নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারো কাছে খুব সহজ সভ্যতার কাছে নয়

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

আমি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি বেশী পছন্দ করি। কিছুদিন আগে সত্য ঘটনার ভিত্তিতে বানানো সিনেমা ক্যাপ্টেন ফিলিপস” দেখলাম। ঘটনাটি খুব বেশীদিন আগের নয়, বছর পাঁচ আগের ঘটনা। সোমালিয়ান কোষ্ট পারি দেয়ার সময় মালবাহী জাহাজকে আক্রমণ করে জলদস্যু। এই বিষয়টি নিয়ে সে সময় ব্লগে অনেক লেখালেখি হচ্ছিল, বাংলাদেশের কিছু জাহাজীও ঐ জাহাজে ছিলো। সময়টা ছিল মনে হয় কোন ঈদের আগে। পরিবার পরিজন অসহায় তাকিয়ে ছিল সুদূর সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কাছে আটকে থাকা প্রিয়জনদের খবর জানার জন্য উন্মুখ। যে কোন দিন যে কোন মুহুর্তে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে তাদের বেঁচে থাকাটাই কাম্য ছিল।

আমার বলার বিষয় সেটা নয়। ছবিতে দেখলাম দুটো নৌকা টাইপের স্পিড বোট চড়ে আট দশ জন লোক বিশাল একটি মালবাহী আধুনিক সুসজ্জিত জাহাজ আক্রমণ করতে আসছে। জাহাজে তাদের নিরাপত্তার জন্য কোন ধরনের অস্ত্র নাই অন্যদিকে নৌকায় আসা দস্যুদের কাছে বন্দুক। জাহাজ দ্রুত গতিতে যেতে পারছে না। নৌকা ক্রমেই কছে চলে আসছে। অনেক আগে দস্যুদের আসতে দেখেও কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারলনা জাহাজে। যদিও খবর পৌঁছে দেয়া হলো পৌর্টে তারা আক্রান্ত হচ্ছে।

জলদস্যুদের নৌকা একদম কাছে এসে পরলে জাহাজের চারপাশ থেকে পানি ছুড়ে দেয়া হচ্ছে প্রতিরোধের চেষ্টায়। কিন্তু দৃঢ়পণ জলদস্যু ও সব কাটিয়ে ঠিক উঠে পরল জাহাজে অস্ত্রসহ। সবাই লুকিয়ে আছে বিভিন্ন স্থানে। এ অবস্থায় ক্যাপটেন আর দু চার জন শুধু উপর তলার ঘরে। ক্যাপটেন নিজের জীবন বিপন্ন করে টাকা পয়সা দিয়ে দস্যুর কাছ থেকে মানুষ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। টাকা পয়সাও নিল সাথে ক্যাপটেনকে ও জিম্মি করে নিয়ে গেল জলদস্যু।

কী অবলীলায় বড় জাহাজের ক্যাপ্টেনকে জিম্মি করে নিয়ে গেল হিংস্র ছোট নৌকার জলদস্যু তাও দুটো নৌকার একটি কেটে পরেছিল আগেই ভয়ে।

ওদের চার পাঁচজন ছিল অগুছালো এলোমেলো অসংগঠিত কিন্তু তাদের হতের অস্ত্রের কাছে অসহায় ছিল সুসংগঠিত জাহাজের অনেক কর্মি ।

এরপর নৌবাহিনী বিমান অস্ত্রশস্ত্র সহ কত যে আয়োজন একজন ক্যাপ্টেন কে জীবিত উদ্ধারের। শক্তি শালী সব ভারি অস্ত্র এক মুহুর্তে উড়িয়ে দিতে পারে ছোট নৌকাটি কিন্তু একজন মানুষকে সুস্থ উদ্ধারের জন্য অপেক্ষার পালা হয় দীর্ঘ। অসহায়ের মতন অবিবেচক একজনের সাথে সমঝতার চেষ্টা করে যায় একের পর এক অফিসার। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে সুযোগ মেলে দস্যুকে ধরার এবং উদ্ধার করা হয় ক্যাপ্টেন।

ইচ্ছে থাকলেও সমস্ত শক্তি নিয়েও অনেক সময় র্দূবিত্তের কাছে অসহায় হয়ে অপেক্ষা করতে হয় সময়ের। র্দূবিত্তের মতন হামলা করা যায়না। অথবা কারো বাঁচার আশা না করে মরার জন্য ঝাঁপ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া যায়। মৃতের বন্যা বইয়ে দেয়া যায়। মারামারির ফলে শেষ পর্যন্ত যদি কেউ বাঁচে সে ভাগ্য। কিন্তু অপরাধীর যা খুশি করে ফেলতে পারে অবিবেচকের মতন অনায়াসে। মানুষের জীবন বা নিয়ম নীতি কোন কিছুই তাদের ধর্তব্য নয়,গুরুত্বপূর্ণ নয় শুধু নিজের চাওয়াটুকুই গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী এই স্বার্থপরদের কাছে। খুন রাহাজানী, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, লুটপাট যা কিছু করতে এতটুকু বাঁধে না তাদের। কিন্তু সভ্য সুশৃঙ্খল একটি বাহিনী তাদের মতন ঝাঁপিয়ে পরতে পারে না মারামারিতে গুলাগুলিতে হাতে বন্দুক নিয়েও। অনিয়মে বিশৃঙ্খল ভাবে। এটাই সভ্যতার শিক্ষা।

ছোট একটি ঘটনা বড় তাড়াতাড়ি ঘটে যায়। কিস্তু তার দায় শুধরাতে সময় লাগে অনেক। একটা অবস্থা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব আজীবন থেকে যায়।

দেশে যে অবস্থা আজ চলছে একটার পর একটা ভুলের মাশুল দিয়ে গড়া কুলাঙ্গারদের প্রভাব এ কাটাতে সতর্ক পদক্ষেপের প্রয়োজন। ছবিটার সাথে এখানেই মিল হীনমন স্বার্থপর তাদের প্রয়োজনে যা খুশি করতে পারে। কিন্তু নিয়ম আর গনতন্ত্র মেনে তাদের মতন কিছু করা যায় না।আস্তে আস্তে ফাঁদ পেতেই তাদের ধরতে হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

ঠোঁটকাটা কাকাতুয়া বলেছেন: ঠিক এমনি একটা ছবি দেখেছিলাম, নাম মনে আসছেনা। আমেরিকার প্রেসিডেণ্টকে প্রকাশ্যে হোয়াইট হাউসে জিম্মি করা হয়। ম্যাসিভ হত্যাকান্ড চালায় দুস্কৃতিকারীরা, এদিকে হোয়াইট হাউস ঘিরে ফেলে মার্কিন সেনা, অথচ কেউ ভেতরে যায়না। শুধুমাত্র প্রেসিডেণ্টকে জীবিত উদ্ধারের আশায়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক কাজটা যে কত কঠিন যারা ক্ষমতায় থাকে তারা বোঝে। চাইলে হত্যার বন্যা বইয়ে দেয়া যায় কিন্তু সেটা সঠিক পথ নয়।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমিও সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি বেশী পছন্দ করি।

ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: রিয়েলস্টিক অনেক কিছু জানা যায়। কত বিষ্মকর ঘটনা মানুষের জীবনে।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধরনের ছবি আমিও বেশ উপভোগ করি ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালোলাগল জেনে।
আমি আসলে ছবিটার তৈরী সম্পর্কে কিছু বলি নাই। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে অসহায় অবস্থায় আমরা কেমন ধৈয্যহারা হয়ে যাচ্ছি সে সময়টাকে দেখার চেষ্টা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.