নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন স্বপ্ন দেখি এবং বাস্তবায়ন করি এক সাম্যের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

বাবা একজন সামান্য ব্যাংক ম্যানেজার ছিলেন, ব্যাংকের এমডিও রিকোয়েস্ট করে কোন খারাপ ব্যক্তিকে লোন দেয়াতে পারেনি! একে বলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা! এই জন্য তাঁকে যে খুব সুখে থাকতে দিয়েছে তা নয়, ২৬ বছর একই পোষ্টে চাকুরি করেছেন কোন প্রোমোশন ছাড়াই! হুম ঠিকই পড়েছেন, দুই যুগেরও বেশী একই পোষ্টে, সেই সাথে কারনে অকারণে হাজার বার খেয়েছেন কারন দর্শানো নোটিশ! একা একাই লড়াই করেছেন পুরো একটি সিস্টেমের বিরুদ্ধে, হয়ত সিস্টেম তাঁকে মনে রাখে নি এবং রাখবেও না, কিন্তু উনি তৃপ্ত ছিলেন যে উনার জানা মতে যুদ্ধ করে আদায় করে নেয়া স্বাধীন দেশের এক কানা কড়িও কোন হায়েনা তছরুপ করতে পারে নি। এটাই ছিল বাবার সবচেয়ে বড় পাওয়া!

সিবিএর ভয়ে নাকি এখন অনেকে কিছু করে না, সেই সিবিএ এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির চাকুরি ডিসমিস করেছিলেন এক কলমের খোঁচাতে, থাপ্পর মেরেছিলেন তাঁকে নিজের বস এক ডিজিএম কে ঐ ব্যাক্তির অপমান থেকে বাঁচাতে! ফলাফল ছিল, সি বি এ রিটায়ার বেনিফিট পর্যন্ত প্রায় ২ বছর আটকে রেখেছিল, এই জন্য আমাদের কিংবা বাবার কোন আফসোস নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কোন অন্যায়ের সাথে কোন কিছুর বিনিময়েই আপোষ না করা বুঝায়, অন্ধ ভক্তের মত অন্যায়কে প্রমোট করাকে নয়!

আজ সৎ লোকের এবং চেতনা ব্যবসায়ীদের চাপে অনলাইন মাধ্যম থেকে প্রিন্ট মিডিয়া পর্যন্ত টিকে থাকা দায়, অথচ এক কয়লা খনির ড্রাইভারও বহুতল ভবনের মালিক।

এত সৎ লোকের মাঝে কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে? কিভাবেই বা এ সকল ড্রাইভার থেকে এমডি পর্যন্ত এত কোটি টাকা নস্যাৎ করছে?

কিছু বললেই বলবে সিস্টেমের চাপে পরে আমরা এসব করছি অথচ আমাদের বাবা চাচারা ঐ টিক্কা খানের সিস্টেমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেই দেশ স্বাধীন করেছিলেন! বাঘের ঘরে আমরা সব শেয়াল হয়ে জন্মেছি আর এখন জন্মাচ্ছে বনবিড়ালের দল, ভার্চুয়াল জগতের আয়নাতে যারা নিজেদের পিতামহের মত বাঘ দাবী করলেও আদতে মুরগি চুরি করাকেই সর্বোচ্চ সাহসিকতার কাজ হিসেবে ঠাওরায়!

চেতনার এমন লোক দেখানোর আধিক্য আমাদের সত্যিকারের চেতনা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে! ভাগাড়ের বাসিন্দাদের সমাজের উঁচু স্তরে স্থান দিচ্ছে! ফলাফল আজকের বাংলাদেশ!

বঙ্গবন্ধুর ভাষাতে বললে বলতে হবে, তরুনেরা প্রস্তুত হও, এ ঘুনে ধরা সমাজকে চরম আঘাত করতে হবে, যে আঘাতে এই হ্যালুসিনেসনের অন্ধকার ঘোর থেকে দেশের মানুষ সত্যিকারের মুক্তিযাদ্ধাগণের স্বপ্নের বৈষম্য এবং শোষন মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে বদ্ধপরিকর হতে প্রস্তুত করবে। এ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হবে এমন ড্রাইভার থেকে এমডি পর্যন্ত সকলকে ময়লার ভাগাড়ে ছুড়ে ফেলে দেয়া এবং এমন সামাজিক ময়লাকে সমাজের হিস্যা বনতে না দেয়া।

এক সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, সাম্যের বাংলাদেশের প্রত্যাশাতে। ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১০

বিজন রয় বলেছেন: স্বপ্ন দেখে বসে থাকলে চলবে না ভাই। কাজ করতে হবে। আপনার আব্বার মতো হতে হবে। কিন্তু এদেশে এখন ৯৯.৯৯% বদমায়েশ লোক বাস করে।

ভাল লেখা।
+++++

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
বসে নাই, গত দেড় বছর যাবত দেশে একটা শিক্ষকতার অবস্থান খুঁজছি, পেয়ে যাব একদিন না একদিন। এর পরে নিজ হাতে গড়ব আগামী দিনের বাংলাদেশ ইন শা আল্লাহ্‌। এটাই একমাত্র পেশা যে পেশা সকল পেশাকে প্রভাবিত করতে পারার ক্ষমতা রাখে।
চলুন সবাই সবার অবস্থান থেকে শুরু করি। হতে পারে ঘুষখোর আত্মীয়ের বাসাতে না যাওয়া দিয়ে, হতে পারে অন্য কোন ছোট খাট উপায়ে। শুরু করলে ভালো কিছু আসবেই বলে আপনার সাথে একমত!

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বাবার মতো লোকদের বড় দরকার । দূর্নীতির নাগপাশ থেকে মুক্ত করে এদেশকে পথ দেখাতে হবে ।
ভালো পোস্ট ।
+++

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: অবশ্যই দেখাতে হবে এবং আমরাই দেখাব। আজ থেকেই শুরু করি না সামান্য ছোট কিছু দিয়েই!

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনে বিপদ আসা
অবশ্যই প্রয়োজন! এতে চেনা মানুষ গুলোর চরিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়...

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: সহমত, কিন্তু এই পোষ্টের সাথে সম্পর্ক কি ভাই?।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

কেতন বলেছেন: আপনার বাবার মত কয়জন আছে বলতে পারেন? আমার আগের অফিসের এডমিন ডিরেক্টর একজন খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। তার ব্যবহার এত খারাপ কি বলব? তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কাজে লাগিয়ে অনেক ব্যবসায়িক ফায়দা হাসিল করেছেন। আমি নরমালি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেখি সুযোগ পেলেই অভিযানের গল্প শোনাতে। কিন্তু তাকে কখনোই এসব নিয়ে কোন কথা বলতে দেখা যায়না। বেশির ভাগ সময়েই তিনি কবে প্রধানমন্ত্রীর পিএসের সাথে ডিনার করেছেন, কোন সচিবকে মন্ত্রীর ঝাড়ি খাইয়েছেন - এসব নিয়েই বেশির ভাগ গল্প বলতে দেখা যায়।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ভাই রে খেতাবের জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন তাঁদের আমি দেখি নি বলতেও পারি না। আমি দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছি খুব কাছ থেকে, একজন আমার বাবা আরেকজন বাবার সিনিয়র কাজি আফতাব উদ্দিন, যিনি ১৯৭১ এর পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কোন দিন মাংস বা মাছ খান নি, টুলের উপর ঘুমাতেন, কারন কি তা হয়ত বলার দরকার নেই।
বলা বাহুল্য আমার বাবা সার্টিফিকেট ও নেন নি আর কাজি আফতাব এত বড় মানের সংগঠক ছিলেন যে মন্ত্রণালয় তাঁকে জোড় করে সার্টিফিকেট দিয়েছিল যেন উনাদের মান বাঁচে!

মুক্তি যুদ্ধের পরে লুটপাট করার জন্য যারা ওতপেতে ছিল তারাও তো অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে বসে আছে, আর ভুয়া সার্টিফিকেট ধারী সচিব রা তো এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাই আমার বাবা বলে, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আচার এবং আচরণেই দেখলেই বুঝা যায়, সার্টিফিকেট তো এক .।.।.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.