নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথ চলাতেই আনন্দ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

যাযাবর, পথ সাথী করে চলা চলতেই থাকা........ এই মজা ভ্রমণ পিয়াসীই বুঝতে পারে। আমার খুব পথ চলতে এবং চলতে চলতে অজানায় হারাতে ভালোলাগে...........খুব ছোটোবেলায় যখন সৈয়দ মুজতবা আলীর,দেশেবিদেশে পড়েছিলাম, কাবুলের উঁচু নিচু এবরো থেবরো সেই গীরীখাদ ধরে হারিয়ে যেতাম। যেখানে বাস থেমে যেত একপাল ভেড়ার জন্য।
কেউ সামনে যেতে পারছে না। কেউ পিছাতে পারছে না। গড়িয়ে গেলে প্রপাত ধরনীতল পাহাড়ের উপর থেকে। সে এক ভয়ের শিহরণ শিড়দাঁড়ায়। খাড়াই রুক্ষ পাহাড়ের ভয়াবহ সে চিত্র মনের মাঝে এঁকে নিয়েছিলাম সেই শিশু বয়েসে। খুব ইচ্ছে করে গীরিখাদের পথ বেয়ে হেঁটে বেড়াই। সেই বাসে চড়ে ভেড়ার পালের সামনে বা উটের কাফেলার মুখোমুখি হয়ে অভিজ্ঞতাটা অর্জন করি বাস্তবে। একদিন সে জন্য যাবো সেখানে। যদিও রুক্ষতা আরো বেশী বেড়েছে বোমা, গুলি আর রক্তে হাড় মাংসের ছড়াছড়িতে। ঐতিহ্য হয়েছে বিলীন। তবু দেখতে যাবো ব্যাবিলনের ধ্বংস স্তুপে ঝুলন্ত উদ্যান।
তরুন বয়সে একজনের সাথে দেখা হলে জেনে ছিলাম, তিনি ইউরোপ থেকে আফগানিস্থান হয়ে ভারত ক্রশ করে বাংলাদেশে এসেছেন গাড়ি চালিয়ে। সে সময় থেকে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন ভূখন্ড দেশবিদেশ পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যে গেঁথে গেল। সুযোগ পেলেই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরতাম যেদিকে দু চোখ যায়.........
আরিচার খাখা বালুচরে এক দুপুর ঝকঝকে রোদের সাথে বা চা বাগানের ঘোর প্যাঁচ ওয়ালা খাড়াই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে, সবুজ গায়ে মেখে, ছুটতে খুব ভালোলাগত। যমুনা সেতুর উপর মাঝ রাতে চুপ করে বসে, আকাশ, নদীর আলোর মিশে যাওয়া খেলা দেখা। গাজীপুর ,মধুপুরের লালমাটির বন। সাভারে সদ্য গড়ে উঠা বনান্তের মায়ায় হারাতে হারাতে নিজের মনে হারিয়ে যেতাম অলিক পৃথিবীতে। কিন্তু বাস্তবতা বড় রুঢ়।
ট্রাক গুলো অকারণ স্পিড বাড়িয়ে দিত পিছনে প্যেঁ প্যেঁ করত। ড্রাইভিং সিটে আমাকে দেখে তাদের ইগোতে বড় আঘাত লাগত। এটা কালচার, স্বভাবজাত বেড়ে উঠা, মানুষ না ভেবে "মাইয়া মানুষ" ভাবা। এক নারী গাড়ি চালিয়ে তাদের সামনে দিয়ে চলে যাবে তা হবে না কিছুতেই। তাকে পিছনে ফেলে সামনে যেতে হবে।
তাদের পিছনে ফেলার অদ্ভুত তাড়না জেগে উঠত। এসব পুরুষের, ভাবনায় কুলিয়ে উঠে না অনেক নারী তাদের চেয়ে দক্ষতায় অনেক কাজ করতে পারদর্শী। তারা তাদেরকে নিচু ভাবতেই অভ্যস্ত।
আমার নিজের অনেক আনন্দময় সময়, নিরানন্দ করে দিত যখন চুপচাপ থেমে থাকা গাড়ি দেখে, দৌড়ে এসে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরত গ্রামের মানুষ। ব্যস্ত হতো কি অসুবিধা জানতে চেয়ে। বিষ্মত চোখ বিস্ফোরিত হতো একা আমাকে গাড়িতে দেখে। সবাই চলে গেলেও কিছু কৌতুহলি, আসপাশ থেকে সরত না।
হুট হরে র্স্টাট দিয়ে এগিয়ে যেতে হতো স্বপ্নময় সবুজ বা সূর্যাস্তের মায়া ছেড়ে, তাদের আরো অবাক চোখের সামনে দিয়ে। একবার গাড়ি চালাচ্ছিলাম গাইবান্ধায়। মানুষ সরতে গিয়ে রাস্তার উপর থেমে যাচ্ছিল বিস্ফোরিত চোখে আমাকে চালাতে দেখে।
জীবনে এরা কখনো রমণীর হাতে স্টিয়ারিং দেখেনি।
সেবার আরো মজা হয়েছিল, আমার যাত্রীরা ভুতের চেহারার মুখোশ লাগিয়ে বসে ছিল আমার পাশে, পরিমরি করে সে কি দৌড় ভুতের গাড়ি দেখে। অকারণ নারীদের এই সব হয়রানির সম্মুখিন হতে হয়।
এন জিও মেয়েরা মোটর সাইকেল চালিয়ে গ্রামের মহিলাদের সচেতনতন করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা ফোতোয়ার সম্মুখিন হয়েছে।
তবে সময় মনে হয় বেশ পালটেছে এখন। নীলফামারিতে দেখলাম ঝাক বেঁধে মেয়েরা সাইকেলে চড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। এ সব অনভ্যস্ত চোখে মনে নতুন কিছু প্রলেপ দিয়ে জাগাতে হবে মেয়েরাই পারবে। নিজেদের এগিয়ে নিয়ে তাদের ভাবনা ভেঙ্গে দিতে। যেমন এক সময় মেয়েরা চাষ করতে শুরু করেছিল।
এই চলাচল এই হারিয়ে যাওয়া চোখের উপর চোখ রেখে মনের ভিতর দেখতে পাওয়া এই চলছে যাযাবর জীবনে।
শীত শীত গ্রীষ্ম পেরিয়ে শরতে প্রাতে বেশ সুন্দর ঝকঝকে দিন উস্ণতার ডানা মেলে উড়ছে কদিন ধরে। এমন দিনগুলো উন্মাদনা নিয়ে ডাকে আমাকে আয় আয়। তাই নেমে ছিলাম পথকে সাথী করে যে দিকে দুচোখ যায় চলে যেতে।
দুপাশে ভুট্টার ক্ষেত। সরিষা আর ক্যানলার হলুদ বরণ মাঠ নির্জনতায় বাতাসের গান শুনে নাচছিল আনন্দে। আমিও তাদের সাথে মাতাল হতে গিয়ে চোখে পরল কালো বরণ দুটো বেশ বড়সর পাখি রাস্তার উপর আয়েসে বসে আছে। তাদের উপর দিয়ে না যাওয়ার জন্য গতি ধীর করলাম।
রাস্তা ছেড়ে তারা লুকিয়ে পরল ভুট্টার ক্ষেতে। কিন্তু এ পারে রয়ে গেল বেশ কটি ছানা।এক পারে মা অন্য পারে ছানা আর মাঝে আমি।। করুণ চোখে মা ছানাকে দেখছে ছানারা মা কে ডাকছে ভয়ার্থ স্বরে তাদের তাক করে দুটো ক্লিক করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভালো হলো না তারা ছিল।বনতিতির।



ওদের নিজের মতন থাকতে দিয়ে আমি চলতে লাগলাম আমার মতন।
যাই যেতে যেতে আরও কত কিছুর সাথে দেখা হবে। ভাবতে না ভাবতে মায়া হরিণী লাফ দিয়ে ঘাসের বন থেকে বেরিয়ে আমার সামনে। এক ঝলক দৃষ্টি বিনিময় করে চোখের চাহুনিতে আমাকে ঘায়েল করে হরিয়ে গেল মরীচিকার মতন।
খালী রাস্তা পেলেও শাইশাই করে ছোটার উপায় নাই। কখন কার সাথে দেখা হয়ে যাবে তার জন্য সময় রেখেই চলতে হয়। ধীর গতিতে কচ্ছপ পেরুবে রাস্তা,কচ্ছপ গতিতে তার জন্য থেমে থাকতে হবে এটা আইন। পাখিরা ঝাঁক বেঁধে উড়বে ঢেউ তুলে মাথার উপর, তাদের দেখব মন প্রাণ দিয়ে। মাঝে মাঝে হলুদ বেগুনি ফুলের মাঠ ডাকবে আয় আয়, ভিতরে না ঢুকতে পারি চেয়ে চেয়ে দেখব তাদের সাথে সময় ব্যয় করতে হবে খানিক ভালোবাসায়।



তাড়া কিসের । পথ চলার আনন্দ চলি পথে আপনমনে..........



ছবিগুলো আমার তোলা। কাত হয়ে গেল কেন বুঝলাম না :)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আপু ঘাড় বেকা হয়ে যাচ্ছে :P

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: হে হে হে আমারও .....
আমার পিসিতে সোজা দেখাচ্ছে। কয়েকবার চেষ্টা করলাম এই রকমই হচ্ছে সামুতে সোজা করনের ব্যবস্থা নাই।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

সোহাগ সালেহ বলেছেন: লেখটা ভালো লেগেছে তবে ছবিগুলো দেখতে সমস্যা হয়েছে। এডিট করে ঠিক করা যাবে না?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা সোহাগ সালেহ লেখাটি পড়ার জন্য
ছবিগুলো ঠিক করতে পারলে আমার খুব ভালোলাগত

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১২

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: ভালো বলেছেন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভেচ্ছা কাশফুল

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লাগল লেখাটি
জীবনে এরা কখনো রমণীর হাতে স্টিয়ারিং দেখেনি।
এরা বড় বাচা বেচে গেছে , নাহলে গাড়ীতে ভুতের মত যাত্রী হয়ে ভ্রমন করতে হত :)

ছবিগুলি ঠিক করে দিয়ে গেলাম



অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
প্রিয় পাঠকরা এবার শান্তি মতন ছবি দেখতে পারবেন।
কেমনে করলেন? আমি তিনবার আপলোড করে খ্যান্ত দিছিলাম।
ঠিক বলেছেন ওরা বড় বাঁচা বেচে গেছে। যার হাতে স্টিয়ারিং ছিল তিনি দক্ষতায় ওদের উপর গাড়ি না তুলে দিয়ে চালিয়েছেন।
নয় তো । যাত্রী নয় মরে ভুত হয়ে যেত :) :)


৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মুজতবা আলীর দেশে বিদেশের রেফারেন্স দিয়ে শুরু করেছেন | তাই আমিও আপনার এই লেখা নিয়ে আমার মন্তব্যটা তার সেই বইয়ের সম্পর্কে বলা একটা রেফারেন্স দিয়ে শুরু করি | "দেশে বিদেশে" প্রথম প্রকাশিত হবার পর বাংলা সাহিত্যে একটা বিতর্ক তৈরী হলো এটা জীবনী, ভ্রমণকাহিনী, না ইতিহাসের বই- তাই নিয়ে | এরকম সব্যসাচী লেখা তখন বেশি নেই বাংলা সাহিত্যে ! আপনার লেখাও মনে করেছিলাম ভ্রমণ নিয়েই কিছু | কিন্তু তার সাথে সামাজিক কিছু টানাপোড়েন, কুসংস্কার, আধুনিক আর পুরোনো দিনের দ্বন্দ্ব আরো অনেক কিছু মিলে মিশে এটা এখন আর শুধু ভ্রমণ কাহিনী নেই | নতুন কিছু নাম দিতে হবে এই লেখাটার | সেটা দেবার বিদ্যেও আমার নেই | ব্লগের অন্য পাঠকদের/পাঠিকাদের হাতে ছেড়ে দিলাম ব্যাপারটা | ধন্যবাদ |

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার নামটা কয়েকবার জপ করলাম মনে রাখা জন্য।
অর্থটা জানলে ভালোলাগত।
সুন্দর বলেছেন।
সৈয়দ সাহেব কে নিয়ে তখনও আলোচনা ছিল এখনও তার জায়গায় কেউ পৌঁছাতে পারেননি।
আমার প্রিয় লেখকের একজন। আর তাঁর লেখা দিয়েই, আমার জীবনে বিশাল বই পড়ার শুরু ।
আসলে জীবনের ভ্রমনের গল্পগুলো এমনই হবে। স্মৃতির সাথে বর্তমান বাস্তব আর ইচ্ছা মিলিয়ে দিলাম। এভাবেই নতুনের উদ্ভব।

ভ্রমনের উপর কিছু লেখা আছে দেখতে পারেন পুরানো সেলফে
শুভেচ্ছা রইল

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ডঃ এম এ আলী দয়ালু মানুষ।
ছবি গুলা কাইত হওয়া থেকে বাচিয়ে সোজা করে দিয়েছেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী শুধু কি দয়ালু অনেক গুণবান মানুষ
লেখাতুত ভাইয়ের সাহায্য পাঠককে সোজা মাথার ছবি দেখার সুযোগ দিল।
আমি কৃতজ্ঞ।

লেখা আপনার কেমন লাগল এডওয়ার্ড মায়া
শুভেচ্ছা রইল

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: দিলেনতো রীতিমতো ঝামেলায় ফেলে ! আমার নাম মনে রাখার জন্য জপ করার কিছু নেই ! আসলে এটাতো আমার নাম নয়, নিক | ইন্ডিয়ান ক্রিকেট গ্রেট সুনীল গাভাস্কার তার ছেলে হবার পর তার নাম রাখেন- রোহন জয় বিশ্ব গাভাস্কার | এই বিরাট নামের "রোহন" হলো অল টাইম ওয়েস্টইন্ডিয়ান ক্রিকেট গ্রেট রোহন কানহাইয়ার নামের প্রথম অংশ, গাভাস্কারের প্রিয় ইন্ডিয়ান ক্রিকেট আইকন এম এল জয়সীমার নাম থেকে নেয়া "জয়" আর ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গাভাস্কারেরই সতীর্থ "বিশ্বনাথের" নামের "বিশ্ব" নিয়ে ছেলের নাম | আমার নিকটাও তেমন অনেক কিছুর জগামাগা | এটার একটা মানে আমার কাছে আছে কিন্তু অর্থ নেই | আপনাকে ব্যাখ্যা করা খুবই ঝামেলার | আপনার ভ্রমণ কাহিনী সময় করে নিশ্চই পড়বো | অনেক ধন্যবাদ |

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিকটা অনেকদিন না এলে ভুলে যাবো তাই। মনে রাখার জন্য জপ করে নিলাম। আসলে কতজন আসে যায় সবার কথা মনে থাকে না। আবার অনেকের কথা হঠাৎ উঁকি দেয় মনে।
জীবনের এই চলাচলে এই ভার্চুয়াল জগতের মানুষগুলোও অনেক কাছে।
ক্রিকেট জগতের নাম বিষয়ে জানা ছিল না জানা হলো।
শুভ কামনা থাকল।
আর হ্যাঁ.... ভ্রমন কেমন লাগল জানার অপেক্ষায থাকলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.