নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি তৈল বাজ জাতির আত্মকাহিনি

২৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:১৮

তৈলবাজ জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে অদ্বিতীয়। আমাদের এই তৈলের ইতিহাস কিন্তু অনেক পুরনো। ওলন্দাজ বা ফরাসীরা সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে এসেও যে তাঁদের তেল দেয়ার এমন ডিপো সহ মানুষ এই মুলুকে পেয়ে যাবেন তা তাঁরা হয়ত স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নাই। সেই তেল দিয়ে উপরে উঠা বা বিত্ত বৈভবের পাওয়া এই তেল বিদ (ভালো বাংলাতে চামচা) গণ একই উপায়ে ইংরেজদের ও তৈল দিতে শুরু করে। বিশ্বের অন্যতম ধুরুন্ধর এই ইংরেজ জাতি অচিরেই বুঝে যায় এই উপমহাদেশ হস্তগত করতে তাঁদের নিজেদের সৈন্যবাহিনীর তেমন একটা প্রয়োজন হবে না। অর্থ বা সুবিধা দিলে এই বেকুব জনগোষ্ঠী ই আমাদের কাছে নিজেদের স্বাধীনতা বন্ধক রাখবে। হল ও তাই আমরা ২০০ বছরের জন্য গোলাম হয়ে গেলাম। এই সময়ে ও কিন্তু গুটি কতক লোক ব্যাতিত সব সামান্ত গণই ইংরেজ প্রভুকে তেল দিয়ে চলতেন। এর পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইংরেজ শক্তিতে দুর্বল হয়ে এবং নানা কারনে আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে দিল ১৯৪৭ সালে।

১৯৪৭ সাল হতে বাংলার তৈলবিদ গণ শুরু করলেন পাকিস্তানের প্রভুদের তৈল দেয়া। হ্যাঁ আমরা জানি রাজাকার/ আলবদর/ আলশামস এদের কথা কিন্তু এদের আড়ালেও এমন অনেক তৈল বিদ ছিলেন যার প্রমাণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানী তাবেদার দল গুলো কিন্তু প্রায় ২৫% ভোট পায়। আর এই ভোট আমরা বাংলাদেশিরাই দেই। এই তৈল বিদগণের কবল হতে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা পেলাম স্বাধীনতা।
এই একই সময়ে আমরা ৩০ লক্ষ ব্যক্তিকে হারালাম যারা তৈল দিতে জানত না।

স্বাধীন বাংলার বুকে আর পরাধীন হওয়ার ভয় না থাকলেও নিজেদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য অযোগ্য লোক জন আবার সেই পুরনো মন্ত্র তৈল কে কাজে লাগাতে লাগল। আজ স্বাধীনতার প্রায় ৪৫ বছরে আর যা হোক না হোক এই তইলবাজ শ্রেণীর যে খরগোশের মত বংশবৃদ্ধি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাইতো আজো আমরা আমাদের দেশের চেয়ে প্রতিবেশী দেশের স্বার্থ নিয়ে অনেক বেশী সচেতন। এখানেও কিন্তু এই তৈল মর্দন জাত ফলাফলের সুক্ষ ব্যপার রয়েছে।

আজ বাংলাদেশে অন্যান্য যোগ্যতার এক পাল্লাতে আর অন্য পাল্লাতে তৈলমর্দনের যোগ্যতা রাখলেও ভালো তৈল মর্দন করতে পারলে অন্য সকল যোগ্যতা সিথিল যোগ্য হয়ে যায়। তাই উন্নতি করতে চান তো তেলের ড্রাম নিয়ে ঘুরুন।

আমরা অনেকেই সৎ, যোগ্য, সত্যবাদি, সৎসাহস সম্পন্ন মানুষ খুঁজি কিন্তু কেউ আমার মুখের উপর সত্যটা বলে দিলেই ক্ষমতা থাকলে তাঁকে পিষিয়ে মেরে ফেলি। তাই এই সকল যোগ্যতা এখন পদার্থ বিজ্ঞানের অনেক রাশির মত বই পুস্তকেই পাওয়া যায়। আমরা বাস্তবে যেটা দেখি তা আসলে কম্প্রোমাইজ করার পরের টুকুন।

একটা কাজ আমরা করতে পারি আর তা হল জাতীয় তৈল মর্দন বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অধিবাসিদের তৈল এর এই নতুন ব্যাবহার শিখাতে পারি। এতে করে দুচার ডলার আয় ও হয়ত বাড়বে আর মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য এই আয় ভূমিকা রাখতে পারবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



" এর পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইংরেজ শক্তিতে দুর্বল হয়ে এবং নানা কারনে আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে দিল ১৯৪৭ সালে। "

নানা কারণের মাঝে বড় কারণ ছিল যে, আপনি ভারতে জন্ম নেবেন।

গরুর রচনা সব যায়গায় চালাবেন না; মানুষ লড়ে গেছে সব সময়।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:২২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আপনি কি জানেন ১৭৫৭ সালে যত মানুষ দাড়িয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা উপভোগ করেছিল তাঁরা একটি করে ঢিল মারলেও এই বাংলা পরাধীন হত না?
আমি আসলে লেখাটি বড় করতে চাই নি তাই নানা কারন বলে চলে এসেছি। আমার লেখার উদ্যাশ্য ব্রিটিশ দের থেকে আমাদের স্বাধীনতা লাভের বিষয় নয়। আমার লেখার উদ্যেশ্য যা আমি তাই লিখেছি।

তৈল মর্দন কে যোগ্যতা হিসেবে একমাত্র আমরাই দেখি আর কেউ নয়।
দুঃখিত আমার কোন কথা আপনাকে কষ্ট দিলে।

২| ২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: আগামী আর ৪৫ বছরেও দেশ ঠিক হবে না । আর আগামীতে আরো জোড়াল ভাবে আমাদের কিনে নিতে আসছে ভারত ।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ভুল ধারণা ভারত আমাদের কিনবে না।
কিনতে গেলে নানা সমস্যা আছে তার চেয়ে এমন করদ রাজ্য করে রাখতে পারলে অনেক সুবিধা। :)

৩| ২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইডা কোন কথা কইলেন ভাই? ৭১ এ পাকিরা কি তেল নেয়ার লাইগা মানুষ মারা বন্ধ রাখতো? আগে জিগাইতো যে তেল দিব নাকি এরপর মারতো?

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: কি কমু কন ভাই, অনেকে তো ৯ মাস পাকি গো কামলা খাইটা এহণ অনেক বড় মুক্তিযোদ্ধা হইয়া গেছে।

তেল দিলে যে পাকিরা মারে নাই তা কি রাজাকার গোরে দেইখা বুঝা যায় না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.