নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশের চিঠি; বত্রিশ

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

৩২

৩/৩/২০১১

কতটা পথ কতটা সময় পেরুলে শুভক্ষণ পাওয়া যায় যদি জানতে পারতাম। পাখি হয়ে উড়ে যেতে পারতাম যদি সেই সময়ের কাছে। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা অপেক্ষার প্রহর। প্রতি মূহুর্তে মনে হয় কী দুঃসহ কষ্টে বন্দী হয়ে আছো তুমি, কত অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে তোমার উপর।



আমার জীবনযাত্রার প্রতি অনুভবে যেন কাঁটা ফোটে বুকের ভিতর। প্রতিদিন প্রটেষ্ট হচ্ছে তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবীতে। অচেনা ভিনদেশী সব মানুষ জড়ো হচ্ছে কুইন্স পার্কে। সরকারের কাছে দাবী পেশ করছে হাজার হাজার মানুষ সাইন করে। মোমের আলোয় বসে আছে সারারাত ব্যাপী মানুষ, তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে। বিভিন্ন রকম দাবী দাওয়া চলছে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায়।একজন নাগরীককে বিনা কারণে এভাবে অন্য দেশে আটকে রাখতে পারে না।



ওই জালিম বর্বর যদি কোন নিয়ম মানত তবে তো এমন অশান্তি হতো না পৃথিবীতে। কার কতটুকু কষ্ট হলো তা ওদের জানার বিষয় নয়। ওরা আছে শত বৎসরের পিছনের সময় ফিরিয়ে আনার তালে। কিন্তু ব্যবহার করছে সব আধুনিক পদ্ধতি নিজেদের প্রয়োজনে।



সমস্য হচ্ছে মি. জোন্স ওদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না। ওরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জন উনার সাথে যোগাযোগ করে, ওদের কাজ কতটা হলো সেটা জানতে চায়। মি জোন্স কে ওদের কোন ঠিকানা, ফোন নাম্বার বা ই মেল কিছুই দেয় না। কিন্তু উনার নারী নক্ষত্রের খবর ওরা সব জানে। অনেক সতর্ক ওরা কিছুতেই নিজেদের সনাক্ত করতে দিবেনা, গোপনীয়তা যতটা সম্ভব বজায় রেখে চলেছে। আমেরিকাতেও অনেক লোকজন ওদের। ওরাই যোগাযোগ করে মি.জোন্সের সাথে। এখানেও উনাকে অনেক চাপের মুখে রাখে। মুক্ত করে দিলেও উনি আসলে মুক্ত নন। উনার চলাফেরার উপর সারাক্ষণ ওদের পাহারা আছে উনি এমন ধারনা করেন। তোমাকে ছেড়ে দেয়ার আগে ওদের কাজগুলো হতে হবে। এবং সেই দাবীর জন্যই উনাকে পাঠিয়েছে।



আমাকে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে বলেছেন মি. জোন্স। হয়তবা আমাকেও পর্যবেক্ষণ করছে যে কোন সময় তুলে নিয়ে যেতে পারে। এখানেও ওদের লোকজন ঘাটি আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাল বিছিয়ে রেখেছে। এত মেধা এরা ধংসের জন্য ব্যবহার করছে। অথচ উল্টটা হলে পৃথিবী কত উন্নত হতো। ভেবে পাইনা ওদের পরিবারের লোকজন কেমন করে এ সব মেনে নেয়। ছেলে, মেয়ে, মা, বাবা... অবশ্য মেয়েদের তো কোন মূল্যই ওরা দেয় না। তাও ঠিক না, এখানে আমরা অনেক আফগানিস্থানের মানুষ দেখেছি না নীল। ওরা তো আমাদের মতই। কোন গোড়ামি তো দেখিনি ওদের মাঝে।



সুরাইয়া, গোলালী, হোসাইন,আমির, সোয়ায়েব টিভিতে তোমার খবর দেখে আমাকে ফোন করেছিল। অনেক সহানুভূতি জানাল। ওরাও প্রতিদিন কুইন্স পার্কে যাচ্ছে প্রতিবাদে।



আমার খুব ইচ্ছে করে দিনরাত সারাক্ষণ তোমার মুক্তির আন্দোলনে জড়িয়ে থাকি। কিন্ত জানো নীল আমার চলাফেরা অনেক সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। বাইরে গেলে আমাকে পুলিশ পাহারায় যেতে হচ্ছে। আমার নিরাপত্তার জন্য সিটি থেকে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এই বিল্ডিং এ সিকিউরিটি অনেক জোড়দার করা হয়েছে। কে আসছে কে যাচ্ছে সব নজরে রাখা হচেছ। মি. জোন্সের কথায় মনে হয় এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।



আমি মুক্ত যখন যেখানে যেতে চাই যেতে পারি। কিন্তু আমার চারপাশে দৃষ্টির পাহারা আমাকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। বড় অস্বস্তি হয়। আর তোমার হাত পা বাঁধা, কখনো শরীরটাকেও কবর দিয়ে রাখে। বন্দুকের নলের সামনে তুমি কেমন করে আছো নীল। উফ্ কী ভয়াবহ মানসিক, শারীরিক কষ্টে তুমি আছো আমার জীবন।









মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: এগুলোকি শুধুই আপনার কল্পনা? মাঝে মাঝে মনে হয় এ শুধু কল্পনা হয় কি করে? কি জানি!!!

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এতটা বাস্তব! মনে হচ্ছে সত্যিই এমন কিছু ঘটছে। ভাল থাকুক আপনার নীল। ভাল থাকুক সবাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.