নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা বছর কিভাবে যায়,আর রমজান মাস কিভাবে যাচ্ছে সেটা একান্তই আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ভাবে উপলব্ধি করে একজন দিন মজুর।
এতো ইবাদতের মাঝে রমজানের একটা অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যও আছে।আর সেটা হলো গরীব দুঃখীদের কষ্ট উপভোগ করা।কিন্তু ডুপ্লেক্স বাড়িতে ডাইনিংইয়ে বসে মুখরোচক ইফতার করে কতটুকু উপভোগ করা যায় বাড়ির পাশের রাস্তায় থালা ধরে বসে থাকা মানুষের দুঃখ!!!
থালার কথা বাদই দিলাম।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কথাই ধরুন।এরা না পারবে রোজগারের টাকায় থালা ভরতে,না পারবে রাস্তায় নেমে থালা ধরতে।নিজের ইনকামের সবটা দিয়েই তবু চেষ্টা চলে পরিবারের সাথে রমজান পালনের।
সেদিন বাসে বসে এক বন্ধুর সাথে কথা বলার ফাকে আমি বলে ফেলেছিলাম “রমজানটা এক মাস না হয়ে ১১ মাস হতো।তাইলে বুঝা যেতো বাকি ১ মাসে পাবলিক কত খাইতে পারে!”
আমার পিছনের সিট থেকে এক চাচা (সম্ভবত সরকারি চাকুরীজীবী) বললেন-“এক মাসের খরচ যোগাইতেই তো পাইল্লা উদাম কইরা লাইসি।১১ মাস হইলে রোজা রাখমু নাকি রোজায় আমারে রাখবো!!!”
হ্যাঁ,রমজানের খরচ অন্যান্য যেকোনো মাসের চেয়ে ঢের গুন বেশী।ঈদের কথা নাহয় বাদই দিলাম।এমনিতেই যা খরচ,সেটা অন্যান্য মাসের মতো গুনে গুনে পাওয়া কয়টাকা বেতনে চালানো সম্ভব না।
বেতনের হাতে গুনা কয়টা টাকা,আর নামে মাত্র বোনাস দিয়ে কোনদিক থেকে কাজ শুরু করবে সেটা ভাবতে ভাবতেই হাত খালি হয়ে যায়।
আর হ্যাঁ,ভালোই তো আছে!!তাই না?
একজন নিম্ন আয়ের চাকুরীজীবী,
ঈদে সন্তানের প্রেস্টিজ রাখতে গেলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দিকে নজর থাকে না।আবার কিছু না পেয়ে স্ত্রীও থাকে হাসিমুখে।আর সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করে হাসি মুখে রিক্ত থাকবে সে নিজেও।
©somewhere in net ltd.