নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে গত ৩০০ বছরে কত দেশপ্রেমিক বৃদ্ধি পেয়েছে কল্পনা করতে পারেন আপনি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৮



ছবির ভদ্রলোক ১৭৮২ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি কোরআনে হাফেয ছিলেন হাদিসের উপরও তার অনেক ভালো দখল ছিল। ইংরেজ শোষক এবং তাদের তাঁবেদার (ভালো বাংলাতে পা চাঁটা) জমিদার দের বিরুদ্ধে এই মুসলিম স্কলার প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। যেহেতু তিনি বঞ্চিতদের প্রতিনিধি ছিলেন সেহেতু প্রজাদের নিপীড়ন করা অঢেল বিত্ত তার ছিল না। ফলে নিজের অনুসারীদের জন্য তিনি বাঁশের একটি কেল্লা তৈরি করেন। কিন্তু ব্রিটিশ বাহিনীর আক্রমনে তার স্বপ্নের এই কেল্লাটি ধ্বংস হয় এবং তিনিও নিহত হন (১৯ নভেম্বর ১৮৩১ সালে)। না তিনি লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে অনুসারী দের বিপদে ফেলে দেন নাই। তিনি বুক পেতে শাহাদাৎ বরন করে ছিলেন।


দিন বদলেছে এখন আর কেউ নিজের সর্বস্ব দিয়ে জনগণকে হেফাজতের চেষ্টা করে না বরং জনগনের অর্থ দিয়ে উন্নয়নের নামে এখন তারা বিল্ডিং তৈরিতে রডের বদলে বাঁশ ব্যাবহার শুরু করেছে।

যদিও নিন্দুকেরা এই উদ্ভাবনের কোন মুল্য দিতে চাচ্ছে না। এর পরেও আমি আশা বাদী এই উন্নয়নের জন্য এমন সকল কনট্রাক্টর, সরকারী প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক টেকনোলোজির নোবেল খ্যাত গ্রেঞ্জার মেডেল দাবী করতেই পারেন। না দিলে বলবেন গ্রেঞ্জার মেডেল প্রদান কারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হেগের আদালতে মামলা করে দিব। যা খরচ জনগন বহন করবে। তবে চিন্তার বিষয় হল কে প্রথম এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। কারন মেডেল প্রথম ব্যক্তিই বা গ্রুপই পাবেন। এমন কত বাঁশের বিল্ডিং যে হয়েছে তার হিসাব কে রেখেছে। তবে ওইটা আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করে নেন, যে কাকে মেডেল দেয়া যেতে পারে।

জনগনের টাকা তো আপনাদের জন্যই, কেউ টেবিলের নিচ দিয়ে, কেউ বাম হাত দিয়ে, কেউ খামে, কেউ ঋণের নামে, কেউ হ্যাকিং এর নামে পুকুর চুরি করে এই টাকার সদব্যহার নিশ্চিত করবেন।

কোন সাধারণ জনগন এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের বাঁশখালির কিংবা কানসাটের কথা মনে করিয়ে বাঁশ দিয়ে দিবেন। আর তা না হলে বাঁশের তৈরি লগি বৈঠা তো আছেই।


জনগন কে বুঝিয়ে দিবেন বাঁশ দিয়ে শুধু ঘরের খুঁটি না, মানুষ মারার অস্ত্র, একত্রে বহু মানুষের জীবন প্রদীপ নিভানোর জন্য বাঁশের বিল্ডিং, বিশেষ কাউকে বাঁশ দেয়া যায় এবং অনেক বাঁধা দূর করা যায়। বাঁশে তেল দিয়ে জনগন কে অংক কষতে দিয়ে কিভাবে রিজার্ভ ফাঁকা করা যায় সেটাও মনে করিয়ে দিবেন।

ওদের বুঝিয়ে দিবেন দয়া করে দেশে থাকতে দিতেসি বলেই আছিস বেশী তেরি বেরি করলে ভোটের অধিকারের মত থাকা খাওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়ে হাতে হ্যারিকেন পাছায় বাঁশ ধরিয়ে দিব।

কত বড় সাহস আম জনতার প্রভাবশালী মহলের টেণ্ডার নেয়া কাজের বিরুদ্ধে বলে। এস আলম গ্রুপের মত দেশ প্রেমিক দের বিরুদ্ধে মিছিল করে! বসুন্ধরা গ্রুপের মত দেশ দরদী দের ভূমি দস্যু বলে! প্রাণ গ্রুপের মত সর্বেসর্বা দের যুদ্ধাপরাধী দের সম্পদ বলে! বিসমিল্লাহ্‌ কিংবা হলমার্কের মত তাঁবেদার এবং লভ্যাংশের ভাগ দেয়া প্রতিষ্ঠানকে ঋণ কেলেঙ্কার বলে।


ওহে জনগন এখনো সময় আছে সাবধান হও, নাহলে প্রতি ঘরে ঘরে ভালুক ঢুকিয়ে তনুর মত শেষ করে দিবনে। তখন বুঝবা। এখন তো মাত্র দৈনিক ৪০/৫০ জন ধর্ষিত হয় তাতেই এত চিৎকার! তখন বুঝবা কেমন লাগে!

ইংরেজ দের যেমন তাঁবেদার জমিদার ছিল এখন তেমন তাঁবেদার সুবধা ভোগী শ্রেণী রয়েছে। অতএব কিছু বলার আগে বুঝে শুনে বলবে। কারন তখন ছিল অশিক্ষিত তাঁবেদার আর এখন উচ্চ শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিত সব শ্রেণীর তাঁবেদার এবং লাঠিয়াল তেনাদের রয়েছে। দেশে থাকতে চাইলে এগুলো সহ্য করেই থাকতে হবে আর না চাইলে যা মন চায় তাই কর। এটাই শেষ কথা।

কষ্টের বিষয় হল তিতুমির অর্থাভাবে প্রজাদের বাঁচাতে বাঁশের কেল্লা গরেছিলেন আর আজকের তিতুমিরের দেশের মানুষেরা প্রজাদের অর্থ হরণে সেই একই বাঁশ রডের বদলে ব্যাবহার করছেন। কত দেশপ্রেমিক বৃদ্ধি পেয়েছে কল্পনা করতে পারেন আপনি?


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২০

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: দেশ প্রেমিকে ভরা এদেশ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: হুম
সাধারণ জনগন বাদে সকলেই দেশ প্রেমিক। অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাই বলে। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.