নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি..।
এটাই ছিলো ১৪৫০ বছর আগের রাসুল ﷺ এর দেখানো শিক্ষা। বিধর্মীদের ধর্মীয় কাজে রাসুল ﷺ ও তাঁর অনুসারীরা কখনও বাঁধা দেন নাই। তারা তাদের ধর্ম অনুসরণ করতো, রাসুল ﷺ তাঁর ধর্ম অনুসরণ করতো। যেমন কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ۞ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ ۞ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ ۞ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ ۞ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ ۞لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
-বলে দাও, হে কাফেররা। আমি ইবাদত করিনা, তোমরা যার ইবাদত কর। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। এবং আমি ইবাদতকারী নই, যার ইবাদত তোমরা কর। তোমরা ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য এবং আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য। [সূরা কাফেরুন ১-৫]
.
কিন্তু আজ এত কাল পর শয়তান তার শয়তানীকে নতুন মাত্রায় আমাদের মাথায় ডুকিয়ে দিয়েছে। তাই তো প্রচার করা হচ্ছে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কত বড় শয়তানী কথা চিন্তা করো যায়?
.
.
মুলত এটি একটি জাহেলী বক্তব্য। আর এই কারনেই ইসলীম শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলীম যুবক-যুবতীরাই যায় হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব দেখার জন্য। এরা মুসলীম, তবে এরা মুনাফেক টাইপের মুসলমান। এরা পুজা দেখতে যায় মদ খাওয়া, হিন্দু মেয়েদের নৃত্য দেখে মজা নেওয়া ও ডিজে গান শোনার জন্য। তা ছাড়া এই উৎসবে দেখার কিছু নাই। মুলত নিজের নফসের স্বার্থকে চারিতার্থ করতে চাওয়া এই নামধারী মুসলীম যুবকগণ কামপুরিতা ও শয়তানের শয়তানী বাস্তবায়ন করা দেখতেই যায় পুজা উৎসবে।
.
যে মূর্তীপুজাকে ইসলাম ধর্মে শিরক তথা নিকৃষ্ট কাজ বলে ঘোষনা করা হয়েছে, সেই মূর্তীপুজার উৎসব সার্বজনিন হয় কি করে? যখন ব্রিটিশ দস্যুরা বাংলা দখল করে, তখন পলাশীর অন্যতম বিশ্বাসঘাতক হিন্দু নবকৃষ্ণ ঐ দস্যু বাহিনীকে অবৈধ কর্মের মাধ্যমে মনোরঞ্জনের জন্য এক অনুষ্ঠানের প্রচলন করে। ঐ অনুষ্ঠান থেকেই দূর্গা পূজার আবির্ভাব ঘটে। এটাই হিন্দুদের শারদীয় দূর্গা পূজার সৃষ্টির ইতিহাস। সুতরাং দুর্গা পুজা হিন্দুদেরই সার্বজনীন উৎসব ছিলো না কখনও, মুসলমানদের তো হতেই পারে না।
.
.
যে কোন ধর্মীয় উৎসব সেই ধর্মের অনুসারীদের জন্য। কিন্তু সেটা কখনও মুসলমানদের জন্য পালনীয় বা অনুসরণী হতে-ই পারে না। কারন এটা তাদের ইবাদতের একটা অংশও বটে। আর তা ছাড়া ইসলাম ধর্ম মতে অমুসলীমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া, তাদের পুজার প্রসাদ খাওয়া হারাম। আর আপনি বলছেন দুর্গা উৎসব সার্বজনিন! আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য ধর্মের উৎসব উপভোগ করার দাওয়াত দিচ্ছেন কেন? আমি কার কথা মানবো, আপনার না আমাদের রাসুল ﷺ এর?
.
রাসুল ﷺ বলেন,
-কোন ব্যক্তি সাংস্কৃতিতে যে সম্প্রদায়ের অনুসরণ করে, সে (কেয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। [আবু দাউদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭]
রাসূল ﷺ আর বলেছেন,
-……অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে আর অতি শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক মুশরিকদের সাথে মিশে যাবে।[ইবনে মাজাহ হা/৩৯৫২]
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুসলিম অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া দরকার...
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন:
মুসলমানেরাও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে দুর্গাপূজা করে
পূজা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন একজন মুসলিম
কোলকাতায় মুসলিম তরুণেরাও মেতেছে দুর্গা পূজায়
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: "আমি ধার্মিক কিন্তু লিবারেল" এটা এই যুগের ফ্যাশন। এই জাতীয় "না ঘরকা না ঘাটকা" লোকগুলো সব সময়ই ভয়ে ভয়ে থাকে পাছে কেউ গোঁড়া বলে ফেলে! তাহলে তো ইজ্জত নিয়ে বাঁচাই মুশকিল হয়ে যাবে।