নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত বৈচিত্র

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

সেদিন সারারাতে আমরা চার বর্ণের চারজন বন্ধু, গল্প করে কাটালাম। ভিন্ন মহাদেশের সংস্কৃতি আবহে চার দেশে চার রকমের ভিন্ন পরিবেশে বড় হওয়া মানুষের জীবন চলা অনেক অন্য রকম হয়। এমন সাধারন ধারনা পোষন করি আমরা। পারিবারিক জীবন যাপন, নিয়ম শৃঙ্খলা। সবটাই অন্য রকম হবে বেড়ে উঠার দিন, কৌতুহল নিরাময় হলো আলোচনার শেষে, মানুষ মূলত এক। সবার জন্যই নিয়ম আর শৃঙ্খলা, আচার আচরণ একই রকম। অনুভুতিগুলোও একই রকম।
অভিভাবকের নির্দেশ মেনে চলা। নিজেদের জীবনের তিক্ত এবং মধুর অভিজ্ঞতা। ব্যাক হোম অর্থাৎ দেশের মানুষের বিদেশ সম্পর্কে ধারনা চিন্তা, ভালোবাসা আর ঘৃণা। বেড়াতে গেলে আদর আপ্যায়ন ভালোবাসা, আত্মিয় স্বজনের আন্তরিকতা। আবার পেছনে সমালোচনায় মুখর কোন দেশেই কম নয়। একজন বলল. জ্যামাইকা থেকে আসার সময় আমাকে একজন বলল, আমার আত্মিয় থাকে উইনিপ্যাগ, ওর জন্য একটা জিনিস দিতে চাই নিয়ে যাও। হাসতে হাসতে আমরা লুটিপুটি খাই। সবচেয়ে বড় প্রভিন্স ওন্টারিও পেরিয়ে উইনিপ্যাগে যেতে ক্রমাগত ড্রাইভ করলে ছত্রিশ ঘন্টায় পৌঁছানো যেতে পারে। আ্যয়ারলেন্ডের বন্ধু বলে, আমার আত্মিয়রা এখানে আসবে বলে পরিকল্পনা করছে, ওরা সারা কানাডা ড্রাইভ করে ফিরে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছে এক সপ্তাহে। দেশ বিদেশের মানুষের ভৌগলিক সীমা সম্পর্কে ধারনা, আমাদের হাসির খোরাক যোগায়। আমি বলি উইনিপ্যাগ তো দূরের কথা এক শহরে বসে দেশ থেকে নিয়ে আসা জিনিসটি আমি পৌঁছাতে পারছি না আমার বন্ধুর মেয়ের কাছে এক মাস ধরে। আমার সময় হলে ওর সময় হয় না। আমরা কি এক ঘূর্ণি চক্রে ব্যাস্ত যে যার জীবনে। শুধু নিজে থেকে যদি প্ল্যান করি কিছু করার সেটাই করা হয়।
প্রথম আসার পর দেখতাম সবাই এক বছর ছয় মাস আগে পরিকল্পনা করে রেখেছে কোথাও যাওয়ার বা কাউকে বাসায় দাওয়াত দেয়ার বিষয়টা হাস্যকর লাগত কিন্তু এটাই বাস্তবতা। যাপিত জীবনের কাজগুলো সেরে সবার ছুটি সুযোগ তারপর কোন অসুবিধা না হলেই অনেকে দল বেঁধে এক সাথে হওয়ার সুযোগ ঘটে। দিনে দিনে অভ্যস্থ হতে হয়েছে এই বাস্তবতায়। হৈ হৈ করে যেমন আমরা ইচ্ছে হলেই কিছু করে ফেলতাম তেমনটা সম্ভব হঠাৎ কখনো। আর যদি কেউ আটটা পাঁচটার কাজে জড়িত না থাকে তবেই।
ছোটবেলার দিন যাপন। খেলাধূলা, প্রিয় বিষয়। সন্তানের সাথে সম্পর্ক। নিজেদের অভিভাবকের সাথের সম্পর্কের চেয়ে সন্তানের আচরণের বৈষম্য, সবার মনে এক ধরনের নিরাশা হতাসা। অনেক বেশী ভাবায় এবং কষ্ট দেয়। অভিভাবকের কথা শোনে তাদের মান্য সম্মান করে যেমন নিজেদের অনেক চাওয়া জলাঞ্জলি দিয়েছে এক সময়ে। আবার আরেক জীবন কাটিয়েছে, নিজের চাওয়ার চেয়ে সন্তানের চাওয়া প্রাধান্য দিয়ে উৎকণ্ঠিত হয়ে, সন্তানের ভালো ভেবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে। অথচ সন্তানরা কেমন আজকের পর কাল কী হবে তার জন্য উৎকণ্ঠিত নয়।
এই প্রজন্মের নিজেদের মতন হতে চাওয়া চলা। ঠিক মিলাতে পারে না কেউই। ওরা এই বয়সে কেনো সব কিছুর আগ্রহ হারিয়ে মগ্ন শুধু আজকের জীবন যাপনে। কেনো কিছুর জন্য সুদূর প্রসারী কোন পরিকল্পনা নেই। যেমন আগের প্রজন্ম করে এসেছে। নিজের অনেক চাওয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তান মানুষ করে গেছে। অথচ এরা ভালো খাওয়া দাওয়া হৈ হুল্লোর ফূর্তি। ভালো কামাই করেও মাসের শেষে কোন সঞ্চয় নেই। কারো জন্য কোন ভাবনা নেই। বয়স হয়ে গেলেও কারো আগ্রহ নেই ঘর সংসার করার। কাজ ক্যারিয়ার সাজানো নিয়ে ব্যস্ত। আর ছুটির সময় উপভোগ, ক্লাব পার্টি বা ঘুরে বেড়ানোয়। এরা আছে বর্তমানে মগ্ন।
এই গ্যাপ প্রজন্মের এই দ্বৈত ভাবনা প্রায় প্রতিটি ঘরে। প্রতিটি সমাজে।
এখানে একটা বিষয় অবতারনা করা য়ায়। এশিয়ান সমাজ এখনো মনে করে তারা যুথ বদ্ধ। নিজ পরিবার, বড় পরিবার নিয়ে ব্যাস্ত। আমাদের দেশে এখন যৌথ পরিবার নেই প্রায়। অথচ এখনো অনেকে যৌথ পরিবারের ধারনা বজায় রেখে চলে। ঈদ পরবে দেশের বাড়ির শূন্য ভিটায় একত্র জড়ো হওয়ার উন্মাদনা, যেন সব পরিবার এক থাকার প্রচার করার চেষ্টা। অথচ সারা বছর যে যার জীবন যাপন করে। অভিভাবক বাবা মা নিজের মতন চলতে পারলে ভালো নয় তো তারা হয়ে যায় বোঝার উপর শাকের আঁটি। নিজের পরিবার চালিয়ে এই অভিভাবকদের টানা জেনো বাড়তি খরচ সংসারে। অথচ এই অভিভাবক কত যত্নে সন্তান মানুষ করেছেন। অনেক সন্তান বাবা মা কে রাখে তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবার গুলিতে এই সমস্যা প্রোকট। যদি সে পরিবারের কোন একজন বিদেশ থাকে, তবে তাকে দুধেল গরুর মতন দুয়ানোর জন্য বাবা মাকে অন্য সন্তানরা কাছে রাখে।
দেশের মানুষদের ধারনা বিদেশ থাকা মানুষটি টাকার গাছ। আর নস্টালজিক আবেগ তাড়িত বিদেশে থাকা মানুষটি, বিশাল পরিবারের কথা ভেবে নিজের পরিবারকে উপেক্ষা করে দেশে টাকা পাঠাতে থাকে। অথচ সাচ্ছন্দ চলা দেশের সন্তানরা বাবা মাকে দেখার জন্য কোন খরচের টাকা পয়সা কখনো বের করে না নিজের থলি থেকে। সন্তানকে সব কিছু দিয়ে দেয়া নিঃস্ব বাবা মা, বুড়ো বয়সে অসহায় অবস্থায় পরে অনেক ক্ষেত্রে।
ইউরোপ আমেরিকার মানুষ এ দিক থেকে অনেক স্বাধীন্ কেউ কারো মুখাপেক্ষী হয়ে নেই।কাজ এবং কাজের শেষে সঞ্চিত সম্পদে চলে যায় তাদের জীবন। দেশে টাকা পাঠাতে হয় না কিন্তু সন্তান যদি কোন কিছু না করে ঘরে বসে থাকে তাদের ছূঁড়ে দিতে পারে না অতি আধুনিক অভিভাবকও।
অনেক বিদেশে থাকা এশিয়া মহাদেশের সন্তান বাবা মাকে তাদের কাছে নিয়ে আসে, তাদের কাজের লোকবিহীন সংসারে সন্তান দেখা শোনা করার জন্য। বাবা মা খুশি মনে শুধু সন্তান দেখা শোনা নয় ঘরের অনেক কাজ করেন। কিন্তু অনেক সন্তান বাবা মার প্রতি অমানবিক আচরণ করেন। বিদেশ বিভূয়ে নিজের পরিবেশ বন্ধু আত্মিয়বিহীন জায়গায় তাদের একা থাকতে হয়। এ ছাড়া তাদের থাকা খাওয়া চিকিৎসার জন্য কোন খরচপাতি দেয়া হয় না।
তাদের কোথাও বেড়াতে নেয়া হয় না। বন্ধু বান্ধব এলে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় না। আমি বলছি না সবাই এরকম। কিন্তু সমাজের একটা বিশাল চিত্র এরকম। এখনও দেশে এবং বিদেশে অনেক ছেলে মেয়ে বাবা মাকে অনেক যত্ন করে রাখে। সেটা আগের বা বর্তমান প্রজন্ম দু ধরনের মধ্যেই আছে। তবে একাকী থাকা বা এক পরিবার, নিজের জন্য ব্যস্ত থাকা খুব বেশী বাড়ছে।
অনেক সম্পদ লিপ্সু সন্তান অভিভাবককে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। দেশে সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে এসে দেশে ফিরে যাওয়ার অবস্থা তাদের আর থাকে না। আমাদের দেশের মানুষ খুব বেশী আবেগ প্রবণ বাস্তব বর্জিত চিন্তা ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠা থেকে জীবন শেষ বয়স পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। পুরো এশিয়ার সামাজিক ধারনার মধ্যে এই প্রবনতা প্রবল। বছর দশেক আগে এখানকার টেলিভিসন শো তে দেখেছিলাম। পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, ভারতের অসহায় বাবা মা ন্যানি হয়ে কাটিয়ে ছেলে মেয়ে বা তাদের বউ স্বামীর দ্বারা নিগৃহিত হয়ে পালিয়ে পুলিশ দফ্তরে পৌঁছেছে। এখানে সামাজিক কর্মি তাদের সহায়তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশী খুব বেশী সে সময় ছিল না। এখন প্রচুর বাংলাদেশী। তারা এখন নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা মা কে নিয়ে আসতে পারছে এবং তাদের উপর অতাচারও করছে ।
প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্প বড় অন্য রকম। এক ধারায় কিছুতেই মিলানো যায় না। যত জানি দেখি উপলব্ধী করি সম্পর্কের নতুন মাত্রা জীবনের নতুন গতি।
আরো একটা বিষয় ছিল। দশ বছর আগে অভিভাবককে স্পন্সার করে এনে তাদের নিজেস্ব ডিজেবেলিটি বা সোস্যাল পাওয়ার ব্যবস্থা করে, সেখান থেকে সরকারের মাথায় হাড়ী ভেঙ্গে টাকা পয়সা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে। বাবা মাকে আনতে পারে সুপার ভিসায়। এবং তাদের থাকা খাওয়ার সব খরচ নিজেকে বহন করতে হয়। ইমিগ্রেন্ট করে নিয়ে আসলেও পাঁচ বছর ধরে তাদের সব খরচ দিতে হয়।
তবে এসবের চেয়ে মানসিকতাই বড়। যারা মানবিকতা বর্জিত তারা নিজের বাবা মার সাথে যে কোন রকম ব্যবহার করতে পারে। সে দেশে হোক বা বিদেশে কোন প্রার্থক্য হয় না।
পশ্চিমা বিশ্ব এই আবেগ তাড়িত সম্পর্ক থেকে অনেক আগে বেরিয়ে এসেছে। তারা নিজেদের জন্য সন্তানকে ধরে রাখে না। সন্তানরাও অনেক ক্ষেত্রে বাবা মার বিশাল সম্পত্তির কোন কিছু নিতে চায় না। নিজের প্রতিষ্ঠিত করে নিজেদের মতন। অনেক বুড়ো বুড়িকে দেখেছি নিজের পছন্দে বয়স্ক আবাসনে চলে যেতে। যখন আর তারা সব কাজ করে উঠতে পারে না। ভুলে যাওয়ার অসুখ হয়। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় ওল্ডহোমে থাকার। এবং সেখানে বুড়ো বুড়ির সঙ্গ বন্ধুত্ত । হাসি আড্ডা খেলা ধূলা ছাড়াও সময় মতন চিকিৎসা ঔষধ খাওয়ানো চেক আপ বা সারা সময়ের জন্য দেখা শোনার নার্স পাওয়া যায়।
সম বয়সীদের এক কমিউনিটিতে বেশ আনন্দে তাদের দিন যাপন হয়। গৃহে একা থাকা এবং চলার চেয়ে।
আমাদের দেশে বয়স্ক কেন্দ্র একটি ভয়াবহ জায়গা এমনই ধারনা। তবে সেখানে বিদেশের মতন সুযোগ সুবিধা গুলো এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমার ধারনা। সারজমিনে এখনও যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
অভিভাবক সব দান করে যেমন নিঃস্ব হয়ে অসহায় অবস্থায় কাটায় আবার ভালো ছেলে মেয়ের অাদরে ভালোবাসায় অনেক অানন্দেও কাটান অনেক বয়স্ক অভিভাবক। এ রকমই সবাই চায়। এমনটাই হওয়া উচিৎ। অথচ সংখ্যা কমছে দ্রুতগতিতে।
এ ছাড়া দেশেও অনেক বয়স্ক মানুষ নিজের মতন একা থাকতে পছন্দ করছেন এখন। সবটাই আসলে মানুষের মানসিকতা। ছোট বেলা থেকে গড়ে উঠার পরিবেশ এবং অভিভাবক সন্তানের অন্তরীপের উপর নির্ভর করে।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩১

মার্কো পোলো বলেছেন: আমাদের দেশে বাবা মা শেষ বয়সে চায় সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে জীবনটা পার করে দিতে, অথচ সন্তানদের এ বিষয়ে ভাববার সময় থাকে না। আর বয়স্ক কেন্দ্র মানেই অসহায়ত্ব অবস্থা, এ ধারণা প্রত্যেকেরই। কারণ সেখানে অসহায়ত্বকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।
ভাল লিখেছেন।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ। আবেগ তাড়িত অবস্থার উত্তরণ জরুরী।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: যাপিত জীবনের বৈচিত্র্যে কখনো ভাললেগেছে, কখনো খারাপ লেগেছে। তবে বাস্তবতাকে চমৎকার ফুঁটিয়ে তুলেছেন।

আবেগের তাড়না ছাড়া বাঙালি আমি কল্পনা করতে পারি না, যদিও পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে।

জীবন ঘনিষ্ঠ লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: মানুষ মাত্রই আবেগ প্রবণ। আমরা মনে করি বিদেশের মানুষ আবেগ শূন্য তা কিন্তু নয়। ওরাও একই রকম দুখ, কষ্ট সুখ পায় তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে ।
যে সব ঘটনা আমাদের মন খারাপ করে দেয় সে ঘটনাগুলো থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য;আমাদের দেশের মানুষেরও এই বিষয়টা প্রেকটিস করার সময় এসেছে এখন।
শুভ কামনা শামছুল ইসলাম

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫২

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: রোকসানা লেইস, খুব ভাল লিখেছেন। সহজ সরলভাবে অনেক কথা। পশ্চিমা বিশ্ব আবেগ তাড়িত সম্পর্ক থেকে অনেক আগে বেরিয়ে এসেছে। বেরিয়ে আসাটি সমাধান? এটা কি যথাযথ মানবীয় বৈশিষ্ট্য, না কি শিল্পোন্নত দেশের বাজার অর্থনীতির পরিবারের রূপ। আমরা অন্য কোন অর্থ ব্যবস্থার পরিবার ভাবতে পারি কি না যেখানে মানবীয় বৈশিষ্ট্য আমাদের প্রার্থীত সুন্দর হবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ আবুল ফারহ।
সহজ ভাবে বললে সবার জন্য অনুভুতি নিয়ে চলা। এখনও পৃথিবী থেকে উঠে যায়নি। না পশ্চিমা বিশ্বেও না। কিন্তু আমরা পরিবার বলতে যতটা আবেগ প্রবন। কাজের বেলায় তার কতটা সত্যিকারে পালন করি প্রত্যেকে। তা কিন্তু বড় প্রশ্ন।
যদি মানবিকতা বজায় রেখে প্রত্যেকের সুখ ভালো দেখার ব্যবস্থা করা যায় তা হলে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু সে তো সম্ভব নয়। প্রতিদিন পরিবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। খুব ছোট শিশুদের হোস্টেলে রেখে পড়ানো হয়। এ সব থেকে পিছনে যাওয়ার একটাই উপায় যদি অরণ্য চারি মানুষ হয়। কিন্তু সে কি সম্ভব এখন আর?

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৯

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: অরণ্যকে থেকে মানুষ তার বৈশিষ্ট্যের কারণে এখানে এসেছে। অর্থনীতি আর রাজনীতি মানুষের আবেগ, উল্লাসকে ছকে ফেলে দিয়েছে। অর্থব্যবস্থা, প্রযক্তির ব্যবহার, রাজনীতি এসবের মধ্যে মানবতাকে একীভূত করা দরকার। মানুষ নিজেই বর্তমান সভ্যতায় এসেছে। আমরা নিম্ন মধ্যম আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে চাইছি। রিক্সা ছেড়ে পরিবারে প্রাইভেট কার নিচ্ছি। টাচ ফোন নিচ্চি। মোবাইল ফোনেই নিজের সব প্রয়োজন মিটাতে চাইছি।

পরিবার ও মানবতার কথা বলি। পরিবারকে সুসংহত রাখি। পরিবার ও মানবতাকে কেন্দ্র করে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক এই এগিয়ে যাওয়াই জীবন এবং এখান থেকে আসলে পিছনে ফিরা যাবে না আর। বিচ্ছিন্নতার মধ্যে যতটুকু ভালোবাসা ধরে রাখা যায় পরিবার থেকে সে শিক্ষা দিয়ে বড় করা জরুরী শিশুদের যাতে মানবতা হারিয়ে না যায়, না হারায় ভালোবাসা আধুনিকতার সাথে।
শুভেচ্ছা থাকল

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ রোকসানা লেইস। শিশু জিতে গেলে জিতে যায় পরিবার। শিশুকে কেন্দ্র করে আমাদের ভবিষ্যত।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা সৈয়দ আবুল ফারহ্

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

জে আর সিকদার বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট পড়ে উপকৃত হলাম

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ জে আর সিকদার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.