নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
আপনি জানেন কি কোথায় আপনাকে ব্রেক কষতে হবে আর কোন বিষয়ে চুপ থাকতে হবে?
বাঙালীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এরা সাধারণত জানে না নিজেদের বাউন্ডারি কোথায়। কোথায় তাকে থামতে হবে, আর কোথায় কথা বলতে হবে।
আমি ইমেইলে আমার ছাত্র ছাত্রী সহ অনেক কে পরামর্শ দেই, তবে যখন বুঝি বিষয়টি আমার জানার বাইরে তখন আমি আমার কোন বন্ধু যে এ বিষয়ে পারদর্শী তাঁকে রেফার করি, অথবা কাউকে না পেলে বলি দুইদিন সময় লাগবে এ বিষয়ে আমাকে আগে জানতে হবে। হয়ত বা আমিও পারফেক্ট না, কিন্তু চেষ্টা করি অন্তত হাতুড়ে ডাক্তার না হতে।
কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের সাথে কথা হচ্ছিল ফোনে, জিজ্ঞেস করল কি প্লান আমার, বললাম দেশে যাব, দেশের জন্য কিছু করব। উত্তরে বললেন, "তাইলে পি এইচ ডি কইরা বি সি এস এর বয়স টা নষ্ট করার কি দরকার ছিল, আর কেনই বা আমেরিকা তে গেলা"! আমি উত্তরে বললাম, আপনি বুঝবেন না, উনি কিন্তু থামলেন না, উনি উনার জ্ঞান বিতরণ করেই যাচ্ছেন, আমার পি এইচ ডি করার সিদ্ধান্ত কেন ভুল ছিল না সেটা উনাকে বুঝাতে হবে! আমি উপায়ন্তর না দেখে ফোন কেটে দিলাম!
এই হল আমাদের আপামর আম জনসাধারণের প্রকারভেদ, যে স্কুলের গণ্ডি পেরুনোর সাহস করে নি, সে আপনাকে শেখাবে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। যে রিক্সা চালায় সে আপনাকে গাড়ি চালানো নিয়ে টিপসস দিবে আর যে ব্যক্তি ড্রাইভার সে পাইলটের ভুল ধরার জন্য ওত পেতে থাকবে।
আমরা স্পেস দিতে জানি না, এবং এটা শিক্ষিত মানুষের ক্ষেত্রেও অহরহ ঘটে। আগে এই বিষয় গুলো নিজেদের গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে এই জাতীয় মানুষ গুলো সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে ফেলেছে। তারা ধরা কে সরা জ্ঞান করে একের পর এক সামাজিক অপরাধ করে বেড়াচ্ছে এবং এই বিষয়টিকে নিজেদের এক অতীব চতুর অর্জন রুপে দেখে গর্ববোধ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে তুলতে অন্যদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
সমস্যা হল যে মানুষগুলো এই অত্যাচারের শিকার তাঁরা আমার মতই সম্মান বাঁচাতে বিষয় গুলো এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও এরা মনে করে যেহেতু উত্তর দিল না সেহেতু আমিই সঠিক ছিলাম, এই কাদা ছুড়েই ওকে কুপকাত করতে হবে।
এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির যাতা কলে পিষ্ট হতে হতে মৃত্যু হয় হয়ত একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের, যা অর্জন করার ক্ষমতা ঐ পণ্ডিতের তো ছিলই না বরং এটা যে একটা সম্ভাবনা হতে তা বুঝতে হলেও ঐ পণ্ডিতকে ১০ বার জন্ম নিতে হত হয়ত!
আসুন নিজেদের বাউন্ডারি সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি, সবাই সবজান্তা সমশের হলে সমাজে যে অনাসৃষ্টি একে একে বৃদ্ধি পাবে, সেই অনাসৃষ্টি ঠেকানোর কোন উপায় তখন পাবেন কি জনাব?
২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
এডিট করে দিয়েছি
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত। আমরা বেশী জানার ও বোঝার ভাব করি সব সময়। আবার অপর পক্ষ চুপ থাকলেও সেটাকে দুর্বলতা ভাবি...
২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২২
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম ভদ্রতা যেন এক পরাজিত সৈনিকের মুখচ্ছবি!
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩
বর্ণা বলেছেন: ভালো লিখেছেন
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
পল্লব কুমার বলেছেন: মানুষ যাই করুক, এরা তার বিচার করবে, ভুল ধরবে। পরচর্চা যাদের প্রধান কাজ, তারা সেটা না করে থাকবে কেমন করে বলুন! এদের এসব ধরলে চলে না।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম ধরছি না, তবে নিরুৎসাহিত করছি।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৫
শরিফ নজমুল বলেছেন: চমতকার বলেছেন।
আমরা সবাই সবজানতা শমসের।
লিখাটি দুবার পেসট হয়েচে, এডিট করে দিলে ভাল হয়।