নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিজিক ও আমার মনের কিছু প্রশ্ন .........

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) সর্বদা একজন অতিথি নিয়ে তাঁর খাবার খেতেন। তো একদিন উনি অনেক কষ্ট করে একজন মেহমান নিয়ে খেতে বসেছেন এবং লক্ষ্য করলেন তাঁর মেহমান বিসমিল্লাহ্ না বলেই খাওয়া শুরু করলেন। এতে তিনি খুব মণখুন্ন হলেন এবং আল্লাহ্ ব্যাপারটা আমলে নিয়ে সাথে সাথেই হযরত জিবরাইল (আঃ) কে পাঠিয়ে তাঁর নবী কে সাবধান করে দিলেন এই বলে যে এই ব্যাক্তি যদিও তাঁর জন্মের পর হতেই আল্লাহ্ এর নাম নেয়নি তাঁর পরেও এত বছর আল্লাহ্ তাঁর রিজিক এক বেলার জন্য ও বন্ধ করেন নি সেখানে আল্লাহ্র নবী তাঁর একবেলার আহারের উছিলা হইয়া কীভাবে মনকষ্ট পান? হযরত ইব্রাহীম তাঁর ভুল বুঝতে পেরে সাথে সাথে তওবা করে আল্লাহের কাছে ক্ষমা চাইলেন।

এই ঘটনাটা আমাকে ছোট বেলা হতে অনেক ভাবিয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন এটা আমার মনে অনেক প্রশ্ন এর জন্ম দিছে। যেমন –

১. আল্লাহ্ যদি সকলের রিজিকের ব্যাবস্থা করেই থাকেন (অর্থাৎ আঠারো হাজার মাখলুকের ) তাহলে পৃথিবীতে এত ক্ষুধা বা দুরবিক্ষ কেন?

২. মুসলমানগণ কেন এই পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর তালিকাতে উপরের দিকে অবস্থান করতেছে?



প্রথম প্রশ্নের জবাবে আমি কিছু ব্যাপার লক্ষ্য করলাম এই যে এই পৃথিবীতে ১৮ হাজার মাখলুকের মধ্য একমাত্র একটা প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্স অর্থাৎ মানুষই একমাত্র প্রজাতি যারা নিজের একদিনের খাবার থাকা সত্তেও একশো বছরের খাবার মজুদ করার জন্য যেকোনো হীন কাজ নেই যা আমরা করতে পারি না। একটি সিংহ যখন একটি হরিণ শিকার করে তখন সে তাঁর পেট পুরতির পর সেই হরিণটি রেখে যায় এবং হায়েনা বা শৃগাল এই হরিণের মাংস খেয়ে তাদের রিজিকের ব্যাবস্থা করে। এর মানে আল্লাহ্ তাঁর সকল সৃষ্টিকে এমন এক সুত্রে গেথে দিয়েছেন যার উলট পালট করলেই আমরা বিপদে বা অভাবে পড়ব। যা মানুষ ব্যাতিত সকল সৃষ্টই মেনে চলে। আমার মতে মানবজাতির জন্য ও আল্লাহ্ সমান রিজিকের ব্যাবস্থা রেখেছেন কিন্তু আমরা অন্যের রিজিক লুটপাট করে নেই যার জন্য ই আজ সোমালিয়া, ইথিওপিয়া অন্যান্য দেশে কোটি কোটি মানব সন্তান সপ্তাহে একবেলা খেতে পাচ্ছে না। এর জন্য যদিও বিশ্ব মোড়লেরা দায়ী। কিন্তু আমাদের দেশেও ১৯৭৪ সালে একটি ভয়াবহ দুরবিক্ষ হয়েছিল তাঁর কারন ও লুটপাট। যা প্রমাণ করে অন্যের রিজিক লুটপাটের এই রিতি বা প্রথা যদি আমরা বন্ধ্ করতে পারি তবেই আমরা ক্ষুধা মুক্ত পৃথিবী গড়তে পারব। যে যতই বিশ্ব শান্তির মডেল বা দারিদ্র দুরিকরেনের খুদ্র ঋণের পশার মেলে বসেন না কেন যত দিন এই অন্যের মুখের খাবার কেরে নেওয়া ক্ষুধার্থ হায়েনা বা হিংস্র জন্তুর চেয়ে নিকৃষ্ট মানবকুল পৃথিবী হতে বিলুপ্ত হবে তত দিন ক্ষুধা মুক্ত বিশ্বের কথা চোরকে ধর্মের কাহিনি শুনানোর মত ই ফল দিবে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যাবস্থা যে কতটা নিন্দনীয় তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হযরত মুসা (আঃ) এর কওমদের খাদ্য সংরক্ষণের পরে আল্লাহ্‌ তাদের যে শাস্তি দিয়েছিলেন।

এবার আসি দ্বিতীয় প্রশ্নে-

কেন মুসলমানগণ এতটা কষ্ট ও দুর্ভোগে পতিত আছে? এর কারন প্রথম প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখিত সকল অমানবিক কাজ আমরা মুসলমান গন ও করি। এর সাথে সাথে নিম্নোক্ত আয়াতে উল্লেখিত কথাটা মেনে চলা মুসলমাণ খুঁজে পাওয়া ও দুস্কর।

“And whoever fears Allah, for him Allah brings forth a way out, and gives him provision (rizq) from where he does not even imagine…” (Surah At-Talaq: 2/3)



অর্থাৎ আল্লাহ্‌ কে সত্যিকারে ভয় পাওয়া ও তাঁর আদেশ নিষেধ মেনেচলা মুসলমান খুঁজে পাওয়া আজ খড়ের গাঁদাতে সুই খুঁজার মতই এক অসম্ভব কর্ম। যার প্রমাণ মধ্যপ্রাচ্যে এত সমস্যা, এত যুদ্ধ, এত শিশুর মৃত্যুর পরেও সৌদি বা অনেক মুসলিম রাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে কথা বলার মত ইমানি শক্তি পর্যন্ত দেখাতে পারল না। একই অবস্থা আমাদের দেশেও আমাদের সরকার ও এদের পদলেহন কারীদের এত লুটপাটের পরেও আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজের দু একজন বাদ দিলে সবাই নিজের আখের গুছানোতে ব্যাস্ত। এমন আল্লাহের আইন অমান্য কারী জাতিকে আল্লাহ্‌ কীভাবে সহ্য করেন তা তিনি ই ভালো জানেন। কারন সর্বাপেক্ষা দুরবল ঈমানের প্রমাণ (ঘৃণা করা বা লিখে প্রতিবাদ করা) দিতেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি অথচ আল্লাহ্‌ কে দোষারোপ করে যাচ্ছি এই বলে যে আল্লাহ্‌ আমাদের ডাকে সারা দিচ্ছেন না। তিনি কীভাবে সারা দিবেন?

তাই আসুন তাকওয়া বলতে যে অন্যতম একটা গুন আমাদের থাকা উচিৎ যা না থাকলে নিজেকে মুসলমান দাবী করার মত কোন হক কারো থাকে না তা আমাদের মধ্য আনার চেষ্টা করি।

কারো রিজিক না লুটে খাই। এগুলো করতে পারলেই আমরা ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব গড়তে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। এই বিশ্ব ভ্রমান্ডে কোথাও একটা পিপড়াও অভুক্ত থাকে না কারন এই ১৭৯৯৯ মাখলুক কেউ কারো প্রতি অবিচার বা লুটপাট করে চলে না।



তাই আসুন লুটপাট মুক্ত একটি বিশ্ব গঠন করি যা গুনগত কারনেই হানা হানি বা যুদ্ধ মুক্ত হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

গুড্ডু বাবু বলেছেন: নামে মুসলমান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.