নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু

মানুষ বলে ভুল করলেও নিজেকে মানুষই বলব আমি।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথানল - ১ / প্রজন্মান্তরের অভিশাপ

২১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

আমি মিথানল,
বিজ্ঞানের ছাত্ররা মিথাইল এলকোহল নামে চেনে,
উড এলকোহল, উড ন্যাপথা, উডস্পিরিট অন্য কিছু না,
আমারই অন্য নাম।

আমি একটি রাসায়নিক পদার্থ,
রসায়ন শাস্ত্রে সংক্ষেপে আমাকে লেখা হয় MeOH,
যদিও কার্বন-হাইড্রোজেন-আর অক্সিজেনি ভরা।

ইংরেজরা আমাকে উড এলকোহল বলে,
একসময়ে নাকি আমাকে কাঠ থেকে
বিধ্বংসী পাতন করে প্রস্তুত করা হতো,
তবে সেসব পুরোনো কথা, আমার মনে নেই।
আধুনিক ভাবে আমি ভারী শিল্পে তৈরি হই,
সরাসরি কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড হাইড্রোজেন দিয়ে ক্যাটালাইসিস করে আমার জন্ম হয়।

অ্যালকোহলগোষ্ঠীর মধ্যে আমিই সব থেকে সরল,
আমি হালকা,
আমি উদ্বায়ী,
আমি দহনশীল ,
আমি বর্ণহীন তরল!

তোমরা যাকে গন্ধ বলো,
বিজ্ঞানের ছাত্ররা তাকে স্মেল বলে।
আমাদের প্রায় সবার স্মেলই আলাদা,
বড় ভাই ইথানলের মত স্মেলে হলেও আমি অপেয়!
আমি খুবই বিষাক্ত, হজমের অনুপযোগী!
আমি কক্ষতাপমাত্রায় পোলার দ্রাবক হিসেবে কাজ করি, এন্টিফ্রিজ, জ্বালানী হিশেবে আমার ব্যবহার করা আছে,
বড় ভাইকে অপেয় করতেও আমাকে মেশানো হয়।

প্রকৃতিতেও আমি উৎপন্ন হই ব্যকটেরিয়ার সাহায্যে,
তাদের এনারোবিক মেটাবোলিজমের ফলে।
যদি তুমি পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ো, দেখবে -
পরিবেশে আমি আছি সামান্য পরিমানে বাষ্পরূপে!
যদিও আমি বেশিদিন পরিবেশে থাকি না,
কয়েকদিনের মধ্যে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে
আমি জারিত হই,
আর কার্বনডাইঅক্সাইড ও জল তৈরী করি।
এক্ষেত্রে আসলে,
আমি বাতাসের উপস্তিতিতে অক্সিজেনে পুড়ি,
পুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড ও জল উৎপন্ন করি।

আমার অধিক পরিমানে উপস্থিতি
ফরমেট লবনের মেটাবোলাইজ ঘটায়,
কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়; তাই আমি
অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ব এমন কি মৃত্যু ঘটাতে পারি!

শিল্পে ইথানল ভাইকে আমার সাথে আমদানি করা হয়,
তখন আমাদের নতুন নাম হয় 'মিথাইলেটেড স্পিরিট।'
বেশ আনন্দ পাই তখন, ভাইয়ে ভাইয়ে কি মিল!
তোমরা প্রায়শই ব্যবহার করো।
পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দুইভাইকে নিঃশেষ করো!

আমরা প্রজন্মান্তরে পুড়ছি,
তোমরা কি মনে করো?
আমাদের অনুভূতি নেই?
আছে মহাশয়, আছে।
আমরা পুড়ি, পুড়তে পুড়তে অভিশাপ দেই;
সেই অভিশাপেই কিনা প্রতিবছর অনেক মানুষ,
আমাদের দুইভাইয়ের মিলনকে শুধু ইথানল ভাবে,
অবস্বাদে গ্রহণ করে মনের আনন্দে!
আমি বিষাক্ত তাই আমার বিষাক্ততা উপস্থিত হয়
প্রজন্মান্তরের অভিশাপ রূপে,
আর তোমরা যারা গ্রহণ করো,
তারা শুধুই মৃত্যুই চিনতে পারো!

২১.০৭.১৬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মিথানল ইথানলে কবিতা শেষ করেছেন প্রোপানল.........নলে গেলে কবিতা শেষ হতো না ।ব্যতিক্রী উদ্যোগ । :)

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হ্যাটস অফ ভাই !!! অনেক অনেক ভালো লাগা থাকল।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সহজ ভাবে শেখানোর সুন্দর পোস্ট।
এমন লিখা আরো চাই :)

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

তারেক ফাহিম বলেছেন: সহজে বৌধগম্য.। এই ধরনের পোষ্ট আরো আশা করছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.