নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইচ এস সি কিংবা পাবলিক পরীক্ষার একাল সেকাল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

A story to establish a young generation without any ethics and moral value. :(

এই ঘটনা গুলো অস্বাভাবিক মনে হলে আপনি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক হবার অযোগ্য কিংবা ভুল করে ঐ দেশে জন্ম গ্রহণ করে ফেলেছেন।

১৯৯৫/৯৬ এর দিকের ঘটনা। ভোলার লালমোহন থানাতে HSC পরীক্ষাতে নকল করতে না দেওয়ার কারনে দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট এবং শিক্ষক গণকে লাঞ্ছিত করেছিল পরীক্ষার্থীদের স্বজনেরা।

১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে শুনতাম হল ব্লক করে পরীক্ষা দিচ্ছে প্রভাবশালীদের আত্মীয় স্বজন গণ। তখন যদিও বুঝতাম না হল ব্লক মানে কি। পরে বড় হয়ে বুঝলাম এমন একটি পরীক্ষার রুম যেখানে প্রশাসনের কেউ কখনো যেতে পারবে না। ফলে ঐ রুমের পরীক্ষার্থীগণ যেভাবে খুশী সেভাবে লিখতে পারবে।

এমনি এক হল ব্লক করা রুমে একবার এক গর্বিত অভিভাবক নকল পাঠালেন। নিচে লিখে দিলেন “ক” তোর লেখা শেষ হলে নকল টি “খ” কে দিস। এমন গাধা মার্কা শিক্ষার্থী সে এই কথা টুকুন ও সযত্নে পরীক্ষার খাতাতে লিখে ফেলেছিলেন। এই গাধা দের পাশ করানোর এই পদ্ধতি চলে এসেছিল বহু যুগ ধরেই। কিন্তু ২০০১ সালে তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন সাহেব (যিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র ছিলেন) নকলের বিরুদ্ধে রীতি মত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।

তিনি সফল ও হয়েছিলেন। নকল মুক্ত পরীক্ষা ছিল তার দেয়া একটি স্মরণীয় উপহার। ঐ বছর সারা দেশে ৭৬ জন এ+ এবং মাত্র ৩৮০০০ শিক্ষার্থী ৪.০০ এর উপরে পয়েন্ট পায়।

সেই দিন গুলো যাওয়ার পরে আবার নতুন এক ব্যারাম শুরু হল আর তা হল এ+ এর হার প্রতি বছর জ্যামিতিক হারে বাড়াতে হবে। ফলে শিক্ষক থাকা কালীন দেখতাম প্রশ্ন ফাঁসের এক মহা সমরহ।

ঐ আমল দেখে শিক্ষার্থীরা একটু আরাম প্রিয় হয়ে গেল। কারন হলের কোন এক বালক বা বালিকা কোন একটি বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর পারলে পুরো হল তা জানতে পারে। এর উপর প্রশ্ন পাওয়ার মজা তো আছেই। উনারা আগে ঐ ফাঁস করা প্রশ্ন কষ্ট করে পড়লেও এখন এই পড়া টুকুন ও তাঁদের জন্য খুব অসহনীয় হয়ে উঠল। ফলে ঐ প্রশ্নের মধ্যেও উনারা ভাগ করে নিতে থাকল যে কলিমুদ্দিন ১-৩ নম্বর প্রশ্ন, রহিমুদ্দিন ৪-৬ নম্বর প্রশ্ন এবং প্রকাশ রয় ৭-৯ নম্বর প্রশ্ন পড়বে ফলে সবাই মিলে মিশে এ+ পাওয়া যাবে।

কিন্তু বিধিবাম হয়ে দাড়ায় হলের কড়া গার্ড। যার ফলে গত বছর বরহানুদ্দিন আব্দুল জব্বার কলেজের ফলাফল খারাপ হওয়ার সাথে সাথেই তারা যে কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দিয়েছিল সেই কেন্দ্র বাতিলের জন্য রাস্তাতে নেমে এসেছিল।

এক বছর ব্যাবধানে এই প্রক্রিয়া উন্নত হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই স্বাভাবিকতার পথ ধরেই নোয়াখালীর হাতিয়ার হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা নকল করতে না পেরে শিক্ষক দের ধাওয়া দিয়ে ধরতে না পেরে কলেজের কাচ এবং আসবাবের উপর তাদের হাতের জোড় দেখিয়েছেন।

ভালই করেছেন তারা, কারন আসলে বর্তমান বাংলাদেশে তো তাদের এই হাতের জোড়ই হল সর্বাপেক্ষা বড় জোড়। আর তাদের যেহেতু রাজনীতি করতে হবে এবং যেহেতু রাজনীতি স্কুল থেকেই শুরু হচ্ছে এখন সেহেতু কলেজে পরে এই টুকুন মারামারি করার মত মন মানসিকতা না থাকলে ক্যামনে চলবে?

ওহে নন্দলালের পাল ঘুমাবে আরও নাকি উঠবে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৭

HARUNUR-RASHID বলেছেন: জাতির জন্য অশনিসংকেত!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: জাতি কি তা বুঝবে নাকি এই অশনিসংকেতের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে একটি সনদ সংগ্রহেই ব্যস্ত থাকবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.