাকা শহরে অফিসে অফিসে ঘুইরা বেড়াইতাম
সে আমার টিমে কাজ করতো
আমরা দুইজন মিল্লা একটা টিম ছিলাম -
সে বিভিন্ন অফিসের বসদের সাথে কথা কইয়া এ্যপোয়ন্টমেন্ট সেট করতো;
আমি তার সাথে যাইতাম টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসাবে,
সে আইটির কিছু জানতো না ;
আমি তারে শিখাইতাম ;
যা বলতাম তাই মনোযোগ দিয়া শুনতো ।
তবে সে অনেক সুন্দর কইরা কথা কইতে পারতো,
এইডা অনেক কামে লাগত আমরা ব্যবসা পাইতাম ;
বিভিন্ন অফিসের বসেরা তার কথায় সহজেই পইটা গিয়া
আমাগো ব্যবসা দিতো;
তার কারিশমায় আমার টিমের সুনাম হইতো ;
বেতনের সাথে সাথে আমি বেশি বেশি কমিশন পাইতাম ;
সে কমিশন নিতো না; বেতন ও নিতো না;
শুধু শুধু বেগার খাটতো ।
তার টাকা পয়সার তেমন দরকারও ছিলো না ।
হাত খরচা যা লাগতো তা নাকি তার বাবা,মামারাই দিতো ।
তারা অনেক বড় লোক ছিলো;
সেও অনেক ভাল মেয়ে ছিলো ।

তার গায়ের রং ছিল খুব ফরসা একটু
কমলা কমলা আভা ছিল;
হাসলে তারে ক্যামন মডেল কন্যা, মডেল কন্যা
মনে হইতো;
সে আমার মতো লাল রং খুব পছন্দ করতো ;
অথবা লাল রং আমার পছন্দ জানতে পাইরা
প্রায় রোজই সেই রং এর লিপিষ্টিক ঠোটে পরতো ;
অথবা লাল কনট্যাস্টের সাথে মিল রাইখা জামা কাপড় পরতো ;
তার দিকে তাকাইলে সহজে চোখ ফেরানো যাইতো না ;
চোখ বন্ধ কইরাও তারে রুপসী বলা যাইতো ।
আমি তার দিকে তাকাইতাম না ;
চাইনিজ-জাপানিজ গো মতো চোখ নিচু কইরা
কথা কইতাম ।
তাতে তার পায়ের সৌন্দর্য আমার চোখে
ধরা পরতো ।
সব দিক থাইকাই মহাযন্ত্রনা ছিলো ।

রিসিপশনিষ্ট মাইয়াডার সাথে তার খুব ভাব হইছিল
সে মালিক পক্ষের হইলেও সবার সাথে খুব সহজভাবেই মিশতো;
মেশামেশির ব্যাপারে তার কোন বাচ বিচার ছিল না ;
রিসিপশনিষ্ট মাইয়াডার সাথে সে খুব মিশতো ;
তারা মনে হয় "সই" হইছিলো-
তারা মনের সুখে, মনের কথা বিনিময় করতো
আমি সেইডা বুঝতে পারতাম ;
রিসিপশনিষ্ট মাইয়াডা খুব কৌশলে
আমার কাছ থাইকা কথা বাইর করতে চাইতো ;
জানতে চাইতো আমার সবকিছু ;
আমি তারে পাত্তা দিতাম না ।
তারে আমি রিসিপশনিষ্ট হিসাবেই
দেখতাম ।

মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থাইকা যারা আসে
বংশানুক্রমে তাদের নাক একটু উঁচা হয়;
আমারও বংশানুক্রমে নাক উঁচা ছিল ,
মেশা মিশির ব্যাপারে আমি বাচ বিচার করতাম;
এখনও করি ।
তখনও সবার সাথে মিশতাম না ;
এখনও মিশি না ।
তখনও সবাইরে পাত্তা দিতাম না;
এখনও দেই না ।

সে তার ছোট মামার সাথেও আমারে নিয়া কথা কইতো
ছোট মামার সাথেও সে তার মনের কথা শেয়ার করতো;
এই কথা তার ছোট মামাও আমারে বহুবার কইছে ;
ছোট মামাও তার সাথে বন্ধুর মতো মিশতো
এই আকালের দিনেও
তারা বেশ ভাল বন্ধু ছিলো ।

তার ছোট মামা অফিসে আমার বস ছিলো;
আমারে বেশ খাতির করতো ;
আমার কাজের প্রশংসা করতো;
সামান্য কর্মচারী থেইকা আমারে কোম্পানির ডাইরেকটর বানাইছিলো ;
আমি কিন্তু কাজ ছাড়া অন্য কোনদিকে মন দিতাম না ;
কারণ সেইডা আমার জীবনের প্রথম জব ছিলো-
আমি চাইছিলাম, চাকরিডা করতে -
অফিস বাসা, পড়া শোনা এই ছিল আমার রুটিন ;
এর বাইরে আমি যাইতে পারতাম না,
যাওন ঠিক ও হইতো না ।

একবার আমরা আমাদের মালিকের দেওয়া পার্টিতে
শেরাটন হোটেলে গেছিলাম ;
সেইবার ই আমি প্রথম শেরাটনে খাইছিলাম
কি বিস্তর খাওয়া দাওয়া ছিল সেই পার্টিতে ;
কি ছিল না সেইখানে !
আলুর দম থাইকা শুরু কইরা বুনো হাসের গোস্ত;
বড় বড় ট্রেতে কইরা সাজানো ছিল ;
যে যার ইচ্ছা মতো নানান পদের খাবার গিলতে ছিল;
এতো দামী খাবার খেতে হয় না ;
শেষ হওয়ার ভয়ে গিলতে হয় ।
কারণ এই ধরনের খাবার সেই পার্টিতে উপস্থিত
আমার মতো অনেকের কাছেই
প্রথ্থম ছিল ।

অফিস থেইকা সিএনজি কইরা আমি আর সে
একসাথে শেরাটন গেছিলাম;
সে সব সময় আমার আশে পাশেই ঘুরঘুর করতো ;
পার্টিতেও সে আমার পাশে খেতে বইসা
আমার ঘারের কাছে মুখে আইন্না ফিস ফিস কইরা
নানান কথা কইতে ছিলো ;
যা দরকার তাও কইতে ছিলো আবার যা দরকার নাই
তাও কইতে ছিলো;
তবে কি সব কইতে ছিলো তা এতোদিন পরে আমার মনে নাই;
কথার ফাকে ফাকে সে আমার প্লেটে খাবারও
তুইলা দিতেছিল ;
আমি চুড়ান্ত অসুস্তি'র মধ্যে ছিলাম ;
অসুস্তি নিয়া খাইতে পারতে ছিলাম না,
কিন্তু এমন ভাব করতেছিলাম যে,
তারে আমি কেয়ারই করি না;
তার এই খাতির যত্নে আমার কিচ্ছু যায় আসে না ;
অথবা এই সব খাতির যত্ন পাইতে আমি অভ্যস্ত ।
অন্যরা সেইটা দেইখাও না দেখার ভান করতো ;
অথবা তারা খেয়ালই করতো না ;
কিংবা তারা দেইখাও ইচ্ছা কইরাই না দেখার অভিনয় কইরা থাকতো ;
কারণ সে মালিকের ভাগ্নি ছিলো ।
সে তার মামাদের সাথে খুব আল্হাদ কইরা কথা কইতো ;
মামারাও তারে খুব আদর করতো ।
তার মামারা খুব পাওয়ারফুল ছিলো ।
দুইজন মন্ত্রী সেইদিন তারা মামার সাথে দেখা করার
জন্য লাইন দিয়া ছিল ।
এইডা আমি নিজ চোখে দেখছি ।

মালিকের বাংলাদেশি পার্টনার যিনি
তিনিই পুরো ব্যবসা দেখাশুনা করতো ;
মূলত তিনিই আমার বস ছিল ;
তিনিও আমারে খুব স্নেহ করতেন ;
আমি তার সাথে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মিশতাম ।
তবে তিনি কিন্তু খুব শেয়ানা পাবলিক ছিল ;
ক বলতে শুধু কলিকাত্তা না বুইজা সাথে ক্যামেরুন ও বুইজা রাখতেন
পরে যদি কামে লাগে;
তাই তিনি সবই অনুমান করতে পারতেন ।
পরে আমারে তা বহুবার কইছেন ;
পার্টনারে পার্টনারে ঝগড়া হইয়া ব্যবসা আলাদা হইয়া গেলে
আমি ওনার সাইডই নিছিলাম ।

প্রায়ই তিনি ব্যাপারটা নিয়া মজা করতেন ;
সবার সামনে বলে উঠতেন, সাখাওয়াত যে প্রেম করতো
মেয়েটার নাম জানি কি ?
এইডা তিনি মজা করার জন্যই কইতেন
অথবা আমারে আদর করে কইতেন ।
অথবা এইডা কইয়া অন্যকোন ম্যাসেজ দিতেন ।
আমি কিন্তু তা হেসে উড়াইয়া দিতাম;
তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতোই ছিলেন ।
আমারে অনেক স্নেহ যে করতেন ।

অফিসের সবার সাথে সেইবার আমরা ফ্যান্টাসি কিংডমে গেছিলাম
ফ্যান্টাসি কিংডম সবে মাত্র তখন বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা শুরু করছে ;
সব রাইড তখনও চালু হয় নাই -
আমি যামু না কইতেই সেই মাইয়া কি যে মন খারাপ করছিলো;
গাল ফুলাইয়া কইছিল, আপনে না গেলে আমিও যাবো না ।
সে খুব শুদ্ধ কইরা কথা কইত
হাসলে তার গালে টোলও পরত;
দেখতো ভাল লাগতো ;
আমি তবুও এইসব পাত্তা দিতাম না
বা পাত্তা দেওয়া সম্ভব ছিল না ।
আমি তার দিকে তাকাইতে পারতাম না;
হয়তো তাকানো ঠিক ও হইত না ;

কি যে মজা হইছিলো ফ্যান্টাসি কিংডমে
সবগুলা রাইডে সেই মাইয়া আমার পাশে বইসা ছিলো
অন্যরা আমাদের এই ব্যাপারডা নিয়া মাথাই ঘামাইত না
মনে হয় সবাই ব্যাপারডা স্বাভাবিক ভাবেই নিছিল,
অথবা মালিকের ভাগ্নি দেইখা কিছু বলার সাহস করতো না ।
অথবা তারা এইডা খেয়ালই করতো না ।

সেই মাইয়া হুট কইরা একদিন জাপান চইলা গেল ;
জাপান-আমেরিকা যাওন তাগো লাইগা পান্তা ভাত ছিলো ।
তার মামারাতো জাপান আমেরিকা কইরা বেড়াইতো ।
আমরা মধ্যবিত্তরা এইসব দেখতাম আর রাইতে বিছনায়
শুইয়া খেতা ছিড়তাম ।
যাওনের সময়ও তার সে কি মন খারাপ ;
সে নিজ থেইকাই কইতো জাপানে পৌছে প্রতিদিন ফোন দিবে,
আমার খোজ, খবর নিবে আরো কতো
কতো কথা যে সে কইতো !
আমার সব মনে নাই ।
তাও তো অনেক বছর হইলো ।

তার হুট কইরা জাপান যাওনে
আমার কিন্তু মন খারাপ হইলো না;
আমি কিন্তু তার জাপানে যাওনে মোটেও কষ্ট পাইতেছিলাম না ;
কিংবা কষ্ট পাইলেও সে সময় বুঝতে পারি নাই
সে তার কথা রাখছিল -
জাপান থেইকা সে প্রায় প্রতিদিন ফোন কইরা
অফিসের সবার সাথে কথা কইতো ;
আমারে বিশেষ ভাবে কথা কইতে চাইতো ;
আমাদের মধ্যে হায়, হ্যালো কথা হইতো ;
বিশেষ কোন কথা হইতো না ;
সে হয়তো বিশেষ কিছু শুনতে চাইতো ;
কিন্তু তারে কওনের মতো আমার কোন বিশেষ কথা ছিলো না ।
ফোনে আমারে না পাইলে রিসিপসনিষ্ট মাইয়াডা কাছ থেইকা সে আমার খবর নিতো;
রিসিপসনিষ্ট মাইয়াডা তার "চর" হিসাবে সেই সময় কাজ পাইছিলো;
অফিসে কবে, কে, কি কি করতাছে , কি কি বলতাছে ইত্যাদি ইত্যাদি
সে তারে সব জানাইতো ।
মাঝে মাঝে রিসিপসনিষ্ট মাইয়াডা তার সীমা লঙ্গন করতো
আমার কোন কিছু তারে কইতে হইবো কি না তা সে
আমার কাছে জানতে চাইতো ;
আমি বিরক্ত হইতাম ; ধমক দিতাম ।
অথবা চুপ কইরা থাকতাম ।

আমি তো তখন তারে নিয়া ভাবতাম না,
আমি তো তখন তারে নিয়া কোন বদ চিন্তা করতাম না
তবে সে যে তখন আমার প্রেমে পরছিলো
তা অফিসের মোটামুটি সবাই জানতো ;
কেউ প্রেমে পরলে, "নি:শব্দের ভেতরেও যে শব্দ হয়
তা আশে পাশের অনেকেই শুনতে পায় " ।

তিন মাসের ভেতর সে আবার দেশে আইল;
কেন আইলো ?
কি জন্য আইলো ?
কিছু বুঝা গেল না ।

সে যেদিন আইলো আমরা মানে,
অফিসের সবাই মিল্লা সেইদিন রাত্রেই গুলশানে একটা হোটেলে খাইতে গেছিলাম
সে ও গেছিলো তার মামার সাথে ;
সেইদিন তার মন খুব খারাপ ছিল -
কারণ সে তখন জানতো আমি তারে ভালবাসি না;
আমি তার হতে পারবো না;
সেইদিন আমি তার দিকে তাকাইতে পারছিলাম না,
সেও আমার দিকে তাকাইতে ছিল না ;
কেউ আর সেইবার আমার প্লেটে খাবার তুইলা দেয় নাই
পাশে বইসা ফিসফাস কইরা নিচু গলায় কথা কয় নাই
সেইবার আমি তার মামার পাশে বইসা ব্যবসা নিয়া
খুব বড় বড় কথা কইতে ছিলাম ।

আমি কিন্তু সেইদিনও কিছু খাইতে পারি নাই ;
প্লেটে খাওন নিয়া কাটা চামচ দিয়া নাড়াচাড় করছিলাম শুধু ।
এরপর আরেকবার ধানমন্ডিতে একটা হোটেলে তার সঙ্গে আমার
দেখা হইছিল - সে তখন আমারে দেইখাও না দেখার ভান কইরা আছিলো
আমিও তারে কিছু জিজ্ঞাস করি নাই;
তবুও ক্যান যেন আমার মনে হইছিল;
শুধুমাত্র আমারে দেখার জন্যই সে সেইবার ধানমন্ডির সেই
হোটেলে আইছিলো ;
আমি কিন্তু তারে দেখার জন্য সেই হোটেলে যাই নাই ।
আমি তারে দেখার জন্য
তার কথা শোনার জন্য
তার কথা বোঝার জন্য কোথ্থাও যাই নাই ।
আমি শুধু আমারে নিয়া ছিলাম
আমি শুধু আমার ভেতরে ছিলাম
আমি শুধু আমারটাই চিন্তা করছিলাম ।
আমি সেইবার সেখানে গেছিলাম শুধুই খাইতে আর পার্টিতে আড্ডা দিতে
কারণ তখন আমার সাথে আমার ছেলে আর বউ ছিলো
এরপর তার সাথে আমার আর কোনদিন দেখা হয় নাই ;
এর পর রিসিপসনিষ্ট মাইয়াডা আমার সাথে আর সীমা লঙ্গন কইরা
কথা কয় নাই, হাসেও নাই;
আমিও তার সাথে কথা কই নাই;
হাসিও নাই ।

শুনেছি এর পর সে আর বাংলাদেশে আসে নাই ,
জাপানেই বিয়া সাদি করছে ;
আজ সকালে বন্ধ শেরাটন হোটেলের পাশ দিয়া আসার সময়
তার কথা ক্যান যেন খুব মনে হইতাছে ....
কে জানে,
তার সাথে আমার কি সম্পর্ক ছিলো ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

এ আর উৎপল বলেছেন: জীবন কি শেষ? পরে ও ত হইতে পারে

২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: না , যা হবার নয় তা কখনই হয় না .......

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আফনে একটা স্বার্থপর মানুষ।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আমি একজ স্বার্থপর মানুষ ই বটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.