নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেরেম শরীফে সম্মানিত হাজীদের মৃত্যু এবং মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ধাস্তু দুটোই কি মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ গুলোর ইসলামের সঠিক পথ হতে বিচ্যুতির কারনে নয়?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে সৌদি আরবে মর্মান্তিক ক্রেন দুর্ঘটনাতে হেরেম শরীফে সর্বমোট ১০৭ জন (গতকাল পর্যন্ত) এর মৃত্যু এবং ২৩৮ জন আহত হয়েছেন।

সকলের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের কোন পাপ থাকলে আল্লাহ্‌ যেন তাঁদের ক্ষমা করে দেন।

এখন প্রশ্ন হল আমাদের বাংলাদেশীরা এই মৃত ব্যক্তিদের জান্নাতি বলে ফেসবুকের পাতা ভারি করতে ব্যাস্ত। যদিও এই পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদ শুধুমাত্র ১০ জন পেয়েছিলেন (হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং অন্য নবী রাসুল (আঃ) ব্যতিত)। আচ্ছা যারা মারা গেছেন তাঁদের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকে যে সুদের টাকাতে হজ্ব করতে গেছেন? কিংবা এতিমের সম্পদ লুণ্ঠন করে হজ্বে গেছেন তাঁদের জান্নাতের যে গ্যারান্টি আপনি দিচ্ছেন এটা কি খুব কঠিন গুনাহ হয়ে যাচ্ছে না?

আচ্ছা যারা মারা গেছেন তাঁরা বেঁচে গেছেন কিন্তু যে ২৩৮ জন মারাত্মক আহত হলেন তাঁদের কি হবে? একবার ভেবে দেখেছেন তাঁদের বাকি জীবন টুকুন কীভাবে কাটবে?

হজ্বের মত মৌসুমে এই সকল ক্রেন ওখানে কি করছিল? এই প্রশ্ন করা কি অবান্তর? কেন সৌদি সরকার হজ্বের মৌসুমের পূর্বেই সকল উন্নয়ন কাজের সমাপ্তি করল না?

আমাদের দেশে আরবিতে কথা বলতে জানলেই তাঁদের সাতখুন মাফ করে তাঁদের আল্লাহ্‌ ওয়ালা ভাবতে শুরু করে। আসলে এরা কত টুকুন আল্লাহ্‌ ওয়ালা তা কেউ ওদের দেশে কিংবা ইউরোপ আমেরিকা তে ওদের বেপরোয়া জীবন দেখলেই সহজে অনুমেয়। হাজার হাজার মুসলিম শরণার্থী খাদ্য, বাসস্থান কিংবা চিকিৎসার অভাবে জর্জরিত। অথচ, সৌদি, কাতার, আবুদাবি, কুয়েত এই সকল দেশের শেখ গণ স্বর্ণের টয়লেট নির্মাণে ব্যাস্ত। তাঁরা ব্যস্ত গাড়ির চাকাতে হীরার কারুকার্য কিংবা পতিতাদের গলাতে ডলারের মালা ঝুলাতে। আর এদের এই সকল কর্মকাণ্ডের নিরব স্বীকার সাড়া বিশ্বের লাখো কোটি মুসলমান।

আমার ল্যাবের এক জাপানিজ আমাকে এদের এই সব কুকর্মের ভিডিও দেখিয়ে বলে তোমারা মুসলমানরা ইউরোপ বা অন্য দেশে আশ্রয় চাও বা খাদ্য চাও অথচ এদের এই অপচয়ের টাকাতে নতুন দ্বীপ ক্রয় করে সেই দ্বীপের উন্নয়ন করে অনাওএসে এই সকল মানুষকে রাখতে পারে। আমি ওর উত্তরে বলেছিলাম এদের যদি এই টুকুন জ্ঞান থাকত তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে এতো উদ্ধাস্তুই হইত না।

মুসলিম সমাজকে বর্তমানের অবস্থাতে নিয়ে আসতে এদের অবদান অনস্বীকার্য। আল্লাহ্‌ এদের হেদায়েত করুন। আল্লাহ্‌ আমাদের হুজুগে বাঙ্গালী মুসলমানদের সঠিক ইসলাম শিক্ষার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ্‌ আমাকেও হেদায়েত নসীব করুন। আমীন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, ইসলামের কিছু নেই এখানে; ওরা লেখা পড়ায় পেছনে পড়ায় নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে, এবং টের পাচ্ছে না। বিশ্ব, গড়ে ওরাই সবচেয়ে বেশী সম্পদের মালিক।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ইসলামের প্রথম বানী হল ইকরা বা পড়। জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে ওদের উদাসিন্য তো আছেই। ইসলাম হল পুরনাংগ জীবন ব্যাবস্থা। এর কিছু অংশ মানবে কিছু মানবে না এমন কোন নিয়ম নেই।
ওরা ইসলামকে কাস্টম মেইড করতে চাচ্ছে। যেটা ওদের সর্বাপেক্ষা বড় ভুল।
আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

রোষানল বলেছেন: আমার মনের কথা খানই কইয়া দিলেন ...

অনেক ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

মামু১৩ বলেছেন: "ইসলামের প্রথম বানী হল ইকরা বা পড়। "-----লতিফ সিদ্দীকির সংগ্রহে আছে প্রায় ২ লক্ষ বই। উনি পড়া লেখা করা মানুষ। স্বল্প শিক্ষিত মুসলীমরা এক কথায় তাকে মুরতাদ বলে ফাঁসি চায়; জঘন্য!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: এই দুই লক্ষ বই পড়ে উনি যে মন্তব্য করেছেন তাতে আমার মনে হয়েছে উনি এই কথাটা বলার জন্য ই বইগুলো কিনেছেন। দুঃখিত কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। উনার মন্তব্য ভুল ছিল।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: হেরেম শরীফে সম্মানিত হাজীদের মৃত্যু একটা দুর্ঘটনা কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ধাস্তু এক্টা পরিকল্পিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপজাত। সুতরাং এই দুটি বিষয় এক করে দেখা ঠিক হবে না। আর শুধু এই দুটো কেন, পৃথিবীর যত অনাচার তার সবই ধর্ম থেকে বিচ্যুতির কারনে, কোথাও কোরান থেকে কোথাও বাইবেল থেকে ।

শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় সব শাসকই বিলাসী। সংস্কৃতি ভেদে ভোগের ধরন ভিন্ন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: সহমত।
আমি কিন্তু প্রশ্ন করেছি এতো বড় একটি মিলনমেলার পূর্বেই কেন এই সকল নির্মাণ সামগ্রি ঐ অবস্থান হতে সরিয়ে নেয়া হল না?
জন্ম মৃত্যু আল্লাহ্‌র হাতে এটা আমি কেন যেকোনো মুসলিমকেই বিশ্বাস করতে হবে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: এমন তো না যে ক্রেন প্রতিনিয়তই ভেঙ্গে পড়ছে। এইটা নির্মাণ কাজে জড়িতদের অদূরদর্শিতা বা অবাবস্থাপনা কারনে ঘটেছে , এর সাথে ইসলামের পথ হতে বিচ্যুতির সম্পর্ক আগছে বলে মনে করিনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: হাজীগণ আল্লাহ্‌র মেহমান। এই কথা যদি স্বীকার করি তাহলে এই কথা স্বীকার করতে দোষ কোথায়ে যে সৌদি আরব এই বছর আল্লাহ্‌র মেহমানদের অভ্যর্থনাতে কিছু ত্রুটি রেখেছিল?
যদি রেখে থাকে তাহলে এটা ইসলাম হতে বিচ্যুত হওয়া নাকি ইসলামের পথে থাকার উদাহরণ?

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: "সৌদি আরব এই বছর আল্লাহ্‌র মেহমানদের অভ্যর্থনাতে কিছু ত্রুটি রেখেছিল? "
এই "কিছু ত্রুটি" নিশ্চয় ইচ্ছাকৃত রাখেনি। আর ও যদি ইচ্ছাকৃত ত্রুটি রাখা হয় তাহলে নিশ্চয় তারা ইসলাম হতে বিচ্যুত হয়েছে আর তারই আজাব হিসেবে ক্রেন ভেঙ্গে পড়েছে। কি ট্রাজেডি দেখেছেন ইসলাম হতে বিচ্যুত হলো সৌদি আরব আর মরলো ইসলামের পথে থাকা কিছু হাজি!

পনুশ্চ ঃ ইসলামে ক্রেন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কিছু আছে বলে আমার জানা নাই, যেখান থেকে বিচ্যুত হলে ক্রেন ভেঙ্গে পড়তে পারে। এটা আমার জ্ঞানের সিমাবদ্ধতা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আমি খুব ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষ সহজেই বলতে চেয়েছি ভাই।
আমার জানা মতে সৌদি আরবের হজ্ব নামক আলাদা মন্ত্রণালয় আছে এবং একজন মন্ত্রী রয়েছেন। আমি আগেই বলেছি যে একজন উন্নয়ন কাজ কেন হজ্বের পূর্বেই শেষ করা হল না?
ইসলামে এমন অনেক কিছুই সরাসরি বলা নাই। আল্লাহ্‌ বলেছেন আমার উপর ভরসা কর এখন আমি আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে ১০ তোলা বিল্ডিং হতে সখের বসে লাফ দিয়ে যদি বলি ইসলামে তো বলা নাই আল্লহ্এর উপর ভরসা করে ছাদ হতে লাফ দেয়া যাবে না।
আমি ক্রেন ম্যানেজমেন্ট এর প্রশ্ন তুলি নি। আমি তুলেছি তাঁদের ঐ কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের অবহেলার কথা।
যাই হোক আমি তর্কে যেতে চাচ্ছি না। তবে এখানে বলে রাখি হযরত উমর (রাঃ) অর্ধেক পৃথিবী শাসন করেছেন খেজুর পাতার চাটাইতে বসে কিন্তু সৌদি বাদশাহ রা টয়লেট করেন স্বর্ণের টয়লেটে। হযরত উমর (রাঃ) যদি মুসলিম হন তাহলে কোন যুক্তিতে এই সকল শেখ বা বাদশাহ রা মুসলিম তা আল্লাহ্‌ ভালো জানেন।
কষ্ট ওখানেই হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন এবং ইসলামের পথে থাকার তৌফিক দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.