নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট..!

স্বপ্নচারী গ্রানমা

মানুষ বাঁচে, আশা এবং আশংকায়..!

স্বপ্নচারী গ্রানমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অফেরত একটি বইয়ের বেদনা এবং বৈশাখী ঝড় দেখা সংক্রান্ত…!

২৮ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০





ক্লাস টেনে রচনা প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিমন্ত্রির হাত থেকে পুরস্কার পেয়ে আল্হাদিত আমার পরিচয় হয়েছিল বিশ্বসাহিত্যের সাথে ৷ পরিচয় হলেও বিশ্বসাহিত্য বা স্বদেশী সাহিত্যের বিশাল সাগরের অমূল্য রত্নভান্ডার থেকে মুক্তো কুড়োতে পেরেছি খুব সামান্যই ৷



মনে পড়ে স্কুলের লাইব্রেরী থেকে প্রথম পড়া সেই বইগুলিঃ “আজব হলেও গুজব নয়” কিংবা “মোটর গাড়ির গোড়ার কথা” ইত্যাদি ৷ তিন গোয়েন্দা পড়ার বয়স শেষ করে কলেজে পড়াকালীন আমি পড়েছি রবিন মিলফোর্ড আর মুসাদের বেশ কিছু কৈশোরিক আ্যডভেঞ্চারের কাহিনী ! সে তুলনায় মাসুদ রানা পড়েছি অনেক কম !



তখন বৈশাখ মাস,কলেজের ছুটিতে বাড়ী গিয়েছি । শীর্ষেন্দুর ‘দূরবীণে’ ডুবে আছি । সেদিন বিকেলে হঠাত ঈশাণ কোণ তার রুদ্রাক্ষিতে কাজল পড়তে শুরু করলে সদ্য পড়া বইয়ের পাতার ঝড় বাস্তবে দেখার নাচন ওঠে আমার উৎসুক মনে । পাশের বাড়ীর বন্ধুকে সাথে নিয়ে ছুটলাম গ্রামের প্রান্তে ঈদগাহ মাঠে । কালবৈশাখীর রুদ্র মাতম চরমভাবে উপভোগের সাথে মায়ের উৎকণ্ঠিত বকুনি বাড়তি পাওনা হিসেবে পেয়েছিলাম সেদিনের সেই ঝড় সন্ধ্যায় !



মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ণ হণ্যেতে’ আর মির্চা ইউক্লিডের ‘লা নুই বেঙ্গলী’ তে বুঁদ ছিলাম আরও কিছুদিন ! তারপর ‘শেষের কবিতা’ যখন পড়তে শুরু করলাম তখন তার মুগ্ধতার মশালে আলোকিত হল আমার অন্ধকার কুটীর । ‘সঞ্চয়িতা’ রসেও ভিজেছিল আমার তপ্ত তৃষিত তনুমন । ‘দুর্গেশনন্দিনীর’ অন্দরমহল কিংবা ‘কপালকুণ্ডলার’ কাপালিক এখনও আমার অনুভূতিতে সমুজ্জ্বল ।



তারপর দিনে দিনে ধর্ম,দর্শন,কবিতা কিংবা রাজনীতি নিয়েও পড়াশোনা হয়েছে অল্পবিস্তর । শিকার ও সুন্দরবন নিয়ে যতগুলো বই পেয়েছি,সবগুলোই কিনেছি আর গোগ্রাসে গিলেছি ।



সংগৃহীত বইগুলো যেভাবে স্মিত হাস্যে তৃপ্ত করে দুচোখ-মন সেভাবে হারিয়ে যাওয়া কিংবা অফেরত বইগুলোর স্মৃতিও মাঝে মাঝে মনকে করে উদাস । উপরের ছবিতে মার্ক করা খুব প্রিয় বইটার জন্য আমার হতাশা মেশানো ভালোবাসা কারণ বইটা যে আর ! /:)/:)

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আন্তরিক সমবেদনা জানাই.... :(


//মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ণ হণ্যেতে’ আর মির্চা ইউক্লিডের ‘লা নুই বেঙ্গলী’ তে বুঁদ ছিলাম আরও কিছুদিন ! তারপর ‘শেষের কবিতা’ যখন পড়তে শুরু করলাম তখন তার মুগ্ধতার মশালে আলোকিত হল আমার অন্ধকার কুটীর।// এখানেও আপনার অনুভূতিতে একাত্মতা....

মৈত্রেয়ী দেবীর বইটি পড়ে নতুন রবীন্দ্রনাথকে জেনেছিলাম। শেষের কবিতা যে কতবার পড়েছি খেয়াল নেই। স্কুল জীবনে প্রথম পড়ে আগাগোড়া কিছুই না বুঝে অবশ্য বিশাল বক্তব্য দিয়ে ফেলেছিলাম (কেউ বুঝে নি, কারণ কেউ পড়েই নি ;) )। পরবর্তিতে যতবার পড়েছি, ততবার নতুন মনে হয়েছে।

আমার কিছু প্রিয় মানুষ প্রিয়তর কিছু বই নিয়ে ফেরত দেয় নি আজও। বিখ্যাত লেখকের অটোগ্রাফও আছে কিছু হারানো বইয়ে। এদের সব অপরাধ আমি ক্ষমা করবো, সব দায় থেকে মুক্তি দেবো, কিন্তু বই ফেরত না দেবার জন্য কোনদিন ক্ষমা করবো না। X(

আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা.... :)

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বেশ কিছু বই আমি ইচ্ছে করেই অনেককে দিয়ে দিয়েছি
কিন্তু ওই বইটি ছিল আমার বিশেষ প্রিয় !

মৈত্রেয়ী দেবীর বইটি পড়ে আমি তার প্রেমে পরেছিলাম !!

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন একটা সংগ্রহ কি করা যেত না ?

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
নতুন অবশ্যই কেনা যায় কিন্তু

বইয়ের পৃষ্ঠার ভাঁজে ভাঁজে লেগে থাকা
ভালোলাগার ছোঁয়া কি ফেরত পাওয়া যাবে তাতে ?

ধন্যবাদ আপনাকে ।

অবশ্য সুযোগ মতো কিনতেই হবে । ভালো থাকুন ।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল!

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
কি কথা মনে পড়ল ?
কিছু শেয়ার করুন না ?

অনেক ধন্যবাদ ।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: স্মৃতিচারণা ভালো লাগলো । নিজের অনেক কথা মনে পরে গেলো । বই হারানোর বেদনা আসলেই বুকে লাগে । সমবেদনা থাকলো আপনার প্রতি ! :)

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আদনান ভাই ।

অনেক কিছুই হারিয়ে যায়,
বই হারানোর ব্যাপারটা সত্যি আলাদা !

ভালো থাকুন । আপনার লেখা কই ?

৫| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্মৃতিচারণা ভালো লাগলো ।

২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
স্মৃতিচারণ করা ভালো !

সুখের কিংবা দুখের !

ভালো থাকবেন প্রিয় অভি !

৬| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

সুমন কর বলেছেন: এই কারণেই আমি কাউকে বই ধার দেই না! দিলে আগে শর্ত জুড়ে দেই।

আপনার অনুভূতির কথা ভাল লাগল।

২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
@ কর,

এই কারণেই আমি কাউকে বই ধার দেই না !
দিলে আগে শর্ত জুড়ে দেই।

শর্ত ত দেয়াই ছিল কিন্তু.!

যাহোক, অনেক ভালো থাকুন । ধন্যবাদ ।

৭| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক স্মৃতি
অনেক কথা,
অনেক হাসি
অনেক ব্যাথা !

অনেক ভালো থাকুন ।

৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: বই যারা সংগ্রহ করে তাদের কমন বেদনা। আপনি প্রতিশোধ হিসেবে কিছু বই মাইরা দেন!

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এটাই তো সমস্যা
প্রতিশোধ নিতে অভ্যস্ত নই !

অনেক ভালো থাকুন হাসান ভাই ।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা , হামা ভাইয়ের পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারেন । :)
এমন মেজাজ খারাপ লাগেনা এইসবে !
অনেক বই আমার এভাবে হাপিশ ।

স্মৃতিময় পোস্ট । ভাল লাগা থাকল । লেখা চলুক । সাথে আছি ।

ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা ।



০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এমন মেজাজ খারাপ লাগেনা এইসবে !
অনেক বই আমার এভাবে হাপিশ ।

বেশ কিছু বই আমি ইচ্ছে করেই অনেককে দিয়ে দিয়েছি
কিন্তু ওই বইটি ছিল আমার বিশেষ প্রিয় !

যাহোক, ভালো থাকুন । অনেক ধন্যবাদ ।

১০| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার পড়া বইগুলোর মাঝ দিয়ে আমিও গিয়েছি, তবে সিরিয়াল একটু উল্টাপাল্টা হইছে ।

০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:০১

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

আমি এখনও শিকার কাহিনী ও সুন্দরবন সম্পর্কীয় বই খুঁজি ।

ভালো থাকুন সর্বদা ।

১১| ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

সকাল রয় বলেছেন:
আমার বই পড়া শুরু হয়েছিল "চারুপাঠ" দিয়ে তারপর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভক্ত হয়ে গেলুম। শরৎ সমগ্র নিয়ে শ্রীকান্ত হয়ে গেলুম। রবীন্দ্র নাথ পড়ে অমিত হলুম। তারপর মেমসাহেব পড়ে মনে হলো এই জীবনে প্রেম না করে ভুল করেছি। বই নিয়ে অনেক কাহিনীআছে বলে শেষ হবেনা। আমার বই মেরে দিয়েছে যারা তারা এখন বই কিনেনা।
আমি জুলভার্ন পড়তাম আর সত্যজিৎ এখন সুনীল , সমরেশ, বিভুতি

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
তারপর মেমসাহেব পড়ে মনে হলো এই জীবনে প্রেম না করে ভুল করেছি। বই নিয়ে অনেক কাহিনীআছে বলে শেষ হবেনা। আমার বই মেরে দিয়েছে যারা তারা এখন বই কিনেনা।

আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো !

জুলভার্ন পড়েছি, বিভুতিও আমার খুব প্রিয় ! ধন্যবাদ ।

১২| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

আরজু পনি বলেছেন:

বইয়ের পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো ।

স্মৃতিচারণও যে কতো অসাধারণ হয় তা আপনার এই লেখা দেখে বুঝলাম ।



অট: অভ্র নেই পিসিতে ..ইন্সটল করে তারপর লিখতে হবে ফেসবুকে তাই কারো কারো "মানে..." জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি ।

আর কিউবি একটিভ করতে পারছি না পিসিতে নতুন করে সেটাপ দেবার পর...আপাতত জামাইয়ের মডেম চুরি করে ব্লগে এসেছি ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
যে ছবিটা দিয়েছি তাতে হারানো
বইটাকে মার্ক করে দিয়েছিলাম !

অর্থাৎ তখন বইটা শেলফে ছিল !

অথচ একজন মানুষও জানতে আগ্রহী হল না বইটার ব্যপারে !

বই নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে আমারও । ভালো থাকুন ।

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

চলুক

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বই ফেরত না পাওয়া কি চলতে থাকবে ?

নাকি পোস্ট দেওয়া/লেখালেখি !!

ভালো থাকুন ।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
পোস্ট।


বই ফেরত না পেলে কি চলে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
হুম্ ভালো বলেছেন ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪১

আরজু পনি বলেছেন:
আমি বইগুলোর মধ্যে একাডেমিক একটা বই বিশেষ কারণে খেয়াল করেছি...কেন করেছি সেটা বলতে চাইছি না । তাই আগের মন্তব্যে বলিনি ।

আর যে বইটির কথা বলেছেন তা সম্ভবত কলকাতার আনন্দের প্রকাশিত নামটা উদ্ধার করতে পারিনি...

শেলফের আর কিছুতে তন্ময় ছিলাম...তাকালে প্রতিবারই তাই হচ্ছে

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনি ঠিকই ধরেছেন,
বইটা কোলকাতার আনন্দের ।

তন্ময়তা কিসের,জানতে ইচ্ছে করছে ! ধন্যবাদ ।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:

অভ্র ফনেটিকে লেটেস্টটা দিয়ে টাইপ করা খুবই কষ্টের । ভাবছি পুরোনোটাই ব্যবহার করবো, বিজয় স্টাইলে ।

কষ্ট কমলে পরে কখনো বলার চেষ্টা করবো ।

ততদিন ভালো থাকুন ।।

০৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

"লাল কষ্ট,নীল কষ্ট,কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট"
"পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট"

হরেক রকম কষ্ট আছে, তবু ভালো থাকুন !


১৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বইয়ের শেলফ, বই সবই অনেক আবেগের ব্যাপার, স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। যে বইটা নিয়ে স্মৃতিকাতরতা সে বইটার নাম কি ? হারালো কীভাবে ?

যখন লা নুই বেঙ্গলি, ণ হন্যতে পড়েছিলাম অন্যরকম এক আবেগ কাজ করতো। দূরবীন , মেমসাহেব, কিংবা সাতকাহনের দীপাবলী, কাছের মানুষ, আরোহী - অবরোহী , মাধুকরী ইত্যাদি অনেক বইয়ের ভাণ্ডারে একবার হারালে উঠে আসা মুশকিল। আসলে যখন বই পড়ার শুরু আমার সে সময়টায় ঐ লেখকদের দ্বারা মোহাবিস্ট ছিলাম দারুণ ভাবে।

শুভকামনা রইলো।

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২১

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

হারানো বইটার নামঃ "বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত"
প্রকাশকঃ আনন্দ প্রকাশনী কলকাতা
লেখকঃ বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী ডঃ মণি ভৌমিক ।
যিনি লেজার রশ্মির আবিস্কারক !

বইটা যাকে পড়তে দিয়েছিলাম তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্নেল ।
বই ফেরত দিতে চেয়েছিল কিন্তু হঠাত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে !

অসাধারণ অনুপ্রেরনাদায়ক এই বইটা একজনের দৃষ্টিভঙ্গি-
দর্শন পাল্টে দিয়ে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের সহায়ক হতে পারে !

আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করায় অনেক ভালো লাগলো ।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩১

অয়োময়ী বলেছেন: 'লা নুই বেঙ্গলী' বইটা আমার কাছে আছে। অনেকবার পড়া হয়েছে। এখনো সুযোগ পেলেই, কতবার যে পড়েছি হিসেব নেই। :)

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
তাই নাকি অয়োময়ী !

বইটা আসলেই আবেগের অতলস্পর্শী !

ভালো থাকুন সব সময় । ধন্যবাদ ।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমি অনেক বই বার বার কিনেছি। শেষের কবিতা, জয় গোস্বামীর শ্রেষ্ঠ কবিতা, সত্যের মত বদমাশ, সিদ্ধার্থ এরকম কিছু বইয়ের নাম বলতে পারি যেগুলো ৫ এর অধিক বার কিনতে হয়েছে।

একবার হুমায়ুন আহমেদের ৩ টা বই কিনলাম। পরদিন বাড়িতে বড় ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে। আমার রুম থেকে কেউ বিয়ে আনন্দে মেরে দিলো :) আমি পাতা খুলেও দেখিনি।

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ দুর্জয় ভাই !

বিয়ে বাড়ি কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে অনেক সময়
মজা করে হলেও অনেকে ছোট খাটো চুরি করে থাকে !

বই চুরির মজাই আলাদা হয়ত ! ভালো থাকুন সব সময় ।

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪৮

রাজিব বলেছেন: আপনার এ পোস্ট টি পড়ে নিজের ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ঢাকার যে অংশে আমার জন্ম সেখানে রামকৃষ্ণ মিশন লাইব্রেরি ছিল হাটার দুরত্বে আর ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস। ৬ বছর বয়স থেকেই এ দুটো জায়গায় জেতাম। ইত্তেফাক অফিসের বাইরের দেয়ালে টাঙ্গানো পত্রিকা পড়তাম আর রামকৃষ্ণ মিশন লাইব্রেরিতে ছোটদের জন্য প্রচুর বই ছিল। তাই বয়স ১০ বছর হবার আগেই অনেক বইয়েরই বাচ্চাদের সংস্করণ পড়া শেষ।
১২ বছর বয়সে পরিচিত হই সেবার বইয়ের সঙ্গে। আমার কয়েক বন্ধুর অনেক সেবার বই ছিল কিন্তু তারা এক বই মনে হয় এক বারের বেশি পড়তো না। ১৫ বছর বয়সে বিবিসি ওয়াল্ড সার্ভিস খুঁজে পাই রেডিও তে। এসএসির পর নটরডেম কলেজে বিশাল লাইব্রেরির দেখা পেয়ে মনে হয়েছিল সোনা না হোক রূপার খনি খুঁজে পেয়েছি। সেবা প্রকাশনিতে যেসব ক্লাসিক বই বাংলতে সংক্ষেপিত আকারে পড়েছি সেগুলরা প্রায় সবই ইংরেজিতে দেয়া আছে।
এইচএসসির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখি বিশাল ব্যাপার। একেতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি দেশের সেরা তার সঙ্গে রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরী।
আসলে ১২-১৩ বছর বয়সে যাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠে তারা সত্যিই ভাগ্যবান।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনার বিস্তৃত মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই !

আপনার মতো সোনা অথবা রূপার খনির সন্ধান
কিন্তু সবাই পায় না, আবার অনেকে পেয়েও নেয় না !

ভালো থাকুন সব সময়, দেরিতে উত্তর দেয়ায় দুঃখিত !

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

অ রণ্য বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা। আমার কাছে বই ব্যতীত আর কিছুই নেই মানুষকে উন্নীত ও গভীর করার। আমাকে ধর্মগ্রন্থ ও একটি ভাল বই দুটো সামনে যদি বেছে নিতে বলা হয়, তবে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ভাল বইটি বেছে নেব।

বই আমার কাছে পরম এক সম্পদ। এবং দুঃখের কথা হলো আমরা যেদিন থেকে একটু একটু করে বই পড়া ছাড়লাম, সেদিন থেকেই ক্রমশঃ সব কিছু ভুলে যেতে শুরু করলাম। সে যাই হোক, আমার বই সংগ্রহের কাহিনী করুণ, সুন্দর ও এ্যাডভেনচারপূর্ণ। আমি কাউকে বই ধার দিতে রাজী হতাম না, যদি না সেই ব্যক্তির সংগ্রহে আমার সংগ্রহের এক তৃতীয়াংশ সংখ্যক বই থাকত।

এটা ছিল আমার কাছ থেকে বই ধার নেবার প্রথম শর্ত। আর বই ব্যাপারে আমি এতটাই অন্ধ যে, খুনের মতো অপরাধ মার্জনা করে দিতে পারলেও, আমার সংগ্রহের একটি ভাল বই চুরি করা বা ফেরত না দেবার অপরাধ সর্বোতভাবেই আমার কাছে ক্ষমার অযোগ্য, আর এই চরম অপরাধের দায় থেকে বাঁচার জন্যই পারত পক্ষে বই ধার দিই না, বরং পারলে কিনে দিই।

আমার সংগ্রহের সবচেয়ে মূল্যবান ছিল ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত শরদিন্দুর 'ঝিন্দের বন্দী' বইটির অরিজিনাল কপি। বইটিকে আমি যক্ষের মতো আগলে রাখতাম।

ভাল লাগা রেখে গেলাম। পৃথিবীর সমস্ত বই পড়ুয়া আমার আত্মার আত্মীয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বই আমার কাছে পরম এক সম্পদ। এবং দুঃখের কথা হলো আমরা যেদিন থেকে একটু একটু করে বই পড়া ছাড়লাম, সেদিন থেকেই ক্রমশঃ সব কিছু ভুলে যেতে শুরু করলাম। সে যাই হোক, আমার বই সংগ্রহের কাহিনী করুণ, সুন্দর ও এ্যাডভেনচারপূর্ণ। আমি কাউকে বই ধার দিতে রাজী হতাম না, যদি না সেই ব্যক্তির সংগ্রহে আমার সংগ্রহের এক তৃতীয়াংশ সংখ্যক বই থাকত।

আপনার বিস্তৃত মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা আর কৃতজ্ঞতা !
বই হোক আমাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী, বন্ধু অথবা আবেগ !

ভালো থাকুন সব সময় আর পৃথিবীর সমস্ত বই পড়ুয়া আমারও আত্মার আত্মীয় তবে তাকে অবশ্যই মননশীল ভালো মানুষ হতে হবে বৈকি !!

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

আবু সিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ইচ্ছা করলে ’বই চোর’দেরও ক্ষমা করতে পারেন; এর থেকে বিনা পরিশ্রমের কাজ আর নেই। শুভ কামনা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনার প্রতি ভালোবাসা রইল !

খুনিকেও কি ক্ষমা করতে বলবেন আবু সিদ ভাই ??

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.