নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুন - একটি রহস্য গল্প

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫



এ গল্পের নায়ক একজন সারিয়াল কিলার , যে কিনা অন্যের জন্য খুন করে ।

এক

গুলশানে সেভেন ডি, 'বাড়ির ড্রয়িং রুমে, যে ভদ্র মহিলা আমার সামনে অবাক হয়ে বসে আছেন,পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক একটু পরে আমি তাকে খুন করবো। ' বিনিময়ে পাবো ২৫ লাখ টাকা । যার অর্ধেকটা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি । ধার দেনা শোধ করে এখনো লাখ পাঁচেক ব্যাংকে জমা রয়েছে । বাকি অর্ধেকটা কাজ শেষ হলে ।

কাজটা শেষ করে কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিতে হবে । সব ঠিক করা আছে । প্রথমে টেকনাফ যাবো । যেখান থেকে প্রয়োজন হলে ভারত । তা না হলে ফিরে এসে চাকরীতে যোগ দিবো । এ খুনটা করতে পারলে চাকরীটাও পাকা হয়ে যাবে । যদিও কাজটা আমার জন্য তেমন কঠিন কিছু না । তবুও নিজের নিরাপত্তার ও সুপারি দাতার গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য সব প্লান মাফিক করতে হবে । এটাই শর্ত । এই সব প্লান ফ্লানের ধার আমি ধারি না । যাও, ঘ্যাঁচ ঘুচ কাজ করো , পয়সা নাও খেল খতম। কিন্তু এই কেসটা ভিন্ন । হাত পা,বাধা কিছু করার নাই।

এর আগেও আমি একটা খুন করেছি । যদিও সেটা টাকার জন্য ছিলো না। কোন প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ ও তাতে জড়িত ছিলো না। কিন্তু তবুও হুট করে তিথির মামাকে খুন করে ফেলেছিলাম। সকালেও বুঝতে পারিনি রাতেই আমার হাতে একজন মরতে চলেছে । কি অদ্ভূত মানুষের জীবন! কখন কি ঘটে যায় কিছুই বলা যায় না ।

খুনটা করে ফেলার পর ভেবেছিলাম ধরা পরে যাবো । থানা পুলিশ হবে । ফাসিটাসিও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কিছুই হলো না । খুন করার সাত বছর পরেও আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো দিব্যি খাচ্ছি দাচ্ছি, ঘুমোচ্ছি,ঘুরে বেড়াচ্ছি। এবং আজ আর একটা খুনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি ।রক্তের নেশা বড় নেশা। একবার কাউকে পেয়ে বসলে সে আর স্থির থাকতে পারে না। কারণে অকারণে, যখন তখন, যাকে তাকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে।

এই সাত বছরে অপরাধ জগতের অনেক কিছু শিখেছি । শিখে নিয়েছি না বলে বলতে হয় টিকে থাকার জন্য শিখতে বাধ্য হয়েছি । অনেকের সাথে সখ্যতা বাড়িয়েছি । যে কোন কাজ প্লানমাফিক করে করতে শিখেছি। ১ম খুনটা করার পর কিছুদিন পুলিশ দেখলেই ভয়ে বুকের ভেতরটা ধকধক করে উঠতো । মনে হতো এই বুঝি ধরে নিয়ে যাবে । ধীরে ধীরে সেই ভয়ও কেটে গেছে । এখন পুলিশের সামনে দিয়ে বুুক ফুলিয়ে হেটে যাই । রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট এর কাছে সিগারেট ধরাবার জন্য লাইটার চাই । কেউ কেউ চোখ বড় বড় করে তাকায় আবার কেউ কেউ পকেট থেকে লাইটার বের করে এগিয়ে দেয় । আমি সিগারেট ধরিয়ে কায়দা করে ধোয়া ছেড়ে এ কথা ও কথা বলে ভাব জমাবার চেষ্টা করি । সে এক ব্যাপক আনন্দের ব্যাপার ।

তিথি আমার ভাসিটি ক্লাসমেট ।
একই ডিপার্টমেন্টে পড়তাম । হালকা পাতলা গড়নের তিথির চোখ দুটো ছিলো অসাধারণ স্বচ্ছ । তাকালেই জমে যেতাম । ভেবে পেতাম না এতো সুন্দর চোখ মানুষের হয় কি করে ? মনে হতো,ঈশ্বর নিজে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বানিয়েছেন । বহুবার ভেবে দেখেছি,"আমি যতো না ওর প্রেমে পরেছি তার চেয়ে ঢের বেশি ওর চোখের প্রেমে পড়েছিলাম ।" তিথি'র সাথে আমার খুব একটা কথাবার্তা হতো না । ক্লাসে গেলে আমি ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম । ওয়ান সাইট লাভ যাকে বলে । কখনো কখনো চোখাচোখি হলে লজ্জা পেতাম ।

ক্লাসে এক ফরিদ ছাড়া আমার আর কোন বন্ধু ছিলো না । কারো সাথে তেমন কথাবার্তাও হতো না । আবর্জনার মতো এক কোণে বসে থাকতাম । নোট নিতাম। স্যার,ম্যাডাম যা পড়াতেন তার বেশির ভাগ ই মাথায় ঢুকতো না। বুঝতে পারতাম না । পাছে উল্টোপাল্টা কিছু বলে ফেলে সকলের কাছে হাসির খোরাক না হই সেই ভয়,সংকোচ আর লজ্জায় কিছু জিজ্ঞাসাও করতে পারতাম না। তবুও প্রতিদিন ক্লাসে আসতাম। তিথিকে দেখার জন্যই আসতাম।

ক্লাস ছাড়া আর একটা জায়গায় আমি নিয়মিত যেতাম । রমনা বট তলার মাজার। ভক্তির কারণে নয় । মাজারে যেতাম রাতের খাবার খেতে । সারা সন্ধ্যা গান বাজনা শেষে রাতে তবারক দিতো । তবে সবদিন খাবার ঝুটতো না । যেদিন খাবার ছুটতো সেদিন বেশ ভাল বোধ করতাম । সেদিন ঝুটতো না সেদিন রাগ চেপে যেতো । ভেতরে ভেতরে রাগে ফেটে পরতাম । নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগতো । মনে হতো, পৃথিবীটাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি ।

ক্ষুধার প্রথমিক স্তরটা খুবই ভয়াবহ । এ স্তরে মানুষ,পশু, পাখি আহত যন্তুর মতো ভয়ানক হয়ে উঠে । তাদের জ্ঞান বোধ লোপ পায় । খুনের নেশায় পেয়ে বসে । আমারও তাই হতো । মনে হতো হাতের কাছে যাকে পাই তাকেই খুন করে ফেলি । গজগজ করতে করতে টিএসি'র সামনে দিয়ে হেটে যেতাম । মাথা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ড কিছুতেই থামতাম না। এক সময় ক্লান্ড হয়ে ফুটপাতে বসে পরতাম । এটা হচ্ছে, ক্ষুধার দ্বিতীয় স্তর । এ স্তরে এলে মানুষ ক্লান্ড হতে হতে একসময় শান্ত হয়ে যায় । এ সময় খাবার দিলেও সে খেতে পারে না ।

মাথা ঠান্ডা হয়ে এলে ভাবতাম একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে । একদিন আর খাবারের অভাব থাকবে না । অসম্ভব একটা ভাল গুন ছিলো আমার । সেটা হলো , নিজেকে লুকিয়ে রাখান গুন । আমার ভেতরের রাগ, ক্ষোভ বাহির থেকে দেখে কেউ কোনদিন আন্দাজ পারতো না ।

একবার আমি টানা তিনদিন না খেয়ে ছিলাম। প্রথম দিন খুব কষ্ট হয়েছিলো। মনে হচ্ছিল মারা যাবো । প্রচন্ড ক্ষুধায় মাঠের ঘাস খেয়েছিলাম। ২য় দিনের মাঝামাঝি সময় থেকে ক্যামন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাই । তারপর আর কিছু মনে ছিলো না । মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান ফিরলে অদ্ভুত অদ্ভুত সব অলৌকিক জিনিস দেখতে পেতাম । হয়তো অন্য জগতে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিলাম । এতো আলো, এতো রং । সে এক অন্য ভুবন । অন্য জগত । সেই তিনদিন মাজারেই পরে ছিলাম । হঠাৎ এক সময় দেখলাম, সাদা পোশাক পরা লম্বা, লম্বা কিছু লোক আসলো । তাদের হাতে বড় বড় থালায় সাজানো নানা রকমের খাবার। সে সব খাবার আমার কোনদিন চোখে দেখিনি । তাদের মধ্যে নেতা টাইপের একজন আমাকে উঠিয়ে বসিয়ে পরম যত্নে খাওয়াতে শুরু করলো । আমি ও খেতে লাগলাম । এতো সুস্বাদু খাবার আমি জীবনে আর কখনো খাইনি ।আহ্ সেই স্বাদ এখনো জিহবায় লেগে আছে ।

এতো অভাব, এতো দারিদ্র্যতার মাঝেও তিথিকে আমার ভাল লাগতো । ওকে দেখলে সব ভুলে যেতাম । ক্ষুধা লাগতো না,তৃষ্ণা পেত না । নিজের দরিদ্রতা, অসহায়ত্ব কিছুই মনে থাকতো না । মনে হতো তিথি ছাড়া জগতের আ্রর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই আমার ।

সেই তিথি হুট করে একদিন ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিলো । আমার মনে হচ্ছিলো পাগল হয়ে যাবো । ফরিদ বিষয়টা টের পেয়ে খোজ লাগাল। তারপরই তিথির মামাকে খুন করে ফেললাম । ব্যাপারটা এতো সহজে ঘটে যাবে বুঝতে পারিনি । কারওয়ান বাজার থেকে মাত্র ত্রিশ টাকা দিয়ে কেন ছুরিটা মুহূর্তে কাজটা করে দিলো ।

তিথি থাকতো মালিবাগে ওর মামা,মামির সাথে । একরাতে রাতে ঘাপটি মেরে ছিলাম ওদের বাসার সামনের গলিটাতে । তিথির মামা রিকসা থেকে নেমে গলিতে ঢুকতেই খুব স্বাভাবিক ভাবে এগিয়ে গিয়ে বললাম, মামা ভাল আছেন ? লোকটা আমাকে চিনতে না পেরে অবাক হয়ে তাকালো । এক হাতে বাজারের ব্যাগ অন্য হাতে কিছু ফাইল পত্র । কিছু বুঝে উঠার আগেই ছুরিটা ঢুকিয়ে দিলাম পেটে । তারপর কয়েকবার উপর, নিচ ঘুরিয়ে বের করে আনলাম । ঠিক সেই মুহূর্তেই ইলেক্টিসিটি চলে গেলে পুরো গলিটায় অন্ধকার ঢেকে গিয়ে আমার পালাবার পথটা সহজ করে দিলো। লোকটার মৃত্যুর জন্য যেনো সব আয়োজন ঠিক করাই ছিলো । ছুরির গুতো খেয়ে মামা ব্যাচরা কোন শব্দই করল না । পেটে চেপে ধরে অস্ফুট কন্ঠে মা গো বলে প্রথমে বসে পরলো তারপর কাত হয়ে শুয়ে পরলেন । ব্যস ! মামার সানডে মানডে ক্লজ হয়ে গেলো । প্যান্টের পেছন পকেট থেকে মানি ব্যাগটা বের করে নিয়ে সোজা হাটা দিলাম । মানিব্যাগ নেওয়াটা অবশ্য আমার প্লানে ছিলো না । কিন্তু তবুও কেন করলাম জানি না ।

গলি থেকে বের হয়ে সোজা মাজারে চলে গেলাম। সেখান থেকে হাত মুখে ধুয়ে ফরিদের বাসা পুরাণ ঢাকায় । খুনটা করতে পেরে আশ্চর্য রকমের ভাল লাগছিলো । কোন ধরনের অনুশোচনা হচ্ছিল না । উল্টো মনে হচ্ছিলো তিথিদের বাসায় যাই । গিয়ে জিজ্ঞাসা করি , "ও সোনা মেয়ে ক্লাসে আসো না কেন ? কাল থেকে ক্লাসে আসো । তুমি তো জানো না । তুমি ক্লাসে না আসলে আমার কিচ্ছু ভাল লাগে না।"

পরের দিন ক্লাসে গিয়ে জানতে পারলাম , গতরাতে তিথির মামা খুন হয়েছে । অফিস থেকে ফেরার সময় বাসার কাছেই তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পরেন । ছিনতাইকারীরা মানি ব্যাগ,ঘড়ি দিতে বললে মামা অস্বীকার করে । এ সময় ছিনতাইকারীদের সাথে নাকি মামার বাক বিতণ্ডা হয় । বাক বিতণ্ডার এক পর্যায় ছিনতাইকারীরা ছুরি মেরে পালিয়ে যায় । খবরটা শুনে কামাল ফিসফিস করে বলল, ভাল হয়েছে ইবলিসটা মরেছে। আমি কিছু বললাম না । অন্য সবার সাথে তিথিদের মালিবাগ বাসায় গেলাম । গলিটা দেখলাম । রক্ত পরে আছে সেটাও দেখলাম । গলির শেষ মাথায় দাড়িয়ে একবার পুরো ঘটনাটা কল্পনা করলাম ।নিজেকে ডিটেকটিভ ডিটেকটিভ মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল, এই কেসটা জায়গায় দাড়িয়ে সলভ করে ফেলবো । পুলিশ , আত্মীয় স্বজন, অফিসের কলিগ, পাড়া প্রতিবেশি, লোকজনে পুরো এলাকা,বাসা গিজগিজ করছিলো।

মৃত বাড়ির কোন প্রাইভেসি থাকে না । যার যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারে । ইচ্ছে হলে , এটা সেটা হাতে করে নিয়ে যেতে পারে । কেউ কিছু বলে না । সবাই কেমন একটা শোক শোক ভাব করে ঘুরে বেড়ায় । কিছু দেখেও দেখে না । শুনে ও শুনে না ।

শোবার ঘরে তিথির সাথে চোখাচোখি হলো । অনেকদিন পর তিথিকে দেখে ভাল লাগলো । মাথার ভেতর সেই , লাইন গুলো ঘুরপাক খেতে লাগলো , "ও সোনা মেয়ে ক্লাসে আসো না কেন ? কাল থেকে ক্লাসে আসো। তুমি তো জানো না , তুমি ক্লাসে না আসলে আমার কিচ্ছু ভাল লাগে না "।

হালকা লাল সবুজ সালোয়ার কামিজে ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো একটা পদ্ম ফুটে আছে । মামি বারবার জ্ঞান হারাছিলেন । আত্মীয় স্বজন ,পাড়া প্রতিবেশি সবাই তাকে নিয়েই ব্যস্ত । পোস্টমর্টেমর পর ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ আসলে জানাজা শেষে আজিমপুরে দাফন করে হলে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় দশটা বেজে গেল। গোসল করে নীল ক্ষেতে গিয়ে তিথির মামার টাকায় আমি আর ফরিদ মিলে তাহারী খেলাম ।

ম্যানি ব্যাগে ১৫ হাজার টাকা ছিলো । এতো টাকা একসাথে আমি আগে কখনো দেখিনি । টাকাটা পেয়ে আমার বেশ উপকার হলো । পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের টাকার জন্য কারো কাছে হাত পাততে হলো না । মাস চারেক আর না খেয়েও থাকতে হয়নি । ক্যান্টিনের বিল পরিশোধ করে এরপর থেকে ক্যান্টিনে খেতে লাগলাম।

তিথি এখন একটা কলেজে ফিজিক্স পড়ায় । শুনেছি বিয়ে থা করেছে । ছেলে মেয়ে নেই । ফরিদ একদিন তিথির কলেজের ফোন নাম্বার যোগার করে দিলো। আমি মাঝে মাঝে সেই নাম্বারে ফোনে করে তিথিকে চাই । কিছু সময় পর অপর প্রান্তে তিথি ফোন ধরে হ্যালো, হ্যালো করে । আমি কিছু বলি না । চুপ করে থাকি । তিথি বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দেয় । প্রথম প্রথম রাগ করলেও এখন আর রাগ করে না । হয়তো বুঝতে পারে । দু'তিনবার হ্যালো হ্যালো বলার পর সেও চুপ করে থাকে। জীবনের দু'ইপ্রান্তে দু'জন মানুষ চুপচুপ খেলি ।

অপরাধ করতে করতে নাকি মানুষের একসময় অপরাধ করার প্রবনতা বেড়ে যায় । তখন অপরাধ'কে আর অপরাধ বলে মনে হয় না । আমার ও হয়তো তাই হয়েছে । একটু পর যে খুনটা করবো । সেটার জন্য একটুও ভাবনা হচ্ছে না । যাকে খুন করবো তার জন্য মায়াও হচ্ছে না । উল্টো মনে হচ্ছে , যতো তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ হবে ততো ভাল । চুরিটা পেটে নয় ঢুকাতে হবে বাম পাজেরের একটু নিচে । পেটে ঢুকালে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । বাম পাজরের নিচে ঠিক মতো বসাতে পারলে আর কোন চান্স থাকে না ।

প্লানটা পুরো একমাস ধরে করা হয়েছে । কোথাও ফাঁক ফোকর রাখা হয়নি । একেবারে নিখুঁত প্লান । তাই ধরা পরার কোন চান্স নেই । খুনটা এমন ভাবে করতে হবে , যেন মনে হয় সুইসাইড । রাতে মঞ্জু সাহেব বাসায় ফিরে দেখবেন । তার স্ত্রী মরে পরে আছেন । তিনি হই চই করবেন। আত্মীয় স্বজনদের ডাকবেন । পারিবারিক ডাক্তার ডাকা হবে । সে এসে সার্টিফিকেট দেবে, "অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে, রান্না ঘরে সবজি কাটা ছুরির উপর পরে গিয়ে মৃত্যু।" কৌশল পুরনো হলেও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলার জন্য সব কিছু করা হয়েছে ।

এতো কিছুর পরেও নিরাপত্তার জন্য আমাকে ঢাকা ছাড়তে হবে । কাজ শেষে সোজা চলে যাবো মন্জু সাহেবের অফিসে । সেখান থেকে অফিসের গাড়ি করে টেকনাফ। আমার পছন্দ ছিলো কক্সবাজার । কিন্তু যেতে হচ্ছে টেকনাফ । কারণ টেকনাফে মন্জু সাহেবের একটা প্রযেক্ট চলছে । কিছুদিন সেটার দেখ ভাল করবো । পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে ফিরে আসবো ।

চলবে ………….

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তিথিকেই কি খুন করা হবে?

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তিথি এ গল্পের নায়িকা । নায়িকা খুন হয়ে গেলে কি গল্প চলবে ?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।
বিশেষ করে এরকম থ্রিলার গল্পে। লেখক তাড়াহুড়া করলে পাঠক বিরক্ত হয়।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লেখা আপন গতিতে চলে । তবে তার জন্য যথেষ্ট সময় নেয় । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫১

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: গল্পের গাথুনি বেশ হয়েছে । সামনে কী হবে সেটা জানার আগ্রহ রইলো ।
কত বড় গল্প হবে ? বড় গল্প একবারে না পড়লে শান্তি না লাগে না ।

আর একটা ব্লগের এরশাদদের কথায় গা মাখাবেন না । এদের স্বভাব হচ্ছে পোস্ট না পড়েই পন্ডিটি করতে মন্তব্য করা ।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । কোন পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করা একেবারে অনুচিত । গল্প হলে সেটা পড়ে আলোচনা,সমালোচনা একান্ত কাম্য । গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.