নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনা

জামিউল আলম

সমালোচনা

জামিউল আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফটার হ্যাঙ্গিং দা ক্রিমিনাল।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৯

কথা শুরুর আগে একটা বিষয় ক্লিয়ার করে নিচ্ছি।তানাহোলে কেউ নাস্তিক আবার কেউ ছাগু ট্যাগ মারবে।-

১)আমি মুসলিম।আমি ধর্মান্ধ।তার মানে এই নয় যে আমি দেশকে ভালবাসতে পারবো না।তার মানে এই নয় যে আমি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার চাইতে পারবো না।

২)আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের পোঙ্গা মারা শয়তানদের ফাঁসি চাই তার মানে এই নয় যে আমি এক নিমিশেই মুসলমান থেকে নাস্তিক হয়ে গেছি।



চেতনা বলতে যেটা বোঝায় সেটা আমি চিনি না।আমার মধ্যে আছে নাকি জানিও না।আশা করি তারাও জানে না যারা চেতনার বাজারে মূলা বেঁচে।তবুও তারা দেশপ্রেম যাচাই করে যাচ্ছে চেতনা দিয়ে।

দেশের স্বাধীনতায় যারা থাবা মেরেছেন তাদের বিচার সবাই চায়।এবং সর্বোচ্চ বিচার (ফাঁসি) একজন দেশপ্রেমিকের প্রানের দাবী।এটা নতুন কিছু নয়।আইনের শাসন মেনে চলতে আমরা সবাই বাধ্য।তবে সেই আইন যেটা সরকারও মেনে নিতে বাধ্য।নিশ্চই এটা নয় যেটা বাধ্য হয়ে বরং সরকারকেই মেনে চলছে।



আমি শুরু থেকেই বিশ্বাস করে আসছি যে আওয়ামিলীগ সরকারের ফাঁসি টাসি দেয়ার কোন মনস্তাব নেই।আমার বিশ্বাস এই বিচারটাকে সরকার একটা ইস্যু বানিয়ে এই নির্বাচনে বলবে,"বিরোধীদের জ্বালায় পারলাম নাহ।আবার ভোট দিন আমাদের।এবার এসেই ওদের ঝুলিয়ে দিবো।কলঙ্ক ঝেরে মুছে সবাইকে হলি করে তুলবো।"

মাঝখানে আসলো শাহবাগ।যেখানে গিয়ে অনেকেই নিজেদের বাঙ্গালিয়ানা পরিচয় দিতে সামর্থ হয়েছেন।



আচ্ছা,ধরুন শাহবাগের দ্বিতীয় যুদ্ধের কারনে ফাঁসিটা হয়েছে।তাদের উল্লাশ কিন্তু সেটাই প্রকাশ করছে।তার মানে সরকার তাদের যুদ্ধের চাপে পরে আইন পরিবর্তন করেছে।

এখন আমার কথা হলো,কাল যদি শাহবাগের চেয়ে ১০ গুন বেশী মানুষ জড় হয়ে বলে যে," *****(বিশেষ কোন ব্যাক্তি) ওমোকের ফাঁসি চাই।"তখন সরকার কি মেনে নিবে?

আচ্ছা,আরেকটু ছাড় দিয়ে বলি।সবাই যদি কোন ব্যাক্তি বিশেষের অপসারন চায় তাহলে সেটা কি সরকার মেনে নিবে?মানুষ কিন্তু শাহবাগের চেয়ে ঢের গুন বেশী সেখানে।এখন কি করবে সরকার?

যদি মেনেই নিতো তাহলে দিনের পর দিন এইভাবে অবরোধের রোষানলে পরতে হতো না জাতিকে।প্রতিটা গাড়িতে আগুন কিংবা পুলিশের প্রতিটা বুলেটের পেছনে কিন্তু কারন এই একটাই।এক জনের ক্ষমতা ধরে রাখার সংবিধান মেনে চলাটা কোন আইনের আওতায় পরে বলে মনে হয় না আমার।যেমনটা মনে হয়নি যুদ্ধাপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবনকে মেনে নেয়া।



ফাঁসি যখন হয়েই গেছে এখন এই কথাগুলোও ভেবে দেখা উচিত।

জামাতের সাথে যখন আওয়ামীলীগের সখ্যতা ছিলো তখন চেতনার বাজার কোথায় ছিলো।এতোগুলো দিন অপেক্ষা কেনো করিয়েছেন জাতিকে।নিশ্চই আপনারা আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছেন।আর বিচার করাতে দেরি করে যারা ফায়দা লুটে তারা ফাঁসি নিয়েও যে ফায়দা লুটে নি সেটা কি আমি আর আপনি সিওর হতে পারবো?

আমদের জনগনের চাওয়া পাওয়া খুব অল্প।আমরা ফাসিও চাই এবং এটা নিয়ে যে সকল তামাশা আর ফায়দা লুটার প্রয়াস সেটার বিচারও চাই।দেশের মাটির সাথে বেইমানী করা প্রতিটা মাংশ পিণ্ডের বিচার চাই আমরা।সে মুসলমান নেতাই হোক,মন্ত্রীই হোক আর কারো বেয়াই হোক না কেনো।



শুনেছি বঙ্গবন্ধু নাকি কাঁদের মোল্লাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নিযুক্ত করে ছিলেন।আচ্ছা,তিনি কি জানতেন না যে এই কাঁদেরই কসাই কাঁদের!!নাকি কোন এক অজানা ভয়ে তাকে নিযুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন!!

তিনি যদি না জেনে এটা করে থাকেন তাহলে আমি আমার বাঙ্গালিত্ত নিয়ে সন্দিহান যে আমাদের জাতির পিতা যুদ্ধ করলেন অথচ রাজাকার চিনলেন না।

আর যদি অজানা কোন ভয়ে এই কাজ করে থাকেন তাহলে আমি লজ্জিত যে আমাদের জাতির পিতা ভয় পেতে জানতেন।



আপনারা যারা সুশীল সেজে বাঙ্গালিয়ানা মেপে দেখছেন তারা আশা করি এবার থেকে সকল বিষয়ই চিন্তায় রাখবেন।দাবী তুলতে চান, তুলুন।তবে সেটা থেকে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে তাদেরকে চিনে রাখুন।শুধু সাদা শাড়ি,লাল টিপ এবং পাঞ্জাবীর নিচেই বাঙ্গালিয়ানা লুকিয়ে থাকে না।এমনকি রাজাকারের নাতীর গোফের নিচেও থাকে না দেশাত্মবোধ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.