নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানের খুঁজে... জগত মাঝে। যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি..। https://www.facebook.com/getAhsaan/

সোহাগ আহসান

যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি..।

সোহাগ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

>>> হিজাব

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৫


~~~~~~~~~~~~~~
"ভাইয়া" "আপু" "আপুনি" "আপি" "বইনডি" "আপনি থেকে তুমি- তুমি থেকে তুই" যত আপনবোধক শব্দে শব্দায়িত করে আলাপচারিতা চালানো হোক না কেন,"innocent" মন থাকুক না কেন নন-মাহরাম is নন-মাহরাম! দুইজনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি শয়তান থাকবেই!
,
হিজাবের কথা আসলেই আমাদের চোখের সামনে ভাসে কালো বোরখা! আমরা মনে করি হিজাব মানে এক টুকরো কাপড়! কিন্তু আমরা ভুলে যাই কাপড় হিজাবের একটা অংশ মাত্র।
,
হিজাবের সাথে আছে অবনত দৃষ্টি, লজ্জাস্থানের হেফাজত, নিজেদের সৌন্দর্যের হেফাজত।
,
হিজাবের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মাহরাম -নন মাহরাম যেটা আমরা বেশীর ভাগই ইগনোর করি বা জানিনা বা জেনেও না জানার ভান করি!
,
কিছু মনে করবেন না প্লিজ, হিজাবের এই গুরুত্বপূর্ণ মাহরাম-নন মাহরাম ইস্যুতে আমাদের বোনগুলো অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তারা হয় বিষয়টা বুঝতে পারেনা, কিংবা জানেনা, কিংবা এটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনা!
,
আমরা সবাই নিশ্চয় সূরা নূরের ৩০আর ৩১ আয়াত দুইটার কথা জানি। ৩০ নং আয়াতে এসেছে পুরুষের পর্দা আর সংযমের কথা, আর ৩১ নং আয়াতে নারীদের।
,
একটা বিষয় খুব ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন ৩০ নং আয়াতে কোন মাহরামের কথা বলা না হলেও আল্লাহ্ তায়ালা ৩১ নং আয়াতে নারীদেরকে তাদের মাহরাম কারা তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। একেবারে জন জন করে। দেখুন...
"...তারা যেন তাদের স্বামী, তাদের পিতা, তাদের শ্বশুর, তাদের ছেলে, তাদের স্বামীর (আগের ঘরের) ছেলে, তাদের ভাই, তাদের ভাইর ছেলে, তাদের বোনের ছেলে, তাদের (সচরাচর মেলা মেশার) মহিলা, নিজেদের অধিকারভুক্ত সেবিকা দাসি, নিজেদের অধীনস্থ (এমন) পুরুষ যাদের (মহিলাদের কাছ থেকে) কোন কিছুই কামনা করার নেই, কিংবা এমন শিশু যারা এখনো মহিলাদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানেনা- (এমন মানুষ ছাড়া তারা যেন) অন্য কারো সামনে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে..." (সূরা নুরঃ ৩১)
,
আমাদের দ্বিনী ভাই বোনদের তাই এই কথাটা বলতে চাই যে, ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য পর্দার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাহরাম ব্যতীত অন্য কোন ননমাহরামের সাথে মেলামেশা না করা। সেটা যেখানেই হোউক, হতে পারে তা ফেসবুকে, চ্যাটে কিংবা অন্য কোথাও।
,
আপনারা যেভাবেই বিষয়টা সহজ করতে চান না কেন, মনে রাখবেন এটা কুরআনে আল্লাহর আদেশ। আর দুইজনের মাঝে শয়তান তো ঘাপটি মেরে থাকবেই। মনে রাখবেন শয়তান মুমিন ভাইদের কাছে হিজাব পরে আর মুমিনা বোনদের কাছে দাড়ি টুপির মুমিন হয়েই আসে।
,
আমি জানিনা এটা কাদের বলছি কিংবা কেন বলছি। এই বিষয়টা কাউকে যুক্তি তর্ক, দলিল দিয়ে বোঝানোর চাইতে এটা অনেক বেশী ব্যক্তির নিজের আত্মশুদ্ধির ব্যাপার, আত্ম উপলন্ধি, নিজের আত্মরক্ষার ব্যাপার।
,
প্রতিদিন ইসলামের কয়েকটা পোস্ট মেরে ফেসবুকে হোউক আর যেখানেই হোউক, দ্বীনদার হওয়ার সুযোগ কারোরই নেই। আমারও না আপনারদেরও না।
,
তাই "দীনী লেভেলে" হিজাবের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটা ভুলে মাখামাখি করার আগে আল্লাহর কুরআনের আয়াত মনে রাখবেন। আল্লাহকে ভয় করবেন।
,
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন.....আমীন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

এ আর ১৫ বলেছেন: হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: কোন নন মাহরাম থেকে মাহরাম হবার উপায় যদি হাদিসের আলোকে একটু বর্ণনা করতেন তবে উপকৃত হতাম।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

খালিদ১২২ বলেছেন: সুন্দর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.