নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেধাহীন কারা আন্দোলনকারীরা না মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তরা ?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

যে কোন চাকরীতে আবেদন করার আগে সেই চাকরির চাহিদা মোতাবেক যোগ্যতা অর্জন করতে হয় । তারপর আবেদন এর প্রশ্ন আসে । চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাবার পরেই আসে কোটার বিষয়টা। অনেকে দেখি ফেবুতে পোষ্ট দিচ্ছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারীরা মেধাহীন, বলদ আরো অনেক কিছু আর বাকি সবাই মেধায় টইটুম্বুর।
কি হাস্যকর তাই না । বাংলাদেশে এমন সব নিয়োগ হয় যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা থাকার পরেও আবেদনকারী কেউ নেই । সেখানে নির্বাচিত তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হয় । কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে ধরে এনে চাকরী দেওয়া হয় না ।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরাও সেই একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে যেখানে অন্য সবাই করে। এমন তো নয় যে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করে গাছতলায় আর বাকিরা সবাই অক্সফোর্ডে ? এমন শত শত মেধাবী মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান আছে যারা তাদের মেধার যোগ্যতায় বিশ্বের এমন সব জায়গায় চাকরী করছে যে তাদের দরজার সামনে গিয়ে দাড়াবারও যোগ্যতাও অনেকের নেই । আমারও না ।
কেউ কি এমন একজন বিসিএস পাশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখাতে পারবেন যে কিনা সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছে ? পারবেন না ।
কারণ বিসিএস পরীক্ষায় এমন কোন কোটায় নিয়োগ হয় না । নিয়োগ পেতে হলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে সবার সাথে ধাপে ধাপে পাশ করে আসতে হবে । একেবারে শেষে গিয়ে মানে চুড়ান্ত পর্যায়ে সবাই যখন ইকুয়াল থাকবে তখন কোটার বিষয়টা আসবে ।
তাহলে এই যে ধাপে ধাপে তারা সকল পরীক্ষাথির সাথে পরীক্ষা দিয়ে প্রতিযোগিতা করে টিকে আসলো তারা কি করে মেধাহীন হয়ে গেলো ?
তাই্ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের যারা মেধাহীন এসব বলছে বা ছড়াচ্ছে তাদের মেধার দৌড় তো এখানেই বোঝা যায় । কারণ যা নিয়ে আন্দোল করছে, সেটা কি সেটাই জানে না । কিছু বলতে গেলে, অসভ্য ভাষায় গালাগালি করে জিতে যেতে চাচ্ছে । আরে ভায়েরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরাও এদেশের সন্তান তারাও গালাগালি জানে কিন্তু দেয় না । কারণ তাদের পরিবার দরিদ্র আর পিছিয়ে পরা হয়েও প্রকৃত শিক্ষাটা তাদের দিয়েছে । আন্দোলন করতে হয় একশো বার করবেন, কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিয়ে , গালি দিয়ে আগুন দিয়ে কেন ?
পরিশেষে বলবো, অন্যকে সম্মান দিতে শিখতে হবে । সবাই কিন্তু এক না । অন্যকে সম্মান না দিলে অন্যেও সম্মান দেবে না এটাই স্বাভাবিক । এটা ভুলে যাওয়া ঠিক না, রক্ত কিন্তু কথা বলে । সেটা রাজাকারের হোক আর মুক্তিযোদ্ধারই হোক । কথা সে বলবেই । মাইন্ড ইট ...

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

কাউয়ার জাত বলেছেন:

এই যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা গালাগালি দেয় না। গুণ্ডামী করে।

আরে ভাই ক্ষমতার যেমন স্বাদ আছে। তাই ক্ষমতা থেকে কেউ সহজে নামতে চায়না। তেমনি কোটারও একটা স্বাদ আছে। খুবই মিষ্টি। তাই আপনারা নিজেদের মেধাবী দাবী করলেও অন্যান্য মেধাবীদের সাথে লেভেল ফিল্ডে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান না। নানার বন্দুক দেখাইয়া নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: নিয়োগ প্রক্রিয়াটা আগে জানুন প্লিজ । ভাংচুর জ্বালাও পোড়াও এর হাজারটা ছবি দিয়ে আমি ও বলতে পারি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড । তাতে তো জ্ঞান বাড়বে না । নিয়মটা জানতে হবে । ধন্যবাদ

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আমি নিয়োগ প্রক্রিয়া জানি না? ঘাস খেয়ে ব্লগিং করি?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: "তেমনি কোটারও একটা স্বাদ আছে। খুবই মিষ্টি। তাই আপনারা নিজেদের মেধাবী দাবী করলেও অন্যান্য মেধাবীদের সাথে লেভেল ফিল্ডে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান না। "তাহলে তো এই প্রশ্নটা করতেন না ।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: ধারণা করি, প্রতি বছর ২-৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করে। হয়তো আরো কম। তাহলে ২-৫% এর জন্য ৩০% বরাদ্ধ কি যৌক্তিক? আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার প্রশ্ন রয়েছে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। কিন্তু সময়পযোগী কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আর বয়সের বৈষম্য কেন?

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মতিয়া বানুর ভাষায়, আন্দোলনকারীরা রাজাকার। অতএব রাজাকাররা মেধাবী হতেই পারেনা। বাংলাদেশে যার গলা যত চড়া, যার হাত যত লম্ববা, যার কোটা যত শক্ত সেই মেধাবী।



আমার ব্লগে স্বাগতম।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বাংলাদেশে যার গলা যত চড়া তার হাত তত লম্বা, যার কোটা যত শক্ত সেই তত মেধাবীও বটে। হা হা হা ......।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা বলছে, কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি, অথচ তাদের নিয়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্য আর কোটা বাণিজ্য থেমে নেই। ৪৭ বছর অনেক লম্বা সময়। আর কতদিন কোটার পক্ষে থাকবেন?

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

আমার কণ্ঠ বলেছেন: Eke bare e ses porjay e jokon deebe, thokon kota deeeaar dorkar ki ?? abal marka kotha batra.
Ar e vai ami nijei vukto vugi ei kothar... apni ki bujai ben.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.