নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার সংসার বনাম নিয়ম রক্ষার সংসার

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৩৬

ওমর সাহেব এবং রুমেলার বিয়ে হয়েছে ২৬ বছর হল। তিন মেয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁদের সংসার। ওমর কে বিয়ে করতে রুমেলার কিছুটা আপত্তি থাকলেও পরিবারের চাপে তা ধোপে টিকেনি। অগত্য কালো অপছন্দের ওমর সাহেবের সাথেই তার সংসারের বিস্তার। রুমেলার বান্ধবিরা যদিও বলত ওমর যেহেতু অনেক ভালো এবং রুমেলার প্রতি তার অঢেল ভালবাসা তাঁদের সংসারকে ভালবাসাতে পরিপূর্ণ সংসারে রূপান্তরিত করবে কিন্তু আজ ২৬ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। এই কারনে রুমেলাও সর্বদা নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে থাকে। নিয়মরক্ষার এই সংসারে জন্ম নেয়া তার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাকিটা জীবন এভাবেই কাঁটিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা তার। তাদের ২৬ তম বিবাহ বার্ষিকীর রাতেই হঠাৎ করেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওমর সাহেব মারা গেলেন। ওমর সাহেবের মৃত্যুতে রুমেলা খুব ঝামেলাতে পরে গেল কারন এত গুলো সন্তান এবং এই বড় সংসারের ভার আকস্মিক ভাবে তার উপর এসে পড়ল, যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। এখন মাঝে মাঝে তার নিজের অস্তিত্বে বা এই সংসারে ওমর এর শূন্যতা অনুভব হয়। কয়েক মাস পরে রুমেলার সাথে বিপত্নীক মুকুল সাহেবের পরিচয় হয়। বাড়ির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে মুকুল সাহেবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করার বদৌলতে বহুবার তাদের দেখা হয়েছে। মুকুল সাহেব কে রুমেলার ভালো লাগাতে রুমেলা নিজেই তার মোবাইল নাম্বার মুকুল সাহেব কে দেয়। শুরু হয় তাদের রাত জেগে নিজেদের ব্যাক্তিগত আলাপ। কিছুদিন পরে রুমেলা অনুভব করল ২৭ বছর পূর্বে ওমর এর পরিবর্তে নিজের মনের মণিকোঠাতে যাকে নিজের স্বামী হিসেবে কল্পনা করত সেই সকল গুণাবলী ই রয়েছে মুকুল সাহেবের মধ্যে। কয়েক মাস পরে বড় দুই জামাই এবং মেয়ের অমত থাকা সত্ত্বেও রুমেলা মুকুল সাহেব কে বিয়ে করে নতুন করে সংসারী হয়।

সাজাহান সাহেব যেদিন রুবাকে দেখতে গিয়েছিলেন সেদিনই রুবা তার প্রেমে পরে যান। বলা যায় প্রথম দর্শনেই প্রেম হওয়ার মত। তাদের সংসারের বয়স এখন ২৫ বছর। তবে বড় ছেলের মতে মা বাবাকে সারাদিন বকাঝকা করেন কিন্তু বাবা কোনদিন মাকে বোকা দেন নি। দুই ছেলে দুই মেয়ের সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেয় যে বাবা মাকে খুব ভালবাসেন কিন্তু মা বাবার প্রতি খুব অন্যায় করেন। যদিও ছেলে মেয়েদের এই বিচার বিবেচনা তাদের মধ্যকার ভালবাসা কমাতে পারেনি চুল পরিমাণও। এই তো সেদিন রাতে সাজাহান সাহেব কে বলতেছিল খোঁপাতে বেলি ফুলের মালা দিতে ইচ্ছা করছে। পরদিন কোথা হতে যেন ইয়া বড় এক বেলি ফুলের মালা ছেলে মেয়েদের দৃষ্টির আড়াল করে নিয়ে এসে গুজে দিল রুবার খোঁপাতে। এই ভালবাসা রুবা খুব উপভোগ করে আবার রুবার বকাঝকাও সাজাহান সাহেব এর উপভোগ্য একটা ব্যাপার এই বিষয়ে ছেলে মেয়েদের সন্দেহ থাকলেও রুবার কোন সন্দেহ নেই। সাজাহান সাহেব এবং রুবার সংসারের এই ভালবাসার বন্ধন বেশি দিন রইল না। সড়ক দুর্ঘটনাতে সাজাহান সাহেবের মৃত্যুর পরে সব কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। সংসারে আর রুবার থাকতে ইচ্ছা করে না। এতদিন যে ঘরটি ছিল তার সবচেয়ে আকর্ষণের যায়গা, যে ঘর ছেড়ে একদিন ও কোথাও বেড়াতে পারতেন না সেই ঘরের প্রতিটি আসবাব কেন যেন তার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে কোঁথাও যেতেও পারছেন না তিনি। এভাবে শ্বাসরুদ্ধ কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে করতে অসুখ দানা বাধে রুবার শরীরে। ডাক্তার যদিও কোন সিরিয়াস অসুখ খুঁজে পেল না তার পরেও রুবার মনে হতে থাকে অচিরেই সে মারা যাবে এবং সাজাহান সাহেবের সাথে মিলিত হবে। সাজাহান সাহেবের সাথে সাক্ষাতের কথা তার মনকে আনন্দিত করে তুললেও কিছুক্ষণ পরেই সন্তানদের কি হবে চিন্তাতে বুকটা চিন চিন করে উঠে। এ যেন এক শাঁখের করাতের মাঝে বসবাস রুবার।

মায়ের সেবা যত্ন ঠিক ভাবে যেন হয় সেই জন্যই গ্রামের সহজ সরল নার্গিসকে বিয়ে করেন জাহের সাহেব। দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে তাদের ২৬ বছরের বৈবাহিক জীবন। জাহের সাহেব এই সহজ সরল নার্গিসকে কখনোই ভালবাসাতে পারেন নি, যে কারনে নুন থেকে চুন খসলেই নার্গিসকে তিনি বকাঝকা শুরু করেন এমনকি গায়েও হাত তুলতে তার মত একজন শিক্ষিত মানুষ পিছপা হন না। এই সংসার আর করবে না বলে বহুবার বাবার বাড়ি চলে গেলেও এই সংসার এবং সন্তানদের ভালবাসার কারনে একবারও দুই দিনের বেশি থাকতে পারেন নি। যদিও নার্গিসকে বউ করে আনার জন্য মায়ের খেদমত মুখ্য ছিল তার পরেও এই বিয়ের ঘটককে অকথ্য ভাষাতে গালিগালাজ করেও মাঝে মাঝেই নিজের মনের খেদ মিটান জাহের সাহেব। নার্গিসের এখন প্রায় ৪০ বছর বয়স এই বয়সে জাহের সাহেবের হাতের মার তার আর সহ্য হয় না। শরীরটা মার খেয়ে দুর্বল হয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই মাথা চক্কর দিয়ে পরে যায় নার্গিস। ডাক্তার অনেক ওষুধ দিয়েছে কিন্তু নার্গিসের তা খেতে ইচ্ছা করে না কারন এই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হলেই আবার মারামারি করবে স্বামী। এর চেয়ে অসুস্থ থাকাই শ্রেয় বলে তার মনে হয়। এই অসুস্থতা কাঁটিয়ে উঠার দুইমাস পরেই হঠাৎ একদিন স্ট্রোক করে নার্গিস না ফেরার দেশে চলে গেল। মায়ের মৃত্যুতে সন্তানগুলো খুব অসহায় হয়ে গেল। এদিকে নার্গিসের লাশ দাফন করে সকল আত্মীয় স্বজন মিলে পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করতে বসল। জাহের সাহেব ঘুরে ফিরেই বাচ্চাদের পড়াশুনা এবং রান্নাবান্নার প্রসঙ্গ তুলতে থাকলেন। ওখানে সিদ্ধান্ত হল ৪ মাস জাহের সাহেবের আত্মীয় স্বজনেরা পালাক্রমে এসে থাকবেন এবং সংসার দেখাশুনা করবেন এবং ৪ মাস পরে তাঁরা আবার বসে পরবর্তী সিধান্ত নিবেন। জাহের সাহেব এতে খুশী হতে পারলেন না কারন তিনি চেয়ে ছিলেন তার অপছন্দের বউয়ের মৃত্যুর সাথে সাথেই পছন্দের কাউকে বিয়ে করবেন। জাহের সাহেবের সমবয়সী ভাগিনার সাথে এই ব্যাপারে তিনি আলাপও করেছিলেন কিন্তু এই প্ল্যান সব নষ্ট করে দিল। যাই হোক তার ভাগ্নের সু-পরামর্শে তিনি এই জাল কেটে ২ মাসের মাথাতেই বিয়ে করে ফেললেন এবং ভাঙা সংসার নিজের মত করে জোড়া দিতে তিনি আরও দুই খানা বিবাহ করলেও নার্গিসের মত কেউ তার অত্যাচার সহ্য করে সংসার করবেনা বলেই তার প্রতীয়মান হল। ফলে শেষ অর্থাৎ চতুর্থ বউয়ের সাথে তিনি নাকি খুব অমায়িক ব্যাবহার করেন এমনকি বউকে রান্না করেও খাওয়ান।

তিন ছেলে এক মেয়ে নিয়ে মারুফ ও তিন্নির সংসার। ২০ বছরের সংসার জীবনে তাদের কখনো ঝগড়া হয় নি। দুজন দুজনকে খুবই ভালোবাসেন। যদিও তাদের এই ভালবাসা তাদের বড় ছেলেটিকে আগলে রাখতে পারে নি। এর পরেও পরের সন্তান গুলোকে মানুষের মত মানুষ করার স্বপ্ন দেখে তাদের দিন কাটে। মারুফ ফুটপাতে ব্যাবসা করলেও তাদের সংসারে আনন্দের অভাব নেই। অর্থই যে প্রকৃত সুখ নয় তা তাদের সংসার দেখলে সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে নেয়। সুখ মানুষের জীবনে বেশীদিন থাকে না এই কথা কত টুকুন সত্য তা মারুফ না জানলেও এমনি এক সত্যের মুখোমুখি করে একটি দুর্ঘটনাতে তিন্নি প্রান হারায়। মারুফ যেন সন্তানগুলো নিয়ে এক অথৈ সাগরে পরে যায়। ছোট ছোট এই সন্তান গুলোকে কীভাবে মানুষ করবে, কে ওদের দেখাশুনা করবে এই নিয়ে ভেবে কোন সিধান্তে আসতে পারতেছিল না মারুফ। এই অবস্থাতে সকল আত্মীয় স্বজন তাকে নতুন করে সংসার বাঁধার পরামর্শ দিলেও তিন্নির স্মৃতি কাতর মারুফ নতুন কাউকে নিয়ে সংসারের কথা কল্পনাও করতে পারে না। একাই সন্তানের পিতা এবং মাতার দায়িত্ব পালনে বদ্ধ পরিকর মারুফ ভালো ভাবেই সংসারের হাল ধরে রেখেছেন গত ১৫ বছর যাবত।

সামাজিক ও ধর্মীয় স্বীকৃতি নিয়ে দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের একত্রে বসবাস এবং পরবর্তী প্রজন্মের লালন পালনের কেন্দ্র কে সাধারণত আমরা সংসার বলে অবহিত করি। এই সংসার গঠনের সময় পাত্র কিংবা পাত্রীর অভিভাবকগণের বাড়াবাড়ির কারনে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক কেই রুমেলা বা জাহের সাহেবের মত নিয়ম রক্ষার সংসার গঠন করেন এবং তা নিজেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে নেন। এক্ষেত্রে নার্গিস বা ওমর গণ সারা জীবন একতরফা ভালবাসা দিয়ে গেলেও নিজেরা প্রতারিত হন এই সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী মানুষটির দ্বারা। প্রতিনিয়ত তাদের অভিনয় করে যেতে হয় নিজের অস্তিত্বের সাথে। এই অভিনয় তাদের মনের মাঝে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে যা নিরাময়ের জন্য সঙ্গী মারা যাবার সাথে সাথেই তাঁরা মরিয়া হয়ে পরে। তাদের এই অস্বাভাবিক আচরণের জন্য পূর্বের সংসারে জন্ম নেয়া সন্তানগুলো হেয় হয় সামাজিক পরিমণ্ডলে যা রুমেলা বা জাহের সাহেবদের বিবেচনা করার মত ধৈর্য থাকে না কারন ক্লান্তিকর দীর্ঘ এবং অস্বস্তিকর বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে সবচেয়ে সহজভাবে পরিত্রানের পর এই সুযোগকে তাঁরা কখনোই হাত ছাড়া হতে দিবে না। যদিও এই ধরনের মনোভাব তাদের স্বার্থপরতাকে সামাজিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করে তুলে তার পরেও তাঁরা নিজেরা সুখী হয় ভালবাসার এক সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে।

অপরদিকে বিবাহের সময় যদি অভিবাবকগণ সন্তানের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে সামনে অগ্রসর হন তাহলে ঐ সংসারের সূচনালগ্ন হতেই তা পরিচালিত হয় ভালবাসার বন্ধনের দ্বারা। যার ফলে সারাজীবন তাঁরা এক সুখের স্বর্গ রচনা করে যেখানে এক জনের অনুপস্থিতি তাদের সন্তানদের উপর তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। পূর্বের সুখ স্মৃতি মনে করে তাঁরা নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার কাজে আত্মনিয়োগ করে।

যদিও সহধর্মিণীর মৃত্যু একজন মানুষের জীবনকে নিঃসঙ্গ করে তোলে তার পরেও ঐ নিঃসঙ্গ জীবনকে নতুন করে সাজানোর পূর্বে অবশ্যই একজনকে সন্তানের মতামতের মুল্যের সাথে সাথে হারানো সঙ্গীর প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ দেখাতে হবে। সাধারণত যে সংসারের সৃষ্টি নিয়মরক্ষার জন্য সেই সংসারের সমাপ্তি জীবিত থাকা স্বামী/স্ত্রীকে হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ দাণ করে। এই সুযোগ তার বিবেক কে পঙ্গু করে দেয় এবং সে যে কোন উপায়ে নতুন এক ভালবাসা নির্ভর সংসার গড়তে উঠে পরে লাগে। তাই আপনার সন্তান এর নতুন সংসারের সঙ্গী নির্বাচন করতে তার মতামত কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন। তা না হলে আপনি আজ জবরদস্তি করে যে দুইটি মনেকে একত্রিত করলেন তাঁরা ২৫/৩০ বছরেও কখনো সাবলীল ভাবে একীভূত হবে না। এর ফলাফল বহন করতে হবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম কে, আপনার দৌহিত্রগণ হবে তাদের মনের গহিনে লুকিয়ে থাকা আপনার প্রতি ক্ষোভের বলি। পরিশেষে বলব সকল সংসার গঠিত হোক ভালবাসার উপর ভিত্তি করে, ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাক প্রতিটি সন্তান এবং তাদের ভবিষ্যৎ। বিলুপ্ত হোক সকল নিয়ম রক্ষার সংসার যা সন্তানের জীবনের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "সকল সংসার গঠিত হোক ভালবাসার উপর ভিত্তি করে, ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাক প্রতিটি সন্তান এবং তাদের ভবিষ্যৎ। বিলুপ্ত হোক সকল নিয়ম রক্ষার সংসার যা সন্তানের জীবনের জন্য অভিশাপ স্বরূপ"

সহমত + প্লাস

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: :(
:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.