নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া .....

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০২



ছুটির দিন । ফজরের নামাজটা পড়ে তৌহিদ আবার ঘুম দেয় । গায়ে কে যেন ধাক্কা দিচ্ছে, আর “এই ওঠো, ওঠো” বলছে । ঘুম হালকা হয়ে এলো, বুঝতে পারছে তারানা বিশ বছরের পুরনো ক্যাসেটটা বাজাচ্ছে । যদিও ওদের বিয়ের পঁচিশ বছর হয়ে গেছে । প্রথম পাঁচ বছর দুজনেরই একটু লাজুক লাজুক ভাব ছিল । কেউ কাউকে কোন বিষয়ে তাড়া দিতে না । কড়া কথা বলতো না । ঘুমের ভান করে তৌহিদ সেই দিন গুলোর স্মৃতি রোমন্থন করে ।
- এই, ৯টা বাজে, বাজারে যাবে না?
স্ত্রীর কথায় তৌহিদ ধড়মড় করে ওঠে বসে ।
মুখে কিছু বলে না, মনে মনে তৌহিদ গজরাতে থাকে – বাজার, বাজার আর বাজার । অবশ্য ওর মুখের এক চিলতে হাসি দেখে তারানা কিছুই বুঝতে পারে না । সকালটা খারাপ যাক – তৌহিদও চায় না ।

সকালের নাস্তা করে চা খেয়ে বাজারে যেতে যেতে দশটা । এর মধ্যে কাজের ছুটা বুয়াটা হাজির হয়ে আরোক অশান্তি বাঁধালো । তারানা ওকে দিয়ে প্রতিদিন তরিতরকারি কুঁটিয়ে নেয়, ঘর মুছিয়ে নেয় । আর মাছ কুঁটিয়ে নেয় ছুটির দিন, সপ্তাহে দুদিন কাপড় ধোয়, বাথরুম গুলো পরিষ্কার করে মাসে দুবার । আবার যেদিন কাপড় ধোয়, সেদিন মসলা বাটে না । একদিনে তিনটার বেশী কাজ করে না । কয়েক মাস হলো ওরা জিগাতলা থেকে মিরপুর এসেছে । জিগাতলার চেয়ে এখানে কাজের লোকের চাহিদা বেশী । তাই তারানা নিজেই কিছু কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বয়স হয়েছে, ক্যালসিয়ামের অভাবে জন্য তারানার কোমরে প্রায়ই ব্যথা হয় । ডাক্তার বসে কোন কাজ করতে নিষেধ করেছে, রান্না-বা্ন্নাও চেয়ারে বসে করতে বলেছে । মানা হয় না, মানার উপায়ই বা কোথায়? একটা পার্মানেন্ট বুয়া রাখতে পারলে হতো । কিন্তু সেই সামর্থ্য তো ওদের নেই । তারানা খুব হিসেব করে সংসার চালায় । কিছুটা স্বস্তিতে আছে ছেলে তারেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ায়, নতুবা প্রাইভেটের খরচ চালাতে প্রাণান্তকর কষ্ট হতো । অবশ্য বরাবরই তারেকের পড়ালেখার জন্য ওর বাবা-মাকে তেমন একটা খরচ করতে হয়নি । সরকারি স্কুলে চান্স পাওয়ার সুবাদে তৌহিদ বিশাল খরচ থেকে রেহাই পেয়েছে । তারানা সব বিষয়েই খুব হিসেবী এবং চিন্তা করে । চেষ্টাও করে । ছেলেকে স্কুল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভর্তি করাতে তারানাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে । স্কুল নেওয়া-আসা, শিক্ষকের বাসায় পড়ানো আবার কোচিং সব সামলেছে একহাতে । তৌহিদ তার জন্য ওর প্রতি কৃতজ্ঞ, ও শুধু মাস শেষে কিছু টাকা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে । তৌহিদের স্বভাব আবার তারানার উল্টো – ওর ধারণা সবই হয়ে যায়, হয়ে যাবে । তবে আজ সকালটা মনে হচ্ছে পার হতে সমস্যা হবে ।
তারানার গলা চড়ে গেছে “ তোমাকে কত করে বলেছি একটু তাড়াতাড়ি বাজার করে আনবে? এখন বুয়া তোমার জন্য বসে থাকবে?”
- “না, বসে থাকবে কোন? অন্য বাসায় কাজ সেরে তারপার আসুক” তৌহিদ যুক্তি দেয় ।
- তোমার তো এই রকমই বুদ্ধি । তারপর বুয়া অন্য বাসা থেকে ফিরতে দেরী হলে মাছ গুলো পঁচুক আর-কি । তোমার তো আবার কোন জিনিসের প্রতি মায়া নেই ।
এরপর আর তৌহিদ দাঁড়িয়ে থাকা সমুচীন মনে করলো না, তাড়াহুড়া করে বাজারের লিস্ট ছাড়াই বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ।

বড়-ছোট মিলিয়ে সাত রকমের মাছ কিনে ওগুলো ছয় নম্বর বাজার থেকেই কুঁটিয়ে নেয় তৌহিদ – কিছু টাকা দিতে হয় কুঁটার লোকটাকে । তারপর কাঁচাবাজার করে । বাসায় আসতে আসতে একটু দেরীই হয়ে যায় । ওকে দেখে তারানা হাফ ছেড়ে বাঁচে,
-এতক্ষণ কি করছিলে বাজারে? বলে তৌহিদের এক হাত থেকে একটা ব্যাগ নেয় ।
-সব মাছ কুঁটে আনলাম ।
-ভালোই করেছ ।
বুয়াকে সাথে নিয়ে তারানা মাছ আর তরিকারি নিয়ে বসে ।
হাতমুখ ধুয়ে তৌহিদ খবরের কাগজে চোখ বুলায় ।

রান্না ঘরে তারানার বুয়াকে তাড়া দেয় । আজ দুপুর একটায় ওর একটা অনুষ্ঠানে যেতে হবে ফার্মগেটে । অবশ্য যাওয়ার কথা ছিল তারিকের । ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করায় কোচিং সেন্টার থেকে ওকে পুরস্কার দিবে, আরো অনেক ছাত্র/ছা্ত্রীকেও পুরস্কৃত করা হবে যারা ভালো করেছে । আজকেই আবার তারিকের ডিপার্টমেন্ট থেকে ছাত্ররা পিকনিকের আয়োজন করেছে গাজীপুরে । ভোর ছটায় তাই ও বেরিয়ে গেছে সাতটায় টিএসসি থেকে বাসে ওঠবে বলে । কিছু খেয়ে যায়নি । কত দূর পৌছালো জানা দরকার । রান্না ঘর থেকে তৌহিদকে ডাক দেয়,
- এই শুনছো
কোন সাড়া নেই । আবারও ডাকে । তাও সাড়া নেই । লোকটা কী ঠসা নাকি !
এবার গলাটাকে সপ্তমে চড়িয়ে তারানা আবারও তৌহিদকে ডাকে ।
-“কী হলো, কী হলো” বলতে বলতে খবরের কাগজে মগ্ন তৌহিদ ঘর থেকে রা্ন্না ঘরের দিকে ছুটে আসে ।
-“হয়েছে আমার মাথা আর তোমার মুন্ডু । ছেলেটার কোন খবর নিয়েছো”
তৌহিদ জিভ কাটে,
-তাই তো, একটা ফোন দেই।
-হুম, রান্না, ঘর-বাহির সব তো আমাকেই খেয়াল রাখতে হবে ।
তৌহিদ ঘরে এসে ছেলের নাম্বারে ফোন করে । রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ধরছে না । বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলো । নাহ্, ছেলেটাকে নিয়ে আর পারা গেল না । তারানাকে বললে ও টেনশন করবে । তাই তৌহিদ নিজেই বার বার চেষ্টা করতে থাকে ।
-“হ্যালো বাবা, আসসালামুআলাইকুম” – ওপাশ থেকে ছেলের গলা শুনে তৌহিদ আশ্বস্ত হয় ।
-“ওআলাইকুমসালাম, তুমি এখন কোথায়”
-“পিকনিক স্পটে”
-“তোমার মার সাথে কথা বলো”
তৌহিদ মোবাইলটা নিয়ে রান্নাঘরে যায় ।
তখন তারানা বেসিনে মাছ ধুচ্ছে । তৌহিদ মোবাইলটা ওর কানে ধরে,
-“কেমন লাগছে ওখানে” তারানা ছেলেকে শুধায় ।
-“ভালো” তারিক সংক্ষেপে সারতে চায় । এখন ও বড় হয়ে গেছে না, বন্ধু-বান্ধবদের সামনে মা-বাবার খবরদারিতে একটু লজ্জা পায় ।
-“নাস্তা করেছো”
-“হ্যাঁ মা, করেছি” – মনে মনে ভাবে, ছেলেদের নিয়ে মায়েদের এই এক চিন্তা।
-“তা হলে এখন রাখি” বলে তারানা কথা সংক্ষেপ করে । ও বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গেছে, এখন বেশী কথা না বলাই ভালো ।
-“ঠিক আছে মা, রাখি”
ফোনটা কেটে তৌহিদ একটা বিগলিত হাসি দেয় ।
তবে তাতে তারানার মন গলে না ।
-“আইড় মাছ গুলো কত দিয়ে কিনেছো” তারানা জিজ্ঞেস করে ।
-“আট শো টাকা চেয়েছিল, পরে সাত শো টাকা কেজি করে দুই কেজি কিনেছি” তৌহিদ মনে মনে একটু শঙ্কা বোধ করে, আর কোন মাছের কথা বাদ দিয়ে শুধু আইড় মাছের কথাই বা কোন জিজ্ঞেস করছে?
-“মাছটা পঁচা”
-“তাই”
-“হুম”
তৌহিদ বুঝতে পারে ছেলে দূরে আছে তাই আজ অল্পতেই ছাড়া পাওয়া গেল । অবশ্য ওর দোষ কী? মাছওয়ালা লোকটা তখন মাছের কত গুণকীর্তন করলো ।
-তা করুক, তুমিই বা ওর কথা কোন বিশ্বাস করবা-নিজের সাথে তৌহিদ নিজেই কথা বলে ।
- তুমি আসলে জীবনে মানুষ হইবা না ।
- না হইলাম তাতে তোমার কী? মানুষরে আমি তারপরও বিশ্বাস করুম ।
তৌহিদের এটা একটা অভ্যাস । ও প্রায়ই নিজের সাথে নিজে এভাবে কথা বলে ।
এত কিছুর পরও তারানা রান্না-বান্না শেষ করে অল্প একটু ভাত খেয়ে সাড়ে বারোটার দিকে বেরিয়ে পড়ে । যাবার আগে তৌহিদের জন্য দুপুরের খাবার টেবিলে রেডি করে যায় । তৌহিদ আয়াতুল কুরছি পড়ে তারানাকে ফুঁ দিয়ে দেয় । এটা ওদের পরিবারের নিয়ম । বাইরে যাবার সময় দোয়া-দরূদ পড়ে বেরোনো ।
খেয়েদেয়ে আয়েশ করে তৌহিদ একটা ঘুম দিল । ঘুমটা হঠাতই ভেঙ্গে গেল । ঘর অন্ধকার । ওঠে মোবাইলে দেখে চারটা ত্রিশ । ইমাম সাহেবের ইকামত শুনে বুঝতে পারলো নামাজ শুরু হয়ে গেছে । তিন তলায় ওর বাসার বিপরীতে পশ্চিমে মসজিদ, মাঝখানে একটা রাস্তা চলে গেছে উত্তর-দক্ষিন বরাবর । বাসাতেই নামাজ পড়লো । তারপর তারানার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলো । বেশ কিছুক্ষণ এঘর-ওঘর করে হাঁটাহাঁটি করলো । কেমন যেন অস্থির লাগছে তৌহিদের । মোবাইলে তারানাকে রিং দিল । রিং টোন পেল না । বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলো । প্রতিবারই একই ম্যাসেজ পাচ্ছে, “এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । অনুগ্রহ করে ...” সাধারণত: মোবাইল অফ থাকলে বা চার্জ না থাকলে এরকম ম্যাসেজ দেয় । কিন্তু তারানার মোবাইলে তো ফুল চার্জ ছিল । মোবাইল তো ওর বন্ধ করার কথা না । কোন অঘটন ঘটলো না তো । তৌহিদ ক্রমেই অস্থির হয়ে ওঠে । আগে ও এমনটা ছিল না । যে কোন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতো । আজকাল খবরের কাগজে, ফেসবুকে অনেক খারাপ খবর পড়ে মনটাও অস্থির । তৌহিদ ছেলেকে ফোন দেয় । ওর ফোনটা বাজছে কিন্তু ধরছে না । ওর কাছ থেকে ওই অনুষ্ঠানে গেছে এমন কারো নম্বর পাওয়া যেতে পারে । আবার ফোন করে ছেলেকে । কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর তারিক ধরলো,
-হ্যালো, আসসালামুআলাইকুম ।
তৌহিদ নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে পরিচিত কারো নম্বর জানতে চায় ।
তারিকের কাছে তেমন কারো নম্বর নেই । ওদের বাস উত্তরার কাছে পৌঁছেছে জেনে তৌহিদ একটু আশ্বস্ত হয় ।
আবার ফোন করে তারানাকে । রিং হচ্ছে । তৌহিদ অধীর আগ্রহে বউয়ের কন্ঠটা শোনার জন্য ব্যগ্র হয়ে ওঠে – কোন সুকন্ঠী গায়িকার গান শোনার জন্য যেমন ব্যাকুলতা থাকে, এখন তারানার কন্ঠটা শোনার জন্য ওর সেই ব্যাকুলতা । কিন্তু না । ওপাশ থেকে কেউ সাড়া দিলে না, রিংটা কেটে গেল । ও আবার চেষ্টা করে, রিং টোন আর শোনা যাচ্ছে না । ওর মনে একটা অজানা ভয় ঢুঁকে যায় – কেউ কী তারানাকে অপহরণ করলো? তারানার মোবাইলটা অন করে ওর নাম্বারটা নিল, কিছুক্ষণ পর ওকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবী করবে? আরো আট-দশবার রিং করলো, দু’তিনবার ফোনটা বাজলোও, কিন্তু কেউ ধরছে না । তবে কী ওর ধারণাই ঠিক? ওকে একটু খেলিয়ে নিচ্ছে । আধা ঘন্টা পর ফোন করে মুক্তিপণ চাইবে? তৌহিদ আর চিন্তা করতে পারে না, ফাঁকা ঘরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে,
-“আল্লাহ, তুমি আমাকে ক্ষমা কর”
দরূদ শরীফ পড়তে থাকে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে ।
কানের মধ্যে একটানা বেজে চলেছে ম্যাসেজটা,
-“ এই মুহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । অনুগ্রহ করে ..”

(চলবে...)

মো: শামছুল ইসলাম

তাং - ০৯/০৯/২০১৯





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষা........

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
আসছে শীঘ্রই !!!

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ সাবলীল ভাবে এগুচ্ছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই ।
দোয়া করেন, যেন গতিটা ধরে রেখে গল্পটা শেষ করতে পারি !!!

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পে সাসপেন্সটা রয়েই গেল। সাবলীল গতিতে গল্প এগিয়েছে। পরেরটাতে যাচ্ছি।
গল্পে ভাল লাগা + +

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
এতো ভালো লাগা ও প্লাসে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.