নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।একজন মানুষ হিশেবে সৎ, নির্লোভ, সত্যান্বেষী, সত্যবাদী হওয়াটা জরুরী হয়ে পরে বিশ্বমানবতার জন্য, সমাজের জন্য।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু

মানুষ বলে ভুল করলেও নিজেকে মানুষই বলব আমি।

মৌতাত গোস্বামী শন্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালের অন্যলেখ ১ - আপনার একচোখামি সমগ্র

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

।।১।।
লিখবো? না কি লিখবো না?
আঘাত হানছি সেই সম্প্রদায়ের উপরে যারা মনে প্রাণে সাম্প্রদায়িক এবং একচোখ দিয়ে তামাম বিশ্ব দেখতে পছন্দ করেন; তাদের চিন্তার বাইরে কোনো চিন্তা সম্ভব এটা যারা অপছন্দ করেন।
জনাবেরা কেমন আছেন? ভালো না না ভালো থাকার কথা না, দেশে সাঁওতাল - হিন্দু এখনো আছে তার উপরে আবার মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আপনারা আবার ভিন্ন একটি সত্ত্বায় ডাকতে পছন্দ করেন, এটা আপনাদের বিষয় তাতে কারো প্রভাব থাকার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা প্রভাবিত, কতখানি প্রভাবিত তা হয়ত নিজেরাও জানেন না। যে বিশেষ সত্ত্বায় আপনারা রোহিঙ্গাদের ডাকেন সেই সত্ত্বাপূরণ করা আরো বেশ কিছু মানুষ মায়ানমারে বাস করেন, কিন্তু তাদের উপরে নির্যাতন হচ্ছে না কিন্ত।আর শুধু রোহিঙ্গা না মিয়ানমারে চীন সীমান্ত, ভারত সীমান্তেও নির্যাতন হচ্ছে। একটি প্রশ্নে একাট্টা - এই নির্যাতনে মানবাধিকার ভূ-লন্ঠিত হচ্ছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনারা শুধু রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা দেখাচ্ছেন (একচোখা ১); যা বেশ নিন্দাজনক। একই সাথে সৌদি ইয়েমেন নিয়ে একটা ঝামেলা হচ্ছে কিন্তু আপনারা সেদিকে নজর দিচ্ছেন না, জানতে পারি কি কারনটা? (একচোখা ২)
ক'দিন আগেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তপ্ত ছিলো, ফিরে তাকিয়ে দেখুন জম্বু-কাশ্মীরের জনগনকে নিয়ে ভাবেন নি আপনি (একচোখা ৩)। আপনার দেশেই, এই স্বাধীন দেশে জ্বলল আগুন, পুড়ে গেল ঘর-বাড়ি, মানুষ। অপরাধটা কী জানতে পারি? ফটোশপ? আপনার প্রদেয় তথ্যই সত্য বলে মেনে নিলাম তবে একজন দোষীর জন্য সম্পূর্ণ লোকালয়ে হামলা এটা মানবতা?(একচোখা ৪) সাঁওতালদের অপরাধ কী জানতে খুব ইচ্ছে হয়; হ্যাঁ বিশেষ একটি অপরাধ তাদের আছে, তারা আপনার আমার পূর্ব-পূরুষদের মতো আর্যদের দাসত্ব স্বীকার করে নি; সে কারনেই কি আপনি হামলা চালাচ্ছেন? নাকি সাঁওতালের কাঁচা মাংসে স্বাদ বেশি (একচোখা ৫)

।।২।।
খুব স্বাভাবিকভাবে রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে বেশি জড়িত, তারাই দাঙ্গা বাধায় কেন বাধায়? সর্বশেষ যেটা ছিলো আপনাদের বিশেষ সত্ত্বার প্রতিষ্ঠা; কোন কারন কে জানে। ঠুকছে কিন্তু রোহিঙ্গারা, রাতের আধারে এবং মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা; কিন্তু সেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে বলছে শেখ হাসিনা অর্থ দিচ্ছে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা নিধনে। অবাক হই, হাসিও পায়; শেখ হাসিনার কত টাকা তাই না? রোহিঙ্গাদের দেশে আশ্রয় দিতে চান, খুব ভালো কথা কিন্তু ইম্প্যাক্টটা কখনো চিন্তা করেছেন কী? আট লক্ষ এমনিতেই রয়েছে, তার উপরে আরও, সম্পূরক তথ্য দিচ্ছি জানেন তো রোহিঙ্গাদের ১০-১২টা সংগঠন আছে যার অধিকাংশই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত, তারা আরাকানের স্বাধীনতা চায় চট্টোগ্রাম সহ। এই সংগঠনগুলি বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের স্বীকার করে নি কখোনোই। যদি দাবী করেন যে তাদের আর আশ্রয় নেই তবে ভুল বলছেন, চাইলে সৌদি সরকার জাহাজ পাঠাতে পারে কিন্তু কেন পাঠাচ্ছে না, কেউই কিন্তু উচ্চারণ করেন নি, আপনার যে অনুভূতি সেটা তো সৌদিরও থাকার কথা। বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবাণে ফেলা হয় কিন্তু সৌদি সরকারকে না! সব ইয়েমেন প্রসঙ্গে সৌদিদূতাবাসের নাম কিন্তু নেন নি একবারের জন্যও কিন্তু মায়ানমার দূতাবাসের প্রতি কয়েকপাশলা নামিয়ে দিয়েছেন, হিপোক্রেসির একটা লিমিট আছে ভাই। (একচোখা ৬, ৭, ৮)

।।৩।।
অং সাং সুচি নোবেল পেয়েছেন, সে নোবেল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন; আমিও জানাই সাথে আরো একটি নাম যোগ করুন প্লিজ ড. মুহাম্মদ ইউনুস। শান্তির ঠিক কী করেছেন জানি না, মাইক্রোক্রেডিট? পারলে গ্রামে যান দেখুন মাইক্রোক্রেডিট কি জিনিস। ১২%, মেয়াদের বেশি থাকার কারণ কী হতে পারে জনাব? আচ্ছা সিডরের কথা মনে আছে? ২০০৭এর প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড়, তারপর আইলা, মহাসেন, বা রোয়ানু শান্তিরদূতকে দেশে সাহায্যের জন্য পাওয়া যায় নি, রোয়ানুর দিন তিনি মশাল দৌড় দিয়েছেন, কিন্তু দেশের ঘূর্ণিঝড় কবলিতোদের সাহায্য করেন নি আবার হিলারীকে সাহায্য করেছেন ২০কোটি দিয়ে; দেশে যে সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচার হচ্ছে এটা স্বীকার করেন তো? নাকি মন্ত্রীর মতো বলবেন যে ওরা সুখেই আছে? যাহোক ইউনুস কিন্তু টু শব্দও করে নি, তাই তার নোবেলের বিষয়েও কথা বলা উচিৎ নয় কি? এই নোবেলটাও প্রত্যাহারের জন্য জোয়ার তুলুন না, আটকে যায় (একচোখা ৯) ভাই?

।।৪।।
দুটি সাল মনোযোগ দেবেন ১৯৮০ এবং ১৯৮৫।
১৯৮১ সালে ক্ষমতায় আসা ব্যক্তিটি বিশেষ হ্যালিকাপ্টার যোগে যান এক পীর সাহেবের বাড়ি, যিনি ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন ব্যক্তিটিও তার হাতে পদক তুলে দেন ১৯৮৫ সালে; খুব মজা পাচ্ছেন? এই লোকটিকে একুশে পদকও দেওয়া হয়েছে! ভালোলাগছে তাই না? অন্যলেখ টানি - এই পীর সাহেব ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে হিন্দু নারীদের "মালে গনিমত" উপাধি দেন; কত বড় উপাধি তাই না?তিনিসহ শিষ্যরা কত উপায়ে এই উপধিটির বাস্তবায়ন করেছিলেন তা জানতে হলে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (৮ম) খন্ডে আছে, যদি এই বই না দেখে থাকেন তবে আপনার মোবাইলে গুগোল করুন ৮৬/৮৭ মেগাবাইট লাগবে (১৫ খন্ড একত্রে) । তাকে তো সাহিত্য আর শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিৎ ছিলো, দুর্ভাগ্য নোবেল কমিটির, দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের তাই না?
একবারে জন্যও শুনিনি তার স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন, নাকি বিশেষ কিছুর উপরে এই দাবী নির্ভর করে? নামতে রাজি আপনি তার এই পদক প্রত্যাহারের জন্য? সেটা যদি নাই পরেন তবে সূচীর পদক প্রত্যাহারের দাবী করার মুখ পান কোথায় ভাই? নাকি (একচোখা ১০)? পীর মহাশয় শর্ষীনার পীর!

এই হিপোক্রেসি বন্ধ করেন ভাই, কষ্ট লাগে রক্তমাখা মুখে নিরামিষ খেতে বললে!

[সমাপ্ত]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

শামস্ সাকী বলেছেন: উপলব্ধিটা ভালো। মজার ব্যাপার হলো গত ক'দিন আমি ভাবতাম যে আমি একাই শুধু এই
ব্যাপার গুলা নিয়া ভাবি, মানুষকে বলি। কাল রাতে এই ব্লগে না ঢুকলে আমি জানতামই না
আমার মতো অন্য কেউ ও ভাবে কিনা।
পুনশ্চঃ কাল ফেসবুকে এই ব্যাপার নিয়া বলতে গেছিলাম। মনে হলো পারলে আমাকে ম্যাসেজ
দিয়া ই মেরে ফেলবে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.