নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধু নিয়ে কিছু অমধুর কথা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬




কুয়াশার আদর লেগে আছে পৃথিবীর গায়ে। সাদা চাদর মুড়ি দিয়ে আছে তখনও ঘুম ভাঙ্গেনি ভালো করে পৃথিবীর। চোখ মেলে তাকাতে ইচ্ছে করছে না আমারও। চোখ আধো খোলা আমার ঘরের ভিতর অরো বেশী ছায়াছায়া অন্ধকার। তবু লেপের ওম সরিয়ে কাঠের মেঝেতে পা রাখতেই গা জুড়ে শীত কাটা জাগে। গরম লম্বা হাতের জামাটা গলায় ঢুকিয়ে। বাইরে এক ছুটে পুকুর পারে। দুধের সরের মতন পরত পরে আছে পুকুরের জলের উপর। যেন জ্বাল দেয়া হচ্ছে বিশাল উনুনে পুকুরের জল। ধূঁয়া উঠছে ।
আধখোলা চোখে ঘুম পৃথিবীর রূপ দেখতে দেখতে পানিতে হাত ভিজাই। মুখ ধুয়ে ফেলি। মুখের ভিতর থেকে ধূয়া বের হয়। যেন পেটের ভিতর একটা উনুন জ্বলছে। ভিতরটা জ্বাল হচ্ছে আর ধূঁয়া বেরুচ্ছে।
বন্ধুদের সাথে পাল্লা দিয়ে মুখ দিয়ে পেটের ভিতরের ধূয়া কে কত বেশী বের করতে পারি; খেলাটা খেলতে খেলতে এক ছুটে চলে যাই, দুতলায়, মাঝের ঘরে।
ঘরে ঢুকতেই দরাজ কণ্ঠ আদরে ডাকেন। মাইজি আইছো। আও.. হা করো।
কাছে গিয়ে মুখ হা করি। একমুখ মিষ্টি রস মুখের ভিতর পরতে থাকে।
সকাল বেলাটা মিষ্টি মধুর হয়ে উঠে মধুর আস্বাদনে।
আর্য়ুবেদি, ভেষজ আদি ধনন্তরি ওষুধ মধু খাওয়ানো সকাল বেলার রুটিন চাচাজানের। সুফিবাদী, ফকিরি মতবাদের সাথে জটি বুটি সহজ জীবনের শক্তি নিজে যেমন সঞ্চয় করেন। তেমনি আমাকেও দান করেন।
প্রতি সকালে এক মুখ মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। স্বাস্থের একটা ভীত রচনা করে। বিষুদ্ধ নির্ভেজাল মধু। এতসব বোঝার বয়স ছিল না। তবে মধুর মিষ্টি স্বভাবে আকৃষ্ট হয়ে, ঠিক প্রতি সকালে খালী পেটে এক মুখ মধু খাওয়ার জন্য হাজির হয়ে যেতাম চাচাজানের ঘরে।
মধুর সাথে সম্পর্ক কবে থেকে যেন কমে গিয়েছিল। ভালো মধু পাওয়া যেত না। মৌয়ালীরা মৌচাক ভেঙ্গে যে মধু আনে জানা গেল তাতে তারা নানা কিছু মিশ্রণ দেয় মধু আর মধু থাকে না। বাজার ঘুরে আমাদের কাছে আসতে আসতে মধু নকল চিনির সিরায় বা অন্য কিছুতে মাখামাখি হয়ে যায়। ফুলের রেনু থেকে মৌমাছির তোলা মধুর সঞ্চয় শুধু নয়।
সেবার মনে হয় প্রথম রপ্তানী মেলা হচ্ছে ঢাকায়। দেখলাম বাক্স বন্দী মৌমাছি। বোতল বন্দী অনেক মধু। লোকজনের গা বেয়ে মৌমাছিরা চলাচল করছে। কোন ভয় নেই হুল ফোটানোর বিকার নেই মধু চাষ হচ্ছে। কয়েক বোতল মধু কিনে ছিলেন আব্বা।
এর অনেক বছর পর এক টিন মধু ঘরে রাখা হয়েছে। মধু নাকি সুন্দরবন থেকে এসেছে। বেশ দাম দিয়ে কেনা হলো। বাচ্চা তখন ছোট বাচ্চাদের জন্য মধু ঘরে রাখা খুব জরুরী।
কয়েকদিন পর এক সন্ধ্যায় সব যখন শুনশান চুপচাপ টেলিভিষনের অনুষ্ঠান দেখছি। খাবার ঘরে যেন বোমা ফাটার শব্দ হলো। তড়িঘড়ি গিয়ে দেখা হলো। মধুর টিন ফেটেছে। ঘরভর্তি মধু ছড়ানো। মধু ছিল না দানা দানা চিনির আকর ছিল কে জানে। খাওয়া হয়নি সব ফেলে দিয়েছিলাম। দেশে এরপর মনে হয় আর কখনো মধু কিনি নাই।
বিদেশে আসার পর মধুর বোতল ঘরে রাখাটা নতুন করে শুরু হলা। কত রকমের বোতল সাজানো বাজারের সেলফ জুড়ে। নানা আকৃতির নানা দামের। চাচাজানের মতন বাচ্চাদের মুখে এক মুখ মধু ঢেলে দেয়ার সুযোগটা বেশ উপভোগ করতাম।
এবছর শুরু সময় মোটে তিনদিন সুস্থ থাকলাম। তারপর প্রচুর জ্বর, কাশি, গা ব্যাথা, চোখ জ্বালা ক্রমাগত চলছে। চার পাঁচদিন প্রিয় ন্যাচারেল রেমেডি মধু, আদা কমলা, লেবু আর চিকেন স্যূপ খেয়ে চিকিৎসা চালিয়ে দিলেও সেদিন ভাবলাম যাই ডাক্তার দেখিয়ে আসি ডাক্তার বলল, অভার দ্যা কাউন্টারের ওষুধ যা হেল্প করবে এন্টিবায়টিক দিয়েও সে রকমই আস্তে ধীরে ভালো হবে। তাড়াতাড়ি ভালো হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ইচ্ছে হলে ওষুধ খেতে পারো না খেলেও এক সময় ভালো হয়ে যাবে।
বাড়ি যেয়ে প্রচুর আদা হলুদ, মধু খাও।
ডাক্তার একগাদা ওষুধ লিখে দিল না বলে খুশি হলাম। তেমন কিছু নয়। ভাইরাস জ্বর ওষুধ খেলে এক সপ্তাহ না খেলে সাতদিন চলবে তো সাতদিনই চলুক।
বরঞ্চ মজা পেলাম ডাক্তার আমার নিজস্ব রেমেডি রেসিপি আমাকে ধরিয়ে দিল।
খুব বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে এখন আমাদের দেশের কবিরাজী এখানে।
জ্বর গায়ে শুয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই। একদিন অনেকটা স্যূপ জ্বাল করে রেখেছি। অনেকটা আদা লেবু কেটে রেখেছি। রাতে ঘুমানোর আগে দুধে হলুদ জ্বাল দিয়ে এক কাপ উষুম গরম দুধ আর সকালে এক চামুচ মধু মুখে দিয়ে খানিক পরে দু গ্লাস পানি। মাঝে মাঝে চুমুকে চুমুকে স্যুপ খাওয়া।
এছাড়া নিরন্তর শুয়ে থাকা। মাথা ভর্তি নানা চিন্তা। আজব সব এডভাঞ্চার গল্প। অথচ লিখার শক্তি পাচ্ছি না। ল্যাপটপখানা চোখের সামনে পৃথিবীর তাবদ খবরা খবর তুলে আনছে। চোখ রেখে সময় কাটছে মন্দনা। যে সময়টুকু ঘুমাতে ইচ্ছা করে না। তখন চোখ রাখি ল্যাপটপের স্ক্রীনে। আমার ঘরে আর কারো আসা নিষেধ। ভাইরাস চট করে ধরে ফেলবে বলে দরজা বন্ধ। দুদিন পর পর বিছানা চাদর সব তুলে ধুতে দিচ্ছি আর নিয়মিত গোসল করছি। যদিও আমার একটা ভিডিও তৈরি করে পাঠানোর কথা ছিল এক জায়গায় কিন্তু চোখমুখ আর গলার অবস্থা নিয়ে সে ব্যাপারে কিছু করতে চেয়েও করতে পারলাম না। কদিন ক্রমাগত ঘুম দিয়ে এখন শুধুই শুয়ে থাকা। সময় কাটানোর জন্য,এ কদিনে অনেক গুলো মুভি দেখে ফেললাম।
নানা গল্প সত্য গল্প আজব গল্প ফ্যান্টাসি থেকে রোমান্টিক।
কোন বাছবিচার ছাড়া দেখতে থাকলাম। পৃথিবীতে মানুষের আজব চিন্তাধারা।
একটা ডকুমেন্টারি পেলাম মধু নিয়ে। মধু নিয়ে আছি তাই বিষয়টা বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখলাম।
সারা পৃথিবী ব্যাপী মধুকে স্বাস্থের জন্য নাম্বার ওয়ান উপকারি একটি খাদ্য হিসাবে দেখা হয়। প্রতিটি দেশে মধু স্বাস্থের শক্তি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে প্রাচিনকাল থেকে।
চিনির যত অপকারিতা। মধু সেগুলো থেকে মুক্ত। বরং শরীরের জন্য ভালো। এনার্জি বোষ্ট করার জন্য এক চামুচ মধু প্রতিদিন সব রকম রোগ থেকে দূরে রাখে।
উত্তর আমেরিকা, ইউরাপে চিনির বদলে মধু ব্যবহার শুরু হয় অনেকদিন থেকে। নানারকম ব্রেড, কেক, বিস্কিট মিষ্টি ব্যবহার করে যে সব খাদ্য তৈরি করা হয় সে সব খাদ্যে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার শুরু হয় । কারখানাগুলোতে টন টন মধু সাপ্লাই করা হয়। মধু দামে একটু বেশী কিন্তু স্বাস্থ সচেতন মানুষ মধু ভালো বলে, কিনতে কার্পণ্য করে না। অনেকে চা মধু দিয়ে খান।
কোন কারণ ছাড়া অনেক মৌমাছি মরা যায় প্রতি বছর আমেরিকায়। শীত এবং পরিবেশের বিপর্যয় থেকে মৌমাছি রক্ষা করার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে মধু চাষীরা। তাদের এ প্রচেষ্টা কষ্ট সাধ্য এবং ব্যয়বহুলও।
মধুর চাহিদার ব্যবসা যখন রমরমা চাহিদার চেয়ে রপ্তানী অপ্রতুল। সে সময় কন্টেইনার ভর্তি মধু নিয়ে চাইনিজ জাহাজ আসে দাম অনেক কম তাদের। ব্যবসায়ীরা কম দামের মধু পেয়ে কিনে নিতে থাকে। এবং ব্যবহার করে তাদের খাবার তৈরিতে। আমেরিকার আসল মধু বিক্রেতাদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। কারন মৌমাছি যতটুকু উৎপাদন করতে পারে তার চেয়ে বেশী যোগান তারা দিতে পারছে না। এদিকে চাহিদা বাড়ছে প্রতি নিয়ত। আর চাইনীজদের মতন কম দামেও তারা দিতে পারছে না মধু।
চাহিদার চেয়ে বেশি সরবারহ কম দামে আসতে লাগল চায়না থেকে মধু। দামে কম বলে ব্যসায়ীরা কিনে নিতে থাকল। আমেরিকার মধু ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছে না। এত কম দামে কি ভাবে তারা সরবারাহ করছে।
সরকার বলছে তোমরা মৌমাছির উৎপাদন বাড়াও।

নব্বই সনের শেষের দিকে আবিস্কার হয় চায়না থেকে আসা মধু আসল মধু নয়; কর্ন সিরাপ, আখ এবং ভুট্টার রস মিশানো মধু তারা বিক্রি করছে। মিশেল দেয়া নকল মধু চাইনিজরা বিক্রি করছে কম দামে। তাদের এই মিশানো ধরে ফেলার সাথে সাথে তারা নতুন করে অন্য কিছু মিশাতে শুরু করে যা পরীক্ষা করে ধরা কঠিন হয়ে যায়। হানির এডালটারি নিয়ে বিশাল বিশাল গবেষনা চলে। মধুর বৈধতা যাচাই করতে "পরাগ বিশ্লেষণ" এবং "আণবিক পরীক্ষার" একটি নতুন, অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ঘটে। যেন দড়ি টানাটানি চলতে থাকে বৈধ আর অবৈধ ধরার। এরা এগিয়ে গেলে ওরাও নকলের ব্যবহার এমন ভাবে করে যে পার্থক্য বোঝা মুশকিল।

দুহাজার সাত থেকে দুহাজার চৌদ্দ সময় পর্যন্ত পরীক্ষা করে যখন তাদের মিশেল দেয়া মধু বাতিল করা হয় ততদিনে প্রকৃত মধু ছাড়া অনেক খাদ্য তৈরি হয়েছে বিক্রি হয়েছে। মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। আসল মধু বিক্রেতার বানিজ্য নষ্ট হয়েছে। আর নকল ব্যবসা রমরমা আয়ে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে।
নকলের জন্য চাইনিজদের সরবরাহ বাতিল করা হলে পরের বছর মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমান চালান আসল। সব লেবেল কাগজ বদলে ফেলেও চায়ানার মধু বিক্রি চলতে লাগল অন্য পথে আমেরিকার বাজারে। সহজেই এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে তাদের পণ্য শনাক্ত করে সরবরাহ করতে থাকে।
ইউএস হানি ইন্ডাসট্রির আমদানী কৃত মধু কেনার দায়িত্ব পায় উনিশ বছরের স্টিফিনি গিসভা। জার্মানির এই মেয়ে ক্লোরমফেনিকোল যুক্ত মধু কেনা শুরু করে, যা এক ধরনের এন্টিবায়টিক। মানুষের শরীরের জন্য খারাপ। পুরো মধু ব্যবসায় জড়িত প্রতিটি মানুষ এই বিষয়টি দ্বারা ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
যখন দু হাজার ছয়ে এই অনৈতিক প্রসেস সম্পর্কে জানা হয়। ইনল্যান্ড সিকিউরিটি তাকে গ্রেফতার করার জন্য আদালতে। ঠিক সে সময় সে ওয়ানওয়ে টিকেট করে এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছে প্লেনে চড়ে জার্মান পালিয়ে যাওয়ার। অল্প সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ম্যানেজার ও গ্রেফতার হয়। কিন্তু মধুর উপর বিশ্বাস তত দিনে নষ্ট হয়ে গেছে মানুষের মনে।
মধু একটি বিশুদ্ধ বস্তকে ক্ষতিকর করে এভাবে বাজারে চালু করা চাইনীজদের উপর মেজাজটা খারাপ হলো ভীষণ ডকুমেন্টারিটা দেখে।
এক দিকে যেমন ভালো এবং সঠিক থাকার চেষ্টা করছে কেউ অন্য দিকে সেখানে অবৈধ্ ক্ষতিকর বিষয়গুলো ঢুকিয়ে দেয়ার অপচেষ্টাও চলছে। আমরা কি জানি কতটা বিশুদ্ধ খাদ্য আমরা পাচ্ছি।
রোটেন নামের সিরিজটা আমার প্রিয় হয়ে গেল।
তবে অনেক কিছু জানছি কিন্তু এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি।




মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


চাইনীজরা মানব জাতিকে ওদের মতো ছোটাকারে নিয়ে আসবে; ওদের খাদ্য খেয়ে আমেরিকানরা জেনেটিক্যালী পংগুত্বের দিকে যাচ্ছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই দিক দিয়ে ট্রাম্পের নীতিটা ভালো। আমেরিকানরা নিজেদের জিনিস নিজেরা উৎপাদন করুক।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১২

রুরু বলেছেন: ৩ চামচ মধু খেয়ে আমার একবার ২০০ টাকার ঔষধ খেতে হয়েছে।।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: আহারে চাইনিজদের মধু ছিল মনে হয়।

তবে একসাথে বেশী পরিমাণ খাওয়াটা ঠিক না
শুভেচ্ছা রইল

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ্মধু আমি খাই না।

তবে সুরভির জন্য আমাকে এক নম্বর মধ্য যোগাড় করতে হয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: এমন একটা ভালো জিনিস মধু খাওনা কেন?
সুরভির জন্য যখন কেন তখন মাঝে মধ্যে চেখে দেখো।
বাংলাদেশে মনে হয় একমাত্র জায়গা যেখানে বাচ্চাদের মুখে মধু দেয়া হয়।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

সুমন কর বলেছেন: বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আসল জিনিস পাওয়াই যায় না !!

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাছে পাওয়া যেতে পারে আসল।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মধু নিয়ে খুবই চমৎকার একটি লেখা । নীজের স্মৃতি কথাসহ মধুর বিষয়ে ভাল দিকগুলির সাথে অনেক প্রকারের আশংকাজনক বিষয় উঠে এসেছে লেখাটির মধ্যে । তবে খাটি মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে ।

আমিরিকায় বন্য মৌমাছির সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে সস্তা চাইনীজ ভেজাল মধু অবশ্যই দায়ী , তবে চাইনীজদের কারসাজীতে আমিরিকার মধু শিল্প মার খা ওয়ার পাশাপাশি আমিরিকা সহ ইউরোপ ও পৃথিবীর অনেক দেশেই বন্য মৌমাছির সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য ইজরাইলও কম দায়ি নয় ।
নীচে morenature.com ব্লগের একটি লেখার অংশ বিশেষ দেখা যেতে পারে :

One of the major factors contributing to the decline in honeybee populations is the colony collapse disorder. This syndrome occurs when the worker bees leave the hive. These worker bees provide the nectar for the brood, the colony’s immature bees. Under normal circumstances, the worker bees will not leave the hive until all the brood has hatched successfully. However, ever since 2004, many North American beekeepers have seen their entire worker bee population abandon the colony before the brood has hatched. As you can guess, the brood typically does not survive.

While it is still not entirely clear what is causing this syndrome, entomologists and beekeepers are chalking it up to a combination of parasites, disease, changes in the environment, pesticides, genetically modified produce, and malnutrition. For example, there is strong evidence that Israel Acute Paralysis Virus is partly to blame as it causes paralysis to the bees. Nosema apis, a fungus that is another possible culprit, keeps the bees from properly digesting pollen. Infected honeybees brought Israel Acute Paralysis Virus and Nosema apis into the U.S., and the two killers have been spreading ever since.

সুত্র : Click This Link

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে ভালোলাগল।
দারুণ কিছু নতুন তথ্যও দিলেন। সেখানে পড়তে গিয়ে বেশ কিছু গবেষনা হয়ে গেলো আবারও । আসলে নানা ভাবেই বিপর্যস্থ সবকিছু প্রকৃতির।
মধুর সাথে আমার মধুর সম্পর্ক সেই ছোট বেলা থেকেই হয়ে আছে। আর উপকরিতাটা সত্যি টের পাই।
নিজে কিছু মধু চাষ করার চেষ্টা করছি।
এক বক্স থেকে মাত্র তিন সপ্তাহে এত বেশী হয়ে গেল নিজেরা গাছের ডালে যেয়ে বাসা বাঁধল।
ওদের থাকার পছন্দও নিজের মতন। যারা গাছের ডালে বাসা বাঁধল তাদের বক্সে ঢুকানোর দুদিন পর দেখলাম ফুরুৎ সব চলে গেছে নিজের পথ খুঁজে।
এখানে সমস্যা ঠাণ্ডা । শরৎকলে সব ঘরে ঢুকতে শুরু করল। অনেকে ঘর থেকে বেরুনোর পথ না পেয়ে মারা গেল।
ঝক্কি আছে বেশ তাদের সামাল দেয়া চাষ করাও সহজ নয়।
দেখা যাক শীতের পরে কি অবস্থা হয়।
মধু শুধু নয় মোমেরও দারুণ জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে প্রশাধন সামগ্রী তৈরির জন্য হন্য হয়ে খুঁজে বী ওয়াক্স।
অনেক শুভেচ্ছা থাকল

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

খাদ্যাভ্যাস নিয়ে চিন্তাজাগানিয়া লেখা।

মধুর ওপর বিশ্বাস কখনই ছিল না। আর চাইনিজদের ওপর বিশ্বাস করার প্রসঙ্গই আসে না!

মধু খাঁটি না হলেও, দেশী মধুকে বিশ্বাস করানোর নানা ফন্দি আছে। যেমন: আমাদের দেশের কৃষিমেলা; সুন্দরবন থেকে আনা খাঁটি মধু।

মধুর উৎস উল্লেখ করেও বিশ্বাসযোগ্যতা আনার চেষ্টা হয় এদেশে- সরিষা মধু; কালিজিরা মধু...হাহাহা!

যেটা আপনাকে খেতেই হয়, সেটি খাবার জন্য বিশ্বাস আপনাকে করতেই হবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: আসলে দিন দিন এমন অবস্থা হচ্ছে সব খাবার দাবার ওষুধ সব কিছুতেই অবিশ্বাস জমছে।
না জেনে অনেক কিছু করে ফেলা যায়। জানলেই সেই নাপিতের মতন ফোঁড়া কাটা বন্ধ হয়ে যায়।
ছোট খাট মধু বিক্রেতার মধু ভালো হতে পারে।
নামগুলো মজা লাগল।
বিদেশেও এরকম নামে বিক্রি হয় কারণটা হলো যে এলাকায় যেমন ফুল থাকে। বন্যফুলের মধু থেকে কেনলা, বা সরিষা ।
শুভেচ্ছা থাকল

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মধুর গুন কিন্তু আসলেও অনস্বীকার্য।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: নির্ধিদ্বায়
শুভেচ্ছ্ সচেতনহ্যাপী

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: কোনোই উপায় নেই। ভেজাল জিনিস খেতে খেতে ভবিষ্যতে হয়তো এমন দিন আসবে, যখন নির্ভেজাল খাবার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। /:)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: হা হা হা ঠিক বলেছেন ।
তবে শরীর অভ্যস্ত হয়ে উঠে প্রকৃতি খাদ্যের সাথে।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পৃথিবীর অধিকাংশ ভালো কাজ করেছে চীনারা, অধিকাংশ খারাপ কাজও করেছে চীনারা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো আর মন্দ লোক, আসলে সব জায়গাই সমান সমান।
এই যেমন বাংলাদেশে ফরমালিন আতংক এসব তো বা্ংলাদেশের মানুষরাই করছে।
এক সময় শুনতাম জিঞ্জিরা মেড।
তবে এ লেখার ডকুমেন্টারিটাতে চাইনিজদের কাহিনীটা বিশাল। তাইদেরকে দোষ দেয়া হলো বেশী।
শুভেচ্ছা রইল

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো মধু নিয়ে | মধুর কিন্তু একটা লোকাল আপিল ও কার্যক্ষমতা আছে | যে এলাকার বা অঞ্চলের মধু সেগুলো কিন্তু সে এলাকার বা সে অঞ্চলের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক হতে পর ওনেক সময়ই | যেটা অন্য অঞ্চলে কিন্তু একইভাবে কার্যকরী নাও হতে পারে | এটা একদিন আমাদের বলছিলেন আমাদের ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর | তার সাজেশন ছিল সুপারমার্কেট থেকে মধু কিনলে লোকালি প্রোডিউসড হানি যেন কিনি অতো বিদেশী বা বাহারি হানি না কিনে |

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা ভালোলাগার জন্য।
লোকাল আপিলের বিষয়টি দারুণ বলেছেন। শুধু মধু নয় প্রতিটি প্রাণী বৃক্ষ প্রকৃতির সমস্ত উপাদানে এই স্থানীয় প্রভাব বিদ্যমান। একজায়গা থেকে তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় গাছ পাখি প্রাণী মানুষ হয় তো বাঁচে কিন্তু তাদের স্বভাব চরিত্র চেহারায় ধীর পরিবর্তন হয়ে যায়।প্রকৃতি তার নিজের মতন প্রতিষধক তৈরি করে। আমরা না বুঝে নষ্ট করে ফেলি তার গুণ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: মধু নিয়ে অম্ল-মধুর পোস্ট। ভালো লাগল। অনেক কিছু জানাও হল।

ছোটকালে দেখতাম বাগানের বড় বড় অামগাছের ডালে বিশাল বিশাল মৌচাক। সেগুলো কাটা হলে সেই মধু খেতে সত্যিই অমৃতর মতোই মনে হত। এখনও কিছু পাওয়া যায়।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমিও অনেক দিন পর দেশে গাছের ডালে একটা বিশাল মধুর চাক দেখে ছবি তুলে নিয়েছি। আর গতবছর আমার মৌমাছি হাইফ ছেড়ে আপেল গাছে গিয়ে বাসা বাঁধল কিন্তু বাক্সে বন্দী করার পর তারা চলে গেলো আপন মনে উড়ে। অন্য কোথাও মধু জমাচ্ছে হয় তো।
ভালো থাকবেন

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৮

শামচুল হক বলেছেন: মধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.