নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দয়া করে আপনাদের উর্বর মস্তিষ্কের ধ্বংসাত্মক প্লানগুলো হতে আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কে রেহাই দেন

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল একটি পরীক্ষামূলক সিদ্ধান্ত যা হঠাৎ করেই ২০০১ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে এর কিছু খুত বের হয় যা ঢাকতে বিগত ৩ বছরের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা না করেই আমাদের মনিষী তুল্য ব্যাক্তি গন সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেন চতুর্থ বিষয়ের গ্রেড ও মুল পয়েন্টের সাথে যুক্ত হবে। উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন পরীক্ষার্থী বা তাদের পরবর্তীদের ঐ খুত হতে মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে মনিষীদের দোষকে আড়াল করা।

পরবর্তীতে ২০০৭/০৮ এর দিকে আমরা ২০০১, ২০০২, ২০০৩ এর এস এস সি ব্যাচ আন্দোলন শুরু করি এই গ্রেডিং এর সমতার জন্য। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেব প্রধান অতিথি হয়ে আসেন। আমরা ২০০১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জেনে আমাদের নিকট এই সমস্যার ব্যাপারে জানতে চান। আমরা তাঁকে বিস্তারিত বলার কিছুদিন পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আমাদের বৈষম্যের কিছু অংশ দূরীভূত করার চেষ্টা করে। কিন্তু অদ্য পর্যন্ত অনেক ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সেই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ পুরোপুরি পালন করে নি। এখানে একটি পয়েন্ট মনে রাখা প্রয়োজন আর তা হল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের নিজেদের আন্দলন করতে হয়েছে। এমন নজির পৃথিবীর কোন দেশে খুজে পাওয়া দুষ্কর।

এমন হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের মাথাতে চাপিয়ে দেয়া হল সৃজনশীল পদ্ধতির নামে এক অলিক বস্তু। যার সম্পর্কে শহরের অনেক নামকরা স্কুলের শিক্ষকগন ও পুরোপুরি পরিষ্কার ধারণা রাখেন না। এখন সচেতন মানুষ মাত্রই প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে গ্রামের কি দশা? আসলে আমাদের ঐ সকল মনিষীদের এত গ্রাম কিংবা শহরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিন্তা করার সময় নাই। তাঁদের বেশীরভাগের সন্তান পড়াশুনা করে ইংলিশ মিডিয়াম কিংবা দেশের বাইরে। যদি তাই না হত তাহলে দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন এর নামে পাবলিক পরীক্ষার সিলেবাস থেকে শুরু করে পরীক্ষা পদ্ধতি এমন পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে ঘনঘন সংশোধন করা হত না। প্রাইমারী থেকে এইচ এস সি পর্যন্ত সকল পাবলিক পরীক্ষার একই হাল। এর পরেও গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে রয়েছে পাঠ্যবইয়ের অগণিত ভুল তথ্য, অসংলগ্ন কথা।

এই সকল ত্রুটি যুক্ত পথ পেরিয়ে শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসে তখন তাকে সত্যিকারে এই ১২ বছরের শিক্ষার পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের ঐ সকল মনিষীগণ এখন আবার উঠেপড়ে লেগেছেন দুই ভাগ হয়ে এই পরীক্ষার বিরুদ্ধে। একদল বলছেন এই পরীক্ষার দরকার নাই আরেক দল বলতেছেন সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একত্রে নিতে হবে। আসলে এ সবই হল গত বছর ভর্তি পরীক্ষাতে তাঁদের এই সকল ত্রুটিযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে আসা হতভাগ্য শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ ফেল করার লজ্জা ঢাকার নামান্তর।

সস্তা জনপ্রিয়তা এবং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার ইচ্ছা এই সকল মনিষীদের আমাদের মত ভুক্তভোগী কিংবা অনাগত ভুক্তভোগীদের কথা চিন্তার তুলনাতে নিজেদের জাহির করাতে বেশি ব্যাস্ত করে রাখে। যার ফলে এমন সব ফালতু সিদ্ধান্ত নিতে এরা এক মুহূর্তও চিন্তা করে না। এই সকল মনীষীদের উদ্দেশ্যে বলব দয়া করে আপনাদের উর্বর মস্তিষ্ককে অন্য কোন ক্ষেত্রে খাটান। কারন এই ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতার জন্য আজও বাংলাদেশে কিছু সৎ, যোগ্য, মেধাবী মানুষ খুজে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। নতুন করে এতটা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন না করে অন্য কোন দিকে নজর দিন। দেশটাকে ধ্বংস করার প্রয়াস হতে বিরত হন। আল্লাহ আমাদের দেশকে এবং আমাদের অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন উর্বর মস্তিষ্কের ধ্বংসাত্মক প্লানের হাত হতে রক্ষা করুন। আমীন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সুমন কর বলেছেন: পৃথিবীর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়।

চমৎকার বলেছেন। সহমত। +।

আজকালের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার দৌড় দেখলে নিজেই অবাক হয়ে যাই। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে আসে অথচ ক্যালকুলাস, ফিজিক্স পারে না।। এ রকম সৃজনশীল পদ্ধতি আমরা চাই না। যেখানে শিক্ষকরাই সৃজনশীল পদ্ধতি বলতে কি বুঝে, সেটাই এখনো দেশের সব জায়গায় বুঝে উঠতে পারেনি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শিক্ষক গণ তো অনেক পরের ব্যাপার যারা তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন তাঁদেরও পরিষ্কার ধারণা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.