নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি তাঁদের আবার ফিরে পেতাম আমাদের মাঝে!

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:২০

প্রাচিন চীনে সাওলিনদের একধরনের ভক্তি মুলক শক্তি ছিল। সেই শক্তিকে দমন করতে বর্গীরা চীনের লোভী রাজাদের ব্যবহার করেছিল। সাওলিনদের পতনের পরে স্বভাবতই ঐ রাজাদের হাড় দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে ভুল করেনি বর্গীরা!

একই ভাবে ভারতীয় উপমহাদেশেও এই ক্ষমতা লোভীদের ব্যাবহার করে একরকম আরামসে তারা ভারতবর্ষ দখল করে শতাব্দির ধরে শাসন করেছে।

প্রতিটি অভাগা জাতির ত্রাতা রুপে লেন্দুপ দর্জিদের আগমন ঘটে যারা মসনদে বসার বিনিময়ে সকল প্রকার ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকে। হোক সেটা দেশের মান কিংবা সম্মান তাতে তাদের কিছু যায় আসে না!

তবে এই সকল ক্ষেত্রেই লোভী রাজাদের চেয়ে নিষ্ক্রিয় জনগণ অনেক 'Significant' ভূমিকা রেখেছিল। যেমন কথিত আছে ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা নামক ২০০ বছরের সম্ভ্রমহানির ঘটনা যত মানুষ উপভোগ করছিল তারা প্রত্যেকে একটি ঢিল ছুড়ে মারলেও লর্ড ক্লাইভের বাহিনী ঢিলের নিচে চাপা পরে যেত!

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জয় লাভের মূলমন্ত্রও কিন্তু এই একটাই কারন সেদিন যুদ্ধের ডাকে সরবস্তরের মানুষ সাড়া দিয়েছিল। যদি ব্যাঙ্কার, কামার, পোষ্টম্যান, তাতি, কৃষক মনে করত এটা সৈনিকের কাজ তাহলে হয়ত আজও বাংলাদেশ পরাধীন থাকত।

আফসোস আমরা আবার সেই ১৭৫৭ সালের মন মানসিকতাতে চলে গিয়েছি। ভারতের অগ্রাসন বাড়তে বাড়তে আমাদের অস্তিত্ব বিলীনের পর্যায়ে চলে গেলেও আমাদের শিক্ষিত শ্রেণি এখনও বাংলাদেশ ছাড় আনদলন তো দূরে থাক ভারতের পন্য বর্জনের মত সর্বনিম্ন পর্যায়ের প্রতিবাদও করতে পারছে না।

ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে, হয়েছিল এবং হবে। সেইদিন বেশী দূরে নাই যেদিন আমাদের পাসপোর্ট রিনিউ হবে কিনা বা আমার দেশের নাগরিক কি কি সুবিধা পেতে পারে, কত টুকুন বাক স্বাধীনতা থাকবে এই সকল বিষয় গুলোও ভারতের কাছ থেকে আমাদের কনফার্ম করতে হবে!

নিজের দেশের ডাকাতরাও কিন্তু মুক্তি্যুদ্ধের সময় প্রশংসাযোগ্য অবদান রেখেছিল এবং যুদ্ধের পরে ভদ্রবেশী নেতারা ভারত থেকে ফিরে এসে লুটপাটের নেতৃত্ব দিলেও এই সকল ডাকাতদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ভদ্রবেশী এবং বর্তমানের দেশ প্রেমিক নেতাদের এহেন লুটপাটে অতিষ্ঠ হয়েই কিন্তু বঙ্গবন্ধু বলতে বাধ্য হয়েছিলেন "সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি"। এখানে উল্লেখ্য যে তখন দেশে একটাই দল ছিল।

ডঃ মাহাথির মোহাম্মদ এতো বছর পরে এসে কোন আনন্দে নিজের দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন তা কি কারও বুঝার বাকি আছে? তবে আমরা বাংলাদেশিরা মালশিয়ানদের মত এত বোকা না আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বীরউত্তম জিয়াউর রহমান দুইজনকেই হত্যা করে ফেলেছি/ ফেলান হয়েছে। যেন মাহাথিরের মত নিজের দলের দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করার মত সুযোগ কখনো না আশে!

ডঃ মাহাথিরের জয়ের পরে মনে প্রানে চাচ্ছিলাম অন্তত একবারের জন্য হলেও যেন বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন এই বাংলার বুকে, অন্তত একবার হলেও তিনি যেন দেখেন তাঁর নামের উপর কতটা অবিচার আজ বাঙালি করছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ কতটা নির্লজ্জ হতে পেরেছে এই ৪৬ বছরে! কত প্লান করে তাঁর বাংলাকে 'Dignity & Boldness' সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী বিহীন করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং এই তালিকাকে শূন্যে রুপান্তরিত করতে করতে তাঁর নামের উপর চলমান শিক্ষকদের সংগঠনগুলো কত প্রকারের 'Innovative & Devastating' ধারনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত যেন আরেকজন ডঃ রাব্বি, ডঃ মিলনের জন্ম না হয় এই বাংলার বুকে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মাহথির দেশের প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। আমরা আওয়ামীলীগ বিএনপির চুরি লুটপাট, ডাকাতি, সন্ত্রাসীসহ যাবতীয় অপরাধ প্রত্যক্ষ করেও আওয়ামী, বিএনপির বিরুদ্ধাচার সহ্য করতে পারি না।

আফসোস!

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আফসোস

২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাগ্য দুই প্রকার -
এক, যথাতথ (গড় ভাগ্য যার পরির্বতন চোখে ধরা পরে না, অনেকটা বয়স বাড়ার মত)।
দুই, দৃশ্যত পরির্বতন (যা সকলের চোখে পরে, ভুমিকম্ন বা ঝড় তোফানের মত)।

এই দুইয়ের মধ্যে কে বেশী ভাগ্যবান?
দ্বিতৃয়টি ক্ষনস্থায়ী এবং প্রথমটি দীর্ঘস্থায়ী।

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

গরল বলেছেন: ভাই বর্গি অষ্টাদশ শতাব্দীর লুটতরাজপ্রিয় অশ্বারোহী মারাঠা সৈন্যদলের নাম। ১৭৪১ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত দশ বছর ধরে বাংলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে নিয়মিতভাবে লুটতরাজ চালাত বর্গিরা। বর্গিরা আবার চীন দখল করল কবে? এই তথ্যের উৎস জানালে উপকৃত হতাম। বর্গিদের নিয়ে বাংলাপিডিয়ার একটা লিংক দিলাম দয়া করে দেখে নিবেন।

মারাঠা হামলা

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: বর্গী কথাটা জেনেই ব্যবহার করেছি বহিরাগত বুঝাতে
ধন্যবাদ আপনার ইনফরমেটিভ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.