নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
একজন মুসলমানের সাথে অন্য একজন মুসলমান ভাইয়ের দেখা হলে তার সাথে সালাম বিনিময়ের পরে কোলাকুলি করা মহানবী (সঃ) এর একটি সুন্নত। সেই সুন্নতের অনুসরনেই আমরা ঈদের নামাজের পরে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে নিজেদের মধ্যে ভ্রাত্বিতের বন্ধন কে দৃঢ় করি। অর্থাৎ এই কোলাকুলি একটি ধর্মীয় অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত উদযাপন প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে মাশরাফি এবং তাসকিন এর বিজয় বা উইকেট উদযাপন নিঃসন্দেহে ক্রিকেট বিশ্বে একটি ইউনিক সাফল্য উদযাপনের প্রক্রিয়া। এটি অন্যান্য বাংলাদেশীদের মত আমারও অনেক প্রিয় একটি উদযাপন প্রক্রিয়া।
আমি জানি না শিশির সাহেব এর এ ব্যাপারে জানা আছে কিনা যে সুন্নত কখনো পরিবর্তনীয় নয়। একেক টি উদযাপন মানুষ একেক ভাবে করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু ধর্মীয় উৎসব গুলো সারা পৃথিবীতে ঐ ধর্মের অনুসারী গণ একই ভাবে উদযাপন করেন। সেই ধর্মীয় একটি উদযাপন কে এই মাস্কিন উদযাপনের সাথে তুলনা করে শিশির সাহেব সুন্নতের অবমাননার সাথে সাথে মাশরাফি এবং তাসকিন এর এই ইউনিক উদযাপন প্রক্রিয়া টিকেও হেয় করার চেষ্টা করেছেন। যদি এটি তার অজ্ঞানতা বসত হয় তাহলে ক্ষমা চেয়ে এই কার্টুন অপসারণ করার অনুরধ করব। আর যদি এটি অতিরিক্ত সৃজনশীলতা বা বিজ্ঞান মনস্কতা প্রদর্শনের জন্য হয় তাহলে বলব অতিরিক্ত সকল কিছুই খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা কালিন আমাদের এক স্যার বলতেন "স্মার্টনেস ভালো কিন্তু ওভার স্মার্টনেস খুব খারাপ গুন" তেমনি আমি বলব সৃজনশীলতা ভালো কিন্তু এমন অতিরিক্ত সৃজনশীলতা মানুষের জীবনের স্বাভাবিকতা নষ্টের কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
ইতিপূর্বে আলপিনে এমন অতিরিক্ত বিজ্ঞানমনস্কতা দেখাতে গিয়ে প্রথম আলো তাঁদের ঐ সাময়িকী বন্ধ করতে বাধ্য হয়। তাই আপনারা যারা সৃজনশীল তাঁরা এমন অতিরিক্ত সৃজনশীলতা না দেখালে পত্রিকাটিও বাঁচে। এর দ্বারা আমাদের মধ্যেও একটি সরল উদযাপন ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হওয়া বন্ধ হবে।
আশা করব সকল সৃজনশীল এবং বিজ্ঞানমনস্ক গণ তাঁদের এই ধরণের অতিরিক্ত অংশ টুকুন বর্জন করে একটি ক্রিকেটীয় উদযাপন কে ঐ উদযাপনের যায়গাতে থাকতে দিবেন। ঈদ উদযাপনকে এভাবে ব্যাঙ্গ না করে বাংদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সচেষ্ট হবেন।
১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: সুন্নতের পরিবর্তন হওয়ার কোন উদাহরন আপনার কি জানা আছে?
এটা শিশির সাহেব জানেন তিনি কি বলেছেন আর বলেন নি।
যেহেতু এই উদযাপনের সাথে ঈদের কোন সম্পর্ক নাই সেহেতু ঈদ মোবারক কথা টা এই উদযাপনের সাথে যুক্ত করে দেয়া কত টুকুন যুক্তিযুক্ত?
যেই উদযাপন যেখানে মানানসই সেখানে রাখা উচিত।
মহাভারত অশুদ্ধ কি শুদ্ধ বা অশুদ্ধ বললে কি হবে তা হিন্দু ভাইরা বলতে পারবেন। কোলাকুলি করে ঈদ উদযাপন বিশ্বের সকল মুসলিম গন করেন সেই উদযাপনে এমন অতিরিক্ত সৃজনশীলতা না দেখানোই উত্তম।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪২
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এতেই ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে.......
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৬
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: আঘাত দিলে আঘাত না লাগা কি খুব ভালো কোন লক্ষন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
নতুন বলেছেন: শিশির বলেনাই যে এই ভাবে কোলাকুলি করতে হবে।
ধমেও অনেক পরিবতন হয়। অনেকে বলে ছবি তোলা হারাম.... কিন্তু এই জামানায় ছবি না তুলে আপনি হজে যেতে পারবেননা।
এটা এমন জিনিস না যাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে।