নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন পিয়ন, একজন ড্রাইভার, একজন রিকশা চালকের চেয়েও একজন শিক্ষকের মাসিক আয় কম।

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৪

একজন পিয়ন, একজন ড্রাইভার, একজন রিকশা চালকের চেয়েও একজন শিক্ষকের মাসিক আয় কম। তার উপরে প্রায় এক বছর যাবত বেতন বন্ধ। অনেকে পেশা পালটে ফেলেছেন, অনেকে পুঁজি ভেঙ্গে খেয়ে, ধার দেনা করে যুদ্ধটা চালিয়ে যাচ্ছেন ভাবা যায়? অথচ এই শিক্ষকেরাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আলোর পথ দেখাচ্ছে।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেবার তারিখ পেছাতে পারে। যদি রোজাকে বিবেচনায় আনি তাহলে বন্ধ রাখাটাই যুক্তিযুক্ত। এই দেশে এখন আর কোন সিদ্ধান্ত বিবেচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয় না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় চাটাচাটির ভিত্তিতে।

যারা সৎভাবে কোন কিছু কর‍্তে চায় তাদের হয় প্রমোশন দেওয়া হয়না, না হয় শাস্তি দেওয়া হয়। ভেজাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে প্রমোশন দেওয়া হয় নাই। আড়ং এর মতো প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে তাকে রাতারাতি বদলি করা হয়েছিলো। এবার বঞ্চিত করা হলো প্রমোশন থেকেও।

রেলওয়ে যোগদিয়ে প্রশাসনকে দুর্নীতি মুক্ত করার কথা বলায় অন্যজনকে শাস্তি দেওয়া হয়। ওএসডি করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর আর কার বুকের পাটা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার।

বঙ্গবন্ধুর ভাষায় যদি বলি, তাহলে বলতে হয়, সব দখল করে নিয়েছে চাটার দল। এই দেশে এখন ভাল কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করার অর্থ হচ্ছে,দুর্নীতিবাজদের চক্ষুশূল হওয়া।

জনগণ ও এখন লেজ গুটিয়ে থাকে। সবাই চায় অন্য বলুক অন্য করুক আমি না বাবা। আমি শুধু বসে বসে মোয়া খাবো।

যা বলতে চাচ্ছিলাম, "শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষকেরা তাহলে সেই মেরুদণ্ড তৈরি করার কারিগর।"

বিশ্ব ব্যাপী করোনা পরিস্থিতি বিরাজ করার পর বাংলাদেশের শিক্ষকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থা খুবই করুন।

এমনিতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেওয়ার ফলে, মালিক পক্ষ শিক্ষকদের নামমাত্র বেতন, ভাতা দিয়ে নিজেদের লাভটাই বুঝে নিয়েছেন সবসময়।

শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশনি দিয়ে জীবন জীবিকার সংগ্রাম চালিয়ে গেলেও করোনাকালিন সময় সেসবও বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কোন স্কুল হাফ বেতন দিলেও অনেক স্কুলই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর হয়েও দিনমজুরের চেয়েও করুন জীবন যাপন করছে।

সরকার তাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। অথচ দেশের শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে ৯৫% ভাগ বেসরকারি শিক্ষকদের অবদান। তারাই কিনা সব দিক থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়তে লড়তে তাদের এখন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নিয়ে আত্মহত্যা করাটাই বাকি।

এই দেশের জনগণের টাকায় শিক্ষক এবং কৃষকদের অধিকার সব চেয়ে বেশি হওয়ার কথা । সরকারের উচিত বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ও কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া। প্রয়োজনে তাদের সরকারী কোষাগার থেকে বিশেষ সর্তে লোণ এর ব্যবস্থা করা।

হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যায় পাচার হয়ে যায় অথচ দেশের শিক্ষকেরা কৃষকেরা থাকেনা না খেয়ে আধা পেটে।

একজন পিয়ন, একজন ড্রাইভার, একজন রিকশা চালকের চেয়ে ও একজন শিক্ষকের মাসিক আয় অনেক কম। অথচ এই শিক্ষকেরাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আলোর পথ দেখাচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষকদের উচিত নিজেদের দাবী দাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রনালয়ে দাবী দাওয়া পেশ করা। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে বন্ধ রেখে সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া।

শিক্ষকদের বঞ্চিত করে যে জাতি তৈরি হচ্ছে,তারা চাটার দল ছাড়া আর কিছু ই হবে না। তাদের দিয়ে শুধু দুনীতিই হবে দেশের উন্নতি হবে না।

জাতিকে উন্নত করতে চাইলে শিক্ষকদের প্রাপ্য তাদের বুঝিয়ে দিন। দশ বছরের অধিক চালু থাকা স্কুলগুলোকে সরকারি করে নেওয়া।

সাখাওয়াত বাবনের ব্লগ থেকে
১৩.০৩.২১

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: আমি একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করি। করোনার আগে আমার বেতন ছিল তিন হাজার টাকা। আর এখন ৭৮০/= টাকা।

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার অবস্থা বুঝতে পারছি ভাই । আপনার জন্য সমবেদনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



শিক্ষকদের মনোভাব রিকসা ড্রাইবার থেকে সমান্য নীচু ধরণের; ওরা গরীবের ছেলেেয়েদের পড়ানোর পক্ষে ছিলো না কোনদিন।

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এটা কি বললেন ? আপনার কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য আশা করি না ।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: করোনার আগে স্কুলে ২৫০ জন ছাত্র / ছাত্রী ছিলো এখন আছে ১২০ জন। স্কুল কতৃপক্ষ স্কুল চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। বাড়ি ভাড়া, কারেন্ট বিল,পানির বিল,ইন্টারনেট খরচ, সুইপার, আয়া,সহ আরো অনেক খরচ সামলিয়ে আমাদের বেতন এমন একটা অবস্থানে এসেছে। পড়াতে ভালো লাগে বাচ্চাদের সাথে থাকতে ভালো লাগে তাই এই পেশায় রয়ে গেছি।

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মালিক পক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছে দুনীতিবাজেরা হাজার কোটি টাকার বই বিক্রি করে ধনী হচ্ছে গবির অসহায় হয়ে থাকছেন শুধু শিক্ষকেরা ।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সাল থেকে খবর নেন, কোন শিক্ষক কোন গরীবের বাচ্চাকে স্কুলে নেয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন, নাকি সরকারের উপর চাপ দিয়েছেন! এরা নিজের বাচ্চাকে পড়ালেখা করায়েছে, আর টিউটোরিং করেছে।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার তথ্যগত ভুল আছে । যদি এমনটা হতো তাহলে কৃষক দিন মুজুরের ছেলে বিসিএস ক্যাডার হতো না ।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাইরে আমার স্ত্রীও শিক্ষকতা করে । কী আর বলবো

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রতিবাদ করুণ । লিখুন নিজেদের অসুবিধা তুলে ধরুণ ।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৫

ওমেরা বলেছেন: শিক্ষকদের ভালো স্যালারী দেওয়া উচিত । সংসারে সচ্ছলতা থাকলে তাদের মনে শান্তি থাকবে। আর মনে শান্তি থাকলে তারা সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারিগর হবে ।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি এর বিকল্প নেই

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ভাষায় যেটা বললেন সেটাই সত্য। চরম সত্য।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সবই আছে শুধু বঙ্গবন্ধূর ইচ্ছার বাস্তবায়ন নেই

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১২

ডাব্বা বলেছেন: শিক্ষকতা বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত অবহেলিত পেশা। অসাধু, শিক্ষার প্রতি ভালোবাসাহীন, নিরুপায় কিছু মানুষ এই পেশায় নিয়োজিত হয়। এত অল্প বেতনে মেধাবীদের আকৃষ্ট করাও অসম্ভব।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যে কোন পেশাই মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে বেছে নেয় । সুযোগ সুবিধা ভাল হলে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে কিন্তু সুযোগ সুবিধা না থাকলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দুটি দুনীতি গ্রস্ত খাত হচ্ছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ খাত । এখানে একজন পিয়ন,ড্রাইবারের বেতন ও শিক্ষকের বেতনের চেয়ে বেশি । তারই আবার কোটিপতি ।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেয় বাধ্য হয়ে। অর্থাৎ অন্য কোথাও কোনো জব না পেয়ে।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কথাটি সত্য । দুর্নীতি কারণে এখন আর কেউ মামা খালু ছাড়া চাকরি পান না । যারা পান তারা ভাগ্যবান । অগ্যতা অনেকে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন । কিন্তু তাই জাতি তৈরির কারিগড় হিসাবে কাজ করেন । তাই সরকারের উচিত দশ বছরের অধিক সময় ধরে যারা শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত তাদের সরকারী অনুদান ও সুযোগ সুবিধার অধিনে নিয়ে আসা । প্রয়োজনে এদের জন্য মান উন্নয়নের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষকের বেতন কতো?

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১০০০- ২৬৬৯০ (গ্রেড-১৩) । এই বেতন যদি একজন বেসরকারী শিক্ষক পেতেন তাহলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র বদলে যেতো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.