নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয়াঙ্কার কথা

১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

একটি মেয়ে নাম প্রিয়াঙ্কা । আমার বোনের কাছে আবৃত্তি শিখত। মেয়েটি গানও করত। এসবের পাশাপাশি মেধাবী মেয়েটি পড়ালেখায় ভালো ছিল। ডাক্তার হয়ে ছিল। প্রেম করে বিয়ে করেছিল। একটি বাচ্চা আছে। কিন্তু সনাতনী ভাবনার বাইরে পরিবার আসতে পারেনি। স্বামীর পরিবার মেয়েটিকে অত্যাচার করত। সাথে প্রেমিক স্বামীও। চিকিৎসক পেশায় থাকার পরও মেয়েটিকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করাত। বাড়ির কাজের লোকদের ছাড়িয়ে দিয়ে ছিল, বিয়ে হয়ে মেয়েটি বউ হয়ে আসার পরে।
সহকর্মিরা বলছেন, প্রায় সময় তার গায়ে নানারকম আঘাতের চিহ্ন থাকত। মন কষ্ট নিয়েও মেয়েটি নিরব থাকত। ওর আরেক নাম শান্তার মতন শান্ত ছিল সে। অথচ তার পেশায় উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেয়নি শ্বশুড় বাড়ির লোকজন, মেয়েটি সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ার পরও।
মা তাকে অনেক ভালোবেসে গান বাজনা, আবৃত্তি শিখাতে নিয়ে যেতেন। সময় দিতেন। কিন্তু নিজের পছন্দে বিয়ে করাটা হয় তো অপছন্দের ছিল। মেয়েটি অভিভাবকের অমতে এবং প্রেম করে বিয়ে করার একটা কারণে সামাজিক, ধর্মীয় নিয়মে আটকে গেল। তার সামনে এই অসহ্য জীবন থেকে বাঁচার আর কোন পথ খোলা রইল না। সমাজ এভাবেই বিচার করে একটি মেয়েকে। তার জীবনের সমস্ত প্রতিভার জলাঞ্জলি দিয়ে মা দিবসের দিন মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রচার করে।
আত্মহত্যা না হয়ে হত্যাও হতে পারে। মেয়েটি দুমাসের গর্ভবতি ছিল। জানা গেল মেয়েটি বসার ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলেছিল।

অনেক যত্নে শিক্ষিত করা হয় একটি মেয়েকে। শিল্পকলার নানা শাখায় জ্ঞানী করা হয়। কিন্তু নিজেকে স্বনির্ভর করার মূলমন্ত্রটাই শিখানো হয় না মেয়েদের। মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে শিখানো হয় না কখনো। মাথা নিচু করে ঝুঁকে থাকলেই ভালোলাগে সবার কাছে।
বিয়ে করেছে এবং প্রেম করে বিয়ে করেছে বলে অসম্মান, অমর্যাদায় সংসার করে যেতে হবেই। সবাই এই ধরনাটা মাথায় নিয়ে বসে থাকে। অল্প বয়সের আবেগে ভুল সঙ্গী নির্বাচন করতে পারে তার মানে এই নয় তার সাথেই মাথাকুটে থাকতে হবে। কেন মেয়ের খারাপ থাকা শোনেও পরিবার মেয়েটির পাশে দাঁড়ায় না সাথে সাথে।
বিয়ে মানে যেন নারীদের জীবন শেষ। এই ভাবনার পরিবর্তন হওয়া দরকার। সব পরিবারের সদস্যদের বোঝা উচিত। বিয়ে যদি সুখের না হয় তবে সে বিয়ের জন্য কষ্ট মেনে সংসারে থাকার কথা বলার চেয়ে মেয়েটাকে সাহায্য সহযোগীতা করা এই কষ্ট অবসানের।
একবার বিয়ে হওয়া মানেই মেয়েদের ঘাড় গুজে সেখানে সব কষ্ট মেনে নিয়ে থাকতে হবে এইসব রীতি নিয়মের অবসান হওয়া দরকার।
নিয়মগুলো বদল হওয়া দরকার ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :( :( একবার বিয়ে হওয়া মানেই মেয়েদের ঘাড় গুজে সেখানে সব কষ্ট মেনে নিয়ে থাকতে হবে এইসব রীতি নিয়মের অবসান হওয়া দরকার।
নিয়মগুলো বদল হওয়া দরকার ।


খুব দরকার।

১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমরা মাঝে মধ্যে আওয়াজ তুলি কিন্তু এই নিয়মে চলতে থাকে নির্যাতন, অবমাননা।
এসব নিমূর্লের জন্য নারীদেরই জাগতে হবে মেরুদণ্ড সোজা করে

২| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। তাই মান্ধাতার আমলের নিয়মগুলোর অবসান প্রয়োজন।

প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব একটা জগৎ আছে। সেটা যেন কোনো ভাবেই না হারায়।

মুছে যাক জরা, মুছে যাক গ্লানি........

১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: সময় আগিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব গতিতে কিন্তু মান্ধাতার আমলের নিয়মগুলো নিজের স্বার্থে ধরে রাখছে কিছু মানুষ।
প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব একটা জগৎ আছে
স্বপ্নের মতন এতটা কথা বাংলাদেশের কজন নারী এই কথাটা জানেন বা উপভোগ করেন এটা একটা বিরাট গবেষনার বিষয়। জারা জানেন বা প্রয়োগের চেষ্টাও করেন দুরমুজ দিয়ে তাদের থেতলে দেয়া হয়।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

মুক্তা নীল বলেছেন:

সাত পাকে বা তিন কবুল বলে কাউকে বিয়ে করাটা ভুল নয়। ভুল মানুষের সাথে একই ছাদের নিচে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া তারচেয়েও বড় ভুল।
আসলেই নিয়মগুলো বদল হওয়া দরকার।

১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ক্যানসার হলে যেমন কেটে বাদ দিতে হয় এই বিষয়টাও সংসারের ক্যানসার। সাময়িক ভাবে জোড়া তালি দিয়ে হয় তো কিছুদিন চলে কিমো দেয়ার মতন। কিন্তু কেটে বাদ দেওয়াই শেষ চিকিৎসা। নয় তো প্রিয়াঙ্কার মতনই মৃত্যু মেনে নিতে হয়, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।
নিয়মগুলো বদলের জন্য মেয়েদেরই বিষয়গুলো জানাতে হবে ছোট থেকে।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

পারভেজ আলি বলেছেন: ভাল লাগলো রোকসানা আপু

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: সমাজে অসভ্য নিয়মগুলি যতক্ষণ পরিবর্তন হবে না অনেক দূর্ভোগ পোহাবে অনেক নারী।
ততক্ষণ কোন ভালোলাগা নেই পারভেজ আলি

৫| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: গল্পটা গতানুগতিক হয়ে খেছে

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: গল্প নয় সত্য ঘটনা পথিক প্রত্যয়। এই ভয়াবহ নিয়মে জর্জরিত হচ্ছে বহু নারী ঘরে ঘরে পরিবারে।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২১

মা.হাসান বলেছেন: বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক আরো খোলামেলা, বন্ধুত্বপূর্ণ হবার দরকার।
শুধু প্রেমের বিয়ে নয় , অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রেও বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সমস্যা দেখছি। আমাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে গত ৪০-৫০ বছরে। মানুষের মানবিকতা বোধ এবং সহনশীলতার ঘাটতি আগের চেয়ে বেড়েছে বলে অনুভব করি।

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: মা.হাসান
মেয়েটার মা বাবার সাথে ভালোই সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু প্রেম হলে এমন একটা জেদ কাজ করে মানুষের মনে বাবা মার কথা শুনতে বা কারো বুঝানো তখন ভালো লাগে না। একরোখা একটা ভাবনায় প্রেমকেই বড় করে দেখে তখন।
মানুষকে বোঝা একটা জটিল ব্যাপার। প্রেমের সুখের সময় আর সংসার যাপন পুরো আলাদা বিষয়। সাথে যদি গোড়ামি যুক্ত পরিবার থাকে তবে ভালোবাসা উবে গিয়ে নিয়ম পালনে জীবন জর্জরিত হয়।
প্রেমের বিয়েতে সমাজে এখনো ধারনা তুমি পছন্দ করে বিয়ে করেছো তখন শুননি। এমন একটা ভাব থাকে। আর পারিবারিক আয়োজনের বিয়েতে হয়তো পরিবারের উপর ভরষা করতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিয়ে ভাঙ্গার ব্যাপারে কেউ সায় দিতে চায় না।
এর ওর উপর দোষ চাপানোর চেয়ে একজন মানুষের জীবন অনেক বড়। সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এটা মনে হয় অনেক আগের যুগের গল্প।
এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: এটা এই মা দিবস ১২ মে ২০১৯ এর ঘটনা ।
স্বপ্ন স্বপ্ন জগতে বাস না করে চারপাশে তাকিয়ে বাস্তবতা উপলব্ধি করো।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: এই দুঃখজনক ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে ব্লগার_প্রান্ত ।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা মেয়ে তার মা-বাবার চেয়ে তার ভালোটা কখনওই বুঝতে পারে না।শুধু মেয়ে নয় যে কোন সন্তানই।আর মেয়েদের বিষয়গুলো খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার।বিশেষ করে একটি পরিবারের জন্য।প্রতিটি পরিবারই চায় তাঁদের মেয়ে এমন একটি স্থানে বাস করবে যেখানে থাকবে না কোন অশান্তি দুঃখ বেদনা।কিন্তু অনেক মেয়ে পরিবারের এই পছন্দ অপছন্দের প্রতি কেয়ার করে না।ফলে তাই ঘটে যা সে অর্জন করে।

২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান
প্রেম করা মানুষের জীবনের একটা প্রাকৃতিক অনুভূতি। প্রেমের বিয়েতে অনেক সুখি দম্পতি রয়েছে।
অভিভাবক ভালো চায় কিন্তু আয়োজনের বিয়েতে যে সব সময় ভালো হয় তা নয়।
শুধু স্বামী স্ত্রী ভালো থাকতে পারে না পরিবারের আর সদস্যদের জন্যও অনেক পরিবারে।
বিয়ে হতে হবে আর বিয়ে হয়ে গেলে সেটা থেকে বেরুনো যাবে না। এই ধারনা পুক্ত হয়ে বসে আছে মনে।
যে ভাবেই বিয়ে হোক, দুটো মানুষ যখন মানাতে পারে না এক সাথে থাকা সমস্যা হয়। সাথে যদি পরিবারের অন্য সদস্যরাও সহযোগী হয় যন্ত্রনা দেয়ার। তবে পরিবারের উচিত মেয়েটির ভালো চেয়ে তাকে আশ্রয় দেয়া ।
বিবাহিত মেয়েদের সব চেয়ে বড় সমস্যা তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকে না। বিয়ে দিয়ে পরিবার যেন দায় সেরে ফেলেছে। যে কোন অবস্থায় মেয়েটিকে মুখ বুজে থাকতে বলা হয়।




১০| ১৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: এটাতো আগের গল্প মনে হচ্ছে বরতমানে মানুষের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে।

তবে আমার একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন, হয়ত ভুলো হতে পারে, কিন্তু একটি পরিবার কি শুধু শুধু একটি মেয়েকে অত্যাচার করবে? কোন কারন ছাড়াই? আমারতো মনে হয় না। হয়ত খারপের দিকটা ওই পরিবারেরই বেশি, কিন্তু...

১১| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঘটনাটি সদ্য ঘটেছে। এবং আরো বহু এমন ঘটনা ঘটছে অহোরহ। সব হয়তো শোনা যায় না কারণ মেয়েরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুখ বুজে সহ্য করে।
পরিবারে যখন কিছু ধারনা মনে গেঁথে রাখে একটি বউ মানে বাড়ির কাজের লোকের চেয়ে নিকৃষ্ট তখন তাকে অত্যাচার করার জন্য আর কোন কারন লাগে না।
অনেক শ্বশুড় শাশুড়ি আছে বউ ছেলের সাথে সময় কাটাবে হেসে কথা বলবে এটা সহ্য করতে পারে না।
বিয়ের পর ছেলেরা এক ধরনের সমস্যায় পরে, মাকে ভালোবাসবে না বউকে ভালোবাসবে।
এই সমস্যাগুলো অলিখিত ভাবে সমাজে জটিল আকার ধারন করে আছে।

১২| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্ট দেখে আমার মনে পড়ে গেল, দু বছর আগে এই ব্লগে একটা পোস্ট দেখেছিলাম। একজন ডাক্তার লিখেছিলেন তার স্বামী কিভাবে তাকে অত্যাচার করেন। তাকে চাকরি করতে বাধ্য করেন, কিন্তু তার হাতে কোনো টাকা পয়সা দেন না। চাকরি করা ছাড়া তাকে বাইরে যেতে দেন না, কারো সাথে যোগাযোগ করার উপায় রাখেন না ইত্যাদি। সেই মেয়েটা, আমি তাকে মেয়েটাই বলবো কারণ মনে হচ্ছিল তার বয়স অল্প। খুবই অসহায় ভাবে তার অবস্থা বর্ণনা করে লিখেছিল যে, আত্মহত্যা করা ছাড়া এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির তার আর কোন উপায় নেই, কিন্তু দুই বছরের মেয়ের কথা ভেবে সে আত্মহত্যা করতে পারছে না। খানিকটা মুক্তির জন্য সে ব্লগে আসে, কিন্তু সম্ভবত সে এরপর ব্লগেও আর আসতে পারবে না... এটা পড়ে আমি খুবই বিচলিত হই, ডোমেস্টিক এবিউজ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করে তারপর মেয়েটার উদ্দেশ্যে একটা পোস্ট দেই, কিভাবে সে বের হয়ে আসবে সেই কথা বলে। কিন্তু দেখতে পেলাম মেয়েটা সেই পোস্ট সরিয়ে নিয়েছে, আর কোনদিনও ব্লগে তাকে দেখতে পাইনি। এভাবে অনেক মেয়ে ডোমেস্টিক এবিউজের সম্মুখীন হয়, কিন্তু তারা বোঝে না যে এটা এক ধরনের নির্যাতন।

এইসব মেয়েদের জন্য খুব দুঃখ হয়, আপনার পোস্ট পড়ে আরেকবার দুঃখ পেলাম।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: সৃষ্টি কর্তা পুরো সময় দেননি আমাকে মানুষ করে গড়তে রেখেছেন আধাআধি করে" গুরুর সেই কথাটাই মনে পরে আমাদের সমাজের এইসব মেয়েদের দুঃখ দেখে।
আধ মরাদের ঘা দিয়ে যে বাঁচানোরও কোন উপায় নেই মনের ভিতর এঁকে দেয়া সংসার ধরে রাখার মন্ত্র খুলে বেড়িয়ে আসতে পারে না। আমার পরিচিত একজন যখন মন স্থির করে ফেলল আর থাকবে না এবিউজ স্বামীর সাথে। নিজের মা বলে দিল। আমার লাশের উপর দিয়ে যাস। আমাদের পরিবারে কি কারো ডির্ভোস হয়েছে কখনো? অথচ উনার বোনের মেয়েরই তখন তিনবার ডির্ভোস হয়েছে। মেয়েটা নিজেকে লুকিয়ে আধমরা হয়ে বেঁচে আছে সংসারে। অথচ অনেক সম্বামনাময় একজন লেখক চিত্র শিল্পী ছিল।
আত্মহনন কোন সমাধান নয়। মেয়েদের বাঁচতে শিখতে হবে, নিজের মেরুদণ্ড খাড়া করে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখতে হবে। কয়েক বছর আগে একজন মহিলার চোখ উপরে নিয়ে ছিল স্বামী। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আত্মহত্যা করেছিল। এরা কিন্তু একদম অসহায় নয়। এরা শিক্ষিত স্বনির্ভর কিন্তু মনের ভিতর এরা দূর্বল এবং দূর্বলতাকে অতিক্রম করতে পারে না পরিবারের জন্য অনেক সময়। এরা ধুঁকে ধুঁকে মরে ।
দেশে একটা বড় সমস্যার সমাধান হবে যদি মেয়েদের যাওয়ার জন্য একটা শেল্টার তৈরি হয়। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং বেঁচে থাকার জায়গা থাকলে অনেকেই এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
তবে নারীদের বউদের ভালোবাসাটা সবচেয়ে বড় সমাধান বলে মনে করি। সংসার সুখের করার কাজটা শুধু নারীদের নয়। পুরুষদেরও মনবৃত্তি বদলানো দরকার।
ধন্যবাদ করুণাধারা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.