নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই মিলে অভিশাপ দেই তাতে যদি মুক্তি মেলে

১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯



গতকাল বাজারে গিয়ে চমকে উঠেছি পাঁচ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে , ৬১৫ টাকায় । রোজাকে সামনে রেখে গত একমাস যাবত বাড়তে শুরু করেছে প্রতিটি দ্রব্য মূল্যের দাম । চালের কেজি ৮০ টাকা ছুঁই ছুঁই । মোটা চাল অর্থাৎ গরীব জনগণ যা খায় সেটার মূল্যে কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা । আটার , নুন,চিনি,পেয়াজ, মশল্লা সব কিছুর দাম আকাশ মুখী । মশল্লার প্যাকেটে লেখা সর্বোচ্চ মূল্য ৪৫ টাকা দাম রেখেছে ৫০ টাকা । যোগান নাকি নাই । খোলা বাজারে পেয়াজ ইতিমধ্যে ৫০ টাকা অতিক্রম করে গেছে রোজায় নাকি আরও বাড়বে । প্রতি সবজির দাম কোন কারণ ছাড়াই বাড়ছে । টমেটোর দাম না পেয়ে কৃষক ফেলে দিচ্ছে, অথচ বাজারে সেটা ২৫ থেকে ৩০ টাকা । কাচা মরিচের ঝাল কমে আসলেও রোজায় নাকি আবার বেড়ে যাবে । লেবু বিক্রি হচ্ছে, ১০০ টাকা হালি । মাছ, মাংস, মুরগী,ডিম সব কিছুর দাম বৃদ্ধি ।

রোজাকে সামনে রেখে এবার ব্যবসায়ীরা খুব সূক্ষ্ম চালে এগুচ্ছে । আমদানিকৃত প্রতিটি মূল্যের দামা তারা দু'মাস আগ থেকে খুব ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে যাতে রোজা চলে আসলে কেউ বুঝতে না পারে যে, দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়েছে । রোজায় চারটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়েছে বা হবে বলে মনে হয় না । সব চলছে, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক । সিন্ডিকেট ই নিয়ন্ত্রণ করছে সব । আমদানি কারকদের কারসাজি আর পথে পথে চাঁদাবাজি । এরাই নিয়ন্ত্রণ করে সব ।

চারিদিকে এতো এতো উন্নয়ন দ্রব্য মূল্য বাড়লে কার কি ? তাই এসব কোন ব্যাপার না । ভারতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সম্পদ কমে পক্ষান্তরে আমাদের মন্ত্রী, এমপি, আমলা,দুর্নীতিবাজদের সম্পদ দিনকে দিন বাড়ে শুধু তাই না তাদের স্ত্রী পুত্র কন্যার সম্পদের ও কোন কমতি নেই । সুইচ ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশের টাক উপচে পরছে ।

টিভি চ্যানেল খুললেই কত কত ভাল ভাল সংবাদ । কত কত উন্নয়নের গল্প । প্রধান মন্ত্রীর প্রশংসা , বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা । অথচ বঙ্গবন্ধু এদের সর্ম্পকে জাতিকে আগেই সর্তক করে গেছেন । চাটার দল চেটে চলেছে । করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি, টিকা ফ্রিতে পাচ্ছি । উন্নয়নশীল দেশ থেকে বের হয়ে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছি । আর কি চাই ? দ্রব্যমূল্য বাড়লে বাড়ুক হয় সহ্য করতে পারলে করো না পারলে না খেয়ে থাকো । এতো এতো মন্ত্রণালয়, এতো এতো এমপি,মন্ত্রী,এতো এতো আমলা কারো সময় নেই এসব দেখার । তারা ব্যস্ত উন্নয়ন নিয়ে ।

তাহলে অসহায় জনগণ আমরা কি করতে পারি ? কি করলে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়াকে বশ মানানো যাবে? করোনার কারণে এমনিতেই আয় কমে গেছে । তার উপর যেভাবে দ্রব্যমূল্যে বাড়ছে তাতে না আবার চুয়াত্তরের মতো দুর্ভিক্ষ শুরু হয় । এমন পরিস্থিতিতে আসমানের সাহায্য ছাড়া বিকল্প তো আর কিছু দেখি না ।

আফ্রিকার গভীর অরণ্যে জুলু নামের একটি জাতী বাস করে । তারা মূলত প্রকৃতি পূজারী । যুদ্ধ বিগ্রহে তাদের খুব একটা আগ্রহ নাই । আক্রান্ড না হলে যুদ্ধ করে না । গাছ পালা প্রকৃতিকে ভালবাসে।মানুষের মতোই । প্রকৃতিকে নাকি তারা নিজেদের অংশ হিসাবে গণ্য করে । পারত পক্ষ গাছপালা কাটে না । একান্তই দরকার হলে গাছের অনুমতি নেওয়ার জন্য নানা অনুষ্ঠানিকতা পালন করে তারপরই নাকি তারা গাছ কাটে । কোন গাছ অপসারণের প্রয়োজন হলে , তারা সেই গাছের সামনে গিয়ে প্রতিদিন গাছটিকে মরে যেতে বলে , অভিশাপ দেয় । লজ্জা দেয় । আর তাতে নাকি কিছুদিন পর গাছটি আপনা আপনিই মরে যায় ।

আমরা ও পারি প্রতিটি দ্রব্য বর্ধিত মূল্য কেনার সময় অভিশাপ দিতে । কষ্টের টাকায় তৈল কেনার পরে বললাম , হে আল্লাহ যাদের কারণে এই কষ্টের সৃষ্টি হয়েছে সেই সব হারামখোরদের তুমি হেদায়েত করো না হয় নি:বংশ করে ধ্বংস করে দিয়ো । দেখবেন এমন বলতে বলতে একদিন সত্যি সত্যি এই সব হারামখোরের দল পরিষ্কার হয়ে যাবে । হারাম কখনো আরাম দেয় না । মজুতদার , দুর্নীতিবাজ এদেশের শুরু থেকেই জনগণের পেছনে লেগে রয়েছে । বঙ্গবন্ধু এই সব হারামখোর , দুর্নীতিবাজ আমলাদের নিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু তারা ফিরে আসেনি । কারণ চোর না শুনে ধর্মের কাহানি ।

তাই অসহায় জনগনের সম্মেলিত অভিশাপ যদি পারে দেশের মানুষজকে এইসব হারামখোর, দুর্নীতিরবাজদের হাত থেকে বাচাতে । আসুন সকল মিলে প্রতিটি দ্রব্য কেনার পরেই অভিশাপ দেই । তাতে যদি মুক্তি মেলে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলেই তো বাজারে আগুন।
এমন উন্নয়ন আমি চাই না।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উন্নয়ন চাই কিন্তু দুনীতিবাজ চাটার দল চাই না ।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী বারবার বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। কেউ উনার কথা কেয়ারই করে নাই মনে হচ্ছে। আলুর দাম কমানো থেকে শুরু করে দুর্নীতি দমন উনি বেশ সুন্দর সুন্দর কথা বলেন কিন্তু ফলো আপে দেখা যায় উনার কথাকে গুরুত্ব দিয়ে কেউ কিছু করছে না। কিন্তু যখন তাকে তোষামোদ করে কেউ কিছু আদায় করতে চায়, তখনই তার কথাগুলো সবাই প্রচারের খাতিরে গুরুত্ব দেয়। এই বিষয়টা ভালো লাগে না।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এটাই আমাকে অবাক করে প্রধানমন্ত্রীর হুকুম অমান্য করার মতো সাহস এরা পায় কোথায় ?

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

অক্পটে বলেছেন: কোন সরকারই এদের সায়েস্তা করতে পারেনা। সরকার শুধু পারে বিম্পিকে কোন ঠাসা করে রাখতে। এই সমস্ত চোরবাটপারদের জন্য দরকার ছিল বিনা বিচারের সরকারী পেদানী। কিন্তু কিছু করার নেই সরকার নিজেই হাজার হাজার কোটি টাকার ভ্যারিফায়েড চোর খুব সযতনে পালন করছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সংসদে কতজন ব্যবসায়ী সেটা কি জানেন ভাই ? নেতা নেই সব ব্যবসায়ী তারা তো নিজেদের স্বার্থটাই দেখবে

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: হীরকের রাজা ভগবান!

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খানখান :)

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: মানুষের আর সহ্য করতে পারছেনা এই চাপ।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: বেচে আছি এটাই কি যথেস্ট নয় ?

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মাংসের দাম বেশী টেক্স আর খাজনার কারণে। ডাল আর চালের দাম বেশী মুজতের কারণে তাহলে সরকার .....

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মাংস এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে । মাংসের দাম বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে, পথে পথে চাদাবাজি আর হাটগুলোতে ইজারার মানে দলীয় পরিচয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ।তা না হলে , টাকাতে গরুর মাংস ২৫০ টাকায় পাওয়া যেতো । আর মজুদদারীর কথা আর কি বলবো ব্যবসায়ীরা এখন সব গিলে খাচ্ছে । তারাই আইন তারাই কানুন । সবাই নিজ নিজ পকেট নিয়ে ব্যস্ত , বঙ্গবন্ধুর ভাষায় , চাটার দল সব চেটে শেষ করে দিচ্ছে ।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: সব কষ্ট মিডলক্লাসদের। না পারে গিলতে না পারে সইতে। সব কূল রক্ষা করতে যেয়ে তারাই দিশেহারা।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সত্যি তাই ........... এ যন্ত্রনা শেষ হবার নয় । কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয় । এখন আর পিঠে সহ্য হচ্ছে না ।কারণ পেটে ভাত নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.