নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাসফড়িং

আমি ময়ূরাক্ষী

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ

আমি ময়ূরাক্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন হাজেরা বুয়া ও একটি পরিবারের গল্প

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬



সাত সকালে ঘুম ভেঙ্গে দরজা খুলতেই হাজেরাবুয়া নোটিস দিলো। তাকে আজ এক্ষুনি এই মুহুর্তে দেশের বাড়ি যেতেই হবে। তার একমাত্র পু্ত্র শয্যাগত। আজ সকালেই ফোন এসেছে তাকে নাকি বাস্‌না না মাস্‌না কি যেন করেছে তার শ্বাসুরবাড়ির লোকজন, তাই তাকে এখুনি সেই বাস্‌না না মাস্‌না কি যেন শব্দটা ঠিক মনে নেই সেটা কাটাতে দেশের বাড়ি যেতেই হবে।

এই দিকে আমার যে কাল সকাল ৮:৩০ থেকে বিকাল ৫:০০ পর্যন্ত ট্রেইনিং এর ঝামেলা আছে। আমার শ্বসুর নিজেও তিনি অসুস্থ, দেবরের আজ সাড়ে বারোটায় কেমিস্ট্রি পরীক্ষা সেসব জানা সত্বেও হাজেরাবুয়ার আমার এই সব ছোটখাটো ঝামেলা নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বা চিন্তা করার অবকাশ ছিলো না। সে পত্রপাঠ বিদায় চায় ও বেশ কিছু টাকাও তার প্রয়োজন। আর তার কাছে আছেই তো দিনরাত্রীর সেবা প্রদানকারী ব্যাংক আমি অসহায়া। কি আর করা? পৃথিবীতে কর্মজীবি মহিলার জন্য একজন রাঁধুনী বুয়া সোনা, রুপা, হীরা বা মনি মানিক্যের চাইতেও অনেক বেশী দামী। কাজেই যতদূর সম্ভব তার হাতে গুঁজে দিয়ে বললাম, এর বেশী এখন আমার কাছে আর নেই।



অসন্তুষ্ট হলেও বুঝা গেলো বিষম অবিবেচক (যা তার নানা কাজে প্রমানিত) এই হাজেরাবুয়া কখনও কখনও সে তার চোখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী মহিলা আমি (বিলগেটসের বউ বা কন্যা) মনে হওয়া মানুষটিকে মনে মনে ক্ষমা করেন। মুখখানা যতদূর সম্ভব ভালো মানুষ বানিয়ে বললেন , "হ হ বুজি বুজি বুজি, সব সময় তো আর হাতে টাকা পয়সা থাকেনা, মাসের শেষ, তোমাদেরও হাত খালি, সে কি আমি আর আমি বুজিনা, আমি সবই বুজি......( মনে মনে ইচ্ছে হচ্ছিলো কি বলতে সে আর নাই বা বললাম) .......



চলে গেলেন হাজেরা বুয়া। আর আমি রান্নাঘরের মাঝখানে হা করে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম। সকালের নাস্তা, দুপরের খাবার, বিকালের ....... সব খানাপিনা ঘরবাড়ির কাজকর্মগুলো চক্রাকারে ছোটবেলায় পড়া ব্যাঙের জীবনচক্র বা বিভিন্ন সাইকেল বুঝাতে যেমন এ্যরো দিয়ে দিয়ে গোলাকার চক্রটা বুঝানো হয় তেমনি করে ঘুরছিলো আমার চোখের সামনে বা মাথার ভেতরের সৃষ্ট দৃশ্যাবলীতে।



কিন্তু এসব সিনেমা ভেবে বা কল্পনা দৃশ্যে দেখে তো আর আমার চলবেনা। এক মুহুর্ত সময় এখন আমার কাছে এক এক বছরের সমান, কাজেই কোনোমতেই কালক্ষেপন সম্ভব না । অলরেডী ছয়টা চল্লিশ, কাজেই কোমরে আঁচল বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম সংসার সমুদ্রে। অনেকদিন পর মনে পড়লো আমার দাদী মাঝে মাঝেই যখন শেষ বয়সে উদাস হতেন, বলতেন, উনআশিটা বছর কাটিয়ে দিলাম এই সংসার সমুদ্রে। সেই সংসার সমুদ্র যে ঠিক কি রকম তা এতদিনেও আমি ঠিক জানিনা।



আসলে জীবনের এতটা দিনতো বাবার বাড়িতেই ছিলাম আর বাবার বাড়িতে নাকি মেয়েরা যে সুখে থাকে সেই সুখের সমাপ্তি হয় বিয়ের সাথে সাথে এমনি শুনেছি মা খালাদের কাছে। যদিও বেশীদিন হয়নি আমার সেই দুঃখের দিন শুরু মানে বিয়ের বয়স। তবুও এই কমদিনে আমি ততটা কোনো দুঃখ বুঝিনি। বরং বিয়ে, হানিমুন, দাওয়াৎ, আত্মীয়-স্বজন, উপহারের বাইরে বাকীটা সময় তো অফিসেই কাটে। কাজেই দুঃখ তেমন বুঝিনি। মজাতেই আছি মনে হয়। রান্নাবান্নার তদারকী করেন শ্বাসুড়ি হুইল চেয়ারে বসেই আর আছেন আমাদের দশভূজা হাজেরাবুয়া। কাজেই ছিলাম মোটামুটি নিশ্চিন্তি। এইবার বুঝি সুদে আসলে নিশ্চিন্তিতা বের হলো!



সে যাইহোক, তাই বলে আমার ভাবনা চিন্তা, দুশ্চিন্তা, নিশ্চিন্তা দিয়ে তো আর পৃথিবী চলবেনা কাজেই এক ঝলক ভেবে নিলাম সিস্টেম এ্যান্ড ইনস্ট্যান্ট ডিসিশান-

১. ফ্রিজ থেকে ৪টে ডিম বের করে পোচ

২. শ্বুসরের স্যুপের চিকেন আর ভেজিটেবল সি্দ্ধ

৩. ফ্রিজ থেকে পাউরুটি, জেলী, চিজ



কিন্তু ফ্রাইপ্যানটা যে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে হাজেরাবিবি খোদা জানে! খুঁজে পেতে বের করলাম যদিও । উফ! চোখ ঘড়ির কাঁটায় । সময় নেই সময় নেই। ফ্রাইপ্যানটা চুলোয় বসিয়ে একটু তেল দিয়ে এক সাথে টপাটপ ভেঙে দিলাম একই সাথে ৪টা ডিম। তাড়াতাড়ি সেটা ঢাকনা চেপে নামিয়ে রাখলাম একা একা কিছুটা পানিপোচ টাইপ কিছু একটা হোক। আরেক হাতে শ্বসুরের চিকেন ভেজিটেবল ফ্রিজ থেকে বের করে সসপ্যানে সিদ্ধ দিলাম। হাজেরাবুয়ার মত দশভূজা না হতে পারি, তেশোভুজা বা চেশোভূজার হবার ট্রাই তো করা যেতে পারে। সে যাইহোক সিদ্ধ চিকেন আর ভেজে একটু নুন, গোলমরিচে কি ভুতুড়ে স্যুপ হলো আল্লাহ জানে । শ্বসুর অবশ্য পরে বলেছিলেন ভালো হয়েছিলো কিন্তু তার আসল মনের কথা জেনেছিলাম আরও পরে।



কোনোমতে টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে দিয়ে, মাথায় ঝপাঝপ পানি ঢেলে ছুটলাম অফিসে। সাত সকালে সেখানে গিয়ে আমি এবার হাজেরা বুয়ার পন্থা অবলম্বন করলাম। ছুটি চাই। ছুটি চাই। যে কোনো মূল্যে আমার আজ দুপুরের পর ছুটি চাই। নইলে বাড়িতে সবাই না খেয়ে থাকবে।শুরু হলো ব্যাঙের লাইফ সাইকেলের মত ছুটি সাইকেল। হাজেরা বুয়া তার থেকে আমি, এরপর কি হ্যাসব্যান্ড, দেবর সবাইকে ছুটি নিতে হয় নাকি কে জানে! এতদিনের চাকুরীতে কখনও লেট না করার সুবাদে ও বিয়ে উপলক্ষেও খুব কম ছুটি নেবার কারণে আমার ছুটি অল্পেই মন্জুর হয়ে গেলো।



বাসায় ফিরতে ফিরতেই চিন্তা করে ফেল্লাম কি করে সামলাবো এত দিক। না, হার মানলে তো চলবেনা। হাজেরাবুয়া যদি পেরে থাকে, আমার মা খালা দাদি নানীরা, ফুপু, চাচী, বান্ধবীরা যদি পেরে থাকে, আমি কেনো নয়? কাজেই আমাকে কি করতে হবে? প্লানিং, সুষ্ঠ প্লানিং এবং সিস্টেমে কি না হয়।



বাসায় এসে কোনোমতে সেদিন আলুভর্তা, ডিমের তরকারী আর ভাত ডালে চালিয়ে দিলাম। শুধু একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে আলুভর্তাটা মাখন দিয়ে, ডিমের তরকারীতে ধনেপাতা, টম্যাটো এইসব দিয়ে চাইনিজ স্টাইলে কর্ন ফ্লাওয়ার গুলিয়ে কি হলো ঠিক জানিনা কিন্তু মনের মাধুরী মিশিয়ে রান্না করে ফেললাম। সেসব রান্নার ত্রুটি ঢাকতে বেছে নিলাম এক কুটকৌশলী বুদ্ধি। সুন্দর সুন্দর সব ক্রোকারিজ বিয়েতে পাওয়া যা কাবার্ডে সাজানো ছিলো সেসব নামিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলাম টেবিলে, এমনকি এক সেট ন্যাপকিন পর্যন্ত। ভু্ট্টা ভুট্টা বাটিতে সালাদ, মুরগীর ডিমের বাসনে ডিমের তরকারী আরও নানারকম বড়ই সৌন্দর্য্য বাসন কোসনে আমার বড়ই সৌন্দর্য্য তরকারীগুলি সাজিয়ে সবাইকে যখন খেতে ডাকা হলো সবার আগে সবচাইতে খুশী হল আমার দেবরজী। সে তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাহ ভাবী বাহ!! ন্যাপকিনে মুখ মুছে ঢেকুর তুলে আমার শ্বসুরজীও বললেন, বাড়িতেই তো রেস্তোরা বানিয়ে দিলে বৌমা।



শুধু আমার শ্বাসুড়ীর মুখ আষাড়ের অন্ধকারর। কারণ বুঝিনি প্রথমে। কিন্তু পরে বুঝলাম এই সব ভালো ভালো বাসন কোসনের অপব্যাবহার তার মোটেও পছন্দ হয়নি। যদিও সেসব আমার বিয়েতেই পাওয়া তবুও সেসবের যথার্থ ব্যাবহারের প্রকৃত মালকীন তিনি আর তার অনুমতি না নেওয়ায় তিনি ইষৎ, না না ইষৎ না বেশ রুষ্ঠ হয়েছেন আমার উপর তা বোঝা গেলো। যাইহোক আমার তখন এক খেলা খেলা নেশায় পেয়েছে। এসব দেখবার সময় কই?



প্লানিং, সিস্টেম এ্যান্ড ম্যানাজিং এভরিথিং- দ্যা সংসার সমুদ্র



স্বামীদেবতা তখনও ফেরেননি। তার ফিরতে সেই সন্ধ্যা। দেবরকে বললাম, আমাকে নিয়ে একটু আগোরা যেতে পারবে? সে সানন্দে রাজী হলো আমার ড্রাইভার হতে। লিস্ট করে রেখেছিলাম আগেই। কাজেই লিস্ট দেখে দেখে-

১। ট্রিকস

২।ভিমবার

৩।ননস্টিক ফ্রাইপ্যান ছোট ও বড়

৪।সসপ্যান ছোট ও বড়

৫।মসলার কনটেইনার সেট

৬। কিচেন টাওয়েল

৭।ফ্রিজে খাবার রাখা প্লাসটিক বক্স ১ ডজন

৮। গরুর মাংস ৫কেজি

৯।বিফস্টেক মাংস

১০। রুপচাঁদা মাছ

১১।রুইমাছের বড় পিস করা প্যাকেট

১২। কর্ন ফ্লেক্স

১৩। দুধ, চা চিনি এবং টিব্যাগ

১৪। ঢেরস, বেগুন ইত্যাদি ইত্যাদি ইতাদি...

১৫।মুরগী পিস করে কাটা প্যাকেট



বাসায় ফিরে প্রথমে কিচেনের সব ড্রয়ার, পাল্লা ঘেটে হাড়ি কুড়ি, কড়াই মড়াই সরিয়ে দিলাম স্টোররুমে। এমনকি অকারণে রাখা বিভিন্ন টিনের কৌটায় কোনোটাতে সুজি, কোনোটাতে ময়দা কোনোটাতে পাপড় কোন জনমে তার আগমন ঘটেছিলো কে জানে এবং তা খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে কিন্তু চির আবাস গড়েছে সেখানে, সবকিছু দূর করে রান্নাঘর ঝেড়ে মুছে ঝকঝকে, তকতকে করে ট্রিকস, ভীমবার সাজিয়ে দিলাম সিঙ্কের ধার ঘেসে। সাথে নতুন কেনা সাবানদানীটা ঝুলিয়ে দিলাম উপরে, ফুলো ফুলো সুন্দর মাজুনী সহ।



ফ্রাইপ্যান, চামচ হুকে ঝুলিয়ে দিয়ে, সসপ্যান অন্যান্য থালা প্লেট তাকে সাজিয়ে, সব মসলার কনটেইনার ও চাল ডাল পোলাউ চাল কনটেইনারের ভরে ভরে, হাত মোছা টাওয়েল, প্লেট মোছা টাওয়েল সব যথার্থ স্থানে ঝুলিয়ে যখন কিচেনের দিকে তাকালাম। নিজের কিচেন নিজেই চিনতে পারছিলাম না। মনে হলো সেটা কোনো বিদেশী ম্যাগাজিনে দেখা ছবি ছবি কিচেন। বাহ ! নিজের অজান্তেই নিজের কাজের তারিফ করে ফেললাম। যদিও তখন ঘেমে নেয়ে ভুত হয়ে উঠেছি আমি। ছুটলাম গোসল করতে। দেবরকে আবারও রিকোয়েস্ট করলাম একখানা টেবিল ফ্যান কিচেনে সেট করে দিতে। রাতে ভুনা খিচুড়ি আর মাংসভুনা খাবার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে শিঘরি করে একখানা টেবিল ফ্যান সেট করে দিলো সে কিচেনে। আহ !! আর কি চাই? রান্নাবাটি খেলা তো মোটেও নিরানন্দ কিছু নয়।



বিকেলে টুনা ফিসের টিন কেটে আর ব্রাউনব্রেডে গাজর, কাঁচামরিচ দিয়ে বানালাম মজাদার স্যান্ডুইচ। চায়ের সাথে এই টা পেয়ে আমার শ্বসুর, দেবর এমনকি স্বামীদেবতাও মহা আনন্দিত হল। শুধু আমার শ্বাসুড়ি ছুঁয়েও দেখলেন না, তিনি টুনা ফিস ঘেন্না করেন, তিনি দুটি টোস্ট চায়ে ভিজিয়ে খেলেন। এমনকি আমার দেবরজী যে কিনা এক গ্লাস পানি গড়িয়ে খায়না সেও আমার সাথে টিভির সামনে বসে বসেই স্যান্ডুইচের রুটি গুলোর ধার কেটে দিলো। আমার কিন্তু একটু পরিশ্রম হলেও মজাই লাগছিলো এই সংসার সংসার খেলা। কারণ বিয়ে হয়ে এই পর্যন্ত আমি শ্বাসুড়ি ঠাকরুন আর হাজেরাবুয়ার কারণে কিচেনের হাড়ি ছুঁয়েও দেখার সুযোগ পাইনি। একদিন নুডুলস বানাতে গিয়েছিলাম, সে কি বকা ঝকা , হাজেরা বুয়া বলে এই তো ভুল করলে এতটুকু পানি, ততটুকু তেল। যেন সে ছাড়া এই দুনিয়ার কেউ কিছুই জানেনা রান্না বান্নার।



আমার সুষ্ঠ প্লানিং এ্যান্ড সিস্টেমের দরুন আর কোনো কাজেই কোনো ঝামেলা হলোনা। গটাগট আমি রেঁধে ফেললাম গরুর মাংস ভুনা, যদিও আদা বাটা, রসুন বাটা আর এক বক্স পেয়াজ বাটাও ফ্রিজে ছিলো। না থাকলেও কই বাৎ নেহি, হেরে যাবো ? কোনোভাবেই না। ব্লেন্ডারও রেডি ছিলো, যা একটু সময় লাগতো বেশি এই যা। চড়িয়ে দিলাম পোলাউ চালে আর মুগের ডালে ভুনা খিচুড়ি। রাতের বেলা আবার নতুন রকম টেবিলের সাজসজ্জা, লেবু, আচারে, সালাদে পরিবেশিত হলো আমার সৌজন্যে ভুনাখিচুড়ি গরুর মাংস ডিনার নাইট। সবার মুখে আনন্দের হাসি, দেবরজী বললেন, ভাবী তোমার হাতের রান্না অমৃত! আমি তোমাকে পেঁয়াজ মরিচ কেটে দেবো, বাসন মেজে দেবো হাজেরা বুয়ার আর আসার দরকার নেই, যা সব অখাদ্য রাঁধে!



আমি পরিশ্রান্ত হলেও এই কথায় মহা আনন্দিত হলাম। কিন্তু শ্বাসুড়ি বললেন, "কয়দিন আর! প্রথম প্রথম অনেক মজা লাগবে তারপর শুরু হবে, কত ধানে কত চাল। অমন অনেক দেখেছি, নতুন নতুন তো ঝকঝকে থালা বাটি হাড়ি কড়াই এরপর আর কদিন শখ থাকে দেখা যাবে।" শ্বসুর বললেন, "আহা থাকুক না যদ্দিন থাকে। বউমা কাল আমাদেরকে কি খাওয়াবে? নাকি সারপ্রাইজ দেেবে?" আমি যদিও শ্বাসুড়ির কথায় একটু দমে গেছিলাম কিন্তু শ্বসুরের কথায় আবার উৎসাহিত হয়ে উঠলাম।



পরদিন খুব ভোরে উঠে নাস্তা ও অন্যান্য সকল খাবারের যোগাড় য্ন্তর করে রাখছি । কখন যেন পেছনে স্বামী দেবতা এসে দাঁড়িয়েছেন জানিনা। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে হেল্প করতে পারি? আমার এত্ত লজ্জা লাগছিলো কারণ তখন আমি পেঁয়াজ কুচি করতে গিয়ে চোখের জলে নাকের জলে একাকার। তিনি আমাকে সরিয়ে দিয়ে চাকু দিয়ে পেঁয়াজ কুচি করতে শুরু করলেন। আমি অবাক! আরে সে দেখি এই কাজে আমার চাইতে বেশি পারদর্শী।



হঠাৎ পেছনে দেখি শ্বাসুড়ী ঠাকরুন কখন যেন হুইল চেয়ারে করেই এসেছেন। ছেলেকে কিচেনে পেঁয়াজ কাটতে দেখে তিনি মনে হলো পৃথিবীর কোনো অষ্টম আশ্চর্য্য দেখছেন। তার বিস্ফারিত দৃষ্টিতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। বললাম "মা চা খাবেন?" তিনি কিছু না বলে ফিরে গেলেন তার রুমে। বুঝলাম ছেলের পেঁয়াজ কাটা দৃশ্যটা তার হজম হয়নি মোটেও। কিছু পরে তার রুমে নাস্তা দিতে গিয়ে শুনি তিনি বড় মেয়েকে নিউজিল্যান্ডে ফোন করে বলছেন, "জীবনে কোনো ছেলেকে এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতে দেইনি। তোমার বাবাকে সারাজীবন মাথায় করে রেখছি। কিচেনের চেহারা সে কোনোদিন দেখেনি। আর আজ কালকার মেয়েগুলা এত সেয়ানা!! এতই ..ছলাকলা রঙঢঙ্গে ভুলাতে........ জানে......."



থমকালাম। তারপর রুমের টেবিলে নাস্তা রেখে চলে আসলাম। ডাইনিং রুমে এসে দেখলাম টেবিলে কে যেন জাগে পানি ঢেলে রেখেছে। সবার প্লেট থালা যার যার চেয়ারের সামনে সুন্দর করে সাজানো সাথে পানি ভরা গ্লাস ঢাকনি দিয়ে ঢাকা। ঠিক এই কটা দিন আমি যেমনভাবে সাজিয়ে দিয়েছি। একি ভুতুড়ে কান্ড! কে করলো সেসব!! দেখি শ্বসুরমশাই হাতে তার রুমে রাতে রাখা পানির বোতল- গ্লাস নিয়ে ঢুকছেন। আমাকে দেখে বললেন, "বৌমা তুমি সারাদিন চাকুরি করে এত কষ্ট করছো। নতুন নতুন মজাদার খাবার বানাচ্ছো, তোমার যত্ন আত্তিতে তো আমার অরুচী কেটে গেছে। নতুন নতুন খাবারের আশায় থাকছি রোজ রোজ।এখন থেকে আমিও যতদূর পারি তোমাকে সাহায্য করবো, হাজেরাবুয়া ফিররে না আসা পর্যন্ত। টেবিলে থালা প্লেট দেওয়া, পানি ঢালা এসব তো আমিই পারি। কাজ তো আর বেশি না, শুধু সময়ের ব্যাপার। তোমারতো বিশ্রামের দরকার আছে।" চোখে পানি এসে গেলো । বলতেই পারলাম না বাবা আপনাকে এই বয়সে এসব করতে হবেনা। তার আগেই দেখি দেবরও এসে দাঁড়িয়েছে, দুষ্টুটা বললো, "আর আমাকে দিয়ে ঘর ঝাঁড়া, বাসন মাজা সবই করাতে পারো ভাবিজী তার বদলে আজ চাই ফ্রায়েড রাইস আর চিকেন চিলি।"



উপলদ্ধি হলো, পৃথিবীতে সব কিছুর মূল্যই একেবারে কম নয়। কখনও কখনও তা অমূল্য বটে। যাইহোক আমি আমার নতুন জীবনে ভাড়ারঘর বা রসুই ঘরের কোনো কর্তৃত্ব পাইনি এখনও, চাইওনি সেই আগেরদিনের বৌদের মত। আমি তো বাসাতেই থাকি শুধু কয়েকঘন্টা। বাকী সময়তো অফিসেই কাটে। শুধু হাজেরা বুয়ার অনুপস্থিতিতে বাসার মানুষগুলোর যেন এতটুকু কষ্ট না হয় সেইটা ভেবেই নিজের বিশ্রাম বা কষ্ট উপেক্ষা করে এইসব করেছিলাম। আর করতে গিয়ে এক নেশায় পেয়ে বসেছিলো আমাকে।



নতুন নতুন রান্না, সুন্দর করে সবাইকে খাইয়ে তাদের মুখে তৃপ্তি দেখার লোভ বা এতটুকু উফ না করেও যেন সবাইকে নিয়ে হাসিমুখে থাকা যায় সেটাই হয়তো ছিলো আমার চাওয়া। জানিনা সেসব তবে ঘরকন্না খেলা তো বাঙ্গালী মেয়েদের ছোট থেকেই সহজাত এক স্বভাব। সেই কারণেই হয়তো এক মজার খেলায় মেতে উঠেছিলাম আমি। মনে হয়েছিলো কোনো কষ্টই কষ্ট না। সুষ্ঠ প্লানিং, সিস্টেম এর পরে যে কোনো কিছুই ম্যানাজ করে ফেলাটাও তেমন কঠিন না । আর এত শুধুই কয়েকটা মানুষের খানা তৈরী আর তাদের একটু যত্ন আত্তি। আর বুয়ার অনুপস্থিতিতে সবাই যে এগিয়ে এসে নানা কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করলো এই কটাদিন তা যেন নতুন শ্বসুরবাড়িতে যতদিন এসেছি তার চাইতেও বেশি আত্মিক টানটা বাড়িয়ে দিলো শতগুণ।



সে যাইহোক এইভাবে কেটে গেলো সাত সাতটা দিন। সাত দিনের মাথায় হাজেরাবুয়া ফিরে আসলো। আবার সেই পুরোনো রুটিন। রুটি ভাজি আর চিকেন কারী বা মাছের ঝোলের সাথে ডাল। আমিও আবার ফিরে গেলাম পুরোনো রুটিনে। অফিস, টিভি, দাওয়াৎ খেতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।



বিকেলবেলা শ্বাসুড়ি গল্প করছিলেন সেদিন হাজেরাবুয়ার সাথেই-

:আরে তুমি আঁদা রসুন পেয়াজ বাটা রেখে গিয়েছিলে ফ্রিজে আর মাছ ও কেটে রেখেছিলে, চিংড়িমাছ বেছে রাখা ছিলো তাই রক্ষা। নইলে ঐ দুদিনের খেলা খেলা রান্নাখেলার শখ কেমন দেখতাম। কথায় আছে না কত ধানে কত চাল........ সেটাই দেখার ইচ্ছা ছিলো আমার। তুমি এত তাড়াতাড়ি না ফিরলে সেটাই দেখা হত আর কি.......যত্তসব আদিখ্যেতা.....

আজকালকার মেয়েগুলো যেই না সব ছলাকলা জানে, আর জানবেনা কেনো বিয়ে হয় তো এক এক জনের তিরিশ বত্রিশ বছরে... পেকে ঝুনঝুনা হয়ে আসে...তারপর কত রকম রঙ্গ আর ঢঙ্গ......আমরা বাবা এসব বুঝিনি....



কিল খেয়ে কিল চুরি করার মত নিঃশব্দে ফিরে আসলাম নিজের রুমে...

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪২

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়েছি। এই সংসার সমুদ্র কি সত্যিই আপনার?

সত্যি হোক আর গল্প হোক, পড়ে খুব মজা পেলাম। মনে হচ্ছিল আমার ঘরের কথাই বলছিলেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা এমন সংসার সমুদ্র তো অনেকেরই আছে। গল্পটা খুব একটা মিথ্যে নয়, বলতে গেলে পুরোটাই সত্যি।

অসংখ্য ধন্যবাদ সাজ্জাদ। সংসার সমুদ্র+ অফিস সমুদ্র দুই নিয়ে হিমসিম খাচ্ছি আজ।

ভালো থাকুন।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪২

ডি মুন বলেছেন: পৃথিবীতে কর্মজীবি মহিলার জন্য একজন রাঁধুনী বুয়া সোনা, রুপা, হীরা বা মনি মানিক্যের চাইতেও অনেক বেশী দামী।

---- ভালোই বলেছেন।


পুরোটা পড়া হলো না এখন। আশাকরি কালকে শেষ করব।

শুভেচ্ছা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আধাটা পড়ার জন্যই অশেষ ধন্যবাদ ডিমুন। এটি জাস্ট একটি স্মৃতিমূলক ডায়েরীলেখন টাইপ লেখা।
শুভকামনা জানবেন।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

আবু শাকিল বলেছেন: আমি পুরুটা পড়ে উপলব্দি করলাম-
যে বিশাল লেখা।বাসায় কাজের বুয়া নাই।
ভাত অথবা তরকারি পড়ে টরে যায়নি ত :P

"কর্মজীবী মহিলাদের কত কিছু না সামলাতে হচ্ছে তারপরও অধিকাংশ পরিবারে বউ শাশুড়ি সমস্যা লেগেই থাকে কেনু?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কোনো সমস্যা নেই অনলি জেনারেশান গ্যাপ। যুগে যুগে এটাই চলছে।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্লানিং, সিস্টেম এ্যান্ড ম্যানাজিং এভরিথিং- দ্যা সংসার সমুদ্র

কমান্ডো স্টাইলে সামলাচ্ছেন দেখছি :)

শুভকামনা রইল অনেক :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা কমান্ডো স্টাইল ছাড়া তখন আর কোনো গতী ছিলোনা।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপাতত প্লাস দিয়া গেলাম। এইখানে আমার বলার আছে কিছু পরে আবার আসতেছি :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ওকে অপেক্ষায় থাকলাম আমিনুরভাই। বুঝতে পারছি এ তো আমাদের সবার জীবনেরই ঘর ঘর কি কাহানী।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: বাজারের লিষ্টটা কখনোই ছোট হয় না। কিন্তু পকেট তো দিনকে দিনে সংকুচিত হচ্ছে।



ভাল গল্প, তাই ভাল লেগেছে। আপনার জন্য শুভ কামনা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বাজারের লিস্টটা এখানেই করে রাখলাম যেন নেক্সট টাইম হাজেরা বুয়া বাড়ি গেলে কাজে লাগে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ইমতিয়াজ।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: চমৎকার।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অজস্র অজস্র।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :P :P :P... চমৎকার । মজা পেলুম । আপনার লেখা পড়েতো আমারও এইরকম রান্না খেলা করবার ইচ্ছে করছে । :P :P

ছাত্রজীবনের ৫ বছর কেটেছে মেসে মেসে । খালাদের অনুপুস্থিতিতে রান্না করতে হয়েছে অনেকবার অনিশ্চা স্বত্বেও ।সেই জগন্য রান্না হজমও করতে হয়েছে নিজেকে । |-)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রান্না খেলা খারাপ না। হাজার হোক নিজের হাতে রান্না।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

এম এম করিম বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। মজা পেলাম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ এম এম করিম।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: চিরচেনা গল্পটা নতুন রঙে নতুন ঢঙে পড়তে ভালোই লাগলো :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শ্বাসত বাঙ্গালী পরিবারের চিরচেনা গল্প।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আপনার গলপো পড়ে মনে হলো কাচচি বিরিআনি খেলাম!!! খুব সুনদর লিখেছেন...।আমার কেনো যানো মনে হচেছ আপনি খুব মায়াবতি

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। হুমায়ুন আহমেদ অনেক পড়েন বুঝতে পারছি।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা .. এত আন্তরিকতার পরও ..কিল খেয়ে কিল চুরি করা লাগে... :-/ :( :((

সিস্টেম এন্ড প্লানিংএ একটু ভুল ছিল :P শ্বামুড়ির পছন্দটা জেনে ঐটা তার চাহিদা মতো সার্ভ করলেই শতে শ ... ;) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। এইবার সিস্টেম এ্যান্ড প্লানিং এ একটু পরিবর্তন এনেছি। এ যুগের মেয়ে হয়ে কি এইটুকু বুদ্ধি না থাকলে চলবে? পরে কখনও সে গল্প বলা যাবে।

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ!! অসাধারন!!!

আপনার দেবরটা'কে হিংসে হচ্ছে। পুরো লেখাটা যেন স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলাম। লাইক উইথ এত্তগুলান পিলাচ। তবে ফিনিশিংটা জটিল!!!

.যত্তসব আদিখ্যেতা.....
আজকালকার মেয়েগুলো যেই না সব ছলাকলা জানে, আর জানবেনা কেনো বিয়ে হয় তো এক এক জনের তিরিশ বত্রিশ বছরে... পেকে ঝুনঝুনা হয়ে আসে...তারপর কত রকম রঙ্গ আর ঢঙ্গ......আমরা বাবা এসব বুঝিনি....


আসলেই তাই.... কথা কিন্তু পুরাই সত্য। ;) :P

=p~ =p~ =p~

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রার্থনা করি আপনার ভাগ্যেও এমন একটি ভাতৃবঁধু জুটুক যার রান্নাবাটি খেলার সহচর হয়ে আপনিও খেতে পান মজার মজার খাদ্য/ অখাদ্য বা সুখাদ্য।

আর শ্বাসুড়ি ব্ঁধুর সমস্যাটা মনে হয়েছে আমার কাছে জেনারেশান গ্যাপ এর ফলাফল। যেটাও মাথা খাটানো আজকালকার শিক্ষিত তিরিশ বত্রিরিশ বছরের মেয়েরা একটু ভাবলেই পেয়ে যেতে পারে।হাজার হোক তারা পেঁকে ঝুনঝুনা হয়ে এসেছেন....
শ্বাসুড়ি মহাদয়া তো আর এমনিতে চুল পাঁকায়নি কথা ঠিকই বলেছেন তিনি, --সেই আগের দিনের কচি খুকী তো আর কারও বিয়ে হয়না যে একটু বকা খেলে কেঁদে কেটে চোখের জলে নাকের জলে এক করবে।

সেটাও আরেক প্লানিং, সিস্টেম এন্ড ম্যানাজিং শ্বাসুড়ি উইথ পাকা ঝুনঝুনা বুদ্ধি সুদ্ধি।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ৬ নং পেলাচ। উফ! দূর্দান্ত হয়েছে। হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। বদ শাশুড়িটার জন্য মাইনাচ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শ্বাসুড়ি ব্ঁধুর সমস্যাটা আসলে আমার কাছে জেনারেশান গ্যাপ এর ফলাফল।

এ প্রসঙ্গে আরও কিছু উদাহরণ আছে। পরে জানাবো।

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

গ্য।গটেম্প বলেছেন: সুন্দর লেখা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য।

১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কর্মজীবি নারীদের ঘরে এবং বাইরে প্রচুর ম্যানেজ করে চলা লাগে। আর " মা " হয়ে গেলে আরো অনেক হজম ক্ষমতাও বাড়াতে হয়। যা হোক গৃহিণীরটির এক সপ্তাহের কর্ম নৈপুণ্যতায় মনে হলো মাথা খাটিয়ে এতটাও বুঝি ম্যানেজ করতে পারতাম না। সারাদিন বাইরে কাজ করে এসে রেডিমেড খাবার আর এক কাপ চা খেয়ে মনে হয় " এখন ঘুমাতে যাবো। লাইফ ইজ বিউটিফুল " হাহহাহাহ।

ভালো থাকবেন ময়ূরাক্ষী

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মা হয়ে গেলে তো আরেক সমস্যা প্রতিদিন বা্চ্চা কোথায় থাকবে, কে স্কুল থেকে আনবে এসব নিয়ে তো মা হতে শ্বাসুড়ি, ননদ, জা, সকলের কথা শুনতে শুনতে সহ্য ক্ষমতা কয়েকশোগুন বেড়ে্ যায়।

আর এই গৃহিনীর মত প্লানিং এ্যান্ড সিস্টেম ঠিকঠাক থাকলে আসলেও জীবন আনন্দময় হতে সময় লাগবেনা।

নাস্তার টেবিলে ব্রেড, বাটার জেলি বা ডিমপোচ আবার ডিমপোচ, জেলি, ব্রেড, মাঝেমাঝে ডিমপোচের বদলে অমলেট করা যেতে পারে। আর ছুটির দিনে খিঁচুড়ি।
আর চা? অবশ্যই টি ব্যাগ। এত সময় নষ্ট করে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে, সেই দুধে চা ফুটিয়ে চিনি মিশিয়ে ঘন মজদার চা বানিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানেই নেই। মাইক্রোতে পানি গরম টিব্যাগ আর কিউব সুগার ব্যাস!

বাজারে মাছ মাংস সব কাটা বাছা কিনতে পাওয়া যায় । ইদানিং দেখলাম ডিপার্টমেন্ট স্টোরে আদা রসুন বাটাও বোতলে পাওয়া যাচ্ছে, এত চিন্তা কিসের?

অসংখ্য ধন্যবাদ অপর্ণা। ভালো থাকুন।

১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক মজা করে লিখেছেন আপু। তাই গতকাল অর্ধেক পড়ে আজ আবার খুঁজে বের করেছি আপনার লেখাটা।

কর্মজীবি মেয়েদের জন্য এটা একটা ট্র্যাজেডি মনে হয় আমার কাছে। আমরা অফিসেও ১০০% দিতে পারিনা আবার বাসায়ও পারিনা। আর যতই ভালো কাজ করার চেষ্টা করেন না কেন স্বিকৃতি মেলে না কোথাও।

দারুন লেখায় +++

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ইহতিব। খুঁজে পেতে আমার লেখাটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আর সংসার ও কর্মক্ষত্রে স্বীকৃতি মিলবেনা মানে। মিলিয়েও ছাড়বো। এত সহজে যেন হার না মানতে হয় সেই কারণেই তো এত বুদ্ধি খুঁজে বের করা।

এই লেখাটা লেখার একটা উদ্দেশ্য নেক্সট টাইম হাজেরা বুয়া অকস্মাৎ ছুটিতে গেলে যেন আবারও একই পদ্ধতি বা সিস্টেম বা ম্যানাজিং ভুলে না যাই তাই একটা খসড়া রাখা।

তবে এবারে এ্যাডিশনাল হবে শ্বাসুড়ি আম্মার দিকে আরেক স্পেশাল চোখ রেখে দেওয়া। তার বয়স বেশি হতে পারে তবে বুদ্ধিতে কি তিনি আমার সাথে পারবেন?

আমি রুপে তাকে ভোলাবো না
ভালোবাসায় ভোলাবো.......

ভালো থাকবেন ইহতিব।

১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: আপু, এই গল্প লিখতে আপনার কয়দিন লাগসে.।??? X(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন:
মাত্র এক দিন মানে এক ঘন্টা তবে

এটা
Click This Link
এটা
Click This Link
বা এটা লিখতে
Click This Link


দু'তিনদিন লেগেছিলো।

১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জোহরা উম্মে হাসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । চির চেনা কাহিনী কিন্তু অসাধারণ তার প্রকাশ !

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ জোহরা। ভালো থাকবেন।

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: পৃথিবীতে কর্মজীবি মহিলার জন্য একজন রাঁধুনী বুয়া সোনা, রুপা, হীরা বা মনি মানিক্যের চাইতেও অনেক বেশী দামী।


অনেক সুন্দর
এবং উন্নত কথা
সবারই এদের প্রতি
সন্মানশীল হওয়া একান্ত জরুরী

ভাল থাকা হোক

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ নুর এমডি চৌধুরী। ভালো থাকবেন।

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

আজনবী বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন !

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য।

২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

বৃতি বলেছেন: পড়তে বেশ ভালো লাগলো। :) আহা! হাজেরা বুয়া! বুয়াদের এখন শুধু স্বপ্নে দেখতে পাই, বাস্তবে না।


অনেক শুভেচ্ছা ময়ূরাক্ষী :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বৃতি। ভালো থাকুন। বাই দ্যা ওয়ে হাজেরা বুয়া আবার বাড়ি যাবার প্লান করেছেন। আমি বললাম। সাতদিনও হলোনা বাড়ি থেকে এসেছো, আবার বাড়ি যেতে চাও কেনো? সে বলে সাতদিন কোথায় দশদিন হলো আসছি।ভালো করে হিসাব করেন।

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

সাইফুল শাকিল বলেছেন: Onek sundor ekta golpo porlam.

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

এস কাজী বলেছেন: রেসিপি গুলো ভাল ছিল। B-) এই লাইনে আপনি খারাপ করবেন না। হাহাহা (জোকস এপারট) B-) B-) B-) বাই দা রাস্তা, লেখা এজ ইজ্যুয়াল সুন্দর হয়েছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কোন লাইন?


রাঁধাবাড়া লাইন নাকি লেখালিখি লাইন?

২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লেগেছে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য।

২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: চমৎকার ভাবে সাজিয়ে লিখেছেন।পড়ে লগ ইন করতে বাধ্য হলাম। পরিবার ও অফিসের দুজায়গায় ই ভালো করুন।শুভকামনা রইল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ চেয়ারম্যান০০৭...
শুভকামনা জানবেন।

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

এস কাজী বলেছেন: দু' লাইনেই!!!! :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ এস কাজী।

২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: গল্পটা পড়লাম আর নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে নিলাম। চাকরি করে সংসার করা কত কষ্টের তা যে না করে সে বুঝতে পারে না। তবে বাস্তব জীবন হয়তো আর ও কঠিন। আমার বাসাই ৬ জন সদস্য। এই ৬ জনের জন্য সকালে করতে হয় ৩ রকমের বিভিন্ন পদের রান্না সাথে ৩ জনের দুপুরে লাঞ্চ। রাতে ফিরে আবার যুদ্ধে নেমে পড়া।

সাত দিন ভাল লাগে প্রতিদিন ভাল লাগে না। এই সব কিছুর পরে আর সাথে থাকে কটূক্তি ফ্রি।

ভাল থাকবেন

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ আমার গল্প পড়বার জন্য। আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্তিতে বলি, এটা আমার কাছে জেনারেশান গ্যাপ ছাড়া কিছুই মনে হয়না। যুগে যুগে শ্বাসত বাঙ্গালী সমাজব্যাবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে হয়তো। কিন্তু আদি কিছু ব্যাপার এখনও পুরোপুরি বদলায়নি। এর মাঝে শ্বাসুড়ি বউ এর চিরন্তন সমস্যা বা দ্বন্দকে আমার মনে হয় আধিপত্য বা জায়গা ছেড়ে দেবার এক অদৃশ্য ভীতির অদৃশ্য লড়াই।

এতদিনে তিনি যেভাবে নিজ হাতে সংসার চালিয়েছেন, সাজিয়েছেন সেখানে নতুন কারো মাতবরী সহজে মেনে নিতে মন সায় দেয়না বা তারা পারেন না আর এই মেনে না নিতে পারার কারনেই ভুলটা করেন তখনই যখন সেটা সরাসরি সুন্দর করে বুঝিয়ে না বলে সেই স্বাসত প্রথা মতাবেক কটুক্তি বা অন্যের কাছে নেগেটিভ সমালোচনা করেন।

ভালো থাকবেন । শুভকামনা।

২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২

খাটাস বলেছেন: প্রথম দিকে পড়তে বিরক্ত লাগছিল। কিছু দূর পড়ার পর ভাল লাগতে শুরু হল। সব মিলিয়ে এক গল্পে অনেক কিছুই পেলাম।
ভাল লাগা রইল। ++++
শুভেচ্ছা জানবেন ময়ূরাক্ষী আপু ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা অনেক ধন্যবাদ সত্য কথা বলার জন্য। প্রথমদিকটা তো আমারও মহা বিরক্তির কারণ ছিলো, তো বিরক্তির কথা তো বিরক্তিই লাগবে। কিন্তু তারপর সবকিছু কেমনে ম্যানাজ করে ফেললাম দেখলেন তো।

শুধু রান্নাবাটি আর পুতুল পুতুল সংসার খেলায় মেতে উঠতে গিয়ে শ্বাসুড়িআম্মার মনোভাবটা একটু বুঝতে ভুল হয়েছে। তো এইবার হাজেরা বুয়া আবার বাড়ি যাচ্ছেন এইবার কি করে তাকে ম্যানাজ করি সেটাই দেখবেন পরের কোনো লেখায়। এ যুগের পেকে ঝুনঝুনা হয়ে আসা মেয়েদের কি এত সহজে হেরে গেলে চলবে? কখনও না।

শ্বাসুড়ি আম্মাকে পুরোপুরি হস্তগত করে ফেলার প্লান প্রোগরাম করা হয়ে গেছে। এইবার কোনো ভুল হবেনা আর।

অজস্র ধন্যবাদ আবারও আপনাকে।

৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

সোহানী বলেছেন: আরে চমৎকার লিখা। আপনিতো অনেক ধৈর্য্যশীল। যেভাবে ম্যানেজ করেছেন তাতে আপনাকে স্যালুট । আমি তো একদিনেই কান্না জুড়ে দিতাম। আর শাশুড়ির কথায় মন খারাপ করবেন না.... বাকিরা তো আপনাকে উৎসাহ দিয়েছে...। তবে আমার স্বামী কিন্তু খুব সাহায্য করে সব কিছুতে আর শাশুড়ি মা তো অসাধারন। উনি থাকলে আমি মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াই।

সরল লিখায় ++++++

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী। আপনি ভাগ্যবতী। অসাধারণ সব মানুষ পেয়েছেন শ্বসুর বাড়িতে। তবে আমার ধারণা একটু শুধু ধৈর্য্য ও মোটামুটি বুদ্ধি খাটিয়ে পরিবারের সবাইকেই ম্যানাজ করা সম্ভব। সেটাই করে ফেলেছি আমিও অলরেডি।

নতুন তো একটু ভুল হয়ে গিয়েছিলো মানে খেলা খেলা সংসার নিয়ে মেতে উঠেছিলাম। খেয়াল করিনি এতদিন যার একছত্র আধিপত্য ছিলো এ সংসারে তার অধিকারে ভুল করেও হস্তক্ষেপ করে ফেলছি কিনা।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: উপস্থাপন এর প্রসংসা করছি, না করলে নিজেকে নিজের কাছেই বোকা মনে হবে।
আচ্ছা আপু শাশুড়িরা বুজি এই রকমের হয়।
তাইলে তো বুড়ি হইয়া আপনিও এমনটাই হয়ে যাবেন তাই না?

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
তবে আমি এমন হবোনা। আমি অনেক ভালো শ্বাসুড়ি হবো।

৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২২

জাফরুল মবীন বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরীতে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।আমি বেশ অনিয়মিত ব্লগারে পরিণত হয়েছি। :(

খুব ভাল লাগল জীবনের বাস্তব চিত্রায়ণটি।

“প্লানিং, সিস্টেম এ্যান্ড ম্যানাজিং এভরিথিং- দ্যা সংসার সমুদ্র”-অসম্ভব ভাল লেগেছে কথাটি।আমি বাড়ির বড় ছেলে হওয়ায় সংসার জীবনের জটিলতা সমাধানে এই তত্বটাই কাজে লাগাই।বাই দ্য ওয়ে আমি কিন্তু রান্নায় এক্সপার্ট :P

অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জাফরুল মবীন। রান্নার গল্প একদিন লিখে শোনান আমাদেরকে।

৩৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:২৯

একলা ফড়িং বলেছেন: আগে একটা প্লাস দিয়ে নিলাম! তারপর কমেন্ট!! একটানে পড়ে ফেললাম! পুরা মুগ্ধিত! আমি এমন অবস্থায় পড়লে তো নির্ঘাত রান্নাঘরে বসে কান্নাকাটি শুরু করতাম!!!


সংসার সমুদ্রে ভালোভাবে সফলতার সাথে সাঁতার দিতে থাকেন, আর মাঝে মাঝে আমার মত অকম্মাদের সুবিধার জন্য এমনসব পোস্ট দিয়েন!


ঈদের শুভেচ্ছা রইলো :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা আপনি একলা ফড়িং আর আমি ঘাসফড়িং।
আসলে আবারও যখন সংসার সমুদ্রে এমন বিপদে পড়বো, যেন এবারের মত সেবারেও সামলাতে পারি তাই এই প্লানিং, সিস্টেমগুলো লিখে রেখেছি। আর তাতে যদি আমার মত আরও ঘাসফড়িং,একলা ফড়িং,গংগা ফড়িং দের উপকার হয় তাহলেতো কথাই নেই।

ঈদের শুভেচ্ছা।

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: এখনো সংসার পাতিনি, কিন্তু বড্ড লোভ ধরিয়ে দিলেন।

হয় কি আমরা ভাবি এক, হয় আরেক। কি জানি?! তবে চেষ্টাটাই আসল।

ভালো থাকুন, সব সময়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: হা হা

প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা আপনার আশা পূরন করুন যত শিঘ্র সম্ভব।

৩৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ভাল লাগল আপনার বর্ণনা অথবা গল্প। আমার স্তৃ সৌভাগ্য ক্রমে হোক আর দুর্ভাগ্য ক্রমেই হোক তার শ্বাশুরিকে নিয়ে খুব একটা থাকতে হয়নি। ভাংগা ভাংগা হিসাব যোগ করলে হয় তো এক বছর হতে পারে।
বাঙ্গালী সামাজিক অবস্থায় শ্বাশুরি - বউ দন্দটা থাকবে পরিবেশ ও আত্মীয়স্বজনের (পরনিন্দা ও পরচর্চার) কারনে।
আপনার মত সচেতন মহিলারা একে "অবস্থা বুঝে নিরাময়করন ব্যবস্থা" নিলে বিষয়টা সমাধা হতে সময় লাগার কথা না।

আপনার রান্না বিষয়টা ও মনযোগ সহকারে পড়লাম, কারন আমি নিজেও রান্না করি (বিশেষ করে পরিবার যখন দেশের বাইরে থাকে)। সময় থাকলে নিজের রান্না করাই আমার কাছে ভাল মনে হয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদাউস। আমারও রান্না করতে বেশ ভালোই লাগে। তবে ৮ টা ৫ টা অফিস করে তখন রেডিমেড রান্নাই ভালো।

ভালো থাকুন । শুভকামনা।

৩৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

ফয়সাল খালাসী বলেছেন: জেনারেশান গ্যাপ এর ফলাফল ধরে নিয়ে আপনি যে শ্বাসুড়িকে মেনে নিতে পারছেন, এক জন্য আপনাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিৎ।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা। +++
:)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়সাল। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.