নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প সল্প গল্প

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩



পথে না বেরুলে দেখা হয় না অনেক কিছু। সন্ধ্যার মুখমুখি তুষারপাত আর প্রচণ্ড বাতাস উপেক্ষা করে বেরিয়ে পরলাম উত্তরের পথে। যত এগুলাম ততই আবহাওয়া আরো বেশী উত্তাল হতে থাকল। কখনো রাস্তা ঢেকে যাচ্ছে উড়ন্ত বরফে। বরফের ঢেউ জাগছে পথের উপর। উড়ন্ত বাতাস রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে যেতে যেতে গড়ে দিচ্ছে বরফের বালিয়াড়ি।
একসময় গন্তব্যে পৌঁছালাম। গাড়ি থেকে নেমে বরফ ঢাকা জমিনে পা দিতেই কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ হতে থাকল। উপরে নরম বরফ কম্বল, নীচে শক্ত হয়ে যাওয়া বরফের মোজাইক । ঠাণ্ডা তেমন তীব্র নয়। কিন্ত চারপাশ কি অসম্ভব সুন্দর। এই রূপের কোন বর্ণণা করা য়ায় না। শুধু দিগন্ত ব্যাপী মায়াবী আলোর বাঁধনে বাঁধা পরে কাটিয়ে দিলাম সারারাত। রূপালি পূর্ণিমা- রঙ দৃষ্টিসীমা জুড়ে যেন বাজাচ্ছে অলৌকিক তানপুরা। স্নিগ্ধ সতেজ ভালোবাসার মতন। তার সাথে উত্তাল ড্রাম বিট হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ছিল ন্যাড়া ডাল গুলো। আর আমার মুগ্ধ চোখ সুদূরের পানে এক মধুর আবগাহনে জড়িয়ে ঘুমহীন প্রেমের বাঁধনে।


চারপাশ সাদা আকাশ থেকে জমিন দারুণ এক স্তব্ধতা
টুকরো পৃথিবীর সীমানায় সীমাহীন মানুষের সুখ আবাস
অনন্ত ভালোলাগা জড়িয়ে থাকে উসুম চাদরে আপন মনে
কণির্য়ার আলো জ্বলে দ্বিধাহীন সীমানা পেরিয়ে অথচ
বেঁধে দেয়া কাঁটাতার পেরুতে দেয় না এক ইঞ্চি জমি।


হুড়মুড় শব্দ হচ্ছে থেকে থেকে। ভাবছি কে এলাে, বাইরে তাকিয়ে দেখি বাতাস এসেছে প্রচণ্ড বেগে, শুয়ে থাকা বরফদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা দৌড়ে পালাচ্ছে। যেতে যেতে অন্ধকারে ঢেকে দিচ্ছে চোখের দৃষ্টি। ঝাপসা ধূষর রঙ ঘিরে আছে আমাকে। অলস মুটু বরফরা মাটি জড়িয়ে, গড়িয়ে চলেছে বাতাসের তাগদায়। ভাজের পরে ভাজ ভাজ জড়ানো কম্বল যেন গড়িয়ে যাচ্ছে পথ ঘাট ঢেকে দিয়ে। আচ্ছন্ন হয়ে দেখছি চেনা প্রকৃতির বদলে যাওয়ার দৃশ্য।
অতঃপর রোদের ঝলক তানপুরার সুরে ডাকছিল। ঘরে থাকা গেলো না। পায়ে পায়ে হিমঠান্ডা উপেক্ষা করে খানিক গড়াগড়ি খেলাম সাদা বালুর পাহাড়ে। ঢেকে ছিল একটি মানুষ তার মাঝে মুখ তুলে তাকাল আমার দিকে।
দুজনে হেসে উঠলাম বাতাস কাঁপিয়ে। চুপচাপ বসে থাকা প্যাঁচা বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে থাকল অবাক দৃষ্টি মেলে।



মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

বিজন রয় বলেছেন: কাল্পনিক নয়!!

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: যেমন মনে হয় :)

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

বায়জীদ হোসাইন বলেছেন: সুন্‌দর

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশী অল্প হয়ে গেছে, শীতের ঠান্ডা মুর্তির অপরূপ রূপ হালকাভাবে উঠে এসেছে

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: অল্প করেই বলা হলো। এক বেশী সাদা চারপাশে কিন্তু প্রকৃত আলোর অভাব ছিল রূপ পুরো ফুটানোর জন্য।
শুভেচ্ছা চাঁদগাজী

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুভ্র তুষারপাত দেখার খুব ইচ্ছে।আপনি খুব লাকি

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ, তুষারপাতের সৌন্দর্য অত্যন্ত চমৎকার। দূরের দেশে না যেতে পারলে কাছের দেশে দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৮

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: ভাল গল্প পড়লাম। বরফের রাজ্যে কেমন জানিনা। তবে আমাদের এখানেও দারুণ ঠাণ্ডা পড়েছে।

আপনার গল্পটা ভালো লাগলো। ভালো লাগলো গল্পের মাঝের অংশটুকু ,অসাধারণ।
শুভেচ্ছা রইল

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বরফরাজ্যের ঠাণ্ডা চিন্তা করাও কঠিন হবে। হাড় কাঁপানো না জমানো বলা যেতে পারে।
বরফ নিয়ে আরেকটা লেখা আছে শীত বরফে জীবনযাপন। দেখতে পারেন।
শুভেচ্ছা রইল অতৃপ্তচোখ

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: আপনার অল্প সল্প গল্প ভালোই লাগল।
এবার বড় সড় গল্প লিখে ফেলুন।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আচ্ছা শামীম সরদার নিশু লিখব বড় সড় গল্প

তবে অনেক বড় গল্প আছে লেখা দেখতে পারো :)

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনাটা সুন্দর। পেঁচার ছবিটাও।
অনন্ত ভালোলাগা জড়িয়ে থাকে উসুম চাদরে আপন মনে - চমৎকার এ চরণটা মনে গেঁথে র'লো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা খায়রুল আহসান।
মাঝে মধ্যে আওড়াবেন
আমাদের দৃষ্টির সীমানায় পৌঁছানো সম্ভব হয় না তারপর বাঁধা পরছি নতুন করে বহু বাঁধার প্রাচীরে।
আশা, দৃষ্টির সীমানায় পৌঁছে যাওয়ার......

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



উত্তরের যাত্রার বিবরণ , কবিতা ও ছবি খুবই চমৎকার
হয়েছে । যেমনটি শুরু তেমনই নাটকীয় পরিনতি।
উত্তরের যাত্রাতো অআছে মাঝপথে এখনো
যাত্রাটি কি শেষ হবে মেরু পর্যন্ত গিয়ে?
একবার উত্তরের যাত্রায় সদলে গিয়ে
প্রচন্ড হিমেল ঠান্ডা আর রসদের
অভাবে ফিরেই আসতে হলো ।
কামনা করি যাত্রা আপনার
সখল হোক। এ সাথে
পাঠালাম সেখানে
চলাচলের জন্য
রসদ ভর্তী
বাহন ।


আপনার যাত্রার সাফল্য কামনা করি :)
শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাহ দারুণ ত্রিভূজ মন্তব্য । নতুনত্ব ।
উত্তরের যাত্রা প্রায় করতে হয়। কিছুটা যাই ফিরে আসি আবার।
উত্তরে গেলে শীতে দারুন শুভ্রতা দেখা যায় গ্রাম বাংলায় যেমন অনেক সবুজ দেখা যায় ।
শহরে তেমন দেখা পাওয়া যায় না।
একবার মেরুতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আকর্ষন দুটো; শ্লেজ গাড়ি চড়া আর অরোরার আলো দেখা।
রসদ তো পাওযা গেলো, অসুবিধা হবে না।
আর ফুরিয়ে গেলে বরফ ফুটো করে মাছ মেরে খাবো সার্ভাইবার :D :D :D
আপনার কোথায় যাওয়া হয়েছিল?
শুভেচ্ছা

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

আহা রুবন বলেছেন: বরফ রাজ্যের বর্ণনা দারুণ লাগে। কিন্তু আমি ঠান্ডা সহ্য করতে পারি না। চমৎকার লিখেছেন, এক্ষনি মন চাইছে উড়ে যাই।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠাণ্ডা কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। প্রথম একটু কষ্ট হয় তারপার অভ্যাস হয়ে যায়।
শুভেচ্ছা আহা রুবন

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য। কোথায় যাওয়া হয়েছিল তা এক কথায় বলার চেয়ে উত্তরের যাত্রা শিরোনামে একটি পোস্ট দিব ভাবছি । পোস্ট দেয়ার পরে জানান দিব । তাই কিছুটা সাসপেন্সে রাখা হল ।
শুভেচ্ছা রইল

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেশ হবে অপেক্ষায় থাকলাম পড়ার এবং জানার।
আমাকে একটা টোকা দিয়েন অনেক সময় মিসকরে ফেলি সময়ের অভাবে
শুভেচ্ছা এবং ভালো থাকুন

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । তাই হবে ।
শুভ কামনা রইল ।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অপেক্ষায় আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.