নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু

মানুষ বলে ভুল করলেও নিজেকে মানুষই বলব আমি।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অবমাননা : সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য বাঙ্গালীর নবীনতম আবিষ্কার

১৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২০

।।১।।
"এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়
সব সত্যি, সব সত্যি
।"
-- সুতরাং কি হচ্ছে কেন হচ্ছে তার তো কোনো উত্তর নেই। যদি দৃশ্যত অপছন্দের বা অসামঞ্জস্যপপূর্ণ কিছু হয় তবে দে সাহেবের গানটা বাজিয়ে শান্তি পেতে পারেন।
সেই ১৯০৫ থেকে এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বড় আকারে দেখা দেয়, অনেকে অনেক কথা দিয়েছেন কিন্তু ক্ষমতায় গেলে গণেশটা ঠিকই উল্টে দিয়েছেন।
প্রতি মুহুর্তে নির্যাতন হচ্ছে, কেউ কিচ্ছু বলছে না। এটাও আপনার মেনে নিতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য বাঙালীর নবীনতম আবিষ্কার 'ধর্মীয় অবমাননা'। বলি ধর্ম যে মহান ব্যক্তিটি সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি বিশ্বাস এত ঠুকনো কেন? এতটুকু বিশ্বাস রাখতে পারেন না যে, যদু-মধু-কদু ধর্ম নিয়ে কিছু বললে বা লিখলে ধর্মের কিচ্ছু যায় আসে না! ধর্মের স্রষ্টা তো অপার মহিমা নিয়ে আছেনই, আপনি কেউ খড়গহস্ত হন? আপনি কি হন্তারক না মানুষ?

।।২।।
কথা বললে বা লিখলে অনুভূতিতে আঘাত লাগে, স্বীকার করি। কিন্তু অদ্ভুত বিশ্বাস যদি ধারণকরি যার আগা মাথা গোড়া কিচ্ছু নেই তবে তার সত্যটা কেন নিতে পারি না? এতটা অন্ধ কেন আমরা? যদি এভাবেই ধর্মীয় অবমাননা হয়, এবং তার যদি ঠিক বিচারের আয়োজন হতো তবে দেশটা কারাগারেই ভরে যেত।
হিন্দুদের দেব-দেবী, মহাপুরুষগন, অবতারগন যেভাবে রাত্রের মাইকে শব্দবাণে ধর্ষিত হন তার বিচার কেন হয় না? বিচারটাই বা করবে কে? যিনি বিচারক তিনি যথেষ্ট পুলক বোধ করেন এতে। অনেক বুজুর্গর আলোচনা রসময়গুপ্তকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে এখনও কি শ্রীকৃষ্ণলীলা নিয়ে মিথ্যাচার, নষ্টামি, যথেচ্ছা ইতিহাস বলা নিয়ে একটাও বিচার হয়েছে? - হয় নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুই এখন শোভা পায় না, নিজ ধর্ম প্রসঙ্গে যে অনুভূতি দেখান অন্য ধর্ম প্রসঙ্গে এর ছিটেফোঁটাও থাকে না, কিন্তু কেন? ক'দিন আগে হেফাজত আর ওলামালীগ যে সমাবেশ করল তাতে লি ব্যবস্থা নিয়েছেন? তারা তো প্রকাশ্যে হিন্দু পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন, আপনি নিরব দর্শকের মত ছিলেন কিন্তু মনে হয় আপনিও পুলকিত। কষ্ট লাগে হাসু আপা কষ্ট লাগে! এতে একটুও লেগেছে কি আপনার? লাগে নি। যদি লাগতই তবে ঘাড়ধরে ওলামালীগ থেকে লীগ কেড়ে নিতেন, নেতৃস্থানীয়দের গ্রেফতার করতেন; হেফাজতের দশাও তাই হতো। কিন্তু আপনি পারেন নি। আপনি সংখ্যাগুরুদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের হয়ে উঠতে পারেন নি।

বাঙালী অত্যন্ত নেতিবাচক মানষিকতার অধিকারী, তারা অন্ধবিশ্বাস পছন্দ করে। তাদের বিশ্বাসই সব আর অন্য শালাগো কোনো বিশ্বাস থাকবে না। আমি সেই বাঙালির কথা বলছি যারা বর্ণগুলি পাশাপাশি বসানো শেখা মাত্রই নতুন সমাজ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষীদেয় তারা মোটেও এমনটা ছিলেন না, তাদের সৃজনশীল কোনো জ্ঞানই ছিল না। বরং এরা ছিল নপুংসক, এরা ইতিহাসের দায় না স্বীকার করে না মনে করে! কেননা এদের ইতিহাস করুন। দেশ বিদেশের পাঠাগার, শিক্ষাগুরু তাদের প্রধান লক্ষ্য! এরা হন্তারক!
...ভবিষ্যত্তোর পূরাণের সেই বিষয়ের অনুসারী।




হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।


আমি এই দু'লাইন বলায় কেউ কি অসন্তুষ্ট??

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

কৌশিক মোদক বলেছেন: আমি বাংলাদেশি হিন্দুদের হয়ে ফেসবুকে লিখতাম, মুসলিমদের কাছ থেকে গালি খেতাম, দিতাম ও, কিন্তু আমাদের এই বাংলায়, আমি নাকি কূপমণ্ডূক, বন্দুরা অনেকে ফেবু থেকে তাড়িয়ে দিল, অনেকে ফোনে মুখে যা তা বলল, এবারে মায়া পুরে ইস্কনের দোলের মেলায় , বাংলাদেশ ইস্কন স্টল দিয়েছিল, তাদের সাথে আলচা করতে গিয়ে বুঝলাম কি অবস্থায় তারা আছে, মান সম্মান নেই, খালি গালি , ভয় দেখানো, খুন সব কিছুর শিকার তারা। একজন ত কেঁদে ফেলছিল। খুব খারাপ লেগেছিল, এদেশে অনেক কেই কথা টা বলি তারা কেউ পাত্তাই দিল না, বাধ্য হয়ে ফেবু অবধি ছেড়ে দি। কবে আমরা কান্ধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব কে জানে

২| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: আপনার দু লাইন বলায় কোন ফিলিংস হয়নি। নেগেটিভ পজেটিভ কোনটাই নয়।
সরকার কি শুধু সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধান করতে পারছে না? নাকি কোনটাই পারছে না? সবকিছুতেই কি সরকার হাস্যকর যুক্তি দিচ্ছে না?

৩| ১৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: এদেশে এখন কোন সাধারণ মানুষই নিরাপদ নয়। সেটা যেই হোক.... দেশে এখন যা কিছুই হচ্ছে সরকার, সরকারি লোকজন হাস্যকর উক্তি ই দিচ্ছে...
কোন সমাধানেই যাচ্ছে না তারা!!

৪| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

মশার কয়েল বলেছেন: সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু,কেউই নিরাপদ নয় ৷রাঘব বোয়ালদের স্বার্থে কেউ বাধা হলে সেই অপরাধী ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.