নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনা

জামিউল আলম

সমালোচনা

জামিউল আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হস্তী মানব-জোসেফ মেরিক(১৮৬২-১৮৯০)

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৫

'দি এলিফ্যান্ট ম্যান' জোসেফ মেরিকের (১৮৬২-১৮৯০) নাম শুনেছেন?





জোসেফ মেরিক-১৯৮৯(ছবি-উইকিপিডিয়া)



মেরিক ১৮৬২ সালে ইংল্যান্ডের লিচেস্টারে জন্মেছিলো। ওর শারীরিক গঠনটা ছিলো অদ্ভুদ। ৩৬ ইঞ্চি মাথা, ১২ ইঞ্চি হাতের কবজি, ৫ ইঞ্চি হাতের আঙ্গুল সমেত মেরিকের দেহটা দেখতে একটা হাতির মত ছিলো। মেরিক ১১ বছর বয়সে মা হারিয়ে লেখা পড়া ছেড়ে কাজে যোগ দেয়। প্রথমে কিছুদিন সিগারেটের কারখানায় কাজ করে। পরে সে তার বাবার দোকানের পন্য সামগ্রী লিচেস্টারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করতো। তবে দৈহিক সীমাবদ্ধতার কারনে ক্রেতাদের সাথে ঠিকমত কথা বলতে না পাড়া এবং তার শারীরিক গঠন দেখে ক্রেতাদের ভয় পাওয়াটা তাকে এই কাজে সফল হতে দেয় নি। আর এই কাজে ব্যার্থতার দায়ে বাবার হাতে প্রহারের পর সে লিচেস্টার ওয়ার্কহাউজে যোগ দেয়। সেখানে ৪ বছর কাজ করার পর সে তারই মত বিকৃত শারীরিক গঠনের মানুষদের একটা সংগঠনে যোগ দিলো। সেখানে তাকে 'অর্ধ মানব এবং অর্ধ হস্তি' নামে প্রদর্শন করা হতো।



এসময় স্যার ফ্রেড্রিক ট্রিভস নামক এক চিকিৎসকের নজরে পড়ে মেরিক। তিনি লন্ডন হসপিটাল কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রাঞ্চিস কার গমের সহায়তায় মেরিককে সেখানে ভর্তি করেন, যদিও মেরিকের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত ব্যাবস্থা সেখানে ছিলো নাহ। ফ্রাঞ্চিস কার গম মেরিকের সমন্ধে The Times পত্রিকায় একটি লেটার লিখেছিলেন। সেই লেটারটাই মেরিককে পাবলিক সাপোর্ট এনে দিয়েছিলো। লন্ডনের উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা এসময় মেরিকের সহায়তায় এগিয়ে আসে।





জোসেফ মেরিক-১৯৮৮(ছবি-উইকিপিডিয়া)



মেরিককে পরে আর বাচানো সম্ভব হয় নি। ধারনা করা হয় মেরিকের মৃত্যুর কারন ছিলো Asphyxia( অস্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসের কারনে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পড়া), যেটা তার মাথার অতিরিক্ত ওজনের কারনে হয়েছিলো। পরে অবশ্য অন্য গবেষকেরা বলেছিলো Asphyxia নয়, মেরিকের মাথার ওজনের কারনে তার স্পাইনাল কর্ড ছিড়ে গিয়েছে।

মেরিকের কঙ্কালটা গবেষনার জন্য রয়্যাল লন্ডন হসপিটালে রেখে দেয়া হয়েছে।





মেরিকের স্কেলেটন



মেরিকের চিকিৎসক ফ্রেড্রিক ট্রিভস মেরিকের জীবন, শারীরিক অস্বাভাবিকতা, এবং তার সাথে মেরিকের পরিচয় হবার পরের দিনগুলো নিয়ে 'The Elephant Man and Other Reminiscences' নামে একটি বই লিখেছিলেন। বইটা আমি পুরো পড়ি নি এখনও। পড়লে মেরিক সমন্ধে আরও অনেক কিছুই জানা যাবে। ১৯৭১ এ অ্যানথ্রোপোলজিস্ট অ্যাশলে মন্টেজ ফ্রেড্রিক ট্রিভস এর বইয়ের উপর ভিত্তি করে মেরিকের উপর 'The Elephant Man: A Study in Human Dignity' বইটি লিখেছিলেন। এই দুইটা বইয়ের আলোকে মেরিককে নিয়ে 'The Elephant Man' শিরোনামে মুভিও বানানো হয়েছিলো। ডেভিড লিঞ্চ এর বানানো এই মুভিটা বেশ পরিচিত। অনেকেই দেখেছেন হয়তো। ৮ টি ক্যাটাগরিতে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য নমিনেশন পেয়েছিলো মুভিটা।





The Elephant Man(1980)



মেরিক লিখতে ভালোবাসতো। সে তার লিখাগুলোর শেষে Issac Watts এর False Greatness কবিতাটা জুড়ে দিতো-

"Tis true my form is something odd,

But blaming me is blaming God;

Could I create myself anew

I would not fail in pleasing you.



If I could reach from pole to pole

Or grasp the ocean with a span,

I would be measured by the soul;

The mind's the standard of the man."



নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে মেরিক সবসময় বলতো-

"I sometimes think my head is so large because it is so full of dreams"

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

দুঃখ বিলাস বলেছেন: মাত্র ২৮ বছর বেঁচে ছিলেন।

সুন্দর।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৭

জামিউল আলম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: পোস্ট ফেবুতে পড়সিলাম আগেই!
আবারো দেখলাম,
প্রথম ভালোলাগা দিয়ে মার্ক করে গেলাম ব্লগে ....
লিখতে থাকো প্রিয় বন্ধু...
সবরকম শুভকামনা... সবসময়...

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২৬

জামিউল আলম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২১

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: ওহ কি দু:সহ জীবন ছিলো তার। আল্লাহ মাফ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.